• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পাঁচ সাংবাদিককে আটকে গালাগাল ও হুমকি এসিল্যান্ডের
জমি খারিজসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়ায় লালমনিরহাটে ৫ সাংবাদিককে অফিসে আটকিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকার।   বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়য়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৪০ মিনিট পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টি এম এ মমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অফিস গেটের তালা খুলে সাংবাদিকদের মুক্ত করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে ওই সহকারী কমিশনার সাংবাদিকদের ‘দালাল’ বলে অপমান করতে থাকেন। এ সময় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নিলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি। সাংবাদিকসহ সবাই ঘটনাস্থলে ত্যাগ করেন। পেছনে থাকা একটি টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সনের মোটরসাইকেল আটকিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিক্ষুব্ধ সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকার। এ ঘটনার পর সাংবাদিকরা শহরের মিশনমোড়ে লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। দুপুর ২টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টি এম এ মমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। অভিযুক্ত সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা অবস্থান ধর্মঘট তুলে নেন। সাংবাদিকরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের তিনজন অফিস সহকারী ভূমি সংক্রান্ত শুনানি করছিলেন। সেখানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপস্থিত ছিলেন না। সাংবাদিক মাহফুজ সাজু এ শুনানির ভিডিও ধারণ করেন। এতে অফিসের স্টাফরা ক্ষুদ্ধ হয়ে সহকারী কমিশনারকে ডেকে আনেন। সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকারের নির্দেশে সাংবাদিক মাহফজু সাজুকে আটকিয়ে রাখা হয়। এ খবর পেয়ে প্রেস ক্লাব থেকে চার সাংবাদিক নিয়ন দুলাল, এসকে সাহেদ, ফারুক আহমেদ ও কাওছার আহমেদ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও অফিসে আটকে রাখা হয়। সাংবাদিক মাহফুজ সাজু বলেন, সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিসে। এ তথ্য জানতে এসে সত্যতা পাই। এসিল্যান্ড আমাকে অফিসে আটকালে সহকর্মীদের ফোন দিলে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এসিল্যান্ড তাদেরকেও অফিসে আটকিয়ে রাখেন।  তিনি বলেন, এসিল্যান্ড সাংবাদিক সম্পর্কে খুবই অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছেন। আমাদের জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। এসিল্যান্ডের সঙ্গে অফিসের স্টাফরাও আমাদের গালিগালাজ করেন। এডিসি রেভিনিউ আমাদের মুক্ত না করলে এসিল্যান্ড আমাদের জেলে পাঠাতেন। দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রতিনিধি এসকে সাহেদ জানান, এসিল্যান্ড আমাদের সঙ্গে খুবই রূঢ় আচরণ করেন। সাংবাদিক সম্পর্কে কুরুচি মন্তব্য করেন। সেবা নিতে আসা মানুষজনের খারাপ আচরণ করার তথ্য সংগ্রহ করায় তিনি সাংবাদিকদের ওপর ক্ষুদ্ধ হন। এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন জানান, জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। শনিবারের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সাংবাদিকরা আন্দোলনে যাবেন।  লালমনিরহাট সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর গোলাম মোস্তফা জানান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে সেবা নিতে মানুষজনের সঙ্গে খুবই রুঢ় আচরণ করা হয়। আমার সঙ্গে চরমভাবে রুঢ় আচরণ করেছেন সহকারী কমিশনার। তিনি সরকারি অফিসকে পারিবারিক অফিস মনে করেন। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। তবে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এক মোটরসাইকেল আরোহীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন বলে জানান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টি এম এ মমিন সাংবাদিকদের জানান, সহকারী কমিশনারের অনুপস্থিতিতে অফিস সহকারীরা কোনোভাবেই জমির খারিজ শুনানি করতে পারেন না। বিষয়টি জেলা প্রশাসক খতিয়ে দেখছেন। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, তিনি পুরো ঘটনাটি অবগত হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৬

নাটকে গালাগাল প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নির্মাতা অমি
দেশের নাট্যাঙ্গনে আলোচিত নাম কাজল আরেফিন অমি। এক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক দিয়ে দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। শুধু ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নয়, তিনি নির্মাণ করেছেন একাধিক একক নাটক, ড্রামা সিরিজ ও ওয়েব সিরিজ। নতুন বছরের শুরুতে এই নির্মাতা দর্শকদের জন্য নিয়ে আসছেন তার ওয়েব ফিল্ম ‘অসময়’। নির্মাতা অমির বহুল আলোচিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটক নিয়ে শুরু থেকেই ছিল নানা আলোচনা-সমালোচনা। এর মধ্যেই নাটকটি দর্শকে আগ্রহের শীর্ষে জায়গা করে নেয়। এমনকী ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউবেও ট্রেন্ডিংয়ে ছিল এর কয়েকটি পর্ব। তবে এসবের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নানা সময় ঘুরে ফিরে নাটকটির কিছু দৃশ্য সমালোচনার মুখে পড়েছে। যদিও এ নিয়ে ইতোপূর্বে কথা বলেছেন নির্মাতা। সেসব সমালোচনার মাঝে একাংশ বলেছেন, বাংলা নাটক ধ্বংস করছেন নির্মাতা অমি। এ ব্যাপারে ফের কথা বলেছেন তিনি। একই সঙ্গে তার কনটেন্টে থাকা কিছু ডায়লগে বিপ শব্দ ব্যবহার নিয়ে কথা বলেছেন। সম্প্রতি তার পরিচালনায় মুক্তির অপেক্ষায় ‘অসময়’ কনটেন্ট নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে কথা বলার সময় এসব বিষয়ে কথা বলেন নির্মাতা অমি। বাংলা নাটক ধ্বংস করার ব্যাপারে তিনি বলেন, কথা বলার মতো কিছু মানুষ আজীবনই থাকবে। যারা বলেন আমি নাটক ধ্বংস করছি, তারা তো অবশ্যই আমার শত্রু না। কিন্তু ওই মানুষগুলোই পছন্দ করছে আমার কাজগুলো। তবে যাইহোক, আমি তাদের রুচির মতো কিছু তৈরি করতে চেষ্টা করব। এদিকে কনটেন্টে কিছু ডায়লগে গালাগালি থাকে। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনা ও চর্চাও হয়। এর আগে বিষয়গুলো শিরোনামেও উঠে এসেছে। এ ব্যাপারে নির্মাতা অমি বলেন, আমার কনটেন্টে কিন্তু কোনো ভদ্রলোককে দিয়ে গালাগালি দেওয়াই না। তিনি বলেন, একজন গুণ্ডা প্রকৃতির মানুষ যেকোনো সময় বাজে শব্দ ব্যবহার করতে পারে। কনটেন্টে আমি দর্শকদের বুঝিয়ে দিচ্ছি কোন চরিত্রটা গালি দিচ্ছে না, আর কোন চরিত্রটি গালি দিচ্ছে। আর এটা তো স্বাভাবিক যে, একটা সিনেমার ভিলেন ধর্ষণ-খুন করবে। আমরা ভদ্র মানুষ হয়ে কেন গ্রহণ করব সেসবা অমি আরও বলেন, আমার কনটেন্টে আমি তো গালাগালিতে বিপ ব্যবহার করতাম। কিন্তু এখন তো অন্যরা বিপও ব্যবহার করে না। এক সময় যারা এই বিপ নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলতো, এখন তারাই দেখছি কোনো ধরনের বিপ ছাড়া সিনেমা-ওয়েব সিরিজ নির্মাণ করছে। এদিক আমি এখনো আমার কনটেন্টে বিপ ব্যবহার করছি।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়