• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে কারণে লালন ব্যান্ড ছাড়লেন ড্রামার তিতি
এক-দুদিন নয়, পথচলা দীর্ঘ ১৭ বছরের। এবার সেই সম্পর্কের ইতি টেনে ‘লালন’ ব্যান্ড ছাড়লেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। কারণ হিসেবে গণমাধ্যমকে জানালেন নানা কথা।  জানা যায়, সবশেষ গত ৯ মার্চ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কনসার্টে লালন ব্যান্ডের সঙ্গে ড্রাম বাজান তিতি। এরপর তার ফেসবুক আইডিতে  দেখা যায় ‘লেফট জব’ স্ট্যাটাস। হঠাৎ কেন দল ছাড়লেন তিনি, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে ভক্ত থেকে সাংবাদিক—সবার মনেই। বিষয়টি নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যম কথা বলে ড্রামার তিতির সঙ্গে। তখন তিনি বলেন, লালন ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা রয়েছে। আর সে কারণেই কণ্ঠশিল্পী সুমি যতটা পরিচিতি পেয়েছেন, তার তুলনায় বাকি সদস্যরা রয়ে গেছেন অনেকটাই আড়ালে। কনসার্ট আয়োজকদেরও দেখেছি, ব্যান্ড থেকে সুমিকেই বেশি গুরুত্ব দিতে। বেশির ভাগ কনসার্টে তাকেই একা আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু সেগুলোতে তিনি অংশ নেন না। এতে করে দিনের পর দিন আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সুমি। আমি এমনটা চাই না। চাই, সুমি নিজেকে মেলে ধরুক। আরও এগিয়ে যাক।  তিনি আরও বলেন, সুমি কিন্তু অনেকের মতো ব্যান্ডকে ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানও গড়তে পারেননি। তিনি আসলে যত বড় শিল্পী, সে তুলনায় আজও তার আর্থিক সফলতা আসেনি। আর এটা শুধু ব্যান্ডের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণেই।  তিতি বলেন, দেশ কিংবা বিদেশ—অনুষ্ঠান যেখানেই হোক সবাই শুধু সুমিকেই খোঁজেন, ব্যান্ডকে নয়। অবশ্য এর পেছনে কারণও রয়েছে। ব্যান্ডদলের সবাইকে নিলে অনেক খরচ। সুমি এখানেও নিজের অবস্থানে অটুট। একা কোথাও যান না। বিষয়টি নিজে থেকে অনুধাবন করেছি। চাই না, ব্যান্ডের জন্য তার সফলতা আটকে থাকুক। এ কারণেই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত।  তবে এসবের বাইরে কণ্ঠশিল্পী সুমিকে নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগও আছে তিতির। তিনি বলেন, সুমি অনেক সময় স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিতেন। আর তার সেই সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করতো পুরো দলের প্র্যাকটিস ও কনসার্ট। এমনটা হওয়া উচিত নয়। কারণ, কিছু সময় মানুষকে তার প্রিয় জিনিস ছেড়ে আসতে হয়। আমি ব্যান্ড ও সুমিকে সর্বোচ্চ জায়গায় নিয়ে গেছি। খারাপ সময়ে মোটেই ফেলে যাইনি। প্রসঙ্গত, তিতি ২০০৭ সালে লালন ব্যান্ডে যোগ দেন। এর আগে তিনি ফেইথ, আর্ক, স্বাধীনতা ও কানিজ সুবর্ণার সঙ্গে কাজ করেছেন।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫২

পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ আর নেই
না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড পেপার রাইমের গায়ক আহমেদ সাদ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫২।  জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন সাদ। তিনদিন আগে হার্ট অ্যাটাক হয় তার। দ্রুত সাদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার সকালে ফের হার্ট অ্যাটাক করেন তিনি। পরে হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।   গায়কের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন তার স্কুলজীবনের বন্ধু ও পেপার রাইম ব্যান্ডের সদস্য অনিন্দ্য কবির অভিক। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন সাদ। মাঝে কিছুটা সুস্থও হয়েছিলেন। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে তার শরীরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ক্যানসার। আগামী ২৫ এপ্রিল গায়ক আহমেদ সাদের দাফন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তার বন্ধু অভিক। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে তার পরিবার থেকে। নব্বই দশকে মাত্র একটি অ্যালবাম প্রকাশের মাধ্যমে শ্রোতাহৃদয়ে জায়গা করে নেন ব্যান্ড পেপার রাইম ও এর শিল্পী আহমেদ সাদ। ব্যান্ডটির হার্ডরক, মেলোরক, সফট রক ঘরণার গানগুলোর কথা ও সংগীত ভীষণ গ্রহণ করে নেয় দর্শকেরা-শ্রোতারা। এর মধ্যে ‘অন্ধকার ঘরে’, ‘আকাশের কী রং’, ‘এলোমেলো’ গানগুলো পছন্দের তালিকায় শীর্ষে শ্রোতাদের।      প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের ২৪ জানুয়ারি স্কুল বন্ধুরা মিলে প্রতিষ্ঠা করেন পেপার রাইম ব্যান্ড। এর লাইনআপে ভোকালে ছিলেন সাদ, গিটারে রাশেদ, কিবোর্ডে নাসের, বেইজ গিটারে সুমন ও ড্রামসে অভিক।   
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৬

খালিদকে নিয়ে আসিফের আবেগঘন স্ট্যাটাস
চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট খালিদ সোমবার (১৮ মার্চ) মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরে উঠেছে এই গায়কের জনপ্রিয় সব গানের কলিতে। পাশাপাশি তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন ভক্ত এবং সহকর্মীরা। অন্য সবার মতো প্রিয় গায়ককে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন সংগীতশিল্পী আসিফও। এদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে খালিদের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে পোস্ট দেন আসিফ। পাঠকদের সুবিধার জন্য আসিফের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো— ‘কোন বাঁধনে বাঁধা তো গেল না তাকে। সে যে হৃদয়পথের রোদে একরাশ মেঘ ছড়িয়ে, হারিয়ে গেল নিমিষেই…নিজের গাওয়া প্রিন্স মাহমুদের অমর গানের সঙ্গে হারিয়ে গেলেন চাইম ব্যান্ডের প্রিয় ভোকালিস্ট খালিদ ভাই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রেখে গেলেন একরাশ মায়া। খালিদ ভাইয়ের মায়াবী কণ্ঠ একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে গেল। কৈশোর যৌবনের প্রিয় গায়ক খালিদ ভাইয়ের এই মৃত্যুতে আমি হারিয়ে ফেললাম খুব প্রিয় একজন কণ্ঠশিল্পী। জাতি হারাল নিভৃতচারী এক কিংবদন্তিকে! আমি আমরা শোকাহত। খালিদ ভাইয়ের আত্মার শান্তিকামনা করি। মহান আল্লাহ তার পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দিন। আমিন।’ জানা গেছে, সোমবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন খালিদ। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫৯। ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে ও স্ত্রী রেখে গেছেন তিনি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গোপালগঞ্জ শহরের নয়া গোরস্থানে শায়িত হবেন খালিদ। ইতোমধ্যে তার নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই সংগীতশিল্পীকে। এর আগে, সোমবার রাত ১১টায় রাজধানীর গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়