• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যেসব কারণে সুন্দরবনে আগুন
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেছেন, মৌয়ালের কারণেও আগুন লাগতে পারে। যারা মাছ ধরে... তারা ইচ্ছা করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে— এটিও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। আবার দুর্ঘটনাবশত কারো হাত থেকে আগুন পড়ে গিয়েও লাগতে পারে, সেটিও আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সবগুলো হাতে রেখেই আমরা কাজ করছি। রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টায় খুলনায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, আমরা এখন সবাই ব্যস্ত আগুন নেভানোর জন্য। আমি নিজেও আগুন নেভানো ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সুতরাং যেসব কারণে আগুন লাগতে পারে... কোনও কারণকেই আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তিনি বলেন, এই অঞ্চলটি শুকনো। বর্ষা মৌসুমে ছাড়া এখানে পানি পাওয়া যায় না। এই সময় প্রতি বছর পাতা পড়ে জৈব পদার্থে পরিণত হয়। এখানে আগুন লাগা সহজ হয়। যে কারণে প্রায় প্রতি বছর এই অঞ্চলের বনে আগুন লাগে। গত দুই যুগে জায়গাটিতে অন্তত ২৫ বার আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, বন বিভাগ ও বিমান বাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরের সদস্য সোমবারও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখবে। প্রধান বন সংরক্ষক বলেন, আগুন লাগার ঘটনায় সোমবার (৬ মে) একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হবে। তারা আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তারা একটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করবে।  কতটুকু ক্ষতি হয়েছে? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের চারিদিকে প্রায় পাঁচ একর জায়গা আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। ওই পাঁচ একর জায়গা পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেওয়া হয়েছে। চারপাশে নালা কেটে পানি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, কোথাও কোনও আগুন রয়েছে কি না তা দেখতে সোমবার সকাল থেকে ড্রোন দিয়ে জায়গাটি মনিটরিং করা হবে। তিনি বলেন, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের স্থানটিতে বর্তমানে আর আগুন নেই। এরপরও সেখানে পর্যবেক্ষণের জন্য টিম রাখা হয়েছে। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। একই সঙ্গে আগুনের স্থানটিতে কোনও জীববৈচিত্রের কোনও ক্ষতি হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।  প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় (ডিএফও) বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মো. মোহসিন হোসেনসহ অন্যান্য বন কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, শনিবার (৪ মে) দুপুরের দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বন বিভাগের কর্মীরা স্থানীয় কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় চারপাশ থেকে ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই সময় ভাটার কারণে খালে পানি না থাকায় আগুনে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে রাতেই বন বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট এবং পানি দেওয়ার মেশিন এনে সেটি রেডি করে পাইপ লাগিয়ে সেট করে রাখা হয়।
০৬ মে ২০২৪, ০২:১২

সুন্দরবনে অগ্নিনির্বাপণ কাজে বিমানবাহিনীর অংশগ্রহণ
সুন্দরবনে আগুন নির্বাপণের কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি দল।  রোববার (৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এতে বলা হয়, সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও স্থানীয়রা সর্বাত্মক চেষ্টা করলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় দেড় বর্গকিলোমিটার জায়গা পুড়ে গেছে। পরে সুন্দরবন রক্ষার্থে বিমানবাহিনী প্রধানের সার্বিক নির্দেশনায় ৩১ নম্বর বহর থেকে একটি এমআই ১৭১ এরিয়াল ফায়ার ফাইটিং ক্যাম্পবেল হেলিকপ্টার নিয়ে ছয়জন এয়ার ক্রু এবং ৭ জন গ্রাউন্ড ক্রুসহ মোট ১৩ জনের একটি টিম মোংলায় অবতরণ করে। ৩১নং বহরের অধিনায়ক উইং কমান্ডার এস এম রাজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে সহকারী পাইলট হিসেবে উইং কামান্ডার তানিম এবং স্কোয়াড্রন লিডার মেহেদী এ অভিযানে অংশ নেন। পরে প্রায় ৪ ঘণ্টায় তারা ফায়ার বাঁকেট অপারেশন করে সর্বমোট ৪০ হাজার লিটার পানি ছিটানোর মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অন্যান্য বাহিনী এবং সংস্থাসমূহের সঙ্গে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অল্প সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।  
০৫ মে ২০২৪, ২২:৫৮

