তামাকজাত দ্রব্যে কর বৃদ্ধিতে পাশে থাকবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী
তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নারী মৈত্রীর উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নারী সদস্য ফোরামের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি চিঠি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে এই চিঠি জমা দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি তামাকজাত দ্রব্যে কর বৃদ্ধি ও তামাকবিরোধী সব কর্মকাণ্ডে নারী মৈত্রীর পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তামাকের ব্যবহার কমানোর একটি কার্যকর উপায় হলো তামাকজাত দ্রব্যে কর বৃদ্ধি করা। কর বৃদ্ধি করা হলে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে যেমন মানুষ নিরুৎসাহিত হবে, তেমনি জাতীয় রাজস্ব আয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, তামাকের নেতিবাচক প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার নিমিত্ত আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে তামাক কর ও দাম বৃদ্ধির জন্য তামাকবিরোধী নারী সাংসদ ফোরাম-এর প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে-
১. প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের নিন্মস্তরের মূল্য ৬০ টাকা, মধ্যম স্তরের মূল্য ৮০ টাকা, উচ্চ স্তরের মূল্য ১৩০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের মূল্য ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা। অন্যান্য স্তরের মতো নিন্মস্তরের সিগারেটের ওপরও ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।
২. ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।
৩. প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা ৫৫ টাকা, এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।
আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে উল্লিখিত প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়ন করা হলে কেবল সিগারেট খাত থেকেই প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে, প্রায় ১৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত হবে এবং প্রায় ১০ লাখ তরুণ ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত হবে। এটি সুস্পষ্টভাবে সরকার ও জনগণ উভয়ের জন্যই লাভজনক। এটি ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
মন্তব্য করুন