• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এই গরমে ফলের রস নাকি স্যালাইন, কোনটি খাবেন
দেশজুড়ে গত কয়েক দিন থেকেই তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে। এতে বিপর্যস্ত জনজীবন। এদিকে গরমের কারণে সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। ফলে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়। শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করে ক্লান্তি দূর করতে পানি এবং পানীয়জাতীয় খাবারের কোনো বিকল্প নেই। তবে অনেকেই মনে করেন দ্রুত পানিশূন্যতা পূরণে স্যালাইন খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আবার অনেকে ভরসা রাখেন ফলের রসের ওপর। যে কারণে গরমের শুরু থেকেই ওআরএস এবং ফলের রস খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই দুই ধরনের পানীয়ের মধ্যে কোনটা পান করলে শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে পারবেন। জেনে নিন: স্যালাইনের উপকারিতা: আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়ে এসেছে ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন বা খাবার স্যালাইন। কোনো কারণে ডিহাইড্রেশন হলে শরীর থেকে পানির পাশাপাশি সোডিয়াম-পটাশিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান দ্রুত গতিতে বাইরে বেরিয়ে যায়। আর সেই সুবাদে আক্রান্তের স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে দেহে পানি এবং অন্যান্য খনিজের ভারসাম্য ফেরানোর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওআরএস। তাই সারা পৃথিবীজুড়েই ওআরএস-এর এতটা চাহিদা। ফলের রসই মহৌষধ : পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে তাজা ফলের রস নিয়মিত খাওয়া যেতেই পারে। তাতে যেমন পানির ঘাটতি মিটে যায়, ঠিক তেমনই শরীরে প্রবেশ করবে অত্যন্ত উপকারী সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শুধু তাই নয়, যে কোনও ফলের রস থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ মেলে। তাই এই গরমে শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত যেকোন ফলের রস পান করা ভালো। তাতেই শরীরে উপকার পাবেন হাতেনাতে। ফলের রস নাকি স্যালাইন: পুষ্টিবিদরা বলছেন, গরমের এই সময়ে এই দুই পানীয়ই শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তাই প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে ফলের রস এবং স্যালাইন, এই দুই পানীয়ই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেতে হবে। তবে ডিহাইড্রেশন হলে বা ডায়রিয়ার কবলে পড়লে তখন আর ফলের রসে কাজ হবে না। তখন অবশ্যই নিয়ম মেনে স্যালাইন খেতে হবে। বাড়িতেই বানান ফলের রস: তবে ফলের রস খেতে চাইলে ঘরেই তাজা ফল থেকে রস করে খাওয়া উচিত। বাজারজাত যেকোনো বোতলবন্দি ফলের রস খেলে কিন্তু কোনো লাভ পাবেন না। কারণ এইসব ফলের রসে চিনি এবং ফ্লেভার মিশ্রিত থাকে যা কিনা শরীরের উপকারের বদলে ক্ষতি করে বেশি। তার চেয়ে বরং গরমে সুস্থ থাকতে টাটকা ফল কিনে এনে বাড়িতে রস করে খান। তবে ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ বা অন্য কোনও ক্রনিক রোগ থাকলে নিয়মিত ফলের রস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে ফলের রস আর স্যালাইন যেটাই খান না কেনো, নিয়মমাফিক অবশ্যই প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার করে পানি পান করতে ভুলবেন না।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৬

গরমে বেড়েছে আখের রসের চাহিদা
