• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাসুল (সা.) বজ্রপাতের সময় যে দোয়া পড়তেন
সুস্পষ্টভাবে পবিত্র কোরআনে বজ্রপাতের মৌলিক কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। মানুষের কৃতকর্মই বজ্রপাতের মৌলিক কারণ। অত্যাচার, নির্যাতন, সুদ, ঘুস, জিনা, ব্যভিচার দুর্নীতি, অশ্লীলতা হেন অপরাধ নেই যা আজ সমাজময় ছড়িয়ে পড়ছে না। পাপের সমুদ্রে আকণ্ঠ ডুবে আছি আমরা। আমাদের কৃতকর্মের কারণেই আজ সর্বত্র বিপর্যয়। বজ্র হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার একটি শক্তিশালী নিদর্শন। এর মাধ্যমে তিনি পৃথিবীবাসীকে ধমক দেন। সতর্ক করেন। আল্লাহ তাআলা ‘রাদ’ নামে পবিত্র কোরআন মাজিদে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাযিল করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, বজ্র তাঁরই (আল্লাহর) তাসবিহ ও হামদ জ্ঞাপন করে এবং তাঁর ভয়ে ফেরেশতারাও (তাসবিহরত আছেন)। তিনিই গর্জমান বিজলি পাঠান তারপর যার ওপর ইচ্ছা তাকে বিপদরূপে পতিত করেন। আর তাদের (কাফেরদের) অবস্থা এই যে, তারা আল্লাহ সম্বন্ধেই তর্কবিতর্ক করছে, অথচ তাঁর শক্তি অতি প্রচণ্ড;। (সূরা রাদ : ১৩)। ইরশাদ হয়েছে, মানুষ নিজ হাতে যা কামায়, তার ফলে স্থলে ও জলে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে, আল্লাহ তাদেরকে তাদের কতক কৃতকর্মের স্বাদ গ্রহণ করাবেন সে জন্য : হয়তো (এর ফলে) তারা ফিরে আসবে। (সূরা রুম, আয়াত : ৪১) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর উম্মতকে বজ্রপাত থেকে বেঁচে থাকতে শিখিয়েছেন দোয়া। যারা এ দোয়া পড়বেন, আল্লাহ তাআলা তাদের বজ্রপাতের ক্ষতি থেকে হেফাজত করবেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) যখন বজ্রের শব্দ শুনতেন বা বিদ্যুতের চমক দেখতেন; তখন সঙ্গে সঙ্গে বলতেন- আল্লাহুম্মা লা তাক্বতুলনা বিগাদাবিকা ওয়া লা তুহলিকনা বিআজাবিকা, ওয়া আ’ফিনা ক্ববলা জালিকা।’ (তিরমিজি) অর্থ: হে আমাদের প্রভু! তোমার ক্রোধের বশবর্তী হয়ে আমাদের মেরে ফেলো না। আর তোমার আজাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। এর আগেই আমাদের ক্ষমা ও নিরাপত্তার চাদরে আবৃত করো। ‘মুসান্নাফে আবি শায়বা’য় বজ্রের আক্রমণে মৃত্যু থেকে বাঁচতে ছোট্ট একটি তাসবিহ পড়ার কথা বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি এ তাসবিহ পড়বেন; তিনি বজ্রপাতের আঘাত থেকে মুক্ত থাকবেন।  তাসবিহটি হলো: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি।  
২ ঘণ্টা আগে

ফের বাড়লো হজ ভিসা আবেদনের সময় 
হজের ভিসার জন্য আবেদনের নির্ধারিত সময় আজ (৭ ‍মে) শেষ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মেয়াদ বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। ফলে চলতি বছর হজে যেতে চূড়ান্ত নিবন্ধনকারী হজযাত্রীরা আগামী ১১ মে পর্যন্ত ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ নিয়ে কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়েছে। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হজ ভিসা ইস্যুর মেয়াদ বাড়িয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। এর আগে তিনি জানিয়েছেন, ধর্মমন্ত্রীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হজে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সবাইকে ভিসা আবেদন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। এদিকে বিভিন্ন জটিলতায় এখন পর্যন্ত দেশের অনেক হজযাত্রী ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেননি। এজন্য হজের ভিসা আবেদনের সময় আরও বাড়ানোর আবেদন করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার জানান, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়া হজযাত্রীদের অনেকেই ভিসার আবেদন করতে পারেননি। বাড়ি ভাড়া করতে না পারা এর অন্যতম কারণ। অল্প কয়েক দিনে এত সংখ্যক হজযাত্রীর ভিসার আবেদন করাও সম্ভব নয়। পুরো বিষয়ে সংকটের কথা উল্লেখ করে সৌদি সরকার ও দূতাবাসকে হজের ভিসার আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, আগামী ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। তার আগে ৮ মে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের নভেম্বর মাসে ২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণার সময় তৎকালীন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী (বর্তমান মন্ত্রী) ফরিদুল হক খান জানিয়েছিলেন, এ বছরের ১ মার্চ থেকে পবিত্র হজ পালনের ভিসা ইস্যু শুরু হবে ও ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ভিসা আবেদন করা যাবে। কিন্তু বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো সৌদিতে বাসা ভাড়া করতে না পারা, ২৮ হাজার হজযাত্রীর মুজদালিফায় যাওয়ার অনিশ্চয়তা, হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়ার জন্য এজেন্সির প্রতিনিধিদের ভিসা না পাওয়া, মক্কা-মদিনার বাড়ি ভাড়ার টাকা আইবিএন অ্যাকাউন্টে না পাঠানোর জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে ভিসা আবেদন করতে পারেনি হজ এজেন্সিগুলো। এবার বাংলাদেশ থেকে ৮৩ হাজার মানুষকে হজ পালনে কোটা নির্ধারণ করেছে সৌদি সরকার।
৭ ঘণ্টা আগে

অনিশ্চয়তায় বেশির ভাগ হজযাত্রী, ভিসা আবেদনের সময় বাড়ছে
চলতি বছরের হজ ফ্লাইট বৃহস্পতিবার (৯ মে) শুরু হচ্ছে। বুধবার (৮ মে) হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৭ মে) ভিসা আবেদনের শেষ দিন। কিন্তু এখনও বেশির ভাগ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি। ভিসা সমস্যায় এখনো সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করতে পারেনি বেশির ভাগ হজ এজেন্সি। এখন পর্যন্ত আবেদন করতে পারেনি প্রায় ৮০ শতাংশ হজ এজেন্সি। তাই বিপর্যয় এড়াতে ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সময় আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী হজ পালন করবেন। ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৫ হাজারের মতো হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, ‘ভিসা আবেদনের সময় বাড়বে। আমাদের টেনশন আছে। আমরা কাজ করছি।’ এর আগে গত ৪ মে হজ এজেন্সিগুলোকে ভিসা আবেদনের তাগাদা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেখানে বলেছিল, হজ ভিসা সম্পন্নকরণের প্রথম পর্বের মেয়াদ (২৯ এপ্রিল) শেষ হওয়ার পর ৭ মে পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেসরকারি মাধ্যমে এ বছর ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী ২৫৯টি এজেন্সি/লিড এজেন্সির মাধ্যমে পবিত্র হজ পালন করবেন। তবে অধিকাংশ এজেন্সি (২০৪টি) এখন পর্যন্ত হজযাত্রীর জন্য ভিসা প্রসেস শুরুই করেনি; যা হজযাত্রীদের হজে গমনে আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে ওই চিঠিতে এজেন্সিগুলোতে নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। ভিসা আবেদনে কেন বিলম্ব হচ্ছে- জানতে চাইলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদার বলেন, ‘এবার হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম করেছে সৌদি আরব। তাই সবকিছু বুঝে কাজ করতে একটু সময় লাগছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাজ এখন দ্রুত হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা হয়ে যাবে। আর সময়ও তো তারা বাড়াবে। তাই আশা করি সমস্যা হবে না।’ এর আগে জেদ্দার বাংলাদেশ হজ অফিস থেকে এ বিষয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, এ বছর হজ পরিচালনাকারী এজেন্সির সৌদি আরব পর্বের খরচ বাবদ পাঠানো পুরো অর্থ এরই মধ্যে তাদের স্ব-স্ব আইবিএএন-এ পাঠানো নিশ্চিত করা হয়েছে। হজ ভিসা প্রক্রিয়াকরণের প্রথম পর্বের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৭ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৩০ এপ্রিল থেকে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা সময়ব্যাপী ই-হজ সিস্টেমে বাড়িভাড়া চুক্তি সম্পাদন বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। মুচলেকা দেওয়ার পর বিভিন্ন দেশের বাড়িভাড়া চুক্তির জন্য ই-হজ সিস্টেম খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, ৭ মে পরবর্তী সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। তাই ৭ মের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ শেষ করা প্রয়োজন। ভিসা প্রক্রিয়াকরণের অন্যতম বাধ্যতামূলক ক্ষেত্র হচ্ছে মক্কা/মদিনায় বাড়িভাড়া চুক্তি সম্পাদন। বাড়িভাড়ার চুক্তি সম্পাদন সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রায় অর্ধেকের বেশি সংখ্যক হজযাত্রীর জন্য অদ্যাবধি মক্কা/মদিনার বাড়িভাড়া সম্পন্ন হয়নি, যা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। বাড়িভাড়া ই-হজ চুক্তি ছাড়া ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব নয়। তাই এজেন্সিগুলোর দ্রুততর সময়ের মধ্যে বাড়িভাড়া চুক্তি সম্পাদন ও ভিসা নিশ্চিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয় ওই চিঠিতে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও হজ এজেন্সিগুলো বাড়ি ভাড়া করতে গাফিলতি করেছে। কম রেটে বাড়ি ভাড়া করার জন্য প্রতিবার শেষ সময়ে এসে বাড়ি ভাড়া করেন তারা। এবারও তাই করেছেন। এবার এটা করতে গিয়ে নতুন আইনের ফাঁকে পড়ে যায় হজ এজেন্সিগুলো। বাড়ি ভাড়ার জন্য নির্ধারিত এজেন্সি প্রতিনিধি মোনাজ্জেমদের ভিসা আটকে দেয় সৌদি সরকার। ফলে হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া করতে সৌদি আরবে যেতে পারেননি তারা। এ জায়গায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েও পায়নি বলে অভিযোগ করছে এজেন্সিগুলো।
১১ ঘণ্টা আগে

স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদ রাখার ৬ কৌশল
স্মার্টফোন হলো হাতের মোবাইল কম্পিউটিং যন্ত্র।এটি এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। এর শক্তিশালী হার্ডওয়্যার সক্ষমতা এবং বিস্তৃত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যেগুলো মূল সুবিধা; যেমন ফোন কল, বা টেক্সট বার্তার সাথে সাথে আরও বেশি সফটওয়্যার, ইন্টারনেট (ওয়েব ব্রাউজিং সহযোগে) এবং মাল্টিমিডিয়া সুবিধা (ক্যামেরা, মোবাইল গেমিং) ইত্যাদি প্রদান করে।  বর্তমানে বিভিন্ন কাজে স্মার্টফোন ব্যবহারের পাশাপাশি বিনোদন মাধ্যমেও পরিণত হয়েছে এটি। তবে দীর্ঘ সময় স্মার্টফোনের নীল আলোতে থাকা চোখের জন্য ক্ষতিকর। যে কারণে দৈনন্দিন জীবনে স্মার্ট এ ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। কিছু কৌশল মেনে চললে চোখ নিরাপদে রাখা যায়। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এর প্রতিবেনে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদ রাখার কৌশল জানিয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই কৌশলগুলো। ২০/২০/২০ নিয়ম অনুসরণ করা স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদ রাখতে ২০/২০/২০ নামে একটি নিয়ম রয়েছে। এ নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ২০ মিনিট পরপর ব্যবহারকারীকে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য অন্তত ২০ ফুট দূরের কিছু দেখতে হবে। এ পদ্ধতি চোখকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। স্মার্টফোনের উজ্জ্বলতা যেকোনো স্মার্টফোন কেনার আগে চোখের সুরক্ষায় এতে কী কী ফিচার রয়েছে সে বিষয়ে জানতে হবে। বেশি ব্রাইটনেস সুবিধা দেয়—এমন ডিভাইস কেনা ভালো। তবে স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস লেভেল এমন রাখতে হবে, যাতে ফোনে সব সময় ভালোভাবে ছবি বা ভিডিও আরামে দেখা যায়। নীল আলোর নিঃসরণ কমানো স্মার্টফোনের পর্দা থেকে বেরোনো নীল আলো চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ জন্য ফোনের ডিসপ্লে সেটিংস থেকে ব্লু লাইট ফিল্টার চালু করে রং ও উজ্জ্বলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখতে হবে। এতে স্মার্টফোনের পর্দা থেকে কম নীল আলো বের হবে, ফলে চোখের ক্ষতি হবে না। নাইট মোড চালু নাইট মোডে স্মার্টফোনের পর্দার পটভূমি সাধারণত কালো রঙের হয় এবং লেখাগুলো সাদা দেখায়। ফলে অন্ধকারে অতিরিক্ত আলো ছাড়াই পর্দার লেখা বা ছবি ভালোভাবে দেখা যাওয়ায় চোখের ওপর চাপ পড়ে না। বর্তমানে বেশির ভাগ স্মার্টফোনে নাইট মোড সুবিধা রয়েছে। নিয়মিত চোখের পলক ফেলা নিয়মিত পলক ফেলার ফলে চোখের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং চোখের ওপর চাপ কমে। স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় প্রতি আধা ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ বার ১ সেকেন্ড সময় ধরে চোখের পলক ফেলতে হবে। বিরতি নেওয়া দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে চোখের ওপর বেশ চাপ তৈরি হয়। পর্দায় কাটানো সময় বা স্ক্রিন টাইম নির্ধারণ করার মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়সীমা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া অপ্রয়োজনে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে।