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
সুন্দরবনে আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ জানতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে রোববার (৫ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ক্যাম্পের বনাঞ্চলের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। আগুন গাছের ওপরে বা ডালপালায় বিস্তৃত হয়নি, শুধু মাটির ওপরে বিক্ষিপ্তভাবে বিস্তৃত হয়েছে। ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট, নৌবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সিপিজি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণ অগ্নি নির্বাপণে সহায়তা করেছেন। এছাড়া, বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও অগ্নি নির্বাপণে ওপর থেকে পানি ছিটিয়ে সহায়তা করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আগুন লাগার ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বন বিভাগের কর্মী স্থানীয় কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় আগুন লাগার চারপাশে ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই সময় ভাটার কারণে খালে কোনো পানি না থাকায় আগুনে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে রাতেই বন বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুপমেন্ট ও পানি দেওয়ার মেশিন প্রস্তুত করা হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আগামী কয়েক দিন সেখানে অগ্নি নির্বাপণ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলমান রাখা হবে। কেননা ফরেস্ট ফায়ার আপাতত নিভে গেছে বা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে মনে হলেও আবার যে কোনো সময় এটি নতুনভাবে সৃষ্টি ও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে। এসব কর্মকাণ্ড সরেজমিনে তদারকি করতে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী সুন্দরবনের ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি ও কর্মপন্থা বিষয়ে রাত সাড়ে ৮টায় খুলনায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাবেন।
০৫ মে ২০২৪, ২০:২৫

সুন্দরবনে অগ্নিনির্বাপণ নিয়ে সবশেষ যা জানা গেল
সুন্দরবনের গহীনে লাগা আগুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। পানির উৎস থেকে দুর্ঘটনাস্থলের দূরত্ব প্রায় আড়াই কিলোমিটার। চলাচলের রাস্তাও বেশ দুর্গম। নিরাপত্তাজনিত কারণে জেলা প্রশাসন রাতে নির্বাপণকাজ বন্ধ রেখেছে। সোমবার (৬ মে) ভোর সাড়ে ৫টায় পুনরায় কার্যক্রম শুরু করা হবে।  রোববার (৫ মে) ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।   বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভোর ৬টা থেকে ছয়টি ফায়ার পাম্পের মাধ্যেমে রিলে সিস্টেম বজায় রেখে সুন্দরবন-সংলগ্ন খাল থেকে পানি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। তবে উল্লেখ্য যে, পাম্প বসানোর মতো কোনো জায়গা না-থাকায় নৌকায় পাম্প বসিয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। চতুর্দিকে আগুন যেন ছড়িয়ে না যায়, সেজন্য অগ্নিদুর্ঘটনা পানি দিয়ে সংকুচিত করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী ভোলা ও শেওলা নদী থেকে পানি এনে অগ্নিনির্বাপণের চেষ্টা করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের অফিসার-কর্মচারীসহ মোট ৫৫ ও ভলান্টিয়ার প্রায় ২৫০ জন অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিল। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, জেলা পুলিশের সদস্যরা পুরো সময় অগ্নিনির্বাপণে বিশেষভাবে নিয়োজিত ছিল। ফায়ার সার্ভিস বলছে, এটি একটি বুশ ফায়ার। বিভিন্ন অংশে বিচ্ছিন্নভাবে এখনো আগুন ছড়িয়ে আছে। অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপ্তি প্রায় ২ বর্গ কিলোমিটার। এখনো ধোঁয়া বিদ্যমান। জীবজন্তু এবং ঘন বনের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা যায় না। অগ্নিনির্বাপণের জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও নেই। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সব ইকুইপমেন্ট হ্যান্ড ক্যারি করে সুন্দরবন এলাকায় নেওয়ার পর নৌকায় স্থাপন করে অগ্নিকাণ্ড নির্বাপণ করা হচ্ছে। এর আগে, শনিবার (৪ মে) দুপুরের দিকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বন বিভাগের কর্মীরা স্থানীয় কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় চারপাশ থেকে ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই সময় ভাটার কারণে খালে পানি না থাকায় আগুনে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে রাতেই বন বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট এবং পানি দেওয়ার মেশিন এনে সেটি রেডি করে পাইপ লাগিয়ে সেট করে রাখা হয়।
০৫ মে ২০২৪, ২০:১০

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) সকাল ৭টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় এ আগুন লাগে। এরপর সন্ধ্যায়ও মেশিন ও যন্ত্রপাতি নিয়ে বনের গহিনে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম আরও বলেন, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের কথা শোনার পর বনবিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা সেখানে যায়। এখনও সেখানে আগুন জ্বলছে। সকাল ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ সময় ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করছেন কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
০৫ মে ২০২৪, ১১:০০

সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি-সংলগ্ন লতিফের ছিলা নামক এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস।  রোববার (৫ মে) সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে এই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কত সময় লাগবে তা জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস। এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে গতকাল আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ফায়ার ফাইটিংয়ের মেশিন ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছানো যায়নি। এ ছাড়া যেখানে আগুন লেগেছে, সেখান থেকে পানির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। যে কারণে আগুন নির্বাপণের কাজ শুরু করতে পারেনি তারা। ফায়ার সার্ভিসের মোংলার স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়মুজ্জামান জানান, রোববার সকালে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। এদিকে আগুন লাগার কারণ, কী পরিমাণ এলাকায় আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
০৫ মে ২০২৪, ১১:২১

সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
সুন্দরবনে মধু আহরণে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মনিরুজ্জামান বাচ্চু গাজী (৪৫) নামে এক মৌয়াল নিহত হয়েছেন। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের নটাবেকী এলাকায় বাঘের আক্রমণের শিকার হন তিনি। শনিবার (২০ এপ্রিল) বনবিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। নিহত বাচ্চু গাজী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেম গাজীর ছেলে। সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা নুর আলম জানান, গত ২ এপ্রিল বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন থেকে পাশ নিয়ে বাচ্চু গাজী সহকর্মী মৌয়ালদের সঙ্গে সুন্দরবনের গহীনে মধু আহরণ করতে যায়। শনিবার সকালে বাঘের আক্রমণে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে বনবিভাগের একটি দল মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। 
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৬

সুন্দরবনে আজ থেকে মধু আহরণ শুরু
আজ থেকে সুন্দরবনে মধু আহরণ মৌসুম শুরু হয়েছে। এই মধু আহরণ মৌসুম চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত। বন বিভাগ থেকে পাস-পারমিট নিয়ে নৌকায় করে দল বেঁধে মধু আহরণ করতে বনে যাচ্ছেন মৌয়ালরা। এবার বৃষ্টির কারণে সুন্দরবনের গাছে পর্যাপ্ত ফুল ফোটায় চলতি আহরণ মৌসুমে মধু সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সুন্দরবন বিভাগের। এ বছর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার কুইন্টাল। আর মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩০০ কুইন্টাল। এর মধ্যে শরণখোলা রেঞ্জে ৬০০ কুইন্টাল মধু, ২০০ কুইন্টাল মোম ও চাঁদপাই রেঞ্জে ৪০০ কুইন্টাল মধু, ১০০ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।  গত বছর সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে মধু আহরিত হয় ৮৬৩ কুইন্টাল ও মোম আহরিত হয় ২৫৮.৯৬ কুইন্টাল।  শরণখোলা ও চাঁদপাই থেকে এবার তিন হাজারের অধিক মৌয়াল সুন্দরবনে মধু সংগ্রহে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহম্মদ নূরুল করিম জানান, একেকজন মৌয়ালকে ১৪ দিনের জন্য পাস দেওয়া হয়। বনে প্রবেশ করার পর মধু আহরণের জন্য ৯টি নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে মৌয়ালদের। 
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৮

কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত
এশিয়া মহাদেশে এই প্রথম কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।  বুধবার (১৩ মার্চ) শ্রীলঙ্কার কুমির বিশেষজ্ঞ ড. রু সোমাওয়ারি এবং অষ্ট্রেলিয়ার কুমির বিশেষজ্ঞ ড. পাউল বন বিভাগ ও আইইউসিএনের সহযোগিতায় করমজলের কুমির জুলিয়েট এবং যশোরের মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত স্ত্রী কুমির মধুকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার ডিভাইস সেট করে সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে অবমুক্ত করেন।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন করমজল বন্যপ্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর।  তিনি জানান, এর মাধ্যমে কুমিরের চলাচল ও যেসকল কুমির নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে তার সারভাইভাল রেট জানা যাবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা  নির্মল কুমার পাল, আইইউসিএনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. সরোয়ার আলম দীপু, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান, করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর।
১৪ মার্চ ২০২৪, ০৫:০২

৯৯৯-এ ফোন, সুন্দরবনে পথ হারানো ৩১ পর্যটককে উদ্ধার
সুন্দরবনে পথ হারিয়ে যাওয়ার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ৩১ পর্যটককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত পর্যটকদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলায়। তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।   সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আজিজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম তাদের উদ্ধার করে। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাগেরহাটের চিতলমারীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ৩১ জনের একটি দল সোমবার সকালে সুন্দরবনের করমজলে ভ্রমণে যায়। সেখান থেকে বনে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরেই তারা পথ হারায়। কিশোরদের মধ্যে ফেরদৌস তার মোবাইল থেকে ৯৯৯-এ খবর দেয়। সেখান থেকে তারা সরাসরি মোংলা থানায় যোগাযোগ করে। তিনি আরও জানান, ফেরদৌস জানান তার ফোনে চার্জ নাই তাই আমি আরও দুটি মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করি। এরপর দফায় দফায় মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে বিকেলে তাদের সন্ধান মেলে। তারা লোকালয় থেকে গভীর বনে ঢুকে পড়েছিল। তাদের নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। কিশোর ফেরদৌস জানান, তার মোবাইলে ব্যালেন্স ছিল না। কিন্তু সে জানতো ব্যালেন্স না থাকলেও ৯৯৯-এ ফোন করা যায়। তাই সে ফোন করে সহযোগিতা চায়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়