দেশের অন্যান্য জেলার মতো তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন। তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৬ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। আর এই গরমে কিছুটা স্বস্তি পেতে কদর বেড়েছে আখের রসের। হিলির বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দেখা মিলছে রস বিক্রি। প্রতি গ্লাস বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে।  হিলির জিরোপয়েন্ট আখের রস নিতে আসা সোহান মল্লিক বলেন, হিলিতে অতিরিক্ত গরম পড়ছে। পানির তৃষ্ণা পাচ্ছে বেশি। যার জন্য আখের রস নিতে আসলাম। রস পান করে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি।  হিলিতে রস বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আখ কিনে এনে হিলির বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রস বিক্রি করছি। আগে থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা গ্লাস বিক্রি করছি। দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। কারণ এই গরমে মানুষের পানির তৃষ্ণা পেলেই তো রস পান করবেন। যদি দাম বেশি রাখি তাহলে মানুষ কষ্ট পাবে। প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ পিচ আখ থেকে রস তৈরি করে বিক্রি করি। এই দিয়ে আমার সংসার ভাল ভাবেই চলে।  দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জুর রহমান বলেন, তাপপ্রবাহ থাকবে আরও কিছুদিন। আপাতত দিনাজপুরে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিন ৩৩ থেকে ৩৬ ডিগ্রির মধ্যেই তাপমাত্রা থাকছে।  এদিকে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলতুতমিশ আকন্দ বলেন, তীব্র এ গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইনসহ তরল খাবার খেতে হবে। কারণ গরমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি বের হয়ে যাচ্ছে। রোদে ছায়ার মধ্যে থাকতে হবে। প্রয়োজনে বের হলে সঙ্গে ছাতা নিতে হবে।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪১

টাইগারদের কোচ হতে চান রস টেইলর
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কোচের পোস্ট-ই ফাঁকা। বৈশ্বিক মহারণের পর পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেনি দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-বিসিবি। এ ছাড়া কোচিং স্টাফে ফাঁকা ব্যাটিং, স্পিন বোলিং এবং ফিল্ডিং কোচও। বিশ্বকাপের পর এসব জায়গা পূরণে বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই পদে কাজ করতে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড থেকে অনেকেই আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় অনেক সাবেক ক্রিকেটারও আবেদন করেছেন। আর মার্চে শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগেই এসব কোটা পূরণ করতে চায় বিসিবির কমিটি। বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচ হতে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গতিময় পেসার শন টেইট আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আফগানিস্তান জাতীয় দলের পেস বোলিং পরামর্শক ও পাকিস্তানের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পালনে তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এদিকে নিউজিল্যান্ড সিরিজে টাইগারদের পেস বোলিং কোচ ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কলিমোর। এইচপির কোচ হিসেবে বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ আছেন তিনি। তিনিও জাতীয় দলের কোচ হতে আগ্রহী। এ ছাড়া স্থানীয় মাহবুব আলি জাকিও এই পদে আবেদন করেছেন। এদিকে ব্যাটিং কোচ হতে আগ্রহ দেখিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার তুষার ইমরান। এই ক্যাটাগরিতে বড় নাম নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ব্যাটার রস টেইলর। টাইগারদের সাবেক হেড কোচ স্টুয়ার্ট ল-ও ব্যাটিং কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এসব পদে দিলেও স্পিন বোলিং কোচ চেয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয়নি বিসিবি। তবে রঙ্গনা হেরাথকে বছরে ২০০ দিন কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিল বিসিবি। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন সাবেক এই লঙ্কান ক্রিকেটার।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৪

