• ঢাকা রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
কলাগাছের তন্তু থেকে প্লাস্টিক পণ্য
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ক্ষুদে বিজ্ঞানী সাজ্জাদুল ইসলাম কলাগাছের তন্তু দিয়ে প্লাস্টিক, কার্বন ও সিলিকন পণ্যের বিকল্প ব্যবহারযোগ্য পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরির ফরমুলা আবিষ্কার করেছেন। একই সঙ্গে সে পচা ও অব্যবহৃত সবজির শ্বেতসার থেকে তৈরি করেছে পচনযোগ্য পলিথিন। তার দাবি এটি পরিবেশবান্ধব এবং অনেকটা সাশ্রয়ী। সাজ্জাদুল ইসলাম জানান, ‘শুধু টাইলস নয় তার আবিষ্কৃত কাঁচামাল দিয়ে প্লাস্টিক, কার্বন ও সিলিকনে তৈরি প্লাস্টিকের আসবাবপত্র, টিন, টাইলস ও কার্বনের তৈরি মোটরযানের যন্ত্রাংশের বিকল্প হিসেবে কলাগাছের তন্তু ব্যবহার করা সম্ভব। এমনকি বুলেটপ্রুফ দরজা জানালাও তৈরি করা সম্ভব। আবিষ্কৃত কাঁচামালে ৬৫ শতাংশ কলাগাছের তন্তু ও ৩৫ শতাংশ রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেই এসব তৈরি করা যায়।  তিনি জানান, তার আবিষ্কৃত প্লাস্টিক পণ্য উচ্চতাপে গলিয়ে সহজেই রাসায়নিক দ্রব্য ও কলাগাছের তন্তু আলাদা করা য়ায়। আর সবজির শ্বেতসার থেকে তৈরি পলিথিন মাটিতে ১ মাসে ও পানিতে ৩ মাসে পচে যাবে; যা মাটির জন্য হবে জৈব সার ও পানিতে হবে মৎস্য খাদ্য।   শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক হৃদয় কুমার ভৌমিক জানান, তাদের কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল কলাগাছের সেলুলোজ সমৃদ্ধ তন্তুর হাইডো-অক্সাইড ও রেজিন ব্যবহার করে এক টুকরো টাইলস তৈরি করে এবং আলুর শ্বেতসার থেকে পলিথিন তৈরি করে এনে দেখায়। পরে আমরা সরকারি কলেজের ল্যাব থেকে তাকে এটি করে দেখানোর আহ্বান জানালে কলেজের ল্যাবে এই দুই পণ্য তৈরি করে। এ সময় কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তা দেখেন।  প্রভাষক হৃদয় কুমার বলেন, ‘সে যে কাঁচামাল ব্যবহার করেছে তা পরিবেশের ভারসাম্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আরও অধিক গবেষণায় এটি ভালো কোনো আবিষ্কার হতে পারে।’ কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক রোমান মিয়া বলেন, ‘যেহেতু এর প্রধান কাঁচামাল কলাগাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় এবং কলাগাছ সহজলভ্য; তাই এটির ব্যবহারে গ্লাস ফাইবার ও কার্বন ফাইবারের প্রয়োগ কমবে। আর তার আবিষ্কৃত এ পলিথিন পরিবেশের ওপর অপচনশীল পলিথিনের প্রভাব কমাবে।’  সাজ্জাদুলের মাধ্যমিক বিদ্যালয় শ্রীমঙ্গল মহাজেরাবাদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান হুগলিয়া হাজী মনছব উল্লাহ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল হাছান বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই সাজ্জাদুলের বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কারে ছিল কৌতুহল। এ থেকেই বিভিন্ন কিছু আবিষ্কারে তার মনোযোগ আসে। সাজ্জাদুল ইতোমধ্যে কলাগাছের তন্তুকে ব্যবহার করে তৈরি করেছে টাইলস আর অব্যবহৃত সবজির শ্বেতসার থেকে তৈরি করেছে পরিবেশবান্ধব পলিথিন।’  শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক বিজন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘যেহেতু এর প্রধান কাঁচামাল কলাগাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়, তাই এই কাঁচামাল দিয়ে পলিথিন তৈরি করলে পরিবেশের ওপর অপচনশীল প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কমবে।’  এ বিষয়ে ক্ষুদে বিজ্ঞানী সাজ্জাদুল ইসলাম জানান, কলাগাছের তন্তু থেকে এই কঠিন যৌগ তৈরি করতে তার সর্বোচ্চ ৬৫ ভাগ তন্তু দিলে এর মধ্যে রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রণ হবে। সে জানায়, তার তৈরি টাইলসের ওজন পায় ৩০০ গ্রাম। যার মধ্যে ২০০ গ্রাম কলাগাছের তন্তু ও হাইডোঅক্সাইড ৬০ গ্রাম ও রেজিন ৪০ গ্রাম। সে জানায়, রেজিন ব্যবহার করা হয় এ জন্য যেন দীর্ঘ সময় ধরে এটি না পঁচে এবং হাইডো-অক্সাইড রেজিনের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী অবস্থান প্রদান করে। এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী আরও জানান, পরিবেশবান্ধব পলিথিনের জন্য সে ব্যবহার করে বাজারের পরিত্যক্ত সবজি থেকে সংগ্রহকৃত শ্বেতসার, অ্যাসিটিক এসিড ও গ্লিসারল। মোট দ্রবণের ২৫ শতাংশ গ্লিসারল, ২৫ শতাংশ অ্যাসিটিক এসিড, ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পানি ও বাকিটা সবজির শ্বেতসার। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার ফল ও সবজি অপচয় হয়। এই অপচয়কৃত শস্য থেকে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারযোগ্য পণ্য তৈরি করা হলে দেশের অর্থনীতিতে আসতে পারে বড় একটা পরিবর্তন এবং সঙ্গে সঙ্গে কমে আসবে পরিবেশ দূষণ। আর কলাগাছ যেহেতু একবার ফল দেওয়ার পর কেটে ফেলে দিতে হয়। তাই কৃষককে অল্প মূল্য দিয়ে তা সংগ্রহ করে এর দ্বারা প্লাস্টিক, কার্বন ও সিলিকন পণ্যের বিকল্প ব্যবহারযোগ্য পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরি করা সম্ভব। ইতোপূর্বে সাজ্জাদুল ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২৪’ এ মৌলভীবাজার জেলা পর্যায়ে বছরের সেরা মেধাবী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। সে জানায়, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সে তার গবেষণা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। সাজ্জাদুলের বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। তার বাবার পক্ষে তার গবেষণার খরচ চালানো সম্ভব নয়। তাই তার এ কাজের উৎসাহ অর্থনৈতিক কারণে সামনের দিকে এগোচ্ছে না। এই মেধাবী ক্ষুদে বিজ্ঞানীকে সরকার কিংবা হৃদয়বান কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা করলে তার দ্বারা ভালো কিছু আবিষ্কার করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তার শিক্ষকরা।   
১৯ মে ২০২৪, ২১:১২

