• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘টিসিবির পণ্য তালিকায় আরও কয়েকটি পণ্য যুক্ত হবে’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় টিসিবির পণ্য তালিকায় আরও কয়েকটি পণ্য যুক্ত করা হবে। এ ছাড়াও টিসিবির স্থায়ী দোকান করে দেওয়া হবে যাতে করে কার্ডধারীদের পণ্য কিনতে সারাদিন ব্যয় না হয়। শুক্রবার (২২ মার্চ) টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা মিলনায়তনে নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণ এবং ডিলার, বাজার সমিতি ও অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা মোহাম্মদ গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, টিসিবির ডিলারবৃন্দ ও বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৯

ছোলার বাজারও নিয়ন্ত্রণ করছে কয়েকটি করপোরেট গ্রুপ (ভিডিও)
তেল ও চিনির মতো ছোলার বাজারও নিয়ন্ত্রণ করছে কয়েকটি করপোরেট গ্রুপ। এমন অভিযোগ ছোট আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের। তাদের মতে, বড় আমদানিকারকদের আধিপত্যেই বাড়ছে ছোলার দাম। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কিছুটা বাড়তি হলেও রমজানে সরবরাহের সংকট হবে না। আর বিশ্লেষকদের মতে, এবার দেশি ছোলার মওসুমেই শুরু হচ্ছে রমজান। তাই দাম না বেড়ে বরং কমার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে ছোলার চাহিদা প্রায় আড়াই লাখ টন। দেশের কৃষকরা উৎপাদন করেন মাত্র কয়েক হাজার টন। আমদানি করতে হয় ৯০ শতাংশের বেশি। রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের আমদানিকারকরা ছোলার বড় অংশের যোগান দিতেন। তবে, এবার বাস্তবতা ভিন্ন। আমদানি করতে তাদের বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। তারা বলেন, অনেক বড় বড় পার্টি ২০০ থেকে ৩০০ গাড়ি মাল আগেই স্টক করে ফেলেন। বড় কয়েকটি আমদানিকারকরা সব নিয়ন্ত্রণ করছেন।  এদিকে, বর্তমানে বাজারে ছোলার সরবরাহ ভরপুর থাকলেও রমজানের প্রায় দুই মাস আগেই বেড়ে গেছে ছোলার দাম। মানভেদে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম কিছুটা বাড়তি হলেও রমজানে সরবরাহের সংকট হবে না। বাজার বিশ্লেষক কাজী হান্নান বলেন, এবার দেশি ছোলার মওসুমেই আসছে রমজান। কৃষকের ছোলা রমজানের বাজারে থাকবে। দেশীয় ছোলার সঙ্গে আমদানিকারকরা প্রতিযোগীতায় টিকতে পারবে না।  এদিকে, রমজানে সারাদেশের এক কোটি মানুষের কাছে কম দামে ছোলা বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছে টিসিবি। সংস্থাটির মুখপাত্র হুমায়ূন কবির বলেন, এক কেজি করে ১০ হাজার টন ছোলা কার্ডধারী ভোক্তাদের দেওয়া হবে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:২০

রান্নার জন্য গ্যাসের চুলার সেরা কয়েকটি বিকল্প
প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশজুড়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে জন-জীবন চালানো অনেকটাই দুর্বিসহ হয়ে পরেছে। একদিকে সিলিন্ডার গ্যাসের দামের অসঙ্গতি অন্যদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।  পেট্রোবাংলার তথ্য মতে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন মাত্রায় পৌঁছেছে গ্যাস সরবরাহ। বর্তমানে যেখানে গ্যাসের প্রয়োজন ৩ হাজার ৮০০ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড ঘনফুট পার ডে), সেখানে সরবরাহ রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৫০০ এমএমসিএফডি। প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে অনেকেই ঝুঁকে পড়ছেন এলপিজি (লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস) বা সিলিন্ডার গ্যাসের দিকে। কিন্তু এগুলোর দামের অসঙ্গতি এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে জনজীবন শিকার হচ্ছে নানা বিড়ম্বনার। গ্রামাঞ্চলের অধিবাসীরা লাকড়ি বা মাটির চুলা ব্যবহার করতে পারলেও শহরের বাসাবাড়িতে গ্যাস ছাড়া রান্না করা দুরূহ।  