• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্বামীর মৃত্যুর পর নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন বিদ্যা
বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা মালবাড়ে। শাহরুখ খানের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘চাক দে ইন্ডিয়া’-তে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে ভক্তদের মন জয় করেছিলেন। সিনেমায় ভারত দলের অধিনায়ক ছিলেন বিদ্যা। যেখানে তার অভিনয় ছিল প্রশংসা পাওয়ার মতো। তবে ওই সিনেমার পর আর সেভাবে নিজেকে কোনো সিনেমায় মেলে ধরতে পারেননি এই অভিনেত্রী। পেশাগত জীবনে সাফল্যের শিখরে উঠেও ব্যক্তিগত জীবন সমস্যার সম্মুখীন হয় বিদ্যা। স্বামীর মৃত্যুর পর আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের কঠিন সেই সময়ের কথা বলেছেন এই তারকা।  ২০০২ সাল। অরবিন্দ সিং বাগ্গাকে বিয়ে করেছিলেন বিদ্যা। অরবিন্দ একজন পাইলট ছিলেন। বিয়ের বছরখানেকের মাথায় অভিনেত্রীর স্বামী বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। স্বামীর মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না বিদ্যা।  সিদ্ধান্ত নেন নিজেকে শেষ করে ফেলবেন। একটা পর্যায়ে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ সেবন করতে শুরু করেন বিদ্যা। ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যেরও অবনতি হতে থাকে তার।  বিদ্যা বলেন, ‘স্বামীর মৃত্যুর পর আমি ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম স্বামী আমার কাছে আসতে পারবে না। কিন্তু আমি তার কাছে যেতে পারি। মেডিকেল থেকে ঘুমের ওষুধ এনেছিলাম। আমার বাবা আমাকে দেখে ফেলেন ঘুমের ওষুধ খেতে। এরপর সিদ্ধান্ত নিই, বাবা-মাকে আর কষ্ট দেব না। নিজের যত্ন নেব।’ স্বামীর শোক কাটিয়ে উঠে প্রায় ৯ বছর পর আবারও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিদ্যা। এবার সঞ্জয় ডাইমাকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু বিয়ের জন্য এই পরিচালককে ‘হ্যাঁ’ বলতেও নাকি দুই বছর সময় নিয়েছিলেন এই তারকা। ব্যক্তিজীবনে বর্তমানে স্বামী-সংসার নিয়েই খুশি অভিনেত্রী। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫১

যে কারণে নিজেকে ‘অযোগ্য’ বললেন প্রসেনজিৎ
ওপার বাংলার দর্শকনন্দিত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। শুধু ওপার বাংলাতেই নয় এপার বাংলায়ও তার ভক্তের সংখ্যা কম নয়। দর্শকপ্রিয় এই অভিনেতা হুট করেই নিজেকে ‘অযোগ্য’ বলে বসলেন! কিন্তু কেন? আসলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নতুন ছবির নাম ‘অযোগ্য’। সিনেমার ইতিহাসে হয়তো এটাই প্রথম। যেখানে টালিউডের দুই সুপারস্টার তাদের ৫০তম ছবিতে জুটি বাঁধছেন। হ্যাঁ, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যাদের একফ্রেমে আনতে পরিচালকরা সবসময় প্রস্তুত। যাদের একফ্রেমে দেখার জন্য হইচই পড়ে যায় ভক্তদের মধ্যে। সেই জুটিই ফের একসঙ্গে, তাদের ৫০তম ছবিতে। আর এই ম্যাজিক তৈরি করলেন টলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। গতবছরই এই সিনেমার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে নববর্ষে মুক্তির দিনক্ষণ জানা গেল। চলতি বছরের ৭ জুন এই ছবি আসছে প্রেক্ষাগৃহে। নতুন পোস্টারে ভেসে উঠল ঝাপসা প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার মুখ।  প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি মানেই বক্স অফিস বাম্পার। উত্তম-সুচিত্রা জুটির পরই বাংলা সিনেমার দর্শকদের মনে তাদের স্থান। এবার পঞ্চাশতম সিনেমার পালা।   নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির সফর শুরু হয়। প্রথম ছবিই ছিল সুপারহিট। তারপর একে একে ‘মায়ার বাঁধন’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘স্বামীর ঘর’, ‘মনের মানুষ’-এর মতো সিনেমার দর্শকদের উপহার দিয়েছেন দুজনে। তবে ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ সিনেমার মুক্তির পর বহুদিন একসঙ্গে কাজ করেননি ঋতুপর্ণা আর প্রসেনজিৎ। কিন্তু দুজনের জনপ্রিয়তায় বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। তার প্রমাণ ছিল নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘প্রাক্তন’। