• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ / যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযান, শতাধিক গ্রেপ্তার  
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। দিন যত গড়াচ্ছে ক্রমেই বড় আকার ধারণ করছে ইসরায়েলবিরোধী এ বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যাপক ধরপাকড় চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ প্রশাসন। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং নিউইয়র্কের সিটি কলেজ ক্যাম্পাসে রাতের আঁধারে পরিচালিত  হয়েছে পুলিশি অভিযান। এ অভিযানে ক্যাম্পাস দুটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিন সমর্থকারীকে।  বুধবার (১ মে) মার্কিন এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সিএনএন।  মার্কিন সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতদের বেশিরভাগ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন হ্যামিল্টন হলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর রাতে তাদের সরাতে ভবনে প্রবেশ করে পুলিশ। নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, দুই ঘণ্টারও কম সময়ের এ অভিযানে হ্যামিল্টন হল থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসময় কেউ আহত হয়নি বলেও দাবি পুলিশের। এর আগে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত নিউইয়র্ক পুলিশকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই চিঠি পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে রাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পুলিশের বড় একটি দল। উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে প্রথম ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে নিউইয়র্ক পুলিশ। ওই অভিযানে শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের পর বিক্ষোভের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে। গত এক সপ্তাহে পুলিশ ৫৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
২ ঘণ্টা আগে

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলের রাজ্যগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বেশ কয়েকটি শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চার মাসের একটি শিশু আছে। ঝড়ের পর রোববার (২৮ এপ্রিল) বেশ কয়েকটি রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণ করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শুক্রবার শুরু হওয়া পৃথক ঝড়ের কারণে এখন পর্যন্ত রাজ্যগুলোর কয়েক হাজার বাসিন্দা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। ঝড়ের কারণে ওকলাহোমায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া মিডওয়েস্টে পৃথক আরেকটি ঝড়ের আঘাতে আরেক ব্যক্তি মারা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা জানিয়েছে, গত শনিবার আঘাত হানা কিছু টর্নেডোয় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১৮ কিলোমিটারের বেশি। টেক্সাস থেকে মিজৌরি পর্যন্ত বয়ে যাওয়া ঝড়ে কোথাও কোথায় ঘণ্টায় ১৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ওকলাহোমার সালফার শহরটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উল্টো গেছে অনেক গাড়ি। ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এই দুর্যোগে প্রায় ১০০ ব্যক্তির আহত হয়েছেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪২

ফিলিস্তিনের পক্ষে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, গ্রেপ্তার ৯০০
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শত শত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করছে দেশটির পুলিশ। এখন পর্যন্ত ক্যাম্পাসগুলো থেকে কমপক্ষে ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। এর মধ্যে শুধু শনিবারই (২৭ এপ্রিল) বোস্টনের নর্থ-ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে চলা বিক্ষোভ থেকে ২৭৫ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদসংস্থা এপির আরেকটি প্রতিবেদন বলছে, গত ১৮ এপ্রিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবির সরিয়ে নেয় নিউইয়র্ক পুলিশ। পাশাপাশি শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয় সেখান থেকে। এ ঘটনার পর ফুঁসে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘গণহত্যা থেকে বিচ্ছিন্ন’ থাকার আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা। যেসব প্রতিষ্ঠান অস্ত্র সরবরাহসহ বিভিন্ন উপায়ে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় সহযোগিতা করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি না দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।  এদিকে ক্যালিফোর্নিয়া, জর্জিয়া এবং টেক্সাসের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি সদস্যরা বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন এবং মার্কিন নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা ভোট গ্রহণ করেছেন। প্রসঙ্গত, হামাস নির্মূলের নামে গত সাড়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ও নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজায়। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এ সময়ে আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে গাজায় দখলদার ইসরায়েলের এই নির্বিচার আগ্রাসন ও ধ্বংসযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল। ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত ভূখণ্ডটিতে মানবিক বিপর্যয়ের এমন পরিস্থিতিতেও ইসরায়েলকে সরাসরি মদদ দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র ছাড়াও বড় অর্থনৈতিক সহায়তা বরাদ্দ অব্যাহত আছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে।   
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৪

