• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সংসদে ধর্ষণের অভিযোগ  / মান বাঁচাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন রাজনৈতিক কর্মী
সংসদ ভবনে নিজের সহকর্মীর হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অস্ট্রেলিয়ার একটি টিভি চ্যানেলে অভিযোগ তুলেছিলেন ব্রিটানি হিগিন্স নামে এক রাজনৈতিক কর্মী। তিন বছর আগে ঘটনাটি যখন সামনে আসে, হতবাক হয়ে গিয়েছিল পুরো বিশ্ব। এবার চাঞ্চল্যকর এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে সিডনির একটি দেওয়ানি আদালত।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) রয়টার্স, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ানসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তথ্যটি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন করেছে।  গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার নেটওয়ার্ক টেন টেলিভিশনে ২০২১ সালে ব্রিটানি হিগিন্স নামে পার্লামেন্ট হাউসের ওই রাজনৈতিক কর্মী ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন নিজের সহকর্মী ব্রুস লেহরম্যানের বিরুদ্ধে। তবে ওই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছিলেন  ব্রুস। শুধু তা-ই নয়, ব্রিটানির ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগটি প্রচারের কারণে সেদিনের উপস্থাপিকা লিসা উইলকিনসনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছিলেন তিনি। এবার ওই মানহানির মামলার লড়াইয়েই হেরে গেলেন ব্রুস লেহরম্যান। সহকর্মী ব্রিটানিকে ধর্ষণের যে অভিযোগ, তার সত্যতা পেয়েছেন আদালত।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) ধর্ষণের বিষয়টি সত্যিই ঘটেছিল বলে রায় দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল আদালতের বিচারক মাইকেল লি। রায়ে হিগিন্সকে ধর্ষণের পর ব্রুস লেহরম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলেছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। নেটওয়ার্ক টেন টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশ্রুসিক্ত হিগিন্স বলেছিলেন—২০১৯ সালে কীভাবে এক মন্ত্রীর অফিসের সোফায় তার চেতনা ফিরেছিল এবং চেতনা ফেরার পর শরীরের ওপর তিনি ব্রুসকে দেখেছিলেন। তবে ব্রুস লেহরম্যান দাবি করেন, সেদিন রাতে তারা দুজন ক্যানবেরায় মদ্যপানের পর নিজ নিজ পথে যাওয়ার আগে একটি উবার শেয়ার করে প্রথমে অফিসে এসেছিলেন। সোমবার ব্রুস লেহরম্যানের মানহানির মামলাটি বাতিল করে দিয়ে নিজের রায়ে বিচারপতি মাইকেল লি বলেন, ব্রুস লেহরম্যান ২৮ বছর বয়সী হিগিন্সের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের জন্য নারকীয় উপায় গ্রহণ করেছিলেন এবং এ বিষয়ে হিগিন্সের সম্মতি আছে কি না সেই বিষয়ে উদাসীন ছিলেন। তবে অফিসে ফেরার সময় হিগিন্স মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপ ছিলেন বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারক। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, অস্ট্রেলিয়ার আদালতে সোমবার এমন একটি মামলার আইনি রায় হলো, যা বছরের পর বছর ধরে জাতিকে আতঙ্কিত করে রেখেছে। এ ঘটনার সুবিচারের জন্য হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বলা হচ্ছে, নিজের করা মানহানির মামলার জের ধরেই অতীত অপরাধে ফেঁসে যাচ্ছেন ব্রুস লেহরম্যান। মানহানির বিচার শুরু করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিচারপতি লি বলেছেন, সিংহের ডেরা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর মিস্টার লেহরম্যান তার টুপির জন্য ফিরে এসে ভুল করেছেন। পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা এই বিচারে এক ডজনেরও বেশি সাক্ষীর কাছ থেকে সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদের মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে ভাড়া করা একজন ‘ঠোঁট পাঠকের’ বিশ্লেষণ, হিগিন্সের মা-বাবা এবং পার্লামেন্টে ব্রুস ও হিগিন্সের সহকর্মীদের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেন আদালত। রায়ের পর আদালতের বাইরে কথা বলার সময় নেটওয়ার্ক টেন আউটলেটের উপস্থাপিকা মিসেস উইলকিনসন বলেছেন, ‘আমি আজ অস্ট্রেলিয়ার নারীদের জন্য আনন্দিত বোধ করছি।’ এ বিষয়ে নেটওয়ার্ক টেনও একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, সত্যের বিজয় হয়েছে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৯

