• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সার্ভিস
বন বিভাগের পর এবার সুন্দরবনের আমরবুনিয়ার লতিফের সিলা এলাকায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।   সোমবার (৬ মে) ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের কথা ঘোষণা করেন।  তিনি বলেন, ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। রোববার থেকে টানা ৪৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, বনবিভাগ, বিমানবাহিনী ও স্থানীয় শতশত স্বেচ্ছাসেবক।   ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আরও বলেন, আগুন এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। কোথাও আগুনের ফুলকি বা ধোঁয়া নেই। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আরও ২ দিন কাজ করবেন কালো ছাই সাদা করার জন্য। এরপর তারা বন ত্যাগ করবেন।  অবশ্য রোববার বিকেলে সুন্দরবন আগুন নিয়ন্ত্রণ এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানান খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষণ মিহির কুমার দো। আর এ দিন সন্ধ্যায় প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী খুলনায় প্রেস ব্রিফিং এ আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেন। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেনেন্স) লে. কর্নেল তাজুল ইসলামের সঙ্গে এ সময় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমান্ডার মো. বাশারুল ইসলাম, চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব, মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান, মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে আমরবুনিয়া ফরেস্ট ক্যাম্পের অধীনে লতিফের সিলা এলাকায় আগুন লাগার খবর পান বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
০৬ মে ২০২৪, ১৯:৩৪

বিএনপি নেতা আমানকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলেন আদালত
সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।  সোমবার (৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে আমানকে এক মাসের মধ্যে দেশে ফিরতে হবে বলেও আদেশে বলা হয়েছে। এদিন আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এর আগে, গত ২০ মার্চ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ। তবে বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়।  ২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। এরপর ২০২৩ সালের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন। একই বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন আমান।  
০৬ মে ২০২৪, ১১:২৫

গাজীপুরে দিনভর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মাটিকাটা বাজার এলাকায় বন বিভাগের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে বনবিভাগ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রজত বিশ্বাসের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় দিনভর এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১৪২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।  ঢাকা বন বিভাগের কালিয়াকৈর রেঞ্জ অফিসার মনিরুল করিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বন বিটের আওতাধীন মাটিকাটা বাজার এলাকায় কিছু জবরদখলকারী বন বিভাগের গাছপালা কেটে বনের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে আসছিল। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।’ ঢাকা বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রেজাউল আলম জানান, উচ্ছেদ অভিযানে বন বিভাগের প্রায় এক একর (১০০ শতাংশ) জমি দখল মুক্ত করা হয়েছে; যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। উদ্ধার হওয়া জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে গাছে চারা লাগিয়ে দেওয়া হবে।
০৫ মে ২০২৪, ১৯:৫২

মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যে অভিযান চালিয়ে ১৩২ বাংলাদেশিসহ ২০৬ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স ১৮ থেকে ৬১ বছরের মধ্যে। গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে পাসির গুদাংয়ের একটি নির্মাণ স্থলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জোহর ইমিগ্রেশনের পরিচালক বাহারউদ্দিন তাহির এ তথ্য জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, অভিবাসন বিভাগ পাসির গুদাং এলাকার একটি নির্মাণস্থলে অভিযান চালিয়ে মোট ৫৩০ জন বিদেশি ও স্থানীয় ব্যক্তির কাগজপত্র পরীক্ষা করে। এর পর সেখান থেকে ২০৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩২ জন বাংলাদেশি, ৫৩ জন চীনা, ১০ জন মিয়ানমার, ৬ জন পাকিস্তানি, ৩ জন ইন্দোনেশিয়ান, ২ জন ভিয়েতনামিজ এবং একজন স্থানীয় রয়েছেন। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৬১ বছর। তাদের বিরুদ্ধে মালয় অভিবাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন অ্যাক্টের ধারা ৬(১)(সি) এবং ধারা ১৫(১) সি) এর অধীনে বৈধ ভ্রমণ নথিপত্র ছাড়াই দেশে প্রবেশ করায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৯৩৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও অভিবাসন বিভাগের বিবৃতিতে জানানো হয়।
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০০

‘অনির্দিষ্টকালের আগাম জামিন দেওয়া উচিত নয়’
কাউকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিন দেওয়া উচিত নয় বলে অভিমত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রমনা থানার একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন ও যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের জামিন প্রশ্নে এক আদেশে এমন অভিমত দেন আপিল বিভাগ। গত ৬ মার্চ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চের ওই আদেশ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আপিল বিভাগের আগের দেওয়া কয়েকটি রায়ের রেফারেন্স দিয়ে আদেশে বলা হয়, এই সব রায়ের নীতি অনুযায়ী ব্যক্তি/ব্যক্তিদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিনে থাকতে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত বিবাদীদের আগাম জামিন দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ আপিল বিভাগের রায়ের নীতি বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মাঝেমধ্যে যথাযথ তদন্তের স্বার্থে কোনো মামলার প্রতিবেদন দিতে বেশি সময় নিতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। এমন পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত আগাম জামিনের সুবিধা উপভোগ করার অধিকারী নয়। গত বছর ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৩৯টি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে রমনা থানার এক মামলায় গত বছর ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন ও যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। হাইকোর্ট বিভাগ তাদের পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন দেন। পরে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগ দুই বিএনপি নেতার জামিন আদেশ সংশোধন করে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৬