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় ‘প্রাক্তন’। আবারও সুপারহিট প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির অনস্ক্রিন রসায়ন। এই জুটিকে নিয়েই আবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় তৈরি করেছিলেন ‘দৃষ্টিকোণ’। আলাদা গল্প, আলাদা চরিত্র। কিন্তু প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ম্যাজিক ছিল অক্ষুণ্ন। তাতে আবার বাড়তি পাওনা ছিল কৌশিকের পরিচালনা। এই তিন মূর্তিই এবার দর্শকের দরবারে নতুন গল্প নিয়ে আসছেন। 
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৬

নিজেকে যে কারও চেয়ে বেশি ইসরায়েলপন্থী দাবি ট্রাম্পের
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার ইহুদি ভোটব্যাংকের দিকে নজর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সেই লক্ষ্যে নিজেকে এবার অতীতের যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের তুলনায় বেশি ইসরায়েলপন্থী বলে দাবি করলেন তিনি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।  চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, বাইডেন শতভাগ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।    রিয়েল আমেরিকাস ভয়েস নেটওয়ার্ককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যে ইহুদি ব্যক্তি বাইডেনকে ভোট দেয় সে ইসরায়েলকে ভালোবাসে না এবং খোলাখুলিভাবে তার সঙ্গে কথা বলা উচিত। ইহুদিদের বুঝতে হবে যে তারা বাইডেন বা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিতে পারেন না; কারণ ডেমোক্রেটরা শতভাগ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে।  সত্যিই, এটা অবিশ্বাস্য যে ঐতিহাসিকভাবে ইহুদিরা ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেয়। এরপরই ট্রাম্প দাবি করেন, এখন পর্যন্ত অন্য যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে তিনি অনেক বেশি ইসরায়েলপন্থী ছিলেন। এ সময় ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি প্রত্যাহার ও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এসব কেউ চায়নি; কিন্তু আমি না চাইতেই করে দিয়েছি।’ ডেমোক্র্যাটদের ভোট দেওয়া ইহুদিদের খারাপ একটি অভ্যাস উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বুঝি না, কোনো ইহুদি কীভাবে ডেমোক্র্যাটদেরকে ভোট দেয়।’
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৬

নিজেও নিজেকে ভোট দেননি ইউপি সদস্যপ্রার্থী কাজল
চুয়াডাঙ্গায় শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একটি ভোটও পাননি মো. কাজল নামের এক ইউপি সদস্যপ্রার্থী। এমনকি তিনি নিজেও নিজেকে ভোট দেননি। শনিবার (৯ মার্চ) শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  নির্বাচনের পর প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়। ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ৯ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে তালা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন ছানোয়ার হাসান। তিনি পেয়েছেন ৭০৬ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৮৪ ভোট। এ ছাড়া অপর ২ প্রার্থী মো. আসাদুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ১০ ভোট এবং মো. কাজল শূন্য ভোট (কোনো ভোট পাননি)। নির্বাচনে আসাদুল ইসলাম ও কাজল জামানত হারিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রাহুল রাহা। তিনি বলেন, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদে দুজন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এদের মধ্যে মো. কাজল একটি ভোটও পাননি।
১১ মার্চ ২০২৪, ০৬:২৮

নিজেকে আড়ালে রাখার কারণ জানালেন জেমস