সুইপারকে বাঁচাতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বাড়ির মালিকেরও মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে নেমে বাড়ির মালিক ও এক সুইপারের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম রাখালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন বাড়ির মালিক রিয়াদ হোসেন। সুইপারটির নাম জানা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, বিকেলে রাখালিয়া এলাকায় নুরুল হক পাটোয়ারী বাড়ির পাটোয়ারী ভিলার একটি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন সুইপার। পরিষ্কার করা অবস্থায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তিনি আটকা পড়েন। পরে বাড়ির মালিক রিয়াদ উদ্ধার করতে গেলে দুজনেরই মৃত্যু হয়। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকের ভেতরে অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে সেপটিক ট্যাংক ভেঙে মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৫

ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার সেই চিকিৎসক বাবার মৃত্যু
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার চিকিৎসক কোরবান আলী মারা গেছেন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের ছেলে আলী রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল বিকেলে পশ্চিম ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় বেশ কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য একজন পথচারীকে মারতে দেখেন কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানা। এ সময় লোকটিকে সাহায্য চাইলে রানা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ১পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।  পরে কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় তারা। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা করা হয়।  ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪

কিশোর গ্যাং / ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে হামলার শিকার চিকিৎসক বাবা
কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী কোরবান আলী নামে এক দন্তচিকিৎসক বাবা। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে কোরবান আলীর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে এক পথচারীকে বাঁচাতে ৯৯৯-এ কল করার অপরাধে ডা. কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানাকে মারধর করার সময় এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত ওই কিশোর গ্যাং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী ও ছাত্রলীগকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলার পর প্রথমে ডা. কোরবান আলীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ‘মেডিকেল সেন্টার’ নামে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালটির আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট আছেন তিনি।  ভুক্তভোগীর স্বজন জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ডা. কোরবান আলীর অবস্থা বর্তমানে সংকটাপন্ন। চিকিৎসকরা রোববার রাতেই তাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেছেন। তবে তার লাইফ সাপোর্ট এখনো খোলা হয়নি। যেকোনো সময় কৃত্রিম লাইফ সাপোর্ট অটো শাটডাউন হয়ে যেতে পারে।’ জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী ডাক্তারের ছেলে আলী রেজা রানা। এমন সময় একদল কিশোর একজন পথচারীকে পেটাচ্ছিল। তাদের মার সহ্য করতে না পেরে লোকটি বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। লোকটিকে কিশোর দলের মার থেকে বাঁচাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দেন রানা। পরে পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।’ জসিম উদ্দিন জানান, এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এরপর গত শুক্রবার বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় কিশোর গ্যাং। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৭