এমন পরিস্থিতিতে জরুরি হয়ে পড়েছে রান্নার জন্য গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি ব্যবস্থা। তাই চলুন, গ্রাম বা শহরে বাসা-বাড়িতে গ্যাস ছাড়া রান্না করার উপযুক্ত কিছু উপায় সম্পর্কে বার্তা সংস্থা ইউএনবি থেকে জেনে নেওয়া যাক।  গ্যাস ছাড়া রান্নার জন্য কয়েকটি আধুনিক চুলা- ইন্ডাকশন চুলা: তাড়িৎ চৌম্বক শক্তিকে ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় তাপশক্তির যোগান দেয় ইন্ডাকশন চুলা। এর কাঁচ-সিরামিক প্লেটের নিচে থাকে তামার কয়েল, যেটি তাড়িৎ চৌম্বক শক্তির যোগান দেয়। প্লেটের উপর নির্দিষ্ট দাগাঙ্কিত স্থানে রাখা হয় রান্নার পাত্র। বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকা অবস্থায় চৌম্বক পদার্থের তৈজসপত্র রাখা হলে চুলাটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। কাজ শেষে পাত্র সরিয়ে ফেলা হলে চুলা সঙ্গে সঙ্গেই তাপ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। এই পাত্রগুলোর মধ্যে অধিকাংশ স্টেইনলেস-স্টিল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও রয়েছে কাস্ট আয়রন এবং এনামেল্ড ঢালাই লোহা। এই চুলাগুলো সহজে পরিষ্কারযোগ্য এবং অল্প তাপেই গ্যাস ও অন্যান্য সাধারণ বৈদ্যুতিক চুলার থেকে দ্রুত রান্না করতে পারে। ইন্ডাকশন চুলা বিভিন্ন পাওয়ার রেটিংয়ের ভিত্তিতে ৩ থেকে ৯ হাজার টাকার হয়ে থাকে। বাজারে সাধারণত ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ২০০ ওয়াটের চুলাগুলো বেশি পাওয়া যায়। ৪ থেকে ৫ সদস্যের পরিবারের জন্য যাবতীয় রান্নার কাজ এই চুলা দিনে সর্বোচ্চ ৪ ঘণ্টায় সম্পন্ন করতে পারে। ফলে আবাসিক এলাকার সর্বোচ্চ ইউনিট রেট হিসেবে মাসে বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে ৯০০ থেকে ৯৬০ টাকা। রাইস কুকার: সুনির্দিষ্টভাবে ভাত রান্না করার জন্য তৈরি রাইস কুকারের রয়েছে একটি হিট সোর্স, একটি রান্নার পাত্র এবং একটি থার্মোস্ট্যাট। থার্মোস্ট্যাট রান্নার পাত্রের তাপমাত্রা পরিমাপ করে এবং তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। চাল ভর্তি পাত্রটি পানি দিয়ে ভরার পর সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় শুকিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই থার্মোস্ট্যাট স্বয়ংক্রিয়ভাবে কুকার বন্ধ করে দেয়। তাই এখানে পুড়ে যাওয়ার বা কোনো ক্ষতি হওয়ার ভয় থাকে না। ৫ থেকে ৬ সদস্যের পরিবারের রান্নায় ৩ থেকে ৫ লিটারের কুকার যথেষ্ট। এগুলোর মূল্য সর্বনিম্ন ২ হাজার ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা ছাড়াতে পারে। রাইস কুকারের পাওয়ার রেটিং সাধারণত ইলেক্ট্রিক চুলার থেকে কম হয়ে থাকে; সাধারণত ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ ওয়াট। স্বভাবতই এগুলো কম বিদ্যুৎ শোষণ করে। সারা দিনের রান্নার কাজ সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই করতে সক্ষম এই কুকারগুলো। ফলে সাশ্রয়ী এই কিচেন সামগ্রী ব্যবহারে মাসিক বিদ্যুৎ বিল হতে পারে প্রায় ৮০০ থেকে ৮৪০ টাকা। বৈদ্যুতিক প্রেসার কুকার: সাধারণ প্রেসার কুকারের সঙ্গে বৈদ্যুতিক প্রেসার কুকারের (ইপিসি) মূল পার্থক্য হচ্ছে ইপিসি গ্যাসের বদলে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। আর বাষ্প চাপের মাধ্যমে দ্রুত খাবার রান্নার বাকি প্রক্রিয়া সব একই। এর মজবুতভাবে বদ্ধ পাত্র তরলকে বাষ্পে পরিণত করে ভেতরে দ্রুত চাপ বাড়াতে পারে। ইপিসির পাওয়ার রেটিং সাধারণত ৭০০ থেকে ১ হাজার ২০০ ওয়াটের হয়ে থাকে। পাত্রের ধারণ ক্ষমতা নির্ধারণ করে এই পাওয়ার রেটিং। সাধারণত ৫ থেকে ৭ লিটারের একটি ইলেক্ট্রিক প্রেসার কুকার ৩ থেকে ৫ জনের রান্নার কাজ আঞ্জাম দিতে পারে। ইপিসিগুলোর দাম ৬ থেকে সর্বোচ্চ ১৭ হাজার টাকা। এগুলোর মাধ্যমে সারাদিনের রান্না শেষ করতে আড়াই ঘণ্টা বা তার ক্ষাণিকটা বেশি সময় লাগতে পারে। এতে করে সারা মাসের বিদ্যুৎ বিল হতে পারে প্রায় ৭০০ টাকা।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৮

