• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সালমানের বাড়িতে হামলাকারীর মৃত্যু পুলিশ হেফাজতে, পরিবারের দাবি হত্যা
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া এক অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (১ মে) এই ঘটনা ঘটে। কিন্তু সেই অভিযুক্তের পরিবারের দাবি— আত্মহত্যা নয়, হত্যা করা হয়েছে তাকে।   অভিনেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত ওই ব্যক্তির নাম অনুজ থাপন। এদিকে অভিযুক্তের ভাই দাবি করেছেন, অনুজকে মুম্বাই পুলিশ হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে। তার ময়নাতদন্ত মুম্বাইয়ের বাইরে করা উচিত। অনুজ এমন ব্যক্তি নয় যে আত্মহত্যা করবে।  তিনি আরও বলেন, সপ্তাহখানেক আগে ভারতের পাঞ্জাব থেকে অনুজকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। আজ আমরা একটি ফোন পেয়েছি যে অনুজ আত্মহত্যা করেছে। অনুজ পুলিশের হাতেই খুন হয়েছেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। গত ১৪ এপ্রিল সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে গুলি চালানো হয়। এই ঘটনার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। গুলি চালানোর ঘটনার পর সালমানের নিরাপত্তা বাড়ানোর পাশাপাশি হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এরই মধ্যে অনুজের আত্মহত্যা নতুন মোড় নিল এই মামলায়।    ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, ক্রাইম ব্রাঞ্চের হেফাজতে থাকাকালীন আত্মহত্যা করেন অনুজ। রাত ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাকে সেন্ট জর্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্তের পর পাঞ্জাব থেকে আটক করে অনুজকে।   ১৪ এপ্রিল রবিবার ভোর ৫টার দিকে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে একের পর এক ৪-৫টি গুলি চালানো হয়। এ খবর প্রকাশ্যে আসার সালমান খানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। ঘটনার পর অভিনেতার নিরাপত্তা আগের চেয়ে আরও কড়া করা হয়েছে।  
৬ ঘণ্টা আগে

সালমান খানের বাড়িতে হামলায় অভিযুক্ত তরুণের আত্মহত্যা
বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছিল ভারতের মুম্বাই পুলিশ। বুধবার (১ মে)  দুপুরে তাদের মধ্যে একজন পুলিশের হেফাজতেই আত্মহত্যা করেছে। তবে এই ঘটনার আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি পুলিশ।  টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (১ মে)  দুপুরে পুলিশের হেফাজতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে অনুজ থাপন নামের এক অভিযুক্ত। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। গত ১৪ এপ্রিল বলিউড অভিনেতার বাড়িতে বাইরে গুলি চালানোর জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছিল থাপনের বিরুদ্ধে।  এ ছাড়া সালমানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোয় অভিযুক্ত ভিকি গুপ্তা ও সাগর পাল নামের আরও দুইজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনার রাতে মোটরসাইকেলে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় সিসিটিভিতে ধরা পড়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
০১ মে ২০২৪, ১৭:০৩

দেশে সেলিব্রিটিদের মধ্যে প্রথম মোবাইল ব্যবহার করেন সালমান শাহ
ঢাকাই সিনেমার ফ্যাশন আইকন বলা হয় প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহকে। আজও তার স্টাইলকে অনুকরণ করে সবাই। শুধু ঢালিউড নয়, বলিউডেও তার ফ্যাশন আইডিয়াকে ফলো করেন অনেকেই।  নব্বই দশকের হাল ফ্যাশনে সবার চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে থাকতেন সালমান শাহ।  চলচ্চিত্রে ফ্যাশন বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনিই। যেমন ফ্যাশনেবল গাড়ি, মোটরসাইকেল ব্যবহার করতেন সালমান শাহ। এমনকি এফডিসিতে তিনিই সবার আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করেন।     সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে সালমান শাহর মৃত্যুর এত বছর পর বিষয়টি জানালেন নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু। তিনি নির্মাণ করেছিলেন সালমান শাহকে অভিনীত সিনেমা ‘জীবন সংসার’। আর এই সিনেমা শেষ হ ওয়ার পরপরই সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান সালমান শাহ।  নির্মাতা রাজু বলেন, শোবিজ তারকাদের মধ্যে প্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন সালমান শাহ। ‘জীবন সংসার’ শুটিংয়ের সময় মোবাইল ফোন নিয়ে আসতেন তিনি। তখন চলচ্চিত্র জগতের আর কারও হাতেই মোবাইল ফোন ছিল না । জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয় বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের বাণিজ্যিক যাত্রা। সিটিসেল ব্র্যান্ডই প্রথম প্রথম মোবাইল ফোন নিয়ে আসে। সেসময় চড়া মূল্য ও সীমিত নেটওয়ার্কের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অল্প মানুষই এই ফোন ব্যবহার করতেন। এদের মধ্যে একজন ছিলেন সালমান শাহ। হাল ফ্যাশনের সবদিকে নজর ছিল তার। যুগের চেয়েও আধুনিক ছিলেন এই নায়ক। 
০১ মে ২০২৪, ১২:০৮

সালমানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার
বলিউডের ‘ভাইজান’ খ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে গত ১৪ এপ্রিল চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। এদিন ভোর ৫টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে গুজরাটের ভুজ থেকে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তখনই উদ্ধার হয়েছিল হামলায় ব্যবহার করা একটি পিস্তল। এবার তাপি নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও একটি পিস্তল; সঙ্গে তিনটি ম্যাগজিন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হযেছে, পুলিশের মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা অস্ত্রের পাশাপাশি ৩টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছেন। গত ২২ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছিল তল্লাশি অভিযান। এখন পর্যন্ত মোট ২টি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন এবং ১৩টি বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সালমানের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারেরও বেশি দূর থেকে একটি বাইকও উদ্ধার করেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, হামলাকারী দুজনে ওই বাইকে চেপেই এসেছিল। ১২ জন কর্মকর্তা এবং এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট সিনিয়ার পুলিশ ইনস্পেক্টার দয়া নায়ক এ অভিযান পরিচালনা করছেন। স্কুবা ড্রাইভার দিয়ে চলছে তল্লাশি। এ ঘটনায় এরই মধ্যে ভিকি গুপ্ত ও সাগর পালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বান্দ্রা এলাকায় বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে কয়েক রাউন্ড গুলি চলানোর পর থেকেই ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পুরো ঘটনার ভিডিও সিসিটিভিতে উঠে এসেছে। ফুটেজে দেখা যায়, দুই বন্দুকধারীর মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিই বাইকে থাকাকালে ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছিলেন এবং পরিচয় গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল। গত ১৩ এপ্রিল সাগর নামের এক হামলাকারীর হাতে রাতেই অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কে তাকে পিস্তুল দিয়েছিল সেটা এখনও অজানা। তবে অভিনেতার বাড়িতে হামলার জন্য তাদের ১ লাখ রুপি অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্ত থেকে পুলিশ জানায়, সালমানকে খুন করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না হামলাকারীদের। শুধুমাত্র তাকে ভয় দেখানোই উদ্দেশ্য ছিল দুর্বৃত্তদের। বলিউড ভাইজানের এ প্রাণনাশের হুমকির নেপথ্যে কে? এ প্রশ্নের উত্তরে বারবার গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইর নাম উঠে এসেছে। এর আগেও একাধিকবার এমন হুমকি এসেছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪০