সন্তান কোলে নারীর আত্মহত্যা, বাঁচাতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু
গাইবান্ধা সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক কলেজছাত্রসহ দুজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা আদর্শ কলেজ-সংলগ্ন রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে জোবায়ের মিয়া (১৮) এবং গাইবান্ধা সদরের মাঝিপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২৩)। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, গৃহবধূ রাজিয়া বেগম দেড় বছরের শিশু সন্তান কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এ সময় কলেজছাত্র জোবায়ের মিয়া তাদের বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এ ঘটনায় কোলে থাকা দেড় বছরের শিশু আবির হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এটি আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় গাইবান্ধা জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৭

বাইসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে ব্র্যাককর্মীর মৃত্যু
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বাইসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্র্যাককর্মী নিহত হয়েছেন। তার নাম মোস্তাফিজুর রহমান। সোমবার (২৫ মার্চ) উপজেলার নলজোড়া বাজারে বাইসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাক্টরচাপায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তাফিজ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া গ্রামের জামান সরকারের ছেলে।  তিনি ব্র্যাকের নালিতাবাড়ী উপজেলার তিনানী বাজার শাখার কর্মী ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভূঁইয়া। তিনি জানান, ব্র্যাককর্মী মোস্তাফিজুর আজ সকালে তিনানী বাজার থেকে মোটরসাইকেলে নালিতাবাড়ী যাচ্ছিলেন। নলজোড়া বাজার এলাকায় একটি বাইসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক্টর ওই মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মোস্তাফিজুরকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহটি বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৯

স্বামী-স্ত্রীকে মারধর, বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার পরিবার
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বামী-স্ত্রীকে ঘরে আটকিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মেয়ে ও জামাতাকে মারধরের খবর শুনে তাদের বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন বাবা-ছেলে-পুত্রবধূসহ অনেকেই। আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারের সময় উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সান্তান গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, স্থানীয় নওশের, বিপুল ও রাজ্জাক বাহিনী অতর্কিতভাবে এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মারধর করেছেন। স্থানীয়সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল্লাহ আল বায়েদীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের সন্তান গ্রামের নুরুল হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের নওশের ও বিপুলদের পারিবারিক কোন্দল চলে আসছিল। এর জের ধরে আজ সন্ধ্যায় সবাই যখন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখন অতর্কিত নুরু ও তার স্ত্রী সাগরীকে ঘরে আটকিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এতে সাগরীর দাঁত ভেঙ্গে যায় এবং স্বামী নুরুসহ গুরুতর আহত হয়।  