সুপ্রিম কোর্ট ভবনের ছাদ চুয়ে পানি, বিচারকাজে বিঘ্ন
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনার সময় ছাদ চুয়ে পানি পড়েছে বিচারকদের আসনে। এতে প্রধান বিচারপতিসহ ৫ বিচারপতি এজলাস ছেড়ে চলে যাওয়ায় সাময়িক বন্ধ থাকে বিচারকাজ।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বিচারকাজের শুরু থেকেই বিচারকদের ডানপাশে বসা বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের আসনে ছাদ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়ছিল। বিষয়টি নিজের বেঞ্চ অফিসারকে জানান তিনি। এক পর্যায়ে পানি পড়ার ঘটনা প্রধান বিচারপতিরও নজরে আসে। পরে ৯টা ৪৪ মিনিটে প্রধান বিচারপতিসহ ৫ বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান।  পরে রেজিস্টার জেনারেলসহ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছুটে যান এজলাসে। দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে সরিয়ে ফেলা হয় বিচারপতিদের আসন। ঘটনার প্রায় ১৮ মিনিট পর এজলাসে পুনরায় বিচারকাজ শুরু হয়। এদিকে দ্বিতীয় দফায় বিচারকাজ শুরু হওয়ার পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ছাদটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ভালো করে দেখানো উচিত। এতে সহমত পোষণ করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ছাদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ, আজকে থেকে ইঞ্জিনিয়াররা কাজ শুরু করবে। এ ব্যাপারে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। প্রসঙ্গত, এর আগেও আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে ছাদ থেকে পানি, পলেস্তারা পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এরপরও অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে আপিল বিভাগে বিচারকাজ পরিচালিত হয়ে আসছে।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

জামিন পেলেন বিএনপি নেতা আমান
১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। দুর্নীতির এই মামলায় বুধবার (২০ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আমানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।  তবে, জামিন পেলেও আমানকে বিদেশ যেতে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের বিবরণীতে তথ্য গোপনের দায়ে ২০০৭ সালের ২১ জুন আমানকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী সাবেরাকেও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এরপর এই দম্পতির আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের দুর্নীতির অভিযোগ থেকে খালাস দেন। কিন্তু ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে তাদের আপিলের ওপর নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেন।  সম্প্রতি বিএনপির এই নেতার করা আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এরপর গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত আমানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  গত ১২ সেপ্টেম্বর ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চাওয়ার পাশাপাশি জামিন আবেদনও করেন।  
২০ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৯

ফেনীতে ১৪৬ ঘনফুট আকাশমণি কাঠসহ পিকআপ জব্দ
অবৈধভাবে পাচারকালে ফেনীতে প্রায় ১৪৬ ঘনফুট আকাশমণি কাঠসহ একটি পিকআপ জব্দ করেছে সামাজিক বন বিভাগ।  সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে শহরের রামপুর রাস্তার মাথা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পিকআপসহ কাঠগুলো জব্দ করা হয়। স্থানীয় বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে ফেনীস্থ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার রুহুল আমিনের নির্দেশে একটি অভিযান চালানো হয়। এ সময় চট্টগ্রামের দিক থেকে ঢাকামুখী কাঠবাহী একটি পিকআপ মহাসড়কের রামপুর রাস্তার মাথায় আসে। পরে সেখানে টহলরত বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় গাড়িটি তল্লাশি করা হয়। এরপর তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পিকআপটি রেখে চালক ও পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। সামাজিক বনবিভাগ ফেনী সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র ভৌমিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রকৃত মালিক না থাকায় জব্দ কাঠগুলো আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫১

সহপাঠী ও প্রক্টরের বিরুদ্ধে লোমহর্ষক বর্ণনা অবন্তিকার মায়ের
সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন এবং সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের গালিগালাজ থেকে রক্ষা পেতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হোস্টেল ছেড়ে মেসে ওঠেন অবন্তিকা। এরপর তার সঙ্গে আম্মান আরও বেশি কুরুচিমূলক আচরণ শুরু করলে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাসায় ফেরত যান। তবুও আম্মান-দ্বীন ইসলামের অমানুষিকতায় শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন জবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা ফাইরুজ। শনিবার (১৬ মার্চ) কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এমনটিই দাবি করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম। এতে জবির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে অবন্তিকার মা উল্লেখ করেছেন, ‘ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায় যে, তাঁর ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এজন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।’ ‘কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তাঁর চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।’ তাহমিনা বেগম দাবি করেন, ‘সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে আসলেও তাকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাও বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।’ কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেছেন।মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি : ৭ দিন ধরে তালাবদ্ধ মানবসম্পদ বিভাগ
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও হেনস্তার ঘটনায় শিক্ষার্থী আন্দোলনে সাত দিন ধরে তালাবদ্ধ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এ কারণে বিভাগটিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। এতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৬টি ব্যাচের ২৮৪ জন শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিনষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ।  বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।  এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারিরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।     এরপরও আন্দোলন অব্যাহত রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে অশালীন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারিরা দুই শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা তৈরি করে জুতার মালা পড়ায়।  এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বাইরে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে শিক্ষকদের ‘সম্মান হত্যা’ হয়েছে বলে দাবি করেন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত ১০ মার্চ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে তালাবদ্ধ বিভাগের সামনে মানববন্ধন করেন ১১ শিক্ষক।  এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১২ মার্চ) মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষকরা উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর সঙ্গে দেখা করে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হল- যৌন হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক বিচার, কর্মপরিবেশ সৃষ্টি ও ভাঙচুর ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।   এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের বক্তব্য জানা যায়নি।  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ন কবীর বলেন, যৌন হয়রানির ঘটনায় অধিকতর তদন্ত কমিটিসহ দুইটি কমিটি অভিযোগের তদন্ত করছেন। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। এ লক্ষ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য বৈঠক করেছেন। আশা করছি দ্রুত সময়ে ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে উঠেবে। এ বিষয়ে ট্রেজারার ও তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. আতাউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে আছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৮:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়