তামাকজাত দ্রব্যে কর বৃদ্ধিতে পাশে থাকবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী
  তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রীর উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নারী  সদস্য ফোরামের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি চিঠি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে এই চিঠি জমা দেওয়া হয়।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি তামাকজাত দ্রব্যে কর বৃদ্ধি ও তামাকবিরোধী সব কর্মকাণ্ডে নারী মৈত্রীর পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তামাকের ব্যবহার কমানোর একটি কার্যকর উপায় হলো তামাকজাত দ্রব্যে কর বৃদ্ধি করা। কর বৃদ্ধি করা হলে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে যেমন মানুষ নিরুৎসাহিত হবে, তেমনি জাতীয় রাজস্ব আয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।  উল্লেখ্য, তামাকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার নিমিত্ত আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তামাক কর ও দাম বৃদ্ধির জন্য তামাকবিরোধী নারী সাংসদ ফোরাম-এর প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে- ১.  প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের নিন্মস্তরের মূল্য ৬০ টাকা, মধ্যম স্তরের মূল্য ৮০ টাকা, উচ্চ স্তরের মূল্য ১৩০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের মূল্য ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা। অন্যান্য স্তরের মতো নিন্মস্তরের সিগারেটের ওপরও ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। ২. ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। ৩. প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা ৫৫ টাকা, এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে উল্লিখিত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়ন করা হলে কেবল সিগারেট খাত থেকেই প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে, প্রায় ১৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে এবং প্রায় ১০ লাখ তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে। এটি সুস্পষ্টভাবে সরকার ও জনগণ উভয়ের জন্যই লাভজনক। এটি ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
১৬ মে ২০২৪, ১২:২৩

