• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আমাদের বিচ্ছেদ ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন : স্বাগতা
ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা। চলতি বছর শুরুর দিকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের পর প্রাক্তন ও বার্তমান স্বামীকে নিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এসব কথা কানে না নিয়ে আপন গতিতে এগিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। ব্যস্ত ছিলেন পরিবার ও কাজ নিয়ে। দুই মাস পর এবার মুখ খুললেন স্বাগতা। তিনি বলেন, এর আগেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কারণ, ভালো না বেসে বিয়ে করে কারও সঙ্গে সংসার করা কঠিন। এটা আমার কাছে অসম্ভব। আমি ভালোবেসেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আর আমার বিচ্ছেদ হয়েছে আইন মোতাবেক। মেয়েরা ডিভোর্স দিতে পারে। এটা আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি। জীবন কি সবসময় এক রকম চলে? সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, এই সমাজে মেয়ে হয়ে একা থাকা কঠিন। যখন আমি একা থাকলাম, তখন দেখলাম, যার বয়স ১৬ সেও আমার প্রেমিক, আবার যার বয়স ৭০, সেও আমার প্রেমিক। এমন অনেকেই প্রেম করতে চায়। তখন দেখা গেল, আমার কাজের বাইরে প্রেমিক ঠেকানো একটা বাড়তি কাজ হয়ে দাঁড়াল। এটা তো আমি চাই না। কেন আমাকে নিয়ে এসব ভাবার সুযোগ দেব? তখন মনে হলো, আমার অভিভাবক লাগবে। এই জন্য আমি আবার প্রেমে পড়ি। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। প্রথম বিয়ের ৭ বছরের মাথায় বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে হয় স্বাগতাকে। সেই সংসারে মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে চাপের মধ্যেও থাকতে হয়েছে। যে কারণে একটা সময় বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। আর অভিনয়শিল্পী হওয়ার কারণে প্রায়ই তাকে শুনতে হয় বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কথা। কথাগুলো এমন- ‘তারকারা সংসার করতে পারে না’, ‘কেন সংসার ভাঙে’, ‘কেন তারকারা একের অধিক বিয়ে করে’ ইত্যাদি। বিভিন্ন সময় এমন প্রশ্ন মুখ বুজে সহ্য করলেও এবার চটেছেন এই অভিনেত্রী। স্বাগতা বলেন, আমি আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র সেলিব্রিটি। আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে সবার পরে আমার ডিভোর্স হয়েছে। আমার ক্লাসের ৮০ ভাগ মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারা তো সেলিব্রিটি না। শুধু আমাদের সঙ্গে ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন। আপনাদের মন্তব্যের কারণে আমি সেলিব্রিটি হয়েও সাত বছর মার খেয়েছি, মা-বাবাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই শুনেছি। তারপরও আমি সম্পর্ক থেকে বের হতে চাইনি। কারণ, আপনারা গালিগালাজ করবেন। কষ্ট করেও আমি সংসার করতে চেয়েছি। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি কখনোই কথা বলিনি, বলতে চাইনি। আর ডিভোর্স নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলা বন্ধ করুন। যৌক্তিক কথা বলুন। না জেনে কারও ওপর দোষ চাপাবেন না।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৫

আপনারা কোনো গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না : শাবনূর
নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রের সাড়াজাগানো নায়িকা শাবনূর। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী অভিনয় থেকে দূরে আছেন বহুদিন হলো। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সপরিবারে বসবাস করছেন। তবে নাড়ির টানে প্রতিবছরই দেশে আসেন। সেই ধারাবাহিকতায় গেল বছর নিজের জন্মদিনে দেশে আসেন তিনি। আর দেশে এসেই নতুন সিনেমায় কাজ করার ঘোষণা দেন এই নায়িকা। তরুণ নির্মাতা আরাফাত হোসাইনের ‘রঙ্গনা’ সিনেমার মাধ্যমে ফের ক্যামেরার সামনে আসতে যাচ্ছেন নন্দিত এই নায়িকা। পাশাপাশি একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও নির্মাতার ব্যানারে ‘এখনো ভালোবাসি’ নামে আরও একটি সিনেমার ঘোষণা দেন এই নায়িকা। গেল ১০ ফেব্রুয়ারি এম এস ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিতব্য সিনেমাটির মহরত অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ক্লাবে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন শাবনূর নিজেও। শাবনূর সে সময় জানান, এখানেই থেমে থাকবো না। পরপর কাজ করব। চেষ্টা করব একটির পর আরও কাজ করার। স্বাভাবিকভাবে শাবনূর ভক্তরাও ধরে নিয়েছিলেন শিগগিরই শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন এই নায়িকা। কিন্তু তাদের জন্য যেন একটা দুঃসংবাদই অপেক্ষা করছিল। হঠাৎই দেশ ছেড়েছেন শাবনূর। এদিকে সিনেমার মহরতের পরপরই দেশ ছেড়েছেন শাবনূর। কাউকে বিষয়টি সেভাবে জানিয়েও যাননি। অনেকটা গোপনেই দেশ ছেড়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এই নায়িকা। কবে ফিরবেন সেটাও জাননে না কেউ। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে মুখ খুলেছেন এই নায়িকা।  রোবাবার (৩ মার্চ) তার ফেসবুক ফেইজে একটি স্ট্যাটাস দেন শাবনূর। যেখানে তিনি লিখেন, গত ১/০৩/২০২৪ তারিখ থেকে আমি লক্ষ্য করছি, আমার অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে মিডিয়াতে বিভ্রান্তিকর খবর, দেখেশুনে মনে হচ্ছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়া গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিছু ভূঁইফোড় অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়া বলবার চেষ্টা করছে আমি নাকি সিনেমার ঘোষণা দিয়ে গোপনে দেশ ছেড়েছি, কবে ফিরব সেটা জানেন না কেউ, চিন্তায় পড়েছেন সিনেমাগুলোর পরিচালকরা। তারা রং-ঢং মাখিয়ে আরোও কত কিছু রটাচ্ছে! আশ্চর্যের ব্যাপার, এদের দেখাদেখি মূলধারার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াও মনগড়া খবর প্রকাশ করে ভাইরাল হবার প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছে। আমার সাথে কথা না বলেই যে যার মতো করে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেই যাচ্ছে। দেশের প্রায় সবাই জানেন, আমি এবং আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করি। আমার ছেলে এখনে স্কুলে পড়াশোনা করে। কোন দরকার হলে বা লং হলিডেতে দেশে ঘুরতে আসি, আবার যখন প্রয়োজন হয় অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাই। তাই আমাকে কি ডাকঢোল পিটিয়ে বলতে হবে কখন দেশে আসব বা কখন দেশ ছাড়ব? এখানে গোপনে দেশ ত্যাগের কি আছে? আমি প্রায় তিন সপ্তাহ পূর্বেই অস্ট্রেলিয়া চলে এসেছি। কিন্তু এতদিন পর মনে হয় করো করো ঘুম ভাঙল! আরও একটি কথা, যে ছবির মহরত হয়েছে সেটার শুটিং সময়মতোই হবে। আমার অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসার কারণ ও সময় নেওয়ার বিষয়ে সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অবগত আছেন। আমি সবাইকে বিনীত অনুরোধ করব, আপনারা কোনো গুজবে, বা ভুয়া খবরে বিভ্রান্ত হবেন না। কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলে বা অন্য কোন সিনেমার আপডেট থাকলে আমিই আপনাদেরকে সময়মতো জানাব। ‘বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় আমি শোকাহত, বাকরুদ্ধ। আল্লাহ্ পাক যেন নিহতদের পরিবারের সবাইকে এই শোক সইবার শক্তি দান করেন, এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের ধৈর্য্য দান করেন।’
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়