০৬ মে ২০২৪, ০৩:৩০

রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময় যে দোয়া পড়তেন
তীব্র তাপদাহের পরে বৈশাখের শেষের দিকে রাজধানীসহ দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বৃষ্টি আল্লাহর রহমতের নিদর্শন। বিশেষত দীর্ঘ দিন অনাবৃষ্টি ও তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টি আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত।  আল্লাহ বলেন, মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তার রহমত ছড়িয়ে দেন, তিনি-ই সকল গুণে প্রশংসিত প্রকৃত অভিভাবক। (সুরা শূরা: ২৮) বৃষ্টি দেখে দোয়া পড়া সুন্নত। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বৃষ্টি হতে দেখলে বলতেন, আল্লাহুম্মা সাইয়্যেবান নাফিআন। অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি এ বৃষ্টিকে প্রবহমান এবং উপকারী বানিয়ে দিন (সহিহ বুখারি: ১০৩২) বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়। তাই এ সময় অন্যান্য দোয়াও করা উচিত। হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) বলেন, ‘দুই সময়ের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না কিংবা (তিনি বলেছেন), খুব কমই ফেরত দেওয়া হয়- আজানের সময় এবং রণাঙ্গণে শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার সময়ের দোয়া। অন্য বর্ণনা অনুযায়ী বৃষ্টির সময়ের দোয়া। (সুনানে আবু দাউদ: ২৫৪০)
০৬ মে ২০২৪, ০৩:২০

ধর্মকর্ম ও তেল ব্যবসায় সময় কাটাচ্ছেন নায়ক মেহেদী (ভিডিও)
চলচ্চিত্রে মেহেদীর আত্মপ্রকাশ শৈশবেই। শিশুশিল্পী হিসেবে বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এরপর যৌবনে সুদর্শন মেহেদী ঢাকাই সিনেমায় অভিষিক্ত হন নায়ক হিসেবে। নব্বই দশকের শেষের দিকে তিনি চলচ্চিত্রে নিয়মিত অভিনয় করেছেন। তবে তার অভিনীত চলচ্চিত্রের অধিকাংশই ছিল অরুচিকর-আপত্তিজনক। অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয়ের কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল এ অভিনেতাকে। অশ্লীলতাবিরোধী অভিযান শুরু হলে অশ্লীল দৃশ্যের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ছিটকে পড়েন। মেহেদীও সেসময় চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নেন, লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। এরপরে চলচ্চিত্রের পর্দায় খুব একটা দেখা যায়নি তাকে। অনেক দিন ধরেই চলচ্চিত্রাঙ্গনে তাকে দেখা যায় না। তবে শিল্পী সমিতির নানার আয়োজনে মাঝে মাঝে দেখা যায় তাকে। সম্প্রতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি। এদিন আরটিভির সঙ্গে আলাপ হয় এই নায়কের।  বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে মেহেদি বলেন, এখন আমি ধর্মীয় কাজে সময় দিচ্ছি। নিয়মিত তাবলিগ জামাতে চিল্লায় যেতে হচ্ছে। যেহেতু মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছি তাই ধর্মকর্ম তো করতেই হবে। তিনি আরও বলেন, আমি মুসলিম তাই আমাকে নিয়মিত নামাজ রোজা করতে হবে। এখন সেটা খুব মনোযোগের সঙ্গে করতে হচ্ছে।  ধর্মকর্মের পাশাপাশি নিজেদের তেল ব্যবসা দেখাশোনা করছেন উল্লেখ করে মেহেদী বলেন, আমি পুরান ঢাকায় ব্যবসা করছি। আমাদের মতিঝিলে পেট্রোল পাম্প আছে। সেই ব্যবসা দেখাশোনা করেই সময় কাটছে।  নিজের ব্যক্তিজীবন নিয়ে মেহেদী বলেন, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ভালো আছি আল্লাহর রহমতে। আমার স্ত্রী পুরান ঢাকার মেয়ে ফারজানা। আমাদের বড় ছেলে মাজহারুল হক মাহি, মেয়ে মেহজাবিন হক ইশরাত। সবার কাছে দোয়া চাই যেন ভালো থাকি।  চলচ্চিত্র থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হননি তিনি, সামনে তার চলচ্চিত্র আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি চলচ্চিত্র থেকে একেবারেই হারিয়ে যাইনি। সামনে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আমার চারটি চলচ্চিত্র।
০৫ মে ২০২৪, ২০:০১

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও যেকোনো সময় জ্বলে উঠার আশঙ্কা
