• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লোডশেডিং দেখতে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে চুন্নুর এলাকায় যাওয়ার অনুরোধ
সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক প্রশ্ন করেন, ‘সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’ এ সময় তিনি বলেন, এখন গ্রামগঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে। তার নিজের নির্বাচনী এলাকায় (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। তার এলাকার মানুষ বলেছেন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, লোডশেডিং হয় কি না, তা দেখার জন্য এক দিন থাকতে। পরিস্থিতি দেখতে মুজিবুল হক তার নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে অনুরোধ জানান। রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা গুরুতর। একটি হলো বিদ্যুৎ, আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা। সক্ষমতা সত্ত্বেও ভাড়ায় চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪১ শতাংশ বসে আছে জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। রেন্টাল বিদ্যুতের (ভাড়ায় চালিত) জন্য যে আইন করা হয়েছে, তাকে দায়মুক্তির আইন আখ্যা দিয়ে মুজিবুল হক বলেন, উৎপাদন না করেও বসে বসে ভাড়া নেওয়ার যে চুক্তি, তা জনগণের স্বার্থে বাতিল করতে হবে। বসিয়ে বসিয়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা বিল দেওয়া...তারপর লোডশেডিং থাকবে....কী যে অসহনীয় অবস্থা এ দেশের, ঢাকায় থেকে বোঝা যাবে না। আইএমএফের দেওয়া শর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মন্ত্রী মূল্যবৃদ্ধিকে বলেন সমন্বয়। দাম বাড়ানো বলতে লজ্জা পান, তাই সমন্বয় বলেন তিনি। এ সমন্বয় এক বছর করেছেন। আগামী তিন বছরে ১২ বার করবেন। ভর্তুকি পুরো তুললে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। মূল্যবৃদ্ধি না করে এমন পদক্ষেপ নেন, যেটাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।’ তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার পর দেখা যায়, কোনো গাড়ির ফিটনেস নেই। চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। মন্ত্রী যদি একটু ‘স্ট্রং’ হন। পুরোনো গাড়ি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অটো রাস্তায় না চললে মানুষ এভাবে মারা যাবে না।
৬ ঘণ্টা আগে

রেকর্ড উৎপাদনেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না লোডশেডিং
বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সময় উপযোগী উদ্যোগে ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে বিদ্যুৎ খাত। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতাও বেড়েছে আগের তুলনায়। এরই মধ্যে দুদিন আগে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরপরও বেতাল ভূতের মতো ঘাড়ে চেপে আছে লোডশেডিং। হিসাব বলছে, উৎপাদনে রেকর্ডের কয়েক দিন না যেতেই রেকর্ড হয়েছে লোডশেডিংয়েও। রোববার দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ছাড়িয়েছে এক হাজার ৮৬০ মেগাওয়াট, গত এক দশকের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।  পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ এপ্রিল রাত ৯টায় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশজুড়ে লোডশেডিং অব্যাহত। ২৮ এপ্রিল দুপুর ১২টায় এই লোডশেডিং  পৌঁছায় এক হাজার ৮৬৪ মেগাওয়াটে। পিজিসিবি কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ও তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্যের কারণেই লোডশেডিংয়ের সৃষ্টি হয়। এদিকে আবার বিভিন্ন বিদ্যুৎ সংস্থার গ্রামীণ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লোডশেডিংয়ের মাত্রা এনএলডিসির দেখানো সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থানীয়ভাবে হওয়া বিঘ্নগুলো সবসময় তালিকাভুক্ত হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) একজন কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় বিভ্রাট বিবেচনায় নিলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ দুই হাজার মেগাওয়াটের চেয়েও বেশি হতে পারে। তার তথ্যমতে, গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এত ঘনঘন হয় যে, কোনো সমস্যা হলে গ্রাহকদের দিনে ও রাতে উভয় ক্ষেত্রেই কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় বিদ্যুৎ ফিরে পেতে।  বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে দিনের চাহিদার পূর্বাভাস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট এবং সান্ধ্যকালীন চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। আর বিআরইবি বলছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোর বাসিন্দাদের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এদিকে রেকর্ড উৎপাদনের মধ্যেও লোডশেডিং বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে গ্যাস সংকটের ব্যাপারটিও। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার হাজার এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে তিন হাজার ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট। উৎপাদিত এ গ্যাসের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ ব্যবহার করে বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।  বিশেষ করে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে তাদের বেশিরভাগেরই উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। রোববারের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুই হাজার ৩১৭ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ওইদিন এক হাজার ৪২৩ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এ ছাড়া যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল, চলমান ডলার সংকটের কারণে তাদের উৎপাদনও অদূর ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে, চলতি বছর দেশের সার্বিক বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সরকারের আরও কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।  
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২১

