• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি মেটার
তথ্য-প্রযুক্তি খাতে ২০২১ সালের এক আইন কার্যকর করতে চাইছে ভারত সরকার। সে আইন অনুসারে হোয়াটসঅ্যাপকে তার এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন নীতি ভঙ্গ করে ইউজারদের তথ্য ও তাদের বার্তাগুলো দিতে বলা হয়েছে সরকারকে। কিন্তু ভারত সরকারের এ নির্দেশনা মানতে রাজি নয় হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। আর তাই তারা আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে দ্বারস্ত হয়েছে আদালতের।  দিল্লি হাইকোর্টে মেটার মুখপাত্র তেজস করিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আমাদের যদি এনক্রিপশন ভাঙতে বলা হয় তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করতে হবে। কারণ, মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে শুধুমাত্র তার গোপনীয়তা নীতির জন্য।  প্রসঙ্গত এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন হলো এমন একটি প্রাইভেসি ফিচার যা অনেক বছর ধরেই হোয়াটসঅ্যাপ তার ব্যবহারকারীদের দিয়ে আসছে। এটির সুবিধা হল প্রেরক বা সেন্ডার যা পাঠাচ্ছেন তিনি এবং যিনি রিসিভ করছেন অর্থাৎ প্রাপক- এ দুজন ছাড়া আর কেউ জানতে পারবে না। সেটা মেসেজই হোক কিংবা ছবিই হোক। হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতেও এই ফিচারের উল্লেখ করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ভারত সরকারের নতুন আইটি নিয়মে হোয়াটসঅ্যাপকে চ্যাটগুলো ট্রেস করতে এবং বার্তাগুলো যারা পাঠিয়েছেন তাদের শনাক্ত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এটি তাদের প্রাইভেসি পলিসি বা এনক্রিপশন ব্যবস্থাকে দুর্বল করে। পাশাপাশি ভারতীয় সংবিধানের অধীনে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নীতি লঙ্ঘন করে। তাই তারা এই এনক্রিপশন ভাঙতে পারবে না। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি হচ্ছে, অনলাইন সুরক্ষা নিশ্চিতে এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট রুখতে মূল ব্যক্তিকে শনাক্ত করা জরুরি। যারা সমাজে ভুয়া তথ্য ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর দায়িত্ব। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ট্রেস করার জন্য কিছু মেকানিজম বা প্রযুক্তি আনা উচিত। তবে বিষয়টির জটিলতা বুঝতে পেরে প্রাইভেসি ও শনাক্তকরণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কথা জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত। ফেসবুক মালিকাধীন এই অ্যাপের ৯০ কোটির বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী রয়েছে ভারতে। সুতরাং, দেশটিতে যদি অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এটা একটা বড় ঘটনা হবে। অবশ্য, ভারতের বাজার ছাড়ার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি মেটার পক্ষ থেকে। 
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩১

ভারতে ভোট দিতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু
ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। সাত দফার এই নির্বাচনে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দ্বিতীয় দফার ভোটে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে চারজন ভোটার এবং অপর একজন পোলিং এজেন্ট। দেশটির কেরালায় এমন ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে এই খবর পাওয়া গেছে। রাজ্যের ওট্টাপালামে ভোট দিতে গিয়ে দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৬৮ বছর বয়সী চন্দ্রন নামে এক ভোটার। পরে দ্রুত ওট্টাপালাম স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিন সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এদিকে, দুপুরে ৬৩ বছর বয়সী এ. টি. সিদ্দিকী নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাপপ্রবাহের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।  ঠিক একইভাবে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হয় ৭৬ বছর বয়সী কোমবোত্তাইল কন্দন নামে ভিলায়োদি এলাকার এক বাসিন্দার। ঘটনাটি ঘটে আলাপ্পুঝা জেলার আমবালাপুঝা এলাকায়। এদিকে, শুক্রবার এস.এন.ভিটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩৮ নম্বর বুথে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন কাক্কাঝাম ভেলিপাড়াম্ভু সোমারাজন। এরপর বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৮২ বছর বয়সী ওই ভোটার। পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।  অন্যদিকে, কোঝিকোড় টাউনের ১৬ নম্বর বুথে দায়িত্বে ছিলেন বামেদের জোটের ‘লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ (এলডিএফ) পোলিং এজেন্ট আনিস আহমেদ। তাপদাহে হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ৬৬ বছর বয়সী আনিসকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৩

অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটক ১৩ জনকে দেশে ফেরত
অবৈধভাবে ভারতের ত্রিপুরায় গিয়ে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক শিশুসহ ১৩ জনকে সাজা শেষে ফেরত পাঠানো হয়েছে।   মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ত্রিপুরা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় দুই দেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আখাউড়া আগরতলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়।  পরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ ও থানা পুলিশের হেফাজতে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়।  জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী জেলার নতুন বাজার থানাধীন ডুম্বুর লেকে কুম্ব মেলার আয়োজন করা হয়। গোমতী নদীর উৎস মুখে বাঁধ দিয়ে ডুম্বুর লেকে প্রতিবছর দুই দিনব্যাপী এ তীর্থ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শিথিলতার সুযোগ নিয়ে শত শত বাংলাদেশি পানছড়ির দুদুকছড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ডুম্বুপাড়ের কুম্ব মেলায় অংশ নেয়।  অনেকের মতো খাগড়াছড়ি জেলার ১০ যুবক কুম্ব মেলা দেখতে যান। মেলা থেকে ওরা একটি গাড়িতে করে রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় যাওয়ার পথে রাজ্যের গাড়িচালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ওই গাড়িচালক তারা বাংলাদেশি জেনে স্থানীয় বিশ্রামপুর থানা-পুলিশের কাছে তাদের নিয়ে হস্তান্তর করে।  পরে রাজ্যের পুলিশ বাংলাদেশি দশ যুবককে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত কারাদণ্ড দিয়ে তাদের বিশালগর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান।  অপরদিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকার বাসিন্দা নাহিদা আক্তার নামে এক নারী দুই শিশু সন্তানসহ বিনা পাসপোর্টে চিকিৎসার জন্য ভারতের আগরতলায় গিয়ে আটক হন।  পরে ত্রিপুরার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালির প্রায় চার মাস পর তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় আজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।  এ সময় আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রাহাতুল ইসলাম, ত্রিপুরা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ওমর শরীফ, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ খায়রুল আলম, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৭

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মোট সাত দফায় হবে এই ভোট। লোকসভা গঠনের লক্ষ্যে সাত দফা ভোটপর্বের প্রথম দফায় আজ দেশটির ১৭টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হবে ১০২টি আসনে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন আসন— জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র।    আজ সকালে অবশ্য ভোট শুরু হয়েছে দেশের ২৮টি রাজ্য ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে। একই সঙ্গে আজ আরও নির্বাচন হচ্ছে অরুণাচল প্রদেশ রাজ্যের বিধানসভার ৬০টি এবং সিকিমের ৩২টি বিধানসভার আসনের ভোটগ্রহণ।  আজ প্রথম দফায় অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর এবং মেঘালয়ের দুটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে। একটি করে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ছত্তীসগঢ়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান ও নিকোবর, জম্মু ও কাশ্মীর, লক্ষদ্বীপ এবং পন্ডিচেরি। মণিপুরে মোট দুটি লোকসভা আসন। ইনার মণিপুর এবং আউটার মণিপুর। তবে নির্বাচন কমিশন আউটার মণিপুরকে ভাগ করে দুই দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ আউটার মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর এবং চান্দেল জেলার ১৫টি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হবে। বাকি ১৩টিতে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল। পাশাপাশি বিহারের চার, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্রের ছয়, উত্তরপ্রদেশের আট আসন, রাজস্থানের ১২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এই দফায় সবচেয়ে বেশি ভোটগ্রহণ হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে ৩৯টি লোকসভা আসনের সবগুলিতেই ভোটগ্রহণ হবে প্রথম দফায়। মণিপুরের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চলেও ভোটের দিন নাশকতার আশঙ্কায় বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। ভারতের নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, এবার নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ, আর পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ। ৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখেরও বেশি। একই সঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ। দেশজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভায় ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে, তেমনই মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতো শক্তিশালী প্রাদেশিক দলও রয়েছে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৭

ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন আরও ৫০ বিচারক
প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য বিচারিক আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এই অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়।  প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগীয় এ কর্মকর্তারা আগামী ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের প্রেক্ষিতে আগামী ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি, ভূপাল ও একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচারককে অনুমতি দেওয়া হলো। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই। ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে  একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে। ওই চুক্তির পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫শ থেকে ১৬শ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।’ এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে এরইমধ্যে অনেক বিচারক এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৩

ভারতে মাওবাদী নেতাসহ নিহত ২৯
ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা শঙ্কর রাওসহ ২৯ মাওবাদী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত তিন নিরাপত্তারক্ষী। নিহত মাওবাদীদের শীর্ষ নেতার মাথার দাম ছিল ৩২ লাখ টাকা। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি খবরে বলে, মঙ্গলবার বিকালে কাঙ্কের জেলায় ছত্তিশগড় পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। বিএসএফের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে ছত্তিশগড়ের ছোটেবেটিয়া থানার কালপার জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় ডিআরজি ও বিএসএফ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে সাতটি একে-৪৭, তিনটি লাইট মেশিন গানসহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আগামী ১৯ এপ্রিলে ভারতে লোকসভা ভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিতে ৬০ হাজারের বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ছত্তিশগড়ে হয়েছে এ সংঘর্ষ। গত মাসেও ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক মাওবাদী নিহত হন। সেসময় নিহত হন এক নিরাপত্তারক্ষীও। ঘটনাস্থল থেকে তখন বিস্ফোরকসহ বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতেও কাঙ্কেরে আরেকটি এনকাউন্টারে তিন মাওবাদী নিহত হন। ২০০৮ সালে ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের দমনের জন্য গঠন করা হয়েছিল ডিআরজি।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫২

ভারতে যাচ্ছেন আরও ৫০ বিচারক
অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ভারত যাচ্ছেন আগামী মে মাসে। এদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তারা। সেখানে তারা ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি ও একটি স্টেট একাডেমিতে প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। আগামী ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ১০ দিন তরা দেশটিতে অবস্থান করবেন। এ প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এ অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি, ভূপাল ও একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচারককে অনুমতি দেওয়া হলো। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ নেই। এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক নিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের পনের-ষোলশ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।’ এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। এরইমধ্যে অনেক বিচারক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। গতবছরও ৯ থেকে ১৯ অক্টোবর ৫০ বিচারপতি প্রশিক্ষণ নেন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৭

ভারতে ২ বছর কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৪ নারী
ভারতে ২ বছরের কারাভোগ শেষে ৪ নারী বাংলাদেশে ফিরেছেন। তাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে ‘রাইটস যশোর’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা তাদের গ্রহণ করে। জানা যায়, শনিবার রাতে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফেরেন। ট্রাভেল পারমিট প্রক্রিয়ায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, দালালের খপ্পরে পড়ে প্রায় আড়াই বছর আগে অর্থের বিনিময়ে ভালো কাজের আশায় কোহিনুর খাতুন (২০), মিম আক্তার (১৭), নুরুন নাহার (১৯) ও জান্নাতুল ফেরদৌসকে (১৮) কলকাতায় গিয়েছিলেন। সেখানে দালালরা তাদের শিয়ালদা রেলওয়ে স্টেশনে রেখে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। পরবর্তীতে আদালত তাদের দুই বছরের সাজা দেয়। তিনি আরও বলেন, বেসরকারি সংস্থা ‘রাইটস যশোর’ তাদের থানা থেকে নিয়ে গেছে। তারাই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২০