খেজুরের কাঁচা রস পান করে হাসপাতালে ৬ শিক্ষার্থী 
নড়াইল সদরের শাহাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী খেজুরের রস পান করে অসুস্থ হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা জানান, সকালে স্কুলে আসার পরে ৯টার দিকে তারা ১০-১২ জন শিক্ষার্থী স্কুলের পাশের কয়েকটি খেজুরের গাছে উঠে রস পেড়ে আনেন। এরপর তারা সবাই সেই খেজুরের রস পান করেন। এরমধ্যে কম বেশি সকলে অসুস্থ হলেও ৬ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান। কেউ কেউ বমি করতে থাকেন। এ অবস্থায়   অসুস্থ শিক্ষার্থীদের তাদের সহপাঠীরা নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।  তারা আরও জানান, খেজুরের রসের মধ্যে অন্য কিছু ছিলো কিনা তা তারা জানেন না। তবে রস পান করা কয়েকজন সুস্থ আছেন বলেও জানান তারা।  অসুস্থ শিক্ষার্থীরা সবাই শাহাবাদ ও দলজিতপুরের বাসিন্দা। তারা সকলে শাহাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেশমী খাতুন জানান, শিক্ষার্থীরা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মাত্রা বেশি না হওয়ায় ওয়াশ করার প্রয়োজন পড়েনি। একজন বমি করেছেন, তার অবস্থা খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হবে। 
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৮

খেজুরের রসে চাঙা ফেনীর সোনাগাজী
অনলাইনে বিপণন বাড়ায়, খেজুর গাছ রোপণ ও রস আহরণ বেড়েছে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায়। এখানে প্রতিদিন গড়ে ৭০ হাজার লিটার খেজুর রস পাচ্ছেন গাছিরা, চলছে জমজমাট বেচাকেনা। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত গত এক সপ্তাহ ধরে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৩০ হাজারের বেশি খেজুর গাছ রয়েছে। তার মধ্যে রসের জন্য কাটা হয়েছে ১৮ হাজারের মতো। এখানে সরকারিভাবেও বিতরণ করা হচ্ছে খেজুরের চারা গাছ। সংশ্লিষ্ট সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, একটি গাছ থেকে দৈনিক গড়ে ৫ লিটার রস পাওয়া যাচ্ছে। এক লিটার রস বিক্রি করে গাছিরা গড়ে সর্বনিম্ন দাম পাচ্ছেন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। সেই হিসাবে পুরো উপজেলার ১৮ হাজারের মতো গাছ থেকে প্রতিদিন গড়ে রস সংগ্রহ হচ্ছে ৭০ হাজার লিটারের মতো। যার মূল্য প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষাধিক টাকা। সংশ্লিষ্টদের দাবি, ‘শীতের যশ, খেজুরের রস’ আবহমানকাল ধরে চলে আসা এ প্রবাদটি এ উপজেলায় আজও প্রাসঙ্গিক। রস ছাড়া বাঙালির শীতকালটা যেন জমেই না। চিরায়ত এ ঐতিহ্যেও এখন লেগেছে ডিজিটালের ছোঁয়া। শহর-নগরের মানুষ ঘরে বসেই চুমুক দিচ্ছেন তাজা রসের গ্লাসে। সনাতন বাজার ব্যবস্থার বাইরেও এখানকার খেজুরের রস কেনাবেচা হচ্ছে অনলাইনেও। জানা গেছে, ফেনী জেলা শহরসহ সোনাগাজী ও আশপাশের কয়েকটি উপজেলার বেশকজন যুবক অনলাইনে জমিয়ে তুলেছে এ রসের হাট। এ ছাড়া প্রকৃতিতে এখন শীতের দাপট, ফলে জমে উঠেছে খেজুরের রসের হাট। তবুও জেলা শহরে স্বাদের এ রস যেন সোনার হরিণ। সোনাগাজী ছাড়া এ জেলার অন্য উপজেলার অনেক গ্রামেও সহজে মেলে না রসের দেখা। এমন পরিস্থিতিতে খেজুর গাছ কাটার ব্যবস্থা