লোডশেডিং নিয়ে যা জানালেন বিদ্যুৎসচিব
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হাবিবুর রহমান বলেছেন, তাপপ্রবাহ কমে গেলে লোডশেডিং আর থাকবে না। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুরের ইসলামপুরে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জায়গা পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন। হাবিবুর রহমান বলেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম থাকার কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। তবে তাপপ্রবাহ কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। বোরো আবাদের অঞ্চল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ছাড়া সব জায়গায় সমানভাবে লোডশেডিং হচ্ছে বলেও জানান হাবিবুর রহমান। দেশের বিভিন্ন চরের মধ্যে সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন হলে আগামীতে লোডশেডিং কমবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তী, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানসহ পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১২

তীব্র দাবদাহের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়াল
তীব্র দাবদাহের মধ্যে ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ১ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এবারই প্রথম বিদ্যুতের ঘাটতি এত বেশি দেখা দিয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়। অথচ এদিন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়ে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দেশে চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট। অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে। এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট। এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১২

তারাবিহ ও সেহরিতে লোডশেডিং হবে না : প্রধানমন্ত্রী
রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তারাবিহ ও সেহরিতে লোডশেডিং হবে না। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজানে তারাবিহ ও সেহরির সময় লোডশেডিং হবে না। তবুও যদি সংকট হয়, তবে দিনের কোনো একটা নির্দিষ্ট সময়ে লোডশেডিং করা হতে পারে। বাজার পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার কাজ করছে। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণসহ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। রমজানে বিভিন্ন পণ্যের শুল্কছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর খুব শিগগিরই মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে আসবে। তিনি বলেন, রমজান তো কৃচ্ছ্রসাধনের মাস। কিন্তু আমাদের এখানে যেন সংযম না করে খাওয়া বেড়ে যায়। মিতব্যয়ী হলে দেখবেন, বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে।   সরকারপ্রধান জানান, আগামী রোজায় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার অভিপ্রায়ে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত জোগানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যতম নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্য সরবরাহের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর বাইরেও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দৈনিকভিত্তিতে কৃষিপণ্যের বাজারদর প্রকাশ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কারও গুজবে কান দেবেন না কেউ। সবাই সতর্ক থাকলে- যারা গুজব ছড়াচ্ছে, তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। কেউ যাতে মানুষের খাদ্য নিয়ে খেলতে না পারে, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। 
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:৪৭

সারাদেশে ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং
লোডশেডিংয়ের আশঙ্কার কথা আজ দুপুরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়। আশঙ্কার কথা জানানোর দিনেই সারাদেশে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ।       কারিগরি ত্রুটির কারণে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় শনিবার সারাদেশে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।  এদিকে এক ফেসবুক পোস্টে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনালের ফ্লোটিং স্টোরেজ ও রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে কারিগরি ত্রুটির কারণে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কম হচ্ছে। অতি দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, এই পরিস্থিতিতে দেশের কিছু কিছু এলাকায় খুবই স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, আজ দুপুরে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৯ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৮ হাজার ৯১৬ মেগাওয়াট। এর আগে আজ দুপুরে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে জানিয়েছে, কারিগরি ত্রুটির কারণে মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এতে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কমেছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের কিছু কিছু এলাকাতে খুবই স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। তবে সাময়িক এ সমস্যার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে দ্রুত সমাধানে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে বৈদ্যুতিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার দিনভর গ্যাস না পেয়ে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। শনিবার সকাল থেকে সরবরাহ শুরু হয়েছে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৫৪

এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন, হতে পারে লোডশেডিং
কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং হতে পারে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। শনিবার (২০ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। সাময়িক এ সমস্যার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তারা বলেছে, সমস্যার দ্রুত সমাধানে কাজ চলছে। এতে বলা হয়, মহেশখালীতে টার্মিনালের কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় বর্তমানে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কিছুটা কম হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অতি দ্রুত সমাধানে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। এই পরিস্থিতিতে দেশের কিছু কিছু এলাকায় খুবই স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন জানান, মহেশখালীতে টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটিতে এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। এতে সাময়িকভাবে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে দেশের কিছু অঞ্চলে হয়তো লোডশেডিং হতে পারে।   সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় কাজ করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এটি সাময়িক সমস্যা; যা দ্রুত কেটে যাবে। গ্রাহকদের অনাকাঙ্ক্ষিত অসুবিধার জন্য মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এর আগে রক্ষণাবেক্ষণ শেষে আনা মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনাল সময়মতো চালু করতে না পারায় শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দেশের পূর্বাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জসহ ছয় জেলায় গ্যাস সরবরাহে বিপর্যয় ঘটে। বিতরণ কোম্পানির আগাম বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হঠাৎ বিপর্যয়ে রান্না করতে না পেরে খাবারের কষ্টে পড়েন সাধারণ গ্রাহকেরা। পাশাপাশি শিল্পকারখানার উৎপাদনও বিঘ্নিত হয়। ছয় জেলার মধ্যে রয়েছে কর্ণফুলী বিতরণ কোম্পানির (কেজিডিসিএল) আওতাধীন চট্টগ্রাম, বাখরাবাদের কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর এবং তিতাসের নারায়ণগঞ্জ। জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা এলএনজির বড় অংশ এসব জেলায় সরবরাহ করা হয়।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়