এম ভি আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু
জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এক মাস পর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় বঙ্গোপসাগরে নোঙর করেছে। সেখানে জাহাজ থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর খালাস শুরু হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) রাত ১০টার দিকে এসব চুনাপাথর আরেকটি জাহাজে খালাস শুরু হয়। এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় এটি উপকূলে নোঙর করে। রাত এগারটার দিকে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম। তিনি বলেন, পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। নতুন ২৩ জন নাবিকের টিম ইতোমধ্যে আবদুল্লাহ জাহাজে উঠেছেন। আগের ২৩ জন নাবিক মঙ্গলবার চট্টগ্রামে ফিরবেন। জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন। এসআর শিপিংয়ের সূত্র জানায়, এমভি আবদুল্লাহ গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা করে। ১৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটি ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সূত্র আরও জানায়, মুক্তিপণের বিনিময়ে এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পান এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিক। মুক্তির পর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। এতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা সেখানে খালাস করা হয়। পরবর্তী সময়ে আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর লোড করা হয়। এসব পণ্য নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয়।
১৪ মে ২০২৪, ০৮:৪৯

হিলিতে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে তেল, ডাল ও চাল পেয়ে খুশি সীমান্তবর্তী নিম্ন আয়ের মানুষ। সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১টায় হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন হাকিমপুর উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক অফিসার সাখাওয়াত হোসেন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিলার আলম হোসেন।  জানা যায়, হাকিমপুর উপজেলার ১০ হাজার ৫৭১ জনকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ৪৭০ টাকায় ৫ কেজি চাল, দুই কেজি মসুর ডাল ও দুই লিটার তেল দেওয়া হবে। 
১৩ মে ২০২৪, ১৬:২৪

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধের একদিন পর আবার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।  বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় পণ্য বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন। তিনি বলেন, বুধবার হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এ কারণে এখানে সাধারণ ছুটি ছিল। যার ফলে গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। 
০৯ মে ২০২৪, ১৬:৫৫

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে এ দুই দেশের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসায় যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, হাকিমপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ কারণে এখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ভারতের ব্যবসায়ীদের পত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে। এ দিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুল জানান, উপজেলা নির্বাচনের কারণে স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ থাকবে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসায় পাসপোর্ট যাত্রীরা বাংলাদেশ-ভারতে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
০৮ মে ২০২৪, ১৩:৩৭

জুলাই থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, জুলাই মাস থেকে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির কার্ডধারীদের মধ্যে নিত্যপণ্য বিক্রয় করা হবে। কোভিডের সময় জরুরি ভিত্তিতে ট্রাকসেলের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু করা হলেও এখন সময় এসেছে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে কার্ডধারীদের মধ্যে পণ্য বিতরণ করার।    মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর বারিধারা এলাকায় টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, কোনো হয়রানি ছাড়াই সহজে নিত্যপণ্য সংগ্রহ করতে পারার জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কার্ডধারীদের মধ্যে বিতরণের জন্য নিত্যপণ্যের সংখ্যাও পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে এটাই ছিল টিসিবির উদ্দেশ্য। আমি নিজেও ছোটবেলায় রেশন কার্ড নিয়ে ন্যায্যমূল্যের দোকানে যেতাম, বিভিন্ন জিনিস আমরা সেখান থেকে এনেছি। কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে নিজস্ব উৎপাদিত অনেক পণ্য ছিল না। টিসিবির মাধ্যমে এটা আসত। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় ছিল। বিশেষ করে সামরিক সরকার ক্ষমতায় থেকে টিসিবিকে একেবারে ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। সেই টিসিবিকে আবার ঘুরে দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু ভর্তুকি দিয়ে নয়, প্রতিটি জিনিস যেন ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি সেজন্য টিসিবি কাজ করে যাচ্ছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবাই যখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন ডলার সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে ১৩ লাখ টন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন ভোটের পরেই রমজান আসছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি আমাকে বলেছিলেন, তোমার চিন্তা করার দরকার নেই। যথেষ্ট খাদ্যপণ্য আছে। কিন্তু এটার ব্যবস্থাপনা যেন সুষ্ঠু হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে পারলে কেউ কারসাজি করতে পারবে না বলে আমি বিশ্বাস করি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক কোটি পরিবার প্রায় ৪ থেকে ৫ কোটি লোক, এই তালিকাটা একটু সংশোধন করা দরকার। কারণ, প্রত্যেক জায়গায় কিছু লোক মারা গেছেন, কিছু লোক স্থান পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলব আপনারা তালিকা সংশোধন করে যারা পাওয়ারযোগ্য তাদেরকে রাখবেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
০৭ মে ২০২৪, ১৫:৫৪