করে রস সংগ্রহ করছেন ফেনীর একদল নতুন উদ্যোক্তা। গাছিদের কাছ থেকে সরাসরি রস সংগ্রহ করে অনলাইনে বিক্রি করছেন তারা। নিজস্ব তত্ত্বাবধানে খেজুরের রস সংগ্রহ করে ভোজনবিলাসীদের চাহিদা মেটাচ্ছেন এসব উদ্যোক্তারা। অর্ডার পেলে রস পৌঁছে দিচ্ছেন ঘরে ঘরে। অর্ধ শতাধিক তরুণ উদ্যোক্তাসহ কয়েক শতাধিক মানুষ ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌসুমি এ ব্যবসায়। অনলাইনে বিকিকিনি হয় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার বেশি। অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে পুরো মৌসুম রসের এ বাজার কয়েক কোটি টাকার। এ উদ্যোক্তাদের একজন ফেনীর উপকূলীয় জনপদ সোনাগাজী উপজেলার আদর্শ গ্রামের যুবক মোহাম্মদ আলী। বছরের অন্য সময় ভিন্ন ব্যবসা করলেও শীতের পুরো মৌসুমে ব্যস্ত থাকেন রসের ব্যবসায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে গত মৌসুমেও সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি খেজুরের রস বিক্রি করেছেন তিনি। চলতি মৌসুমে বিগত মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার লক্ষ্য তার। নেয়ামত নামের এক যুবক বলেন, এলাকার দেড় শতাধিক গাছ থেকে প্রতিদিন রস সংগ্রহ করে তিনি পৌঁছে দিচ্ছেন শহরের মানুষের ঘরে ঘরে। তিনি জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি মৌসুমে সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার রস বিক্রি করা সম্ভব। সেই লক্ষ্যেই তিনি কাজ করছেন। রসে যাতে ইঁদুর-বাদুড় মুখ দিতে না পারে, নিপাহ ভাইরাস ছড়াতে না পারে সেজন্য নেট দেওয়াসহ বিশেষ নিরাপত্তার কথাও জানিয়েছেন তিনি। ফেসবুক পেজ সহজ বাজারের রাশেদ, ই-ফাতাহ’র নিশাদ ও হ্যালো কলের হান্নানসহ এমন আরও বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা অনলাইনে এ খেজুরের রসের হাট জমিয়ে তুলেছেন। ভোরে গ্রামে গিয়ে গাছিদের কাছ থেকে রস সংগ্রহ করে পৌঁছে দিচ্ছেন শহরের মানুষের ঘরে ঘরে। সহজ বাজারের রাশেদ জানান, অনলাইনে তারা ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। মৌসুমী এ রস বিক্রি করে আয়ও হচ্ছে সন্তোষজনক। ই-ফাতাহ’র নিশাদ বলেন, সময় পাল্টেছে, অনলাইনের বদৌলতে মানুষ এখন সব পাচ্ছে হাতের মুঠোও। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নির্ভেজাল খেজুর গাছের রস আমরা নিয়ে এসেছি মানুষের দোরগোড়ায়। বছর কয়েক আগেও এখনকার মতো রস বিক্রি হতো না। তখন নিজেরা খেয়ে যা বাঁচতো তা দিয়ে ঝোলাগুড় তৈরি করা হতো। দাম ছিল না তেমন। হালের অনলাইনের আবির্ভাবে রস বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছেন প্রান্তিকের মানুষগুলো। রস সংগ্রহকারী ষাটোর্ধ গাছি নজির আহম্মদ বলেন, আগে খেজুর গাছের রস তেমন বিক্রি হতো না। এখন অনলাইনের কারণে রস একটুও থাকে না। সব বিক্রি হয়ে যায়। এদিকে শহরের বাসায় বসে একদম গ্রাম থেকে আসা খেজুরের রস খেতে পেরে উচ্ছ্বসিত ভোক্তারাও। খরচ একটু বেশি হলেও তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন তারা। ফেনী শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার বাসিন্দা জহিরুল হক বলেন, এটা সত্যিই ভালো লাগার। সেই সোনাগাজীর আদর্শগ্রামের টাটকা রস ফেনী শহরে বসে খাওয়াটা সৌভাগ্যের। এ বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন আহমেদ (সোহাগ) বলেন, খেজুর গাছের রস বর্তমানে একটি অর্থ উপার্জনের বিষয় হয়ে উঠেছে। অনলাইনের কারণে বিপণনও বেড়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখে সরকারিভাবেও বিতরণ করা হচ্ছে খেজুরের চারা গাছ। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগও নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়