বাংলা ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় তারকা জেমস। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে দর্শক মাতিয়ে রেখেছেন তিনি। ভক্তরা ভালোবেসে তাকে ‘গুরু’ নামেই ডাকেন। তবে বেশিরভাগ সময়ই নিজকে আড়াল করে রাখেন ‘নগর বাউল’ খ্যাত এই গায়ক। এবার নিজেকে আড়াল রাখার কারণ জানালেন জেমস।     জনপ্রিয়তা পাওয়ার আগে থেকেই নিজেকে আড়ালে রাখতে বেশি পছন্দ করতেন জেমস। পরবর্তীতে খ্যাতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আড়ালে যাওয়াটাও বেড়ে যায় তার। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে জনসম্মুখে আসতে চান না তিনি।     সম্প্রতি কলকাতার মঞ্চ মাতান জেমস। মূলত সেখানেই একটি গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে আড়ালে থাকার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি। এ সময় গায়ক বলেন, একা থাকতে পছন্দ করি। তখন হয়তো নিজের মতো করে ভাবি, ভাবতে ভালো লাগে। চুপচাপ থাকলে কোনো একটা বিষয় নিয়ে ফোকাসড থাকা যায়।   জেমস বলেন, আমি তো গানের জন্য সব সময়ই অ্যাভেইলেবল। দেশে এবং বিদেশে নিয়মিত স্টেজ শো করি। আসলে আমি নিজের মতো করে কাজ করতে পছন্দ করি। বাড়তি আড্ডা দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না।  প্রিয় শিল্পীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রিয় শিল্পীর তালিকাটা অনেক লম্বা। প্রচুর শিল্পী আছে, যারা সব সময় আমাকে অনুপ্রাণিত করেন। এদের মধ্যে— আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন। আজম খান, মাকসুদসহ অনেকেই আছে, যারা আমার অনুপ্রেরণার মানুষ। নতুন শিল্পীরাদের প্রসঙ্গে জেমস বলেন, নতুন যারা আছে, তারাও আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আর অনুপ্রেরণা না পেলে তো এগিয়ে যাওয়া যায় না। কলকাতার রূপম ইসলামও আমার পছন্দের শিল্পী।    
০৭ মার্চ ২০২৪, ১২:৫১

যেভাবে অগ্নিকাণ্ডে নিজেকে ধোঁয়া থেকে রক্ষা করবেন
আগুন এ যেন এক ভয়াবহ আতঙ্কের নাম। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটে যায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। যেকোনো অগ্নিকাণ্ডে আগুনে পুড়ে যতটা মৃত্যু হয়, তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ধোঁয়ার কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে। আগুন লাগার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের অবহেলা জনিত কারণে ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। তবে বেশিরভাগ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে বৈদ্যুতিক ত্রুটি কিংবা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে। তাই অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে এখন সবার আগে যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো আমাদের সচেতনতা।  চলুন জেনে নিই আগুন লাগলে নিজেকে ধোঁয়া থেকে রক্ষা করবেন কীভাবে- কোথাও আগুন লাগলে প্রথমেই সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে যেতে চেষ্টা করুন। আগুন লাগা ভবনে ইমারজেন্সি ডোর থাকলে সেটা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করুন। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামুন। ভুলেও লিফট ব্যবহার করবেন না। আতঙ্কিত হওয়া চলবে না :  আগুন লাগলে ভয় না পেয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। কারণ ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে গেলে হার্টবিট বেড়ে যায়। যা থেকে হার্টফেল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্য দিকে জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার ফলে আগুন থেকে বর্জিত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড আমাদের নিশ্বাসে অতিরিক্ত মাত্রায় মিশে যায়। যা থেকে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ধোঁয়া থেকে দূরে যেতে হবে :  আগুনের ধোঁয়ার ভেতরে আটকা পড়লে মুখ না ঢেকে বের হতে যাবেন না। আবার হেঁটেও বের হবেন না। ধোঁয়ার ভেতর থেকে নিচু হয়ে বা হামাগুড়ি দিয়ে কিংবা