জয়ের স্ত্রীর দাবি, সালমান শাহর মতোই তার স্বামীকে টার্গেট করা হলো
সম্প্রতি বিএফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নায়ক জয় চৌধুরীকে বয়কট করেছেন বিনোদন সাংবাদিকরা। তবে এই নায়কের স্ত্রী রোমানা ইসলাম নীড়ের দাবি তার স্বামী ষড়যন্ত্রের শিকার। এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। নীড় বলেন, এই ১১ বছরের ফিল্ম জীবনে কেউ বলতে পারবে না জয় কারও সঙ্গে কোনোদিন বেয়াদবি করেছে। শুধু সাংবাদিক ভাইয়েরা না চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত কোনো একটা মানুষ বলতে পারবে না। এমনকি আমাদের বিএফডিসিতে যে ঝাড়ুর কাজ করে তার সঙ্গেও হেসে কথা বলে তাদের সমস্যায় পাশে থেকেছে। এতোটাই ভালোবাসা পেয়েছে সে যে শিল্পীরা তাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে শিল্পীদের নেতা বানিয়েছে। ২৩ তারিখ কী এমন হলো যে এই পরিবেশ হলো?  উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে চিত্রনায়িকা নীড়ের ভাষ্য, আপনার শিল্পীকে কেউ বাউন্ডারি ক্রস করে মারতে আসবে আর আপনি সেটা চেয়ে চেয়ে দেখবেন? এটাই কি কাম্য আপনাদের? ভিডিওতে সবাই দেখেছে শিল্পী সমিতির বাউন্ডারি ক্রস করে একজন ভিতরে ঢুকছিল শিল্পীকে আঘাত করার জন্য। সেটা দেখে আর একজন শিল্পী প্রতিবাদ করেছে! এটাইতোহ শিল্পীদের ধর্ম হওয়া উচিত। খুব অবাক হলাম একা জয় চৌধুরীকে দোষ দিয়ে তাকে কোণঠাসা করা হচ্ছে? এটা কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে না তো?  সালমান শাহ, শাকিব খানদের মতোই টার্গেট জয়, এমনটাই মনে করে নীড় বলেন, যদি বিচার করতেই হয় আসেন সমান বিচার করতে শিখি? ওখানে কি এমনিই শিল্পীরা ক্ষিপ্ত হয়েছিল? আরও সহজভাবে বলি ওখানে কি এক হাতে তালি বেজেছিল? যে ছেলেটা ১১ বছর কারও সঙ্গে এক মিনিটের জন্য বেয়াদবি করেনি সে হঠাৎ করেই রেগে গেল? যুগে যুগে আমাদের চলচ্চিত্রে হয়ে এসেছে যে একটু মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে তাকেই টার্গেট করা হয়েছে! সালমান শাহ, মান্না ভাই, শাকিব ভাই, জায়েদ খান, শেষে আসলো এই জয় চৌধুরী! শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই জয়কে লক্ষ্য করা হয়েছে বলে মনে করেন নীড়। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য সালমান শাহ আজ মরে গিয়েও প্রতিটা মানুষের অন্তরে আছে! মান্না ভাইও একই! শাকিব খান আজ আমাদের সব থেকে বড় সুপারস্টার! জায়েদ খানকে সবাই চেনে! জয়ের কি হবে জানি না! তবে একটা কথা বলতে পারি জয় জীবন দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রকে এবং এখানকার মানুষদেরকে ভালোবাসে। সর্বোপরি বলতে চাই এই শিল্পী সমিতির নির্বাচনই কি কাল হলো? চোখে পড়ে গেলো? চারদিকে এতো প্রশংসা এটাই কি কাল হলো?  আমি নিজে বলতে শুনেছি অন্য শিল্পীরা বলছে আজ জয় না থাকলে আমরা জিততে পারতাম না! অন্য শিল্পীরা বলছে এমন একজন জয় থাকলে আমাদের হয়ে যেতো! পরিবারকে সময় না দিয়ে দিনের পর দিন শিল্পী সমিতিকে সময় দিয়েছে! আমার মনে পড়ে না একটা ইফতার সে পরিবারের সঙ্গে করেছে! ঈদের দিনটা পর্যন্ত সে পরিবারকে দিতে পারেনি। এগুলোই কি কাল হলো? সাংবাদিক ভাইদের একটা কথায় বলবো সঠিক তদন্ত করে সঠিক সিদ্ধান্তটাই আপনারা নেবেন এটা বিশ্বাস রাখি। নীড় বলেন, আবেগ বা প্ররোচণায় পড়ে সিদ্ধান্ত সবার জন্যই ক্ষতির কারণ শিল্পী আর সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক একে অপরের ভাই। তাই ভাই ভাইয়ের সঙ্গে নমনীয় হবে এটাই স্বাভাবিক। সব শেষে আমরা একটা পরিবার।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৯