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলার কারণ খোলাসা করলেন পাপন
আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সময়ের হিসেবে আর মাত্র ৩৬ দিন বাকি বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের। বৈশ্বিক এই মহারণকে সামনে রেখে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। রোডেশিয়ানদের পর টুর্নামেন্টের আয়োজকদের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে লাল-সবুজেরা। এদিকে অন্য দলগুলো যখন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে, সেখানে বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কেন খেলছে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে নানান বিতর্ক। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মন্তব্য, কার সঙ্গে খেলছি; সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। ক্রীড়ামন্ত্রীর ভাষ্যমতে, প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য ওইখানে (যুক্তরাষ্ট্র) যাচ্ছে না। প্রস্তুতি যা হওয়ার এই বিশ্বকাপের আগেই শেষ বা করতে হবে। আর যেহেতু জীবনে প্রথমবার ওইখানে খেলছে, তাই সেখানকার কন্ডিশন বোঝার জন্যই তাদের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছি। সেটার জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেললাম, না কার সঙ্গে খেললাম; সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। কন্ডিশন বোঝার জন্য খেলছে, সেটাই মূল কারণ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময়ে ঘরের মাঠে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের বাদ পড়া নিয়েও খোলাসা করেন বিসিবি বস। পাপনের ভাষ্যমতে, আমি জানতাম না। কিন্তু এখানে বেসিক জিনিসটা হচ্ছে, তারা যখন দলটা নির্বাচন করে, আপনি এখন এখানে কার কথা বলবেন, ১৫ জনের দলে বা ১৭ জনের দলের মধ্যে খেলবে কিন্তু ১১ জন। এই ১১ জন যখন আপনারা ঠিক করেন, আপনাদেরই যদি প্রশ্ন করি বলবেন, এখানে বাকিরা খেলবে না। এখন আপনি কি মনে করেন মিরাজের মত ছেলেকে না খেলিয়ে বসিয়ে রাখা উচিত। ক্রীড়ামন্ত্রীর মন্তব্য, ‘আমি বলছি যাদের নিয়ে খেলানোর সম্ভাবনা আছে, তারা আছে কিনা; সেটা দেখেন, বেস্ট ইলেভেন। সেরা একাদশে আপনি যদি নিজেরাই সাজাতে চান, তাহলে আপনি দেখবেন; স্কোয়াড ঠিক আছে! আপনি যদি এখন অতিরিক্ত প্লেয়ার কাকে নেওয়া হচ্ছে, সেটার ভিতরে যদি মিরাজকে ধরেন, এটা তো দুঃখজনক। এটায় মিরাজকে ধরা উচিত না। তার যেকোনো সময় যেকোনো ফরম্যাটে সেরা একাদশে খেলতে পারে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে এই মুহূর্তে সে হয়তো আসে নাই। কিন্তু সে সবসময় প্রস্তুত থাকবে। আমাদের যদি দরকার হয়, সে যাতে ওইখানে গিয়ে জয়েন করতে পারে।’ এ সময়ে বছরজুড়ে সিরিজের প্রসঙ্গও যোগ করেন তিনি। পাপনের দাবি, আরেকটা কথা যে পরিমাণ খেলা ক্রিকেটে এখন সারা বছর ধরে, এটা কারোর পক্ষেই সব খেলা সম্ভব না। ওডিআই, টি-টোয়েন্টি আর টেস্ট; অনেক খেলা। আমরা বছরে যেখানে খেলতাম, দুই বা তিনটা সিরিজ, এখন আমাদের ১৫ থেকে ১৬টা খেলতে হচ্ছে। তাই সবাই যেসব ফরম্যাটে খেলবে, বিষয়টা সেটা না। মিরাজ যদি টেস্ট এবং ওয়ানডেতে মনোযোগ দেয়, তাহলে ভালো। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে খেলবে না। এমন কোন কথা নেই। যখন দরকার হবে, অবশ্যই খেলবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৯

ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ / যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার
গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে গণগ্রেপ্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙের কারণে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দেশটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মায়মুনা ইসলাম নুহার রুমমেটসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম জেলার সদ্বীপ উপজেলা বাসিন্দা মনির হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে। এই বিক্ষোভের জেরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে তার মেয়ে মায়মুনা ইসলাম নুহাও রয়েছেন। তিনি আরও জানান, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মুখ সারির প্রতিবাদী হিসেবে কাজ করছেন তার মেয়ে নুহা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুহার রুমমেট ও মিনেসোটার কংগ্রেসওমেন ইলহান আবদুল্লাহি ওমরের মেয়ে ইসরা হিরসিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  নুহা ফুল স্কলারশিপ নিয়ে নিউরো সায়েন্সের তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিও করছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নুহা লুকিয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তার বাবা। তিনি আরও জানান, মেয়ে নুহা এবং তার সহপাঠীরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ইসরায়েলের ফান্ড প্রত্যাখানের দাবি জানাচ্ছেন। তারা অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধেরও দাবি জানাচ্ছেন। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেকেও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।  মনির হোসেন বলেন, নুহা ও তার সঙ্গীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবতার পক্ষের আন্দোলনে ক্রমশ যুক্ত হতে শুরু করছে। 
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৭

ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিসহ এক ডজনেরও বেশি সংস্থা, ব্যক্তি এবং জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সাহারা থান্ডারকে এই প্রচেষ্টার সমর্থনে ইরানের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের তদারকিকারী প্রধান ফ্রন্ট কোম্পানি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সাহারা থান্ডারকে সমর্থন করার জন্য ভারতভিত্তিক তিনটি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা হলো— জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট। শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড। চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৭

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থাকলে মৃত্যু হতে পারে ইউরোপের : ম্যাক্রোঁ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বজায় থাকলে যেকোনো সময় ইউরোপের মৃত্যু হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। আর এজন্য ইউরোপকে শক্তিশালী করার দিকে দৃষ্টি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।     বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ফ্রান্সের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে এমন সতর্কবার্তা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।  সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ার ভয়ংকর পরিণতির কথা উল্লেখ করে ম্যাক্রোঁ বলেন, ইউরোপের মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত নই এখনও। সামরিক, অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য চাপ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দুর্বল করে দিতে পারে। তাই ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প ছাড়া কোনো প্রতিরক্ষা নেই। আমরা গত কয়েক দশক ধরে এ খাতে অপর্যাপ্ত বিনিয়োগের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের আরও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন করতে হবে। দ্রুত গতিতে উৎপাদন করতে হবে এবং আমাদের ইউরোপীয়ান হিসেবে উৎপাদন করতে হবে। ফরাসি এই প্রেসিডেন্ট অবশ্য গত কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হওয়ার জন্য বারবার তাগিদ দিয়ে আসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। সবশেষ বৃহস্পতিবারও তিনি বললেন, আমাদের দেখাতে হবে ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের আজ্ঞাবহ নয় এবং অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয় সেটি ইউরোপও জানে। ইউরোপের অনেক নেতাই একমত নন ম্যাক্রোঁর সঙ্গে। তাদের মতে, এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া তাদের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। কেউ কেউ আবার মনে করেন, ম্যাক্রোঁ ফ্রান্সের নিজস্ব শিল্প স্বার্থের বিষয়টির জন্য এমন সব কথা বলে থাকেন।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৮

টিকটক নিষিদ্ধে বিল পাস যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আনা একটি বিল অনুমোদন করেছে দেশটির সিনেট। বিলটি এখন স্বাক্ষরের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে যাবে এবং তার স্বাক্ষরের পর এটি আইনে পরিণত হবে। বিলের শর্ত অনুযায়ী, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান, বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের শেয়ার আগামী ছয় মাসের মধ্যে বিক্রি করে দিতে হবে। অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্রে এই অ্যাপটি ব্লক করে দেওয়া হবে। আর এমনটি হলে বাধ্যতামূলকভাবে টিকটক বিক্রির বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন চাইতে হবে বাইটড্যান্সের। তবে বেইজিং ইতোমধ্যেই শক্তভাবে এর বিরোধিতা করেছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে চারটি বিলের একটি প্যাকেজের সঙ্গে এ বিলটি পাস হয়েছিলো। ওই প্যাকেজে ইউক্রেন, ইসরায়েল, তাইওয়ান এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারদের জন্য সামরিক সহায়তা সংক্রান্ত বিষয়ও ছিল। জানা গেছে, চালুর অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ভিডিও শেয়ারের অ্যাপটি নিষিদ্ধের জন্য গত শনিবার প্রস্তাব উঠলে তা বড় ধরনের সমর্থন লাভ করে সিনেটে। সেখানে ৭৯ জন সিনেটর প্রস্তাবের পক্ষে আর ১৮ জন তার বিরুদ্ধে ভোট দেন। উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ব্যবহারকারী আছে টিকটকের। তবে এখন এর সঙ্গে চীনা সরকারের যোগসূত্র এবং এর ব্যবহারকারীদের তথ্য উপাত্তের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে। সূত্র: বিবিসি  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, সর্বশক্তি দিয়ে লড়বেন নেতানিয়াহু
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ওই ইউনিটে কমতে পারে মার্কিন সহায়তা। এমন অবস্থায় সেনাবাহিনীর ওপর যেকোনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এমনকি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াইয়ের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর যেকোনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটে সহায়তা কমানোর পরিকল্পনা করছে এমন খবরের পর তিনি এই অবস্থান জানান। রোববার (২১ এপ্রিল) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব।’ এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাক্সিওস নিউজ সাইট জানায়, অধিকৃত পশ্চিমতীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরেপ করতে পারে। মূলত ‘নেতজাহ ইয়েহুদা’ নামের এই ইউনিটটি ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিমতীরে মোতায়েন রয়েছে। পশ্চিমতীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু অভিযোগ রয়েছে নেতজাহ ইয়েহুদার বিরুদ্ধে। অধিকৃত পশ্চিমতীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ইউনিটগুলোতে মার্কিন সামরিক সহায়তা হ্রাস করা হতে পারে এমন প্রতিবেদন সম্পর্কে গত সপ্তাহে জিজ্ঞাসা করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছিলেন: ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি; আপনারা সামনের দিনগুলোতে সেসব সিদ্ধান্ত দেখতে পাবেন বলে আশা করতে পারি।’ অবশ্য ইসরায়েলের প্রধান মিত্র ওয়াশিংটন এর আগে কখনোই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বা আইডিএফের কোনও ইউনিটের সহায়তা স্থগিত করেনি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, নেতজাহ ইয়েহুদা ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনেই’ কাজ করছে। তারা বলেছে, ‘ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এই রিপোর্টের পরও আইডিএফ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয়। আইডিএফ কাজ করছে এবং আইন অনুযায়ী কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা তদন্ত করতে কাজ করে যাবে।’ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট নেতজাহ ইয়েহুদার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও ঘনিষ্ঠভাবে দেখছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) অ্যাক্সিওস তিনটি মার্কিন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে নেতজাহ ইয়েহুদার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ‘নেৎজাহ ইহুদা’ নামক পদাতিক ব্যাটালিয়নটি অতীতে ডানপন্থি সন্ত্রাস ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে বিতর্ক রয়েছে। ২০২২ সালে ৮০ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-মার্কিন নাগরিক ওমর আসাদের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখযোগ্য। ব্যাটালিয়নের সেনাদের হাতে আটক থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তিনি হাতকড়া পরা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিলেন।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৭