সুন্দরবনে লাগা আগুন বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আগামী কয়েক দিন সেখানে অগ্নিনির্বাপণ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলমান রাখা হবে। কেননা, ফরেস্ট ফায়ার আপাতত নিভে গেছে বা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে মনে হলেও আবার যেকোনো সময় এটি নতুনভাবে সৃষ্টি ও বিস্তৃতি লাভ করার আশঙ্কা রয়েছে। রোববার (৫ মে) বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার দীপংকর বরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ক্যাম্পের বনাঞ্চলের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন গাছের উপরে বা ডালপালায় বিস্তৃত হয়নি, শুধু মাটির উপরে বিক্ষিপ্তভাবে বিস্তৃত হয়েছে। ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট, নৌবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সিপিজি, স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণ অগ্নিনির্বাপণে সহায়তা করছেন। এ ছাড়া বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারও অগ্নিনির্বাপণে উপর থেকে পানি ছিটিয়ে সহায়তা করেছে। এর আগে রোববার সকাল ৯টা থেকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ছিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু হয়। এ সময় নৌবাহিনীর মোংলা ঘাঁটির ১০ সদস্যের একটি অগ্নি নির্বাপক দল আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাশের ভোলা নদী থেকে পানি ওঠানোর জন্য পাইপ সংযোগ দিয়ে চারদিকে ফায়ার লাইন কাটেন। এর আগে শনিবার (৪ মে) দুপুরের দিকে আগুন লাগার ঘটনা প্রথম উদঘাটিত হয়। এ ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বন বিভাগের কর্মীরা স্থানীয় কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় চারপাশ থেকে ফায়ার লাইন কাটার কাজ শুরু করেন। কিন্তু ওই সময় ভাটার কারণে খালে পানি না থাকায় আগুনে পানি দেওয়া সম্ভব হয়নি।  তবে রাতেই বন বিভাগের নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্ট এবং পানি দেওয়ার মেশিন এনে সেটি রেডি করে পাইপ লাগিয়ে সেট করে রাখা হয়।
০৫ মে ২০২৪, ১৮:৪৫

জিম্মি চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যেকোনো সময়
জিম্মি চুক্তিতে রাজি হতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ৭ দিনের সময় দিয়েছে ইসরায়েল। এই সময়ের মধ্যে চুক্তি না করলে গাজার রাফাহতে হামলা শুরু করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে তারা। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।  শনিবার (৪ মে) ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম আল-কুদস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছেন হামাসের নেতারা। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আশফাকও জানিয়েছে, জিম্মি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে দুই পক্ষ এবং হামাস এ ব্যাপারে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা দেবে। আল-কুদসকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা ছাড়াই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয়েছেন তারা। এই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে শুধুমাত্র নারী, বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের ছাড়া হবে। তাদের ছাড়ার পরও বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা তাদের কাছে থেকে যাবে। এই বিষয়টি কাজে লাগিয়ে যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে সুবিধা আদায় করে নেবেন তারা। এ দুটি সংবাদমাধ্যম ছাড়াও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির তৃতীয় ধাপ শেষে গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে অপর ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান নিউজ জানিয়েছে, আরব সংবাদমাধ্যমগুলোতে যুদ্ধবিরতি এবং সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে— এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। বর্তমানে যে জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছে সেটিকে তিনটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে। চুক্তিতে