এ খবর পেয়ে সাগরীকে প্রাণে বাঁচাতে এগিয়ে যান একই গ্রামের তার পিতা কোরবান আলী (৭০), ভাই আমিরুল ইসলাম (৩২), ভাইয়ের স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন পলি (৩০)। এসময় তাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। কোরবান আলীদের বাঁচাতে এগিয়ে যান তার ভাই-ভাতিজারা। এসময় নওশের ও বিপুল গংদের সঙ্গে যোগ দেন আব্দুর রাজ্জাক বাহিনী। এই বাহিনীর আবদুর রাজ্জাক, রাজেদুল, কছের, এমদাদুল, মিলন, লুৎফর, জাহাঙ্গীর, শরিফ, শাকিলসহ অনেকেই দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কোরবান আলীর আত্মীয় স্বজনের উপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে। তাদের হামলায় আরও আহত হয়, স্কুল শিক্ষক এনামুল হক, কোরবান আলী, আমিরুল ইসলাম, আম্বিয়া খাতুন পলি, নুরুল ইসলাম ও ডা: ওসমান গনিসহ ১০-১২ জন। আহতদের মধ্যে সাগরী, কোরবান আলী, আমিরুল ও আম্বিয়া খাতুনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।  এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এ ঘটনায় একজন থানায় এসেছেন অভিযোগ দিতে। অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ০২:২৩

কাশ্মীরে জাফরান বাঁচাতে বৈজ্ঞানিক উদ্যোগ
বিরিয়ানি-কোরমার মতো অনেক পদই জাফরানের ছোঁয়ায় বিশেষ রং ও গন্ধে বাড়তি মাত্রা পায়৷ অত্যন্ত দামী সেই উপকরণের ভবিষ্যৎ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে পড়ছে৷ কাশ্মীরের বিজ্ঞানীরা সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন৷ যতদূর চোখ যায়, উজ্জ্বল বেগুনি রংয়ের সম্ভার৷ কাশ্মীরের পাম্পোর গোটা বিশ্বে জাফরানের শহর হিসেবে পরিচিত৷ সেখানে জাফরান ক্রোকাস বা আঁশ প্রায় ৩০,০০০ পরিবারের আয়ের উৎস৷ বহু প্রজন্ম থেকে সেই ঐতিহ্য চলে আসছে৷ ফিরোজ আহমাদের পরিবারও সেই কাজ করে৷ শরৎকালে ক্রোকাস ফসল তোলার সময়ে তাঁর ছোট মেয়েও সাহায্য করে৷ ফিরোজও নিজের বাবা-মাকে সেই কাজে সাহায্য করতেন৷ কিন্তু তিনি কেসর নামে পরিচিত জাফরানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আজ উদ্বিগ্ন৷ ফিরোজ বলেন, ২০০৩, ২০০৪ সালের হিসেব অনুযায়ী এক কানাল বা শূন্য দশমিক এক দুই একর জমি থেকে এক কিলো কেসর পাওয়া যেতো৷ আর এখন এক কিলো পেতে ১৫ কানাল জমি লাগে৷ ফলে বুঝতে পারছেন, বিগত বছরগুলিতে কতটা অবনতি ঘটেছে৷ একই পরিমাণ জাফরান উৎপাদন করতে আরো বেশি জমির প্রয়োজন পড়ছে৷ ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিনেও সে বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে৷ গবেষক হিসেবে নাশিমান আশরফ কাশ্মীরে জাফরানের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন৷ সেই পাহাড়ি এলাকায় এই মশলা শুধু কোনো সাংস্কৃতিক সম্পদ নয়, মানুষের আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎসও বটে৷ ড. আশরফ বলেন, গত ১৩ বছর ধরে আমি স্যাফরন বায়োলজির বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ করছি৷ চাষিদের ফিডব্যাক অনুযায়ী জাফরান উৎপাদনের অবনতির তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে৷ প্রথমত উচ্চ মানের রোপণের উপাদানের অভাব রয়েছে৷ দ্বিতীয় কারণ কর্ম-রট রোগ৷ তৃতীয় কারণ সেচের ব্যবস্থার অভাব৷ দশ বছরেরও বেশি আগে তিনি এক বড় জিন তথ্যভাণ্ডার সৃষ্টি করেছিলেন৷ তাতে ৬০,০০০-এরও বেশি জাফরান ক্রোকাসের সিকুয়েন্স জমা রয়েছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নতুন পরিস্থিতিতেও টিকে থাকতে পারে, এমন গাছ সৃষ্টি করাই সেই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ ড. নাশিমান আশরফ জানান, আমরা জিনগুলি শনাক্ত করেছি৷ এখন আমরা উন্নত স্মার্ট জাফরান সৃষ্টির প্রক্রিয়া চালাচ্ছি৷ খরা এবং অন্যান্য অ্যাবায়োটিক চাপ সামলাতে এবং কম রট রোগও প্রতিরোধ করতে পারবে সেই জাফরান৷ ইরানের পর ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাফরান উৎপাদনকারী দেশ৷ ফুলের মধ্য থেকে জাফরানের উপকরণ বার করার জন্য অত্যন্ত দক্ষতার প্রয়োজন৷ এক কেজি খাঁটি জাফরান পেতে হলে দুই থেকে তিন লাখ ক্রোকাস ফুলের প্রয়োজন হয়৷ সে কারণে জাফরানের আকাশছোঁয়া দাম৷ এক কিলোর দাম প্রায় দুই হাজার ইউরো হতে পারে৷  নাশিমান আশরফ কাশ্মীরের উত্তরে ইয়ারিখাহ তাংমার্গ অঞ্চল পরিদর্শন করছেন৷ তাঁর টিম সেখানকার খেতের জন্য ল্যাবে ক্রোকাস টিউবার চাষ করেছে৷ সেগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা সামলাতে সক্ষম৷ এবার দীর্ঘ খরা বা আচমকা প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটলেও সেই গাছ টিকে থাকতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ সেইসঙ্গে এই গাছ কুখ্যাত কর্ম রট প্রতিরোধ করতে পারবে৷ ড. আশরফ বলেন, আমরা দশটি জেলাতেই সফলভাবে জাফরান চাষ করতে পারি৷ তবে এবার আমরা সেই ক্ষেত্র সম্প্রসারণের কথা ভেবেছি৷ আমরা এখান থেকে ফুল সংগ্রহ করে জম্মুতে আমাদের স্থাপনায় সেগুলির মান বিশ্লেষণ করবো৷ এখানে উৎপাদিত জাফরানের মধ্যে খাঁটি জাফরানের সমান পরিমাণ কম্পাউন্ড আছে কিনা, তা পরীক্ষা করবো৷ এখানে বহুকাল কোনো জাফরান চাষ হয়নি৷ কিন্তু জলবায়ু-প্রতিরোধী নতুন ফুলগুলি কিন্তু ভালোভাবে বেড়ে উঠছে৷
২২ মার্চ ২০২৪, ১৬:০১

ক্যান্সারে আক্রান্ত হাবিপ্রবির সোহেলকে বাঁচাতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন
যে সময়টাতে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর দিকে তাকিয়ে থাকে দেশ এবং পরিবার। পড়াশোনা করে তিনি হাল ধরবে পরিবারের, অংশগ্রহণ করবেন দেশ বিনির্মাণে। কিন্তু কই আর এসব হলো। তার নিজের জীবনটাই আজ যে বিপন্ন! তিনি নিজেই নিজের চিকিৎসার অর্থ সহায়তার জন্য তাকিয়ে আছেন পরিবারের দিকে, দেশবাসীর দিকে।  বলছিলাম দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অর্থনীতি ১৯ ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী সোহেল রানার কথা। তার বাসা দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ উপজেলায়।  মেধাবী এই শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছেন দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে। জানা গেছে, গত ২ বছর যাবৎ সোহেল রানা (Ewing Sarcoma) ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রথম দিকে প্রায় দেড় বছর দিনাজপুরে আসল রোগ নির্ণয় না হওয়ায় তার সঠিক চিকিৎসা হয়নি। পরবর্তীতে ছয় মাস আগে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আরিফুর রহমান বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান তার ক্যান্সার (Ewing Sarcoma) হয়েছে।  এ যাবৎ সোহেল রানার পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং কেমোথেরাপি বাবদ প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এখন চিকিৎসক অপারেশন ও অপারেশন পরবর্তীতে ১১টি কেমোথেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তার সুচিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। তার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এ বিশাল অঙ্কের অর্থ বহন করা সম্ভব  না। তার বাবা পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তি। সোহেল রানা আক্ষেপের সুরে বলেন, আমার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। আমরা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ার কারণে আমার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। তাই আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু-বান্ধব, ছোট ভাই-বোন, বড় ভাই-বোনদের নিকট এবং দেশবাসীর নিকট অর্থনৈতিক সাহায্য এবং দোয়া প্রার্থনা করছি। আপনাদের সহযোগিতায় আল্লাহ তায়ালা হয়তো আমাকে আবারো আপনাদের মতো স্বাভাবিক জীবন দান করতে পারেন। সোহেলের বন্ধু স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, এই তো সেদিন ২০১৯ সালে আমরা ক্যাম্পাসে আসলাম। শহরে মেসে থাকার সুবাদে সোহেলের সঙ্গে বাসে কিংবা অটো করে ক্লাসে যাই। প্রায় শুক্রবার রাতে খিচুড়ি খাওয়া দাওয়া করি। সোহেলের বিভিন্ন খুনসুটিতে চায়ের আড্ডাগুলো কতই না জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠতো। কিন্তু সবই এখন স্বপ্নের মত লাগছে। তিনি আরও বলেন, সোহেল ধর্মীয় চেতনার হওয়ায় অনেক নম্র ভদ্র ছিল। সর্বোপরি আমাদের সবার সঙ্গেই অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা রইলো- সোহেল যাতে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারে। সোহেলের দিকে শুধু তার মা-বাবা, বন্ধু, ভাই-বোনেরা তাকিয়ে নেই। তার দিকে তাকিয়ে আছে তার স্ত্রী এবং এক বছরের ফুটফুটে মেয়ে আফিয়া। সোহেল দুবছর আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যেই সোহেল রানা আজ অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সেই সোহেলই হতে পারেন ভবিষ্যৎ দেশবরেণ্য অর্থনীতিবিদ। তাই আসুন সোহেল রানাকে বাঁচাতে আমরা এগিয়ে আসি সামর্থ্যের সর্বোচ্চ দিয়ে। সোহেল রানা ফিরে পাক জীবন, বন্ধুরা ফিরে পাক তার বন্ধুকে, মা-বাবা ফিরে পাক সন্তানকে, স্ত্রী ফিরে পাক স্বামীকে, কন্যা ফিরে পাক তার বাবাকে। আফিয়ার সকাল কাটুক বাবার কোলে ঘুরে বেড়িয়ে।  