খাঁটি মুক্তা চেনার কয়েকটি উপায়
ঝিনুকের মধ্যে পাওয়া যায় ঝলমলে মহামূল্যবান রত্ন। যুগ যুগ ধরে মুক্তার গয়না নারীর সৌন্দর্যের পাশাপাশি আভিজাত্যকেও বাড়িয়েছে। অনেক ধরনের মুক্তা পাওয়া যায় ঝিনুকের খোলস থেকে। মিথ রয়েছে স্বাতী নক্ষত্রে বৃষ্টির পানি ঝিনুকের মধ্যে পড়লে মুক্তার জন্ম হয়। সে যা-ই হোক, মুক্তার প্রতি বেশিরভাগ মানুষের আলাদা একটি দুর্বলতা কাজ করে সবসময়। তবে শুধুমাত্র নারীর গয়না তৈরিতে নয় বিভিন্ন কারুশিল্পেও রয়েছে মুক্তার শীর্ষ অবস্থান।  তবে বিপত্তি ঘটে আসল মুক্তা চেনার বেলায়। বেশ বিচক্ষণতার সঙ্গে চিনতে হয় এটি। বাজারে আসল মুক্তার আদলে তৈরি নকল মুক্তাও রয়েছে। নকল মুক্তা হচ্ছে মেশিনে তৈরি পুঁতি। এগুলো সাধারণত কাচ, প্লাস্টিক বা অ্যালাবাস্টার থেকে তৈরি করা হয়। মুক্তার মতো আবরণ দেওয়া এসব পুঁতি দেখতে অবিকল আসল মুক্তার মতো।  মুক্তা চেনার সময় যে বিষয়গুলো লক্ষ্য করবেন তা হলো- > যেহেতু এটির বাস পানিতেই হয়, তাই ধরার সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে হবে এটি ঠান্ডা কি না। কয়েক সেকেন্ডের জন্য আপনাকে এটি শীতল অনুভূতি দেবে। নকল মুক্তা রুমের তাপমাত্রার মতো হয়। কাচের পুঁতি দিয়ে তৈরি নকল মুক্তা স্পর্শ করলে শীতল মনে হতে পারে। তবে সত্যিকারের মুক্তার চেয়ে ত্বক গরম হতে বেশি সময় লাগবে। > খুব কাছ থেকে মুক্তা দেখতে হবে। চারপাশে একেবারে নিখুঁত মনে হলে সব দিকে দেখতে একই রকম ও সমান হলে এটি নকল। প্রাকৃতিক মুক্তা নিখুঁত হয় না বা অসমান থাকে। > মুক্তা আলোর নিচে ধরুন। আসল মুক্তায় ভিন্নভাবে আলো প্রতিফলিত হয়। নকল মুক্তা দেখতে কাচের মতো ঝকঝকে দেখাবে মুক্তার রঙ পরীক্ষা করে দেখুন। আসল মুক্তার রঙের ওপরে গোলাপী ও সবুজের মিশ্রণ থাকবে। এক ও অভিন্ন রঙের মুক্তা নকল হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে এই পদ্ধতি সবসময় কার্যকর নয়। কারণ আসল মুক্তার রঙও স্বচ্ছ হতে পারে। > বেশিরভাগ আসল মুক্তা খুব কমই গোলাকার হয়। ডিম্বাকৃতি, বৃত্তাকারের মতো, কিছুটা লম্বাটে আবার মাঝখানে ঢেউ খেলানো আকৃতি বা অনিয়মিত আকারের হতে পারে। সাধারণত বৃত্তাকার মুক্তার দাম অন্যান্য আকারের মুক্তার তুলনায় বেশি হয়। নকল মুক্তা একই রকম গোলাকার হয় সবগুলোই।  > খাঁটি মুক্তা নকলের চেয়ে ভারী হয়। তাই হাতের সাহায্যে ওজনের পার্থক্য বুঝুন।  > আসল মুক্তাতে থাকে ড্রিলের ছিদ্রগুলো সাধারণত খুব ছোট হয়। নকল মুক্তার ছিদ্রগুলো বড় হয়। নকল মুক্তার ছিদ্রের চারপাশের আবরণ সাধারণত পাতলা হয় এবং দেখতে চকচকে হয়। গর্তের চারপাশের আবরণগুলো উঠে যাচ্ছে এমন মনে হতে পারে নকল মুক্তার ক্ষেত্রে।  > পৃষ্ঠের অনুভূতি পরীক্ষা করতে মুক্তা ঘষুন দাঁতের সঙ্গে। সামনের দাঁতগুলোতে হালকাভাবে মুক্তাগুলো ঘষবেন। নকল মুক্তা সাধারণত মসৃণ বা গ্লাসযুক্ত মনে হয়।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৫

কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে আগুন
