• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাফাহতে ভয়াবহ হামলা চালাল ইসরায়েল, ২১ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের রাফাহতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এতে শিশুসহ অন্তত ২১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার (৬ মে) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েলের এই হামলায় এক পরিবারের সাতজন এবং অন্য পরিবারের নয়জন নিহত হয়েছেন। যাদের অনেকেই শিশু। এর আগে, দক্ষিণ গাজার এই শহরের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েককটি বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাফাহ শহরের একটি বাড়িতে হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন। এদিকে, গাজা উপত্যকায় হামলার পর থেকে ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে আসছে আল-জাজিরা। এতে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। রোববার (৫ মে) জেরুজালেমের অ্যাম্বাসেডর হোটেলে কাতারি সম্প্রচার মাধ্যমের অফিসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ইসরায়েলি সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘অপরাধমূলক কাজ’ হিসাবে নিন্দা করে আল-জাজিরা জানায়, মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর দমন আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনের লঙ্ঘন। এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমটি আরও জানায়, ইসরায়েলের সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করা এবং সাংবাদিকদের হত্যা, গ্রেপ্তার, ভয় দেখানো এবং হুমকি দিয়ে আল-জাজিরাকে থামানো যাবে না। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত এবং জিম্মি করা হয় ২৫২ জনকে। এরপর থেকে গাজায় তাণ্ডব চালিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৪ হাজার ৬০০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল।  
১০ ঘণ্টা আগে

বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা পুরস্কার জিতলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো আয়োজিত এবারের বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা পুরস্কার (ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম প্রাইজ) জিতেছেন ফিলিস্তিনের সাংবাদিকরা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন, গণহত্যা ও নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনাপ্রবাহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরায় অসামান্য এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে তাদের। শুক্রবার (৩ মে) ছিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। দিবসটি উপলক্ষে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বৃহস্পতিবার (২ মে) একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয় এবারের বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের নাম। গাজার সাংবাদিকদের এ পুরস্কার জয় নিয়ে খ্যাতনামা সাংবাদিক এবং ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম প্রাইজ জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মাউরিসিও ওয়েইবেল বলেন, এই অন্ধকার ও আশাহীনতার সময়ে যেসব ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নজিরবিহীন সংকটময় পরিস্থিতিতে গাজার কথা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছেন তাদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে আমরা একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে চাই। তিনি আরও বলেন, মানুষ হিসেবে এই সাংবাদিকরা যে সাহস দেখাচ্ছেন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি যে অঙ্গীকার রেখে চলেছেন, সেজন্য আমরা তাদের কাছে ঋণী।   গাজায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার মধ্যেও অসীম সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন সেখানকার সাংবাদিকরা। গাজার প্রকৃত পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হচ্ছেন না তারা। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর গত প্রায় ৭ মাসে গাজায় ১৪১ জন সাংবাদিক প্রাণ দিয়েছেন এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া চলমান এই যুদ্ধে গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ২০ জন সাংবাদিক, যারা বর্তমানে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি রয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওয়েইবেল বলেন, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের কাছে বিশ্ববাসীর বিশাল ঋণ রয়েছে। সারা বিশ্বে আমরা অনেক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছি। তবে আমাদের বলতে হবে, থামুন।
০৪ মে ২০২৪, ০৫:১০

ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে আবারও বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৬ জন আহত হয়েছেন। গাজা অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের একটি অস্থায়ী রায়কে লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চালানো বর্বর এই আগ্রাসনে অন্তত ৩৪ হাজার ২৬২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত এসব বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনির বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এ ছাড়া ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজার ২২৯ জন। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এ ছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনো ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এ ঘটনার পর ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান এবং স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল ও স্কুলসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৪ হাজার ২৫০ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৪

ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২২ ফিলিস্তিনি।খবর কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। এদিকে ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হামাস সংশ্লিষ্ট একটি বার্তা সংস্থা জানায়, গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থী শিবিরে ওই হামলা হয়। এতে হামাস নেতা হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ এবং তার অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় এর আগে হানিয়ের পরিবারের আরও কয়েক সদস্য নিহত হয়েছেন। তার এক ছেলে ফেব্রুয়ারিতে, ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া নভেম্বরে নিহত হন তার এক নাতি। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত মোট ৩৩ হাজার ৫৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৯৪ জন।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫২

