• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েই চলেছে আলুর দাম
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ঈদের ছুটি শেষে ভারত থেকে আলু আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পেলেও প্রতি কেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। চাহিদার তুলনায় দেশীয় আলুর সরবরাহ কম এবং ভারতের অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলুখেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ভারতের অভ্যন্তরে দেখা দিয়েছে আলুর সংকট, সেই সঙ্গে বেড়েছে দাম। বন্দরের ব্যবসায়ীদের কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আলু আমদানি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে যে ভারতীয় আলু বন্দর অভ্যন্তরে পাইকাররা ২৮-৩০ টাকা কেজিতে কিনেছে, সেই আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। অন্যদিকে হিলির খুচরা বাজারে ভারতীয় আলুর পাশাপাশি বৃদ্ধি হয়েছে দেশি আলুর দামও। দেশি আলু কেজি প্রতি প্রকারভেদে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে ২৩০ মার্কিন ডলারে আলু আমদানি হচ্ছে। সেই সঙ্গে সরকারকে প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৮ টাকা ৬২ পয়সা। যার ফলে আলু আমদানি করে তেমন লাভ হচ্ছে না। যদি সরকার আলু আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে দিতো তাহলে আলুর দাম অনেকটাই কমতো। এদিকে হিলি বন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দরের ব্যবসায়ীরা যেন সঠিক সময়ে বাজারজাত করতে পারে সেই জন্য আমদানিকৃত কাঁচামাল দ্রুত ছাড়করণে কাজ করছে হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড। হিলি স্থলবন্দরের তথ্যমতে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৬ হাজার ১৬৩ টন আলু আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫৩

যানজট না থাকলেও পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, দুর্ভোগে যাত্রীরা
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ। ঈদযাত্রায় আজ সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টার পয়েন্টে যাত্রীদের ভিড় কয়েকগুণ বেশি দেখা যায়। যদিও এবার ঈদযাত্রায় এখনও যানজটের ভোগান্তি না থাকলেও বাড়তি ভাড়া আদায়, ইচ্ছামতো টিকিটের দাম হাঁকাসহ অতিরিক্ত গরমের কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সড়কপথের যাত্রীদের। যাত্রীরা বলছেন, কয়েকটি পরিবহনে ভাড়া বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক বাসে অর্ধেক যাত্রায়ও সংশ্লিষ্ট রুটের শেষ গন্তব্যের টিকিটের মূল্য পরিশোধে বাধ্য করা হচ্ছে। রয়েছে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। বিভিন্ন কাউন্টারের সেলসম্যান ও স্থানীয় কিছু দালালচক্র সিন্ডিকেট করে টিকিট নিয়ন্ত্রণ করছে। বিভিন্ন রুটের বাসে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। তবুও দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে অনেকটা অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে চিটাগাংরোড পরিবহন কাউন্টার মালিকদের সংগঠন।  নারায়ণগঞ্জের কালিবাজার, সাইনবোর্ড, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের শিমরাইল মোড়, কাঁচপুর ও গাউছিয়া এলাকার বিভিন্ন জেলার বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বাসে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। যাত্রীদের ভাষ্য, বিশৃঙ্খল পরিবেশে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা একপ্রকার জিম্মি করে ভাড়া বাড়িয়েছেন। সব মিলিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষকে পরিবহনের অতিরিক্ত ভাড়াবৃদ্ধি ও সময়মত বাস আসা নিয়ে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। শিমরাইল মোড়ে একুশে পরিবহনের বাস যাত্রী শায়েলা হক বলেন, ঈদ এলেই বাড়তি ভাড়ার বোঝা নিতে হয় যাত্রীদের। কয়েক সপ্তাহ আগেও নোয়াখালীর একুশে পরিবহনে যে টিকিট ৪০০-৫০০ টাকা ছিল; সে টিকিট এখন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য পরিবহনেরও একই অবস্থা। বাড়তি ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে শিমরাইল মোড়ে একুশে কাউন্টারের এক টিকিট বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, একটা গাড়ি যখন ঢাকার বাইরে যায়, সেই গাড়ি তিনজন যাত্রী হলে ঢাকায় ফিরে। তখন আমাদের ব্যয় বেড়ে যায়। সেই ব্যয় পূরণ করতে কিছু সময় ভাড়া বেশি নেওয়া হয়। এর বেশি কিছু আর বলতে পারব না। শিমরাইল মোড়ে পরিবহনের কাউন্টার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুর আজিজ বলেন, হ্যাঁ আসলে ঈদ আসলে একশ্রেণি দালাল চক্র ও অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে হুটহাট করে টিকিটের দাম বৃদ্ধি করে। বেশির ভাগ কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতারা জড়িত এ সকল অপকর্মের সঙ্গে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, মহাসড়কে যাতে যাত্রী পরিবহনে কোনোপ্রকার বিড়ম্বনা ও জোর জবরদস্তি করা যাবে না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক টিম আমাদের রয়েছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৫

বেঁচে থাকলেও অভিনয় আর করতে পারব না : সামান্থা
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। বলিউডেও তার বিচরণ রয়েছে। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। লাস্যময়ী হাসি আর অভিনয় গুণে জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকহৃদয়ে। মাঝে ‘মায়োসাইটিস’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ক্যামেরা থেকে দূরে ছিলেন সামান্থা।      সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে নিজের অসুস্থতা ও সেসময়ের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সামান্থা। এসময় তিনি বলেন, ‘মায়োসাইটিস’ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ থেকে বিরতি নেওয়া ছিল তার জীবনের ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’। পরে অবশ্য অভিনেত্রী জানান— কঠিন নয়, এটা তার সেরা সিদ্ধান্ত ছিল।  সামান্থা বলেন, সেটি ছিল আমার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত। সেসময় অনেকেই বলেছিল যে, আমি ফুরিয়ে গেছি। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারব না। এমনকি বেঁচে থাকলেও অভিনয় করতে পারব না। কিন্তু আমার তীব্র আত্মবিশ্বাসই আমাকে ফিরিয়েছে। জানা গেছে, ২০২২ সাল থেকে ‘মায়োসাইটিস’ নামক বিরল রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন সামান্থা। এখন তার শারিরীক অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও অটো ইমিউন রোগ ধরা পড়ার পর দীর্ঘদিন হাসপাতালেও ভর্তি থাকতে হয়েছে তাকে। যার ফলে রুপালি পর্দা থেকে বিরতি নেওয়ার পাশাপাশি মোটা অংকের টাকাও গুনতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। বর্তমানে জীবনের সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে কাজে মন দিয়েছেন সামান্থা। ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ সিরিজে অভিনয়ের জন্য দর্শকদের ব্যাপক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। বিজয় দেবেরাকোন্ডার সঙ্গে ‘খুশি’ সিনেমাতেও প্রশংসিত হয়েছে তার কাজ। গেল বছরের মাঝামাঝি চিকিৎসার জন্য অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন সামান্থা। তবে ধীরে ধীরে রুপালি পর্দায় ফিরছেন তিনি। আপাতত মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সামান্থা অভিনীত সিনেমা ‘সিটাডেল’।  সূত্র : ফেমিনা ইন্ডিয়া  
০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭

নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সরবরাহ বহাল করতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে ভারত সরকার। তবে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার রাখতে এর মধ্যেও বাংলাদেশে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।  দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে বাংলাদেশ ছাড়াও চারটি দেশে সরকারিভাবে সীমিত আকারে পেঁয়াজ রপ্তানির এ অনুমতি দিতে যাচ্ছে ভারত সরকার। দেশগুলো হলো- নেপাল, ভুটান, বাহরাইন ও মরিশাস। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও, দ্বিপক্ষীয় উদ্দেশে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, কী পরিমাণ রপ্তানি করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা যায়নি।   সূত্রমতে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্পর্কিত বিভিন্ন শর্তাবলির বিষয়ে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। এর আগে পবিত্র রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমাতে নির্দিষ্ট পরিমাণে চিনি ও পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিতে ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির সরকার। পরে এই নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কারণ, অভ্যন্তরীণ বাজারেক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চেয়েছিল দেশটি। রপ্তানি আটকাতে প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল ভারত। কিন্তু তাতেও আশানুরূপ ফল না আসায় পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তবে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে এবার  বাংলাদেশসহ ৫টি দেশের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা সীমিত আকারে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। 
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৬

সীমান্তে ঝুঁকি থাকলেও আমরা প্রস্তুত : কাদের
মিয়ানমারে চলমান অস্থিরতায় সীমান্তে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকলেও বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে জানিয়ছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার (১৯  ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যে অস্থিরতা চলছে, তাতে সীমান্তে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। আমাদের বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত রক্ষায় সদা জাগ্রত। মিয়ানমারের অস্থিরতার ফলে নিরাপত্তার ঝুঁকি হতে পারে, সে বিষয় আমরাও প্রস্তুত। এসম বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে মিথ্যাচার অপরিহার্য। মিথ্যাচার তাদের চিরাচরিত ধারাবাহিকতা। এখন তাদের সঙ্গে জনগণও নেই। কিন্তু রাজনীতি করতে গেলে কিছু কথা বলতে হয়, সেজন্য মাঝে মাঝে তারা কথামালার চাতুরী করে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিকিউরিটি ইস্যুতে জার্মানিতে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আমন্ত্রণ করা বাংলাদেশের জন্য সম্মানের। শেখ হাসিনা সেখানে গিয়ে গণহত্যার বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন, যা তার সাহসিকতারই পরিচয়। অনেক সরকার প্রধানই এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন না। এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, আনিসুল ইসলাম, সাবেক যুবলীগ নেতা হারুনুর রশিদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্নাসহ অন্যান্যরা।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৯

মন্ত্রিত্ব না থাকলেও তার কষ্ট নেই
দীর্ঘ ১০ বছর পর মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করে এখন বিদায় নিচ্ছেন। এই সময়ে অনেক বিষয় নিয়ে হয়ে ছিলেন ভাইরাল। এই আলোচনা-সমালোচনা কোনোটাই তিনি কানে নেননি। একটানা কাজ করে গেছেন। শুধু সিলেটবাসীর জন্য নয় তিনি সারাদেশের জন্য কাজ করেছেন। যদিওবা তার কিছু বক্তব্য বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কচুরিপানা খাওয়ার বক্তব্য। তিনি বলেন, কচুরিপানা নিয়ে কিছু করা যায় কি না, কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোনোমতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন? পরে অবশ্য তিনি এই বক্তব্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, গবেষণা করতে ভয় কেন? আমরা যেকোনো বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে পারি। গবেষকদের পরামর্শ দিতে বলেছি, নিউজ করতে বলিনি। বিষয়টি এভাবে আসবে ভাবিনি। আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। দেশের মানুষের কল্যাণে আমরা যেকোনো বিষয় নিয়ে গবেষণা করার জন্য বলতে পারি। মন্ত্রী থাকার সময় তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। যা উদ্ধার হতে বেশ কয়েক মাস লেগে যায়। এবার নতুন মন্ত্রিপরিষদ থেকে ছিটকে গেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গঠিত নতুন পরিষদে তার ঠাঁই হয়নি। এতে অবশ্য তার কষ্ট নেই। বৃহস্পতিবার শেষ দিনের অফিসে মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে কুশলবিনিময় করার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। বিদায় নেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দায়িত্ব পালন আমি উপভোগ করেছি। আমার কোনো কষ্ট নেই। আমি মন্ত্রী না থাকলেও সংসদে আছি। আমি দলের একজন কর্মী। তিনি বলেন, চমৎকার মন্ত্রিসভা করেছে সরকার, প্রত্যেকে কাজের মানুষ। দল যেখানে কাজে লাগাবে, সেখানে কাজ করব। এখানে নতুন যিনি আসবেন, তিনিই আমার সহকর্মী। আমার কোনো মতামত প্রয়োজন হলে ওনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তিনি আমার সরকারের বাইরের কেউ নয়। নতুন যিনি আসবেন তাকে অভিনন্দন জানাই। তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজের চমৎকার পরিবেশ। যিনি আসবেন তাকে স্বাগত জানাব। বাস্তবিক অর্থে এখানে প্রধানমন্ত্রী প্রধান। এখানে কাজ উপভোগ করার মতো। কাজের পরিবেশ ভালো, প্রাণবন্ত। এখানে একটাই চ্যালেঞ্জ, আশা অনেক বেশি। এখানে নানা বিধিবিধান মেনেই কাজ করতে হয়। দেশের সুশাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে একাডেমিক পরিবেশ আছে। সাধারণ মানুষও এখন পরিকল্পনা কমিশন চেনে। গ্রামে সবাই এখন একনেক চেনে। গ্রামের মানুষ এখন উন্নয়নের সঙ্গে খুব পরিচিত। গ্রামের মানুষ খুব উন্নয়ন চায়। উন্নয়নকে সামনে এগিয়ে নিতে চায়। একনেক হলে মানুষ টিভি-পত্রিকায় চেয়ে থাকে। কোন অঞ্চলে প্রকল্প পাস হয়, এটা সবাই দেখতে চায়।
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৫

মাঠে বন্ধ থাকলেও ফেসবুকে থেমে নেই প্রচার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রচারের সময় শেষ হয়েছে গতকাল। ