• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে আগুন

আরটিভি নিউজ

  ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২৫
ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচনের আর মাত্র বাকি ২ দিন। এরই মধ্যে রাজশাহী ও ফেনী পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে ফেনী সোনাগাজীতে চর সাহাভিকারী উচ্চবিদ্যালয়ের একটি ভবনে আগুন দেওয়া হয়। অপরদিকে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাত ১২টায় রাজশাহীতে চারটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছে, রাজশাহীর তিন উপজেলায় চারটি ভোটকেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহীর বাঘা, বাগমারা ও মোহনপুর উপজেলায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বাগমারার ভোটকেন্দ্রটি থেকে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বাঘার একটি ভোটকেন্দ্রের অফিসকক্ষ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। অন্য তিনটি ভোটকেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

স্কুল চারটি হলো- বাঘা উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহনপুরের মতিহার উচ্চবিদ্যালয় এবং বাগমারার আক্কেলপুর উচ্চবিদ্যালয়।

মোহনপুরের মতিহার উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান জানান, তাদের স্কুলটি ভোটকেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তরা স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে আগুন দেয়। এতে কয়েকটি বেঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে। শুক্রবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার জানান, বাগমারার আক্কেলপুর উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ভোটকেন্দ্রের সামনে দুটি অবিস্ফোরিত তাজা ককটেল পাওয়া গেছে।

বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের পরিত্যাক্ত ভবনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এটি মূল ভোটকেন্দ্রের বাইরের অংশ। এই আগুনের ফলে ভোটকেন্দ্রের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

এ ছাড়া আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের অফিসে আগুন লেগেছে। এতে কিছু বই ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদু্তকি শর্টসার্কিটের কারণে এই স্কুলে আগুন ধরেছে। তদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।

রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, কোন স্কুলে কীভাবে আগুন লেগেছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ফেনী জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছে, সোনাগাজীতে একটি ভোটকেন্দ্রে পেট্টোল ঢেলে আগুন দেয় দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচন বিরোধী জোট অথবা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

পুলিশ এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চর সাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আগুন দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনের কক্ষের আলমিরায় থাকা ডকুমেন্ট, চেয়ার-টেবিল পুড়ে যায়।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় জানান, সকাল ৭টার দিকে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান। আগুন লাগার কারণ উদঘাটনে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন অন্যদিকে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিরোধকে মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক মিলনায়তনের কক্ষের আলমিরায় থাকা ডকুমেন্ট, চেয়ার-টেবিল পুড়ে যায়।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়ের উল্যাহ জানান, স্কুলের অডিট চলাকালে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবদীনকে অব্যাহতি দেন সভাপতি ডা. আবদুল হক। এ নিয়ে দীর্ঘদিনের চলমান বিরোধেও এই ঘটনা ঘটতে পারে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘আমি দৌড়াতে পারি বলেই মেগা প্রকল্প আসছে’
X
Fresh