যত টাকা চুক্তিতে সালমানের বাড়িতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে গত ১৪ এপ্রিল চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাতনামা দুই দুর্বৃত্ত। এদিন ভোর ৫টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে গুজরাটের ভুজ থেকে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  জানা গেছে, সালমানের বাড়ির বাইরে হামালার ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনের নাম ভিকি গুপ্তা (২৪) ও সাগর পাল (২১)। এবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের তদন্তে।  ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে চার লাখ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল সালমান খানের বাড়িতে হামলার জন্য। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুই বন্দুকধারীর মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিই বাইকে থাকাকালে ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছিলেন এবং পরিচিতি গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল। গত ১৩ এপ্রিল সাগরের হাতে রাতেই বন্দুক তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কে তাকে  বন্দুক দিয়েছিল সেটা এখনও অজানা। তবে অভিনেতার বাড়িতে হামলার জন্য তাদেরকে এক লাখ টাকা অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্ত থেকে পুলিশ জানায়, সালমানকে খুন করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না হামলাকারীদের। শুধুমাত্র তাকে ভয় দেখানোই উদ্দেশ ছিল দুর্বৃত্তদের।  বলিউড ভাইজানের বাড়িতে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই ফেসবুক পোস্টে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই লেখেন, আমদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তাই সই। আজ যা হয়েছে, সেটা শুধু ট্রেলার ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা চাইলে কতদূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ।  এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না। দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুইজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার মানুষ আমি নই। জয় শ্রী রাম। এদিকে সালমানের বাড়িতে হামলার পর গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে ক্রাইম ব্রাঞ্চের ১০টি দল মোতায়েন করে মুম্বাই পুলিশ। শুধু তাই নয়, অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পরেই গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে অভিনেতার ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টেমন্টে’ যান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে।  সালমানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই হামলার ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নেবে মুম্বাই পুলিশ। পাশাপাশি তিনিসহ অভিনেতার পুরো পরিবারকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়ার কথাও জানান তিনি।       এর আগেও গত বছরের মার্চ মাসে সালমান খানকে হুমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার একটি ইমেইল আসে। অভিনেতার পরিণতিও সিধু মুসেওয়ালার মতোই হবে, এমন বার্তাই লেখা ছিল সেই মেইলে। পরবর্তীতে মুম্বাই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৫০৬-২ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৩৪ (সাধারণ উদ্দেশ্য) ধারায় এফআইআর দায়ের করে। সূত্র : এনডিটিভি
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৭

যত টাকা বেতন পান আনুশকা-বিরাটের দেহরক্ষী
বলিউড তারকারা খ্যাতি পাওয়ার পরই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য দেহরক্ষী নিয়োগ দেন। বিশ্বস্ত ও অনুগত দেহরক্ষী থাকা যেন তাদের জন্য আশীর্বাদ। বলিউডের বড় বড় সব তারকারই বিশ্বস্ত দেহরক্ষী রয়েছে। যেমন— বলিউড অভিনেতা সালমান খানের দেহরক্ষী শেরা, অমিতাভ বচ্চনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী জিতেন্দ্র শিন্ডে, শাহরুখ খানের রবি সিং। জনপ্রিয় এ তারকাদের ছায়ার মতো অনুসরণ করেন দেহরক্ষীরা। অন্যদিকে তারকাদের বদৌলতে তাদের দেহরক্ষীরাও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি কুড়িয়েছেন অর্থ-সম্মানও।  ব্যক্তিগত জীবনে বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা বিয়ে করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলিকে। এই তারকা দম্পতিরও দেহরক্ষী রয়েছে। যার নাম প্রকাশ সিং সোনু। তবে কত টাকা বেতন পান সোনু?      ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, আনুশকা-বিরাটের বডিগার্ড সোনুর বার্ষিক বেতন ১ কোটি ২০ লাখ রুপি; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার বেশি।  তারকাদের দেহরক্ষীর বেতনের পরিমাণ জানার পর অনেকের চোখই কপালে উঠতে পারে। কারণ ভারতের অনেক প্রতিষ্ঠানের সিইও-এর বেতনের চেয়েও বেশি।  তবে বিরাটের সঙ্গে পরিচয়ের আগে থেকেই আনুশকার দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন সোনু। বিয়ের পর থেকে তাদের দুজনেরই দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করছেন তিনি। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন আনুশকা-বিরাট। ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি কন্যাসন্তানের মা হন আনুশকা। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পুত্র সন্তানের মা-বাবা হন তারা।  সূত্র : সিয়াসাত ডটকম   
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৩

