• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘খাইরুন লো’ গানের গীতিকার ওয়াদুদ রঙ্গিলা মারা গেছেন
শ্রোতাপ্রিয় গান খায়রুন সুন্দরীর গীতিকার ও বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমার অভিনেতা আব্দুল ওয়াদুদ রঙ্গিলা মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধনী অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। এ গীতিকার ও অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছিলেন। এরই মধ্যে সপ্তাহখানেক আগে ব্রেন স্ট্রোক করলে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। এদিন দুপুরে আব্দুল ওয়াদুদের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিউয়নের সাপমারী পীরগঞ্জ বাজার এলাকায় নেয়া হলে শোকের ছায়া নামে। এরপর বাদ আছর নামাজে জানাজা হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় এ গীতিকারকে। জানা যায়, লোককাহিনী নিয়ে নির্মিত খাইরুন সুন্দরী সিনেমাতে খাইরুন সুন্দরীর ছোটভাই রফিক চরিত্রে সফল অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। এরপর তিনি চিনিবিবি, মালেকা সুন্দরী ও অগ্নিসাক্ষীসহ বেশ কিছু ব্যবসাসফল ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন। সেইসঙ্গে তিনি ছিলেন একাধিক ছবির নির্মাতা, প্রযোজক, গীতিকার ও সুরকার। এছাড়া তিনি নাটক ও কবিতাও লিখতেন। সেই সুবাদে শেরপুরের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি ছিলেন একজন পরিচিত ও প্রতিভাময় মুখ। তার মৃত্যুর খবরে শেরপুরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৬

গীতিকার শিনসাডংয়ের মরদেহ উদ্ধার
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় গীতিকার শিনসাডং টাইগার। একাধিক জনপ্রিয় কে পপ গানের গীতিকার ছিলেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৪০। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের গ্যাংনাম পুলিশ স্টেশনের এক কর্মকর্তার বরাতে এক প্রতিবেদনে মৃত্যুর খবরটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ। কিন্তু কোথায়, কখন ও কিভাবে শিনসাডংয়ের মৃত্যু হয়েছে— সেটা এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ।   ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে সংবাদ সংস্থাটি জানায়, সিউলে নিজের কর্মক্ষেত্রে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন শিনসাডং। ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিকিৎসাকর্মীরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। ২০০৫ সালে গান লেখা শুরু করেন শিনসাডং। পরে সুরকার হিসেবেও ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি। ২০১১ সালে সংগীত প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। তিনি এবি এন্টারটেইনমেন্ট নামের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তৈরি শিনসাডং।  ‘আপ অ্যান্ড ডাউন’, ‘রলি পলি’র মতো জনপ্রিয় কে পপ গানের সুরকার ছিলেন শিনসাডং। সম্প্রতি টিআর এন্টারটেইনমেন্টের প্রধান প্রযোজক হিসেবেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কোরিয়ান গানের জগতে।   সূত্র : ভ্যারাইটি 
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৬

কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ৮১তম জন্মদিন আজ
আজকের দিনেই পৃথিবীতে এসেছিলেন কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এই গীতিকবির ৮১তম জন্মদিন। একাধারে তিনি ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, রচয়িতা, গীতিকার ও সুরকার।       অসংখ্য কালজয়ী গানের গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। পাশাপাশি প্রায় ৪১টি চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন তিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই সেখানে গান লিখেছেন। বিবিসির জরিপে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের তালিকায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা গান আছে ৩টি।    ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আলোয়ার। ৬০ বছরের সংগীতজীবনে ২০ হাজারের বেশি গান লিখেছেন তিনি। ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই গীতিকার। তার শূন্যতা আজও বহন করে চলেছে বিনোদন অঙ্গন।  ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করেন। ১৯৬৭ সালে প্রথম ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ চলচ্চিত্রের জন্য গান লেখেন তিনি।  ১৯৬৭ সালে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর থেকে কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গান লেখাতেও দক্ষতা দেখান তিনি। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘নান্টু ঘটক’। ১৯৮২ সালে মুক্তি পায়   সিনেমাটি।  স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। ৫ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়া, ২০২১ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে 'যৈবতী কন্যার মন' সিনেমার গানের জন্য সেরা গীতিকার হিসেবে পুরস্কার পান। ২০০২ সালে শিল্পে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। পরে ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত হণ তিনি। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কালজয়ী গানের তালিকায় রয়েছে— জয় বাংলা বাংলার জয়, আছেন আমার মোক্তার, এক তারা তুই দেশের কথা, গানের কথায় স্বরলিপি লিখে, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, এই মন তোমাকে দিলাম, ইশারায় শীষ দিয়ে, চোখের নজর এমনি কইরা, এই মন তোমাকে দিলাম, চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে ইত্যাদি। এছাড়া ‘স্বাক্ষর’, ‘শাস্তি’, ‘শ্রদ্ধা’, ‘ক্ষুধা’, ‘লাল দরিয়া’, ‘জীবনের গল্প’, ‘এই যে দুনিয়া’, ‘পাষানের প্রেম’, ‘হৃদয় ভাঙ্গা ঢেউ’, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’সহ আরও বেশকিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়