ঈদের আগেও অনাহারে বহু ফিলিস্তিনি
গত ছয় মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বিমান এবং স্থল হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির বাসিন্দারা যেন দুর্ভিক্ষের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মুসলিমদের সংযমের মাস রমজানের শেষ দিকে এসে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। তাই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও গাজার বহু মানুষ অনাহারে থাকবে। বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। বুধবার গাজায় ঈদুল ফিতরের উৎসব পালিত হওয়ার কথা। কিন্তু ছিটমহলটির ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উৎসবের কোনো আমেজ নেই। তারা অন্য দেশগুলোর পাঠানো ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছে। পরিচয় পত্র হাতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘের বিতরণ কেন্দ্রগুলো থেকে দেওয়া ত্রাণ বাক্স গ্রহণ করছে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা জানান, ত্রাণ সরবরাহ আগের চেয়ে বাড়লেও এখনও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এ বিষয়ে গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দাইর আল-বালাহ এক শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ফায়েজ আব্দেল হাদি বলেন, ‌‘পর্যাপ্ত খাবার নেই। দুই মাস ধরে আমি কোনো ত্রাণ বাক্স পাইনি। সোমবার আমরা একটি বাক্স পেয়েছিলাম। কিন্তু তা আমার ও আমার সন্তানদের এবং আমাদের সঙ্গে থাকা ১৮ জন মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। একজন যদি প্রতিদিন একটি করে বাক্সও পায় তাহলেও তা পর্যাপ্ত হবে না।’ বিতরণ করা ত্রাণে খাবার থাকলেও সাবান ও ডিটারজেন্টের মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্য পণ্য নেই বলেও জানান তিনি। উম্মে মোহাম্মদ হামাদ নামের এক বাসিন্দা জানান, উত্তর গাজার নিজ বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি জাতিসংঘের এই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। দুই মাস ধরে সেখানে আছেন তিনি। তারা এতদিন কোনো ত্রাণ বাক্স পাননি, কোনো সাহায্য পাননি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৯

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের পর  ইসরায়েলের হামলায় ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৩ জন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। গাজায় হামলার পাশাপশি পশ্চিম তীরে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এদিনও বেশ কিছু ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে ইসরায়েল। এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। এ প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। কোনো পক্ষ যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৩২ হাজার ৪১৪ জন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৭৮৭ জন।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫০

ফিলিস্তিনি ইস্যুতে আবারও তোপের মুখে খাজা
গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর হামলার প্রতিবাদে বার্তা দিতে চেয়ে একের পর এক তোপের মুখে পড়ছেন অজি ওপেনার উসমান খাজা। কয়েক মাস আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলাকালে ব্যাট ও জুতায় কোনো বার্তায় কিংবা প্রতীকের ব্যবহার করতে কড়া বার্তা জানায় আইসিসি। শেষ পর্যন্ত ‘শান্তির প্রতীক’ ঘুঘু পাখির স্টিকার লাগিয়েছিলেন খাজা। এবার সেই স্টিকারও তাকে তুলে ফেলতে হয়েছে খাজাকে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়েলিংটন টেস্টে তিনি ব্যাটে একটি জলপাই গাছের ডাল ধরা ঘুঘু পাখির স্টিকার লাগিয়ে খেলছিলেন। ম্যাচের তৃতীয় দিন মানবাধিকারের বার্তা দেওয়া তার সেই স্টিকারও খুলে ফেলতে হয়েছে। এবারও খাজাকে আইসিসির পক্ষ থেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইসিসি থেকে তাকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন কোনো বার্তা দেওয়া যাবে না, যার মধ্যে রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে। সিরিজ শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ায় কুইন্সল্যান্ডের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় ব্যাটে জলপাই গাছের ডাল ধরা ঘুঘুর স্টিকার লাগিয়েই খেলেছিলেন খাজা। তা নিয়ে আপত্তি করেনি আইসিসি।  কিন্তু সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির আপত্তি রয়েছে আন্তর্জাতিক ম্যাচের ক্ষেত্রে । যদিও আপত্তির কথা আগেই জানতেন খাজা। তবুও ব্যাট থেকে স্টিকারটি না খুলেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমেছিলেন খাজা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার আগে সেই স্টিকার খুলেই ফেলতে হল তাকে। যদিও দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই বিশেষ স্টিকার লাগানো ব্যাট নিয়ে খেলেননি খাজা। ইনিংসের ১৯তম ওভারে ব্যাটে চিড় ধরলে নতুন ব্যাট চেয়ে পাঠান খাজা। একাদশের বাইরে থাকা ম্যাট রেনশ খাজার কিট ব্যাগ থেকে একাধিক ব্যাট নিয়ে মাঠে যান। সেখান থেকে তিনি একটি ব্যাট বেছে নেন। কিন্তু তাতে ঘুঘুর স্টিকার থাকায় ব্যাটিং চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। বাধ্য হয়ে স্টিকারটি তুলে ফেলেন।  এর আগে ফিলিস্তিনে নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে আর্মব্যান্ড পরায় আইসিসির কাছে শাস্তি পান খাজা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সময় কোনো আর্মব্যান্ড পরার জন্য ক্রিকেট বোর্ড ও আইসিসি থেকে অনুমতি নিতে হয়।  পার্থে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেললেও তার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও আইসিসি থেকে অনুমতি নেননি খাজা। যাতে আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন ভঙ্গ করেছেন খাজা। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ১২ মাসের মধ্যে চারবার এমন অপরাধ করলে ম্যাচ ফির ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়।  
০২ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৮