গড়াতে গড়াতে বের হতে হবে। তা না হলে ধোঁয়ার বিষাক্ত গ্যাস চোখে-মুখে গিয়ে বিপদ বাড়াতে পারে। আগুনের ধোঁয়া থেকে নির্গত নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্যাস বিষাক্ত তাই যতটা সম্ভব ধোঁয়া থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এটি চোখে মুখে গেলে প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। ভেজা কাপড়ে মুখ ঢাকতে হবে : আগুনে আটকা পড়লে শুধু নাক দিয়ে নিশ্বাস নিন। মুখ দিয়ে শ্বাস নেবেন না। এ সময় কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে তা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন। প্রয়োজনে তোয়ালে দাঁত ও ঠোঁট দিয়ে চেপে রাখুন। এটি আপনাকে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে সাহায্য করবে। জানালা খুলে দিন :  ধোঁয়া দেখা গেলে জানালা ভেঙ্গে দেবেন না। যদি দেখেন জানালার দিকে আগুন বা ধোঁয়া নেই তাহলে তা খুলে তাজা বাতাস নেয়ার চেষ্টা করুন শ্বাস নেওয়ার জন্য। কাপড়ে আগুন লেগে গেলে করণীয়: এমন পরিস্থিতিতে সঙ্গে সঙ্গে মেঝেতে শুয়ে পড়ুন। এবার মেঝেতে সারা শরীর গড়াগড়ি করতে থাকুন যতক্ষণ না আগুন নিভে যায়। এরকম করলে আগুন দ্রুত নিভে যাবে। গড়াগড়ি খাওয়ার সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে নেবেন যেন আগুনের আভা মুখে এসে না লাগে। আগুন লাগলে লাফালাফি করবেন না। এতে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে যায়। রুমের দরজা বন্ধ রাখতে হবে :  আগুনের ধোঁয়া রুমে সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না সেজন্য রুমের দরজা বন্ধ করে দিন। দরজার নিচে ও উপরে কাপড় ভিজিয়ে তা দিয়ে দরজার ফাঁকা অংশ বন্ধ করে দিন।   হামাগুড়ি দিতে হবে :  বের হওয়ার কোনো পথ পেলে হামাগুড়ি দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করুন। এতে মেঝের সতেজ বাতাস আপনাকে শ্বাস নিতে সাহায্য করবে। দরজা খোলার আগে হাত দিয়ে তা ধরে দেখুন। গরম লাগলে খুলবেন না। বুঝবেন দরজার ওপাশে আগুন আছে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫০

এসির ওপর দাঁড়িয়েও নিজেকে বাঁচাতে পারলেন না জুয়েল
রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় নিহত জুয়েল রানা গাজী (৩০) পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম মধুখালী গ্রামের ইসমাইল গাজীর ছেলে। জীবন বাঁচাতে সাত তলা থেকে নামার চেষ্টা করেন তিনি। অনেক কষ্টে জানালার পাশে এসির ওপর দাঁড়ান জুয়েল রানা। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি সাহসী এ যুবকের। অপ্রত্যাশিতভাবে নিচে পড়ে গিয়ে মারা যান জুয়েল।  শুক্রবার (১ মার্চ) গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য জানান জুয়েলের ভাগিনা রাকিব।  জানা যায়, ওই ভবনে এমবাসিয়া নামের একটি খাবারের দোকানে কাজ করতেন জুয়েল। তার মা-বাবা ছাড়াও এক ভাই, তিন বোন রয়েছে। এ ছাড়াও জুয়েলের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা, ছয় বছরের মেয়ে তাসনিয়া ও তিন বছরের ছেলে তাইফুর রয়েছে। বাড়িতে চলছে মাতম। শ্রমজীবী পরিবারের ছেলে জুয়েল ও বড় ভাই আল আমিন ঢাকায় কাজ করতেন। প্রায় ৩ বছর আগে জুয়েল ঢাকায় যান। মাঝখানে করোনার ধকলে বেকার ছিলেন।  জুয়েলের মরদেহ শুক্রবার শেষ বিকেলে কলাপাড়ায় বাড়িতে নিয়ে গেলে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এলাকার হাজারো মানুষ তাদের বাড়িতে ভিড় করেন। পরে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় জুয়েলকে।  নিহতের মামাতো ভাই সায়মন বলেন, পুরো পরিবারের দায়িত্ব ছিল জুয়েলের মাথায়। নিজে জীবনে কত কষ্ট করেছে তা আমি কাছ থেকে দেখেছি। আজ ভাই চলে গেল। এখন তার দুটি সন্তান ও তার বৃদ্ধ বাবা মাকে কে দেখবে। তাদের আর্থিক সংকট অনেক। জুয়েলের এমন মৃত্যুতে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গ্রামবাসী কি বলে বৃদ্ধ বাবা মাকে সান্ত্বনা দেবে ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। জুয়েলের বন্ধুরাও শোকে ভাষাহীন। স্থানীয় ইউপি সদস্য কাওসার মুসল্লি বলেন, জুয়েল অনেক ভালো ছেলে। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতো। আমরা চেষ্টা করবো সাধ্যমত ওর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন খান দুলাল বলেন, পরিবারটি অসহায়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে ছিল জুয়েল। এখন পরিবারটি আরো অসহায় হয়ে পড়ল। পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। আমরা তাদের পরিবারের পাশে থাকব সুখে দুঃখে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাড়িতে মরদেহ আসার খবর পেয়ে আমি উপস্থিত হয়ে দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করেছি।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩২

নিজেকে নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন ড. ইউনূস
যেকোনো সময় আমার জামিন বাতিল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ইউনূস। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিএনএন-এর তারকা সাংবাদিক ক্রিস্টিয়ান আমানপোরকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। প্রশ্ন পর্বের আগে সিএনএন এর খবরের শুরুতে বলা হয়: বাংলাদেশে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের সমর্থকরা বলছেন, তিনি ওই দেশের প্রধানমন্ত্রীর টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। আমানপোরের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এখানে ভয়াবহ সব ঘটনা ঘটছে।  আপনার বিরুদ্ধে করা মামলার পরিণতি কি হতে পারে? আপনি কি জেলে যেতে পারেন? জবাবে তিনি বলেন, আমি এরই মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত। যেকোনো সময় আমার জামিন বাতিল হতে পারে। তারা আমার জামিন বাড়াতে পারে, নয়তো আমার কিংবা আমার সঙ্গে আরও যারা অভিযুক্ত হয়েছেন তাদের সবাইকে জেলে দিতে পারে। ড. ইউনূস বলেন, মার্চের ৩ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা নতুন একটি মামলার-যেখানে আমাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে মানি লন্ডারিং ও আরও বেশকিছু ইস্যুতে-কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। আমরা যদি পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাই, তাহলে ওই মামলায় আরও দীর্ঘ সময়ের কারাদণ্ডও দিতে পারে। আমরা জানি না এগুলো কবে শেষ হবে। অভিযোগের বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমি শুধু নাকচ (অভিযোগ) করেছি তা নয়। এ নিয়ে দেশের ও দেশের বাইরের যেসব আইনজীবীর সঙ্গেই আলোচনা করেছি, তারা সবাই সম্মত হয়েছে যে এসব মামলার কোনো ভিত্তি নেই এবং তারা এ ধরনের কোনো মামলা এর আগে দেখেননি ও পরিচালনা করেননি। এটা এক ধরনের হয়রানি। এটা নিশ্চিত করা যে আমি বা আমরা এই বার্তা পাচ্ছি যে আমাদেরকে ভালোভাবে নেওয়া হচ্ছে না। শেখ হাসিনা কি আপনাকে তার রাজনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে ভাবছেন- জবাবে এই অধ্যাপক বলেন, আমি জানি না তিনি কী মনে করেন। কিন্তু রাজনীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে আমি সরকার প্রধান হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। সেটি প্রত্যাখ্যান করেছি। এখানে (রাজনীতিতে) জড়ানোর কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আমি বহুবার বলেছি, এসব নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির মৃত্যুর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ইউক্রেনে অবস্থানরত আমানপোর ড. ইউনূসের কাছে জানতে চান আপনি কি বিদেশে থাকার প্রস্তাব পেয়েছেন? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, হ্যাঁ- আমি অনেক বিদেশি বন্ধুর কাছ থেকে এই দেশ ছেড়ে তাদের দেশে চলে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছি। তারা আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং আমার কাজ যাতে সারাবিশ্বে চলতে পারে তার সব ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে এগুলো শুরু করেছিলাম। যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে আমি শিক্ষকতা করতাম। তারপর আমি বাংলাদেশে ফিরে আসি। দেশে ফিরে আমি যা করেছি, তা সবই সাধারণ মানুষের জন্য। আমি দুর্ভিক্ষ দেখেছি, মানুষের বিভিন্ন সমস্যা দেখেছি। যে কারণে আমি চিন্তা করেছি গরিব মানুষ যেন উপকৃত হয়। এটাই আমার আকাঙ্ক্ষা, এটাই আমার জীবন। যার ফলে ক্ষুদ্র ঋণ এসেছে এবং বিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছে।  