চুক্তিমূল্যের চেয়ে ১৬১৯ গুণ দামে পণ্য আমদানি
বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন এবং টাওয়ার নির্মাণের জন্য ভারত থেকে ৬৮ কেজি নাট, বোল্ট ও ওয়াশার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৯৫ ডলার দিয়ে আমদানি করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবিএল)। অথচ প্রতি কেজি ২ দশমিক ১৮ ডলার দরে পণ্যগুলো আনার কথা ছিল মাত্র ১৪৮.২৪ ডলারে। অর্থাৎ চুক্তিমূল্যের চেয়ে প্রায় এক হাজার ৬১৯ গুণ বেশি দামে কেনা হয়েছে পণ্যগুলো। গত বছরের এপ্রিলে চালানটি মোংলা বন্দরে পৌঁছালেও অস্বাভাবিক উচ্চমূল্যের কারণে এখন পর্যন্ত এগুলো খালাস করতে দেননি শুল্ক কর্মকর্তারা। কাস্টমসের শুল্ক নথি এবং ক্রয় চুক্তির তথ্য অনুযায়ী, এর আগে একই পণ্য ১৭৮ দশমিক ৮ টন পরিমাণ আমদানি করতে মাত্র তিন লাখ ৮৯ হাজার ২৫২ ডলার খরচ করেছিল পিজিসিবিএল। অর্থাৎ, প্রতি কেজি কেনা হয়েছিল ২ দশমিক ১৮ ডলারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিজিসিবিএলের অধীনে ইস্টার্ন গ্রিড নেটওয়ার্ক প্রকল্পের সম্প্রসারণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টিবিইএ কো. লিমিটেড ভারতের স্কিপার লিমিটেড থেকে এ মালামাল আমদানি করেছে। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন এবং টাওয়ার নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হবে এগুলো। এদিকে কাস্টমসের বাধার মুখে পণ্যগুলো খালাস করতে বছরখানেক ধরে বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়েছে পিজিসিবিএল। গত বছরের ৫ জুন মোংলা কাস্টমস হাউস কমিশনারের কাছে অস্বাভাবিক মূল্যের ব্যাখ্যা দিয়ে একটি চিঠি পাঠায় পিজিসিবিএল। তাতে উল্লেখ করা হয়, এবার আমদানির পরিমাণ কম হলেও দাম বেশি। কারণ আগের চালানে ভুলবশত বেশি পণ্য পাঠানো হয়েছিল। গড় আমদানি মূল্য ক্রয় চুক্তির সীমার মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু, প্রকৃত চুক্তিমূল্যের সঙ্গে আমদানিমূল্যের আকাশ-পাতাল ব্যবধান নিয়ে পিজিসিবিএলের এ ব্যাখ্যা সন্তুষ্ট করতে পারেনি মোংলা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষকে। কমিশনার এ কে এম মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে পিজিসিবিএল সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং আগের দুটি চালানের এলসি ও ইনভয়েসের মতো প্রাসঙ্গিক নথি জমা দিতে না পারায় চালানটি আটকে রাখা হয়েছে। চিঠি দেওয়ার পর কাস্টমস থেকে পণ্যগুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টও নিয়োগ করা হয়েছিল প্রকল্প পরিচালকের পক্ষ থেকে। কিন্তু সে চেষ্টাও ব্যর্থ হওয়ার পর এবার নথিতে ‘মানবিক ত্রুটি’র অজুহাত দেখাচ্ছে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি। পণ্যগুলো পুনরায় রপ্তানি করতে চাইছে তারা। গত ১০ মার্চ এ বিষয়ে মোংলা কাস্টমস হাউসে আবেদনও করেছে পিজিসিবিএল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কাস্টমস কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বলেন, ‘সব প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ হয়েছে তখন তারা দাবি করেছে যে, পণ্যগুলো ভুলবশত আমদানি করা হয়েছিল। তাদের এই দাবি হাস্যকর।’ আর মোংলা কাস্টমস হাউস কমিশনার মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, তারা এ বিষয়ে এনবিআরের মতামত চেয়েছেন এবং নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটির উত্তরের অপেক্ষায় আছেন। গত ১৬ এপ্রিল এনবিআরকে পাঠানো চিঠিতে মাহবুবুর রহমান উল্লেখ করেন, আমদানিকারকরা এ ঘটনাকে মানবিক ভুল বলে দাবি করলেও তাদের কার্যক্রম তা বলছে না। চালানটি অসতর্কভাবে ভুল গন্তব্যে পাঠানো হয়েছিল বলে তাদের যে দাবি, তা অসত্য। এছাড়া, তারা শুধু বিক্রয় চুক্তি ও প্রফর্মা চালান জমা দিয়েছে। বিক্রয় চুক্তিতে বলা হয়েছে যে, আমদানি ব্যয়ের ৮০ শতাংশ এলসির মাধ্যমে রপ্তানিকারককে দিতে হবে। আমদানিকারকরা এলসির কোনো অনুলিপি জমা দেয়নি। কমিশনার আরও বলেন, ‘আমদানিকারক বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পণ্য আমদানির অনুমতি পেয়েছেন কি না, সেটাও আমাদের যাচাই করতে হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত এসব তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে না পারি ততক্ষণ পর্যন্ত সেগুলো পুনরায় রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সেটা আমরা নির্ধারণ করতে পারি না।’  
০৭ মে ২০২৪, ১২:০০