ফিলিস্তিন ইস্যু / আইসিজের শুনানিতে আজ অংশ নেবে বাংলাদেশ
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বিগত ছয় দশক (৫৭ বছর) ধরে ইসরায়েল যে দখলদারিত্ব চালিয়ে আসছে, তা নিয়ে শুনানি শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে)। এই শুনানিতে আজ (মঙ্গলবার) অংশ নেবে বাংলাদেশ। মোট ৫২টি দেশ এবং ৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এই শুনানিতে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালতে শুনানি শুরু হয়। চলবে আগামী এক সপ্তাহ। আইসিজের ১৫ বিচারপতি প্যানেলের সব সদস্যের উপস্থিতিতে শুরু হয় এ শুনানি। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকিও এজলাসে হাজির হয়েছেন। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কারও উপস্থিতি দেখা যায়নি। চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ১১টি দেশ শুনানিতে অংশ নেবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিজেতে এই শুনানি শুরু হয়েছে। ২০২২ সালে আইসিজের প্রতি এই শুনানির আহ্বান জানিয়েছিল সাধারণ পরিষদ। শুনানি শেষে একটি মতামত বা নির্দেশনা দেবেন আইসিজে। ধারণা করা হচ্ছে, আইসিজের এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা আসতে আনুমানিক ছয় মাস সময় লাগতে পারে। ইসরায়েল আইসিজের এই শুনানিতে অংশ নিচ্ছে না। তবে লিখিত পর্যবেক্ষণ পাঠিয়েছে। সপ্তাহ ধরে ধাপে ধাপে এই শুনানি হবে।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৩

ফিলিস্তিনি ইস্যুতে খাজার আপিল প্রত্যাখান আইসিসির
গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পার্থ টেস্টে বিশেষ জুতা পারে মাঠে নামার পরিকল্পনা ছিল অজি ওপেনার উসমান খাজার। আইসিসির পোশাক বিষয়ক নীতিমালার কারণে, সেটি আর করতে পরেননি তিনি। তবে কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ফলে অনুমতি ছাড়া আর্মব্যান্ড পরায় তাকে নিয়ম ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তবে আইসিসির এমন রায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তার এমন সিদ্ধান্তকে অনেকেই সম্মান জানিয়েছিলেন। কিন্তু খাজার আপিল প্রত্যাখান করে দিয়েছে আইসিসি। মেলবোর্ন-ভিত্তিক দৈনিক দ্য এজের বরাত দিয়ে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান’। অন্যদিকে মেলবোর্ন টেস্টের আগেও নিজের ব্যাটে ও জুতায় শান্তির প্রতীক পায়রার স্টিকার লাগিয়ে বক্সিং ডে টেস্টটা খেলতে চেয়েছিলেন এই অজি ওপেনার। তবে খাজাকে সেই অনুমতিও দেয়নি আইসিসি। বক্সিং ডে টেস্টকে সামনে রেখে মেলবোর্নে ব্যাটে ও জুতায় শান্তির প্রতীক পায়রা ও ‘01: UDHF’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে অনুশীলন করেন খাজা। যেখানে লেখা ছিল, সব মানুষ মুক্ত ও স্বাধীন হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং মর্যাদা ও অধিকারেও তারা সমান। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণার রেফারেন্স হিসেবেই ‘01: UDHF’ সংকেতটা ব্যবহৃত হয়। এরপর আইসিসির অনুমতি না পাওয়ায় মূল ম্যাচে এই সংকেত ও প্রতীক ব্যবহার করেননি তিনি। তবে হাতে কালো ফিতা বাঁধতে না দেওয়ায় আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন খাজা। 
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়