ভূপেন হাজারী বোধহয় সোহেল রানাদের মতো মানুষদের দুর্দশার কথা ভেবেই বলেছিলেন- ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য! একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু!’  সোহেল রানাকে সহোযোগিতা করতে নিচের দেওয়া ব্যাংক একাউন্ট মোবাইল নাম্বারে টাকা পাঠান :  ব্যাংক একাউন্ট Account Name:Sohel Rana Account Number: 1721050083398(DBBL) বিকাশ/নগদ: 01575026752 / 01796839158 রকেট: 01797868118 ব্যাংক একাউন্ট Account Name: Md Aktarul Islam   Account Number: 1721050068148 (DBBL) / 5074010016205 (Rupali Bank Ltd.) যেকোনো তথ্যের প্রয়োজনে মো. আক্তারুল ইসলাম অর্থনীতি বিভাগ (১৯ ব্যাচ) হাবিপ্রবি। মোবাইল: 01575026752 / 01611078939 অথবা  স্বপন চন্দ্র রায় মোবাইল: 01516079350
০৫ মার্চ ২০২৪, ০১:১৮

এসির ওপর দাঁড়িয়েও নিজেকে বাঁচাতে পারলেন না জুয়েল
রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় নিহত জুয়েল রানা গাজী (৩০) পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম মধুখালী গ্রামের ইসমাইল গাজীর ছেলে। জীবন বাঁচাতে সাত তলা থেকে নামার চেষ্টা করেন তিনি। অনেক কষ্টে জানালার পাশে এসির ওপর দাঁড়ান জুয়েল রানা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি সাহসী এ যুবকের। অপ্রত্যাশিতভাবে নিচে পড়ে গিয়ে মারা যান জুয়েল।  শুক্রবার (১ মার্চ) গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য জানান জুয়েলের ভাগিনা রাকিব।  জানা যায়, ওই ভবনে এমবাসিয়া নামের একটি খাবারের দোকানে কাজ করতেন জুয়েল। তার মা-বাবা ছাড়াও এক ভাই, তিন বোন রয়েছে। এ ছাড়াও জুয়েলের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা, ছয় বছরের মেয়ে তাসনিয়া ও তিন বছরের ছেলে তাইফুর রয়েছে। বাড়িতে চলছে মাতম। শ্রমজীবী পরিবারের ছেলে জুয়েল ও বড় ভাই আল আমিন ঢাকায় কাজ করতেন। প্রায় ৩ বছর আগে জুয়েল ঢাকায় যান। মাঝখানে করোনার ধকলে বেকার ছিলেন।  জুয়েলের মরদেহ শুক্রবার শেষ বিকেলে কলাপাড়ায় বাড়িতে নিয়ে গেলে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এলাকার হাজারো মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করেন। পরে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় জুয়েলকে।  নিহতের মামাতো ভাই সায়মন বলেন, পুরো পরিবারের দায়িত্ব ছিল জুয়েলের মাথায়। নিজে জীবনে কত কষ্ট করেছে তা আমি কাছ থেকে দেখেছি। আজ ভাই চলে গেল। এখন তার দুটি সন্তান ও তার বৃদ্ধ বাবা মাকে কে দেখবে। তাদের আর্থিক সংকট অনেক। জুয়েলের এমন মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গ্রামবাসী কি বলে বৃদ্ধ বাবা মাকে সান্ত্বনা দেবে ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। জুয়েলের বন্ধুরাও শোকে ভাষাহীন। স্থানীয় ইউপি সদস্য কাওসার মুসল্লি বলেন, জুয়েল অনেক ভালো ছেলে। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতো। আমরা চেষ্টা করবো সাধ্যমত ওর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন খান দুলাল বলেন, পরিবারটি অসহায়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে ছিল জুয়েল। এখন পরিবারটি আরো অসহায় হয়ে পড়ল। পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। আমরা তাদের পরিবারের পাশে থাকব সুখে দুঃখে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাড়িতে মরদেহ আসার খবর পেয়ে আমি উপস্থিত হয়ে দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করেছি।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়