যুক্তরাষ্ট্রের তুলায় উৎপাদিত পোশাকের শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা চায় ঢাকা
যুক্তরাষ্ট্রের তুলা থেকে তৈরি বাংলাদেশি পোশাকের জন্য শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা প্রদানের অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে পোশাকের বাইরে অন্যান্য সম্ভাবনাময় পণ্য যেমন ওষুধ, সিরামিকসহ বেশ কিছু পণ্য রপ্তানির সুযোগ এবং ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি করেছে বাংলাদেশ। রোববার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্ট (টিকফা) এর অন্তবর্তী বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব দাবি উত্থাপন করা হয়। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প এখন অনেক বেশি কমপ্লায়েন্ট। এখানে পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা দরিদ্র জনগোষ্ঠির, তাদের জীবমান উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র যদি অবদান রাখতে চায় তাহলে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করতে পারে। এছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধান অনুসারে আফ্রিকার স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কমুক্ত সুবিধা বহাল রেখেছে। তাহলে বাংলাদেশসহ এশিয়ার দেশগুলো কেন পাবে না। আমরা ইতোমধ্যে শ্রম পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি করেছি এবং আইনি সংস্কার আনা হয়েছে।  তিনি বলেন, সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশি পোশাক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাওয়ার যোগ্য বলে আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। তপন কান্তি ঘোষ আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমরা প্রযুক্তি সহায়তা চেয়েছি, যার মাধ্যমে কৃষিসহ অন্যান্য পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি করতে পারি। একইসঙ্গে কৃষিপণ্য রপ্তানির জন্য স্ট্যান্ডার্ড সার্টিফিকেশন এবং প্রয়োজনীয় এ্যাক্রিডিটেশন নিশ্চিতকল্পে সহায়তা চেয়েছি।   তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির অধিক উন্নতির জন্য সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১১ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এছাড়া তারা মেধাস্বত্ব আইনের যথাযথ প্রয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ফাইন্যান্স করপোরেশন ফ্যাসালিটিজের আওতায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তুলা রপ্তানি বাড়াতে আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্র ইতমধ্যে তুলা আমদানিতে ডাবল ফিউমিগেশন পদ্ধতি বাতিল করেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, দুই বছর আগে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের তুলার বাজারের হিস্যা ছিল ৯ শতাংশ। ডাবল ফিউমিগেশন পদ্ধতি বাতিল করার পর এখন তা বেড়ে প্রায় ১৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত তুলা ব্যবহার করে বাংলাদেশে উৎপাদিত আরএমজি পণ্যগুলোতে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ। সূত্র : বাসস
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়