ভারতে পাচারকালে স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারি আটক
ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরার বৈকারী সীমান্ত থেকে প্রায় ১ কেজি ৪৪ গ্রাম ওজনের ৯ পিস স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকাবারীকে আটক করেছে বিজিবি।  বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্তের কালিয়ানী এলাকা থেকে উক্ত স্বর্ণের বারসহ তাকে আটক করা হয়।  আটক স্বর্ণ চোরাকারবারীর নাম মো. আমজাদ হোসেন খোকন (৫০)। তিনি সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের কালিয়ানী গ্রামের মৃত মাজেদ মোল্লার ছেলে। এ সময় ১৫০ সিসির একটি হিরো হাংক মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মোটরসাইকেলসহ স্বর্ণের বারের মূল্য ১ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার ৩২০ টাকা। বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশরাফুল হক সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের জানান, স্বর্ণের একটি বড় চালান ভারতে পাচার করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈকারী বিওপির সুবেদার কাজী বদরুল আলমের নেতৃত্বে বিজিরি একটি বিশেষ আভিযানিক দল, সীমান্তের মেইন পিলার ৭ ও সাব পিলার ৬৫ হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্তের কালিয়ানী মাদরাসা মোড় এলাকায় চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় বিজিবি সদস্যরা সেখান থেকে উক্ত স্বর্ণ চোরাকারবারীকে একটি মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৯ পিস স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। যার ওজন ১ কেজি ৪৪ গ্রাম। জব্দকৃত স্বর্ণের বার ও মোটরসাইকেলের বাজার মূল্য ১ কোটি ৩ লাখ ৬০ হাজার ৩২০ টাকা। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আটককৃত স্বর্ণ চোরাকারবারীকে সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ এবং স্বর্ণের বারগুলো ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২২

ভারতে পুলিশের অভিযানে ১৩ মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত
লোকসভা নির্বাচন শুরু হতে বাকি মাত্র কয়েক সপ্তাহ৷ এমন সময়ে ছত্তিশগঢ়ে পুলিশের এক অভিযানে মারা গেছে ১৩জন মাওবাদী বিদ্রোহী৷ ভারতে নির্বাচনের প্রচার এখন তুঙ্গে৷ তার মধ্যেই ছত্তিশগঢ়ে মাওবাদী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ৷ ১৪ ঘণ্টা ধরে চলে অভিযান৷ এই অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় চলতি বছর পুলিশের অভিযানে মোট ৫০জন মাওবাদী নিহত হলো৷ পুলিশের দাবি, ছত্তিশগঢ়ের বিজাপুর জেলায় মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়৷ বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্থানীয় পুলিশ প্রধান পি সুন্দারা বলেন, নিহত মাওবাদীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি৷ নিহতদের মধ্যে তিনজন নারীও ছিলেন৷ এই অভিযানের পর পুলিশ বেশ কিছু রাইফেল, মেশিন গান, গ্রেনেড লঞ্চার ও গোলাগুলি বাজেয়াপ্ত করে৷ মাওবাদী বিদ্রোহী বা নকশালপন্থিরা দাবি করেন যে, তারা ভারতের প্রান্তিক গরিব মানুষের অধিকারের জন্য লড়েন৷ এই গোষ্ঠীর উত্থান পশ্চিমবঙ্গের নকশালবাড়ি গ্রাম থেকে৷ ১৯৬৭ সালে সেখানেই শুরু হয়েছিল মাওবাদীদের সরকারবিরোধী আন্দোলন৷ সেই থেকে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নানা ধরনের গেরিলা হামলা চালিয়ে আসছে বলেই ভারত সরকার তাদের নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করে৷ ভারত সরকারের মতে, এমন বিদ্রোহীরা ২০২৩ সালে দেশের ৪৫টি জেলায় সক্রিয় ছিল৷ ২০১০ সালে মাওবাদী বিদ্রোহীদের সক্রিয়তা লক্ষণীয় ছিল ৯৬টি জেলায়৷ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতের পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলের মাওবাদী-অধ্যুষিত রেড করিডোর-এ হাজার হাজার সামরিক বাহিনী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে৷ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সব মিলিয়ে সাতটি দফায় ভোট গ্রহণ চলবে ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত৷ 
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়