মঙ্গলবার থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি
সারাদেশে ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করা হবে। সোমবার (৬ মে) সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় বারিধারা পার্কের পাশে উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। নিম্নআয়ের এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হবে। সিটি করপোরেশন ও জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী পরিবেশকেরা টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।  এ সময়ে নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন পরিবার কার্ডধারীরা। একজন কার্ডধারী সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল অথবা কুঁড়ার (রাইস ব্র্যান) তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি করে মসুর ডাল কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন বা কুঁড়ার তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং মসুর ডাল ৬০ দামে বিক্রি করা হবে।
০৬ মে ২০২৪, ২১:৪৪

লংগদুতে টিসিবির পণ্য রাখার দায়ে ২ দোকানে তালা
সরকারের দেওয়া কার্ডধারী টিসিবি পণ্য সাধারণ মানুষকে না দিয়ে বাজারের দোকানে রাখার দায়ে দুই দোকানে তালা ঝুলিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (৩ মে) সকালে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার মাইনী বাজার লঞ্চঘাটে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভর্তি করে টিসিবির পণ্য নিয়ে এসে বাজারে সুলতান স্টোর ও ইউছুফ স্টোরের গোডাউনে রাখা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম মাইনী বাজারে এসে ৯৯ বস্তা চাল জব্দ করে। এ সময় সুলতান স্টোর থেকে ১৯ বস্তা ডাল, ৭ বস্তা চিনি এবং ২২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। পার্শ্ববর্তী দোকান ইউছুফ স্টোর থেকে ২০ বস্তা চাল জব্দ করে। পরে দুই দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ ছাড়া অবশিষ্ট মালামাল ভাসান্যাদম ইউনিয়নে বিতরণের জন্য পুনরায় পাঠানো হয়। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সোহেল বলেন, খবর পেয়ে প্রশাসনের উপস্থিতিতে মালামাল বের করে যেখানে বিতরণ করার কথা ওই স্থানে প্রেরণ করা হয়। এ সময় দুই দোকানে বাজার কমিটির সম্মতিতে তালা ঝুলানো হয়। লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন, টিসিবি পণ্য বাজারে ওঠার কথা না। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে দুই দোকান থেকে মালামাল জব্দ করা হয় এবং দুই দোকান তালাবদ্ধ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। মালামাল বিক্রির বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে লিখিতভাবে অবগত করা হয়েছে।
০৩ মে ২০২৪, ২৩:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়