নির্বাচনের আর মাত্র বাকি ২ দিন। এরই মধ্যে রাজশাহী ও ফেনী পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে ফেনী সোনাগাজীতে চর সাহাভিকারী উচ্চবিদ্যালয়ের একটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়। অপরদিকে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাত ১২টায় রাজশাহীতে চারটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। আরও পড়ুন : বাংলাদেশের ভোট নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের সতর্কতা   জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছে, রাজশাহীর তিন উপজেলায় চারটি ভোটকেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহীর বাঘা, বাগমারা ও মোহনপুর উপজেলায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বাগমারার ভোটকেন্দ্রটি থেকে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাঘার একটি ভোটকেন্দ্রের অফিসকক্ষ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। অন্য তিনটি ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। স্কুল চারটি হলো- বাঘা উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহনপুরের মতিহার উচ্চবিদ্যালয় এবং বাগমারার আক্কেলপুর উচ্চবিদ্যালয়। আরও পড়ুন : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে   মোহনপুরের মতিহার উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান জানান, তাদের স্কুলটি ভোটকেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে আগুন দেয়। এতে কয়েকটি বেঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, বাগমারার আক্কেলপুর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ভোটকেন্দ্রের সামনে দুটি অবিস্ফোরিত তাজা ককটেল পাওয়া গেছে। বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের পরিত্যাক্ত ভবনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এটি মূল ভোটকেন্দ্রের বাইরের অংশ। এই আগুনের ফলে ভোটকেন্দ্রের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়া আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের অফিসে আগুন লেগেছে। এতে কিছু বই ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদু্তকি শর্টসার্কিটের কারণে এই স্কুলে আগুন ধরেছে। তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, কোন স্কুলে কীভাবে আগুন লেগেছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরও পড়ুন : সাতক্ষীরায় লাঙ্গলের কর্মীর ওপর হামলা, আহত ১    এদিকে ফেনী জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছে, সোনাগাজীতে একটি ভোটকেন্দ্রে পেট্টোল ঢেলে আগুন দেয় দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচন বিরোধী জোট অথবা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। পুলিশ এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চর সাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আগুন দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনের কক্ষের আলমিরায় থাকা ডকুমেন্ট, চেয়ার-টেবিল পুড়ে যায়। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় জানান, সকাল ৭টার দিকে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান। আগুন লাগার কারণ উদঘাটনে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন অন্যদিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিরোধকে মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনের কক্ষের আলমিরায় থাকা ডকুমেন্ট, চেয়ার-টেবিল পুড়ে যায়। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়ের উল্যাহ জানান, স্কুলের অডিট চলাকালে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবদীনকে অব্যাহতি দেন সভাপতি ডা. আবদুল হক। এ নিয়ে দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়