সালমান খানের বাড়ির সামনে গুলি, যা জানালেন তার ভাই
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাতনামা দুই দুর্বৃত্ত। রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ। জোরদার করে ভাইজানের বাড়ির নিরাপত্তা।  তবে বিষয়টি নিয়ে সালমান খান এখনও কোনো মন্তব্য না করলেও এবার তার পরিবারের হয়ে সোমবার (১৫ এপ্রিল) মুখ খুললেন তার ভাই আরবাজ খান।  ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট দিয়ে আরবাজ লিখেছেন, ‘সেলিম খানের বাড়ির সাম্প্রতিক এ ঘটনাটি খুবই বিরক্তিকর ও উদ্বেগজনক। এ ঘটনায় আমাদের পরিবার বিস্ময়াহত। দুঃখজনকভাবে এখন অনেকেই নিজেকে আমাদের পরিবারের কাছের মানুষ দাবি করে মুখপাত্র হিসেবে সংবাদমাধ্যমে নানা কথা বলছেন এবং বিষয়টিকে ‘সস্তা প্রচার’ আখ্যা দিতে চাইছেন।’  একইসাথে ওই পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘যারা দাবি করছেন তাদের পরিবার বিষয়টাকে পাত্তা দিতে চাইছে না, সেটা ঠিক নয়।’ পাশাপাশি  তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত  সংবাদমাধ্যমকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি বলেও তিনি লেখেন। সাথে এও উল্লেখ করেন, ‘পরিবারের সদস্যরা আপাতত পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করছেন। আর তাদের সুরক্ষার বিষয়ে ভরসা রাখছেন পুলিশের ওপর। ’ ইনস্টগ্রামের ওই পোস্ট পাশে থাকার জন্য অনুরাগীদের ধন্যবাদও জানান আরবাজ খান। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৭

সালমান খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে গুজরাটের ভুজ থেকে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।      রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে সালমানের বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাতনামা দুই দুর্বৃত্ত। অভিনেতার মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  এ প্রসঙ্গে মুম্বাই পুলিশ জানায়, সালমানের বাড়িতে গুলি চালানোর পর মুম্বাই থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য গ্রেফতারকৃতদের মুম্বাই আনা হবে। পাশাপাশি সালমানের বাড়ির এই ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হামলা হিসেবেই অভিহিত করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।  সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুই বন্দুকধারীর মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিই বাইকে থাকাকালে ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছিলেন এবং পরিচিতি গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই হামলার দায় স্বীকার করার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো সালমানকে হুমকিও দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। মূলত এরপরেই নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ। ফেসবুক পোস্টে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই লেখেন, ‘আমদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তাই সই। আজ যা হয়েছে, সেটা শুধু ট্রেলার ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা চাইলে কতদূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ।    এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না। দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুইজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার মানুষ আমি নই। জয় শ্রী রাম।’  এদিকে সালমানের বাড়িতে হামলার পর গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে ক্রাইম ব্রাঞ্চের ১০টি দল মোতায়েন করে মুম্বাই পুলিশ। এর আগেও গত বছরের মার্চ মাসে সালমান খানকে হুমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার একটি ইমেইল আসে। অভিনেতার পরিণতিও সিধু মুসেওয়ালার মতোই হবে, এমন বার্তাই লেখা ছিল সেই মেইলে। পরবর্তীতে মুম্বাই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৫০৬-২ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৩৪ (সাধারণ উদ্দেশ্য) ধারায় এফআইআর দায়ের করে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩০

যেখানে সালমানের বাড়িতে হামলার ছক আঁকে দুর্বৃত্তরা
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাতনামা দুই দুর্বৃত্ত। রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে হুমকির চিঠি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো সালমানকে হুমকিও দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। মূলত এরপরেই নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ।  প্রাথমিক তদন্তে মুম্বাই পুলিশ জানায়, সালমানের বান্দ্রার বাসভবনে হামলার পরিকল্পনা করেছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ডান হাত। যারা অভিনেতার বাড়ির বাইরে গুলি চালিয়েছিল, তারা দুজনেই লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত।    সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুই বন্দুকধারীর মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিই বাইকে থাকাকালীন ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছিলেন এবং পরিচিতি গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল।  ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই এই কাজের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। পুলিশ জানায়, গোদারাকে তার বিশাল নেটওয়ার্ক থেকে পেশাদার শুটার নিয়োগের  দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সালমানের বাড়ির সামনে এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর জন্য।  এর আগে, গত বছরের মার্চ মাসে সালমান খানকে হুমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার একটি ইমেইল আসে। অভিনেতার পরিণতিও সিধু মুসেওয়ালার মতোই হবে, এমন বার্তাই লেখা ছিল সেই মেইলে। পরবর্তীতে মুম্বাই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৫০৬-২ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৩৪ (সাধারণ উদ্দেশ্য) ধারায় এফআইআর দায়ের করে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস    
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়