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৫

অভিমান করে নিজেকে শেষ করলেন এক বৃদ্ধ
নানান কারণে পরিবারের সঙ্গে অভিমান ছিল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার ৫৫ বছর বয়সী শাখাওয়াত হোসেনের। আর সেই অভিমান থেকেই নিজেকে শেষ করে দিতে পেটে চালালেন ছুরি। তাতেও বেঁচে গেলে গাছে উঠে দেন লাফ। এতে মারা যান তিনি।  শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাছ থেকে লাফিয়ে পরে মারা যান তিনি। শাখাওয়াত হোসেনের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বেড়াকুটি গ্রামে। এর আগে শুক্রবার বিকেলে নিজের পেটে ছুরি চালান তিনি। এতে আহত হলে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসা দেন। স্বজনরা বলছেন, তিনি বেশ হতাশায় ভুগছিলেন।  পুলিশ ও প্রতিবেশীরা জানান, শাখাওয়াত হোসেন অভিমানী ছিলেন। হতাশাগ্রস্তও ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে নিজের পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। পরিবারের লোকজন তাকে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা করান। এরপর সন্ধ্যার দিকে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে একটি গাছে ওঠেন। সেখান থেকে লাফ দিলে, মারা যান তিনি। ফুলবাড়ী থানার ওসি প্রান কৃঞ্চ দেবনাথ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। তিনি হতাশায় ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা হবে। 
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১২

যে কারণে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন অপু বিশ্বাস
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সোহানা সাবা-শাহনূরের পর এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন অপু বিশ্বাস। বগুড়া অঞ্চল থেকে এই ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম কেনেন অপু। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শেষে অপু বিশ্বাস বলেন, আমি যেহেতু একজন অভিনেত্রী, আমি সবসময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম। আমি বরাবরই নারীদের উন্নয়ন করতে চাই। সেই জায়গা থেকেই যদি আমাকে সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে আমি মানুষের জন্য কাজ করব। ইনশাআল্লাহ, আপনারা সবাই দোয়া করবেন, আশীর্বাদ করবেন আমি যেন লক্ষ্যপূরণ করতে পারি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারায় নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন অপু। তিনি বলেন, নিজেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়াতে পারা এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে থাকতে পারা আমার জন্য সৌভাগ্য বলে মনে করি। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলাম। বাকিটা আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা। মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আপনি আশাবাদী কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি আপেক্ষিক বিষয়। তবে আমি প্রত্যাশা করি আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এদিকে সকালে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন অভিনেত্রী সোহানা সাবা, সৈয়দা কামরুন নাহার শাহনূর, নিপুণ আক্তার। এরপর একে একে মনোনয়ন ফরম নিতে দেখা যায় প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, তানভীন সুইটি, চিত্রনায়িকা জাকিয়া মুন প্রমুখ।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়