বলা আছে—  ১. প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হবে ৪০ দিন। এই সময়ে হামাস ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েল কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে। ২. দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এই ধাপে বাকি জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে গাজায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হবে। ৩. তৃতীয় ধাপেরও মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এই সময়টায় হামাস মৃত জিম্মিদের মরদেহ ইসরায়েলের কাছে বুঝিয়ে দেবে। সংবাদমাধ্যম আল-কুদস জানিয়েছে, হামাসের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই সপ্তাহের মধ্যেই দুই পক্ষ চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে। সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
০৪ মে ২০২৪, ১৯:২৬

বিএনপির ৬১ নেতাকে শোকজ, জবাবের সময় ৪৮ ঘণ্টা
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৬১ নেতাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। চিঠিতে নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। শোকজ নেতাদের মধ্যে ২৫ জন চেয়ারম্যান পদে, ২০ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন অংশ নিয়েছেন।  শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ভোট বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৮০ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিএনপি।
০২ মে ২০২৪, ১৮:২১

চলতি মাসের যে সময় ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা
বছরের সবচেয়ে উত্তপ্ত মাস এপ্রিল শেষ হয়েছে। মাসজুড়ে সূর্যের তাপ টের পেয়েছে দেশের মানুষ। দিন যতই গড়িয়েছে সেই তাপের তীব্রতায় পুড়েছে প্রকৃতি। শেষদিকে তাপদাহ ছাড়িয়েছে সহনীয় সীমা। ৭২ বছরে প্রথমবারের মতো ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার সাক্ষীও হয়েছে দেশের মানুষ। এপ্রিলের তুলনায় চলতি মে মাসে দেশজুড়ে তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি কালবৈশাখী ও ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক এ তথ্য জানান। তিনি জানান, চলতি মাসের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৫ তারিখের পর বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। মে মাসে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়বে এবং গরমের তীব্রতা কমে আসবে। বৃহস্পতিবার (২ মে) দেওয়া এ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। তবে এর মাঝেও দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ফলে এ মাসেও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মে মাসের তাপমাত্রা এপ্রিল মাসের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। তাপপ্রবাহ এত দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে না। মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর দুই থেকে তিনদিন বজ্র-শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে। এদিকে এ মাসেই দেশের উত্তরাঞ্চল বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সিলেটসহ হাওর অঞ্চলে) নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। কিছু কিছু জায়গায় তা অতিক্রম করতে পারে বিপৎসীমাও।   এদিকে এখনো পর্যন্ত সিলেট, চট্টগ্রাম, ফেনী ও রাঙ্গামাটিতে বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। এ ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকায়ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এদিকে পাঁচ বিভাগে বৃষ্টির আভাস মিললেও দেশের পশ্চিমাঞ্চলে এখনও তাপপ্রবাহ চলছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। সেইসঙ্গে প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা। এ ছাড়া আগামী ১০ মে’র পর থেকে বৃষ্টিপাতের ফলে সারাদেশে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরবর্তী ৫ থেকে ৬ দিন দমকা হাওয়া, ঝড়ো বাতাস ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবারও আসতে পারে তাপপ্রবাহ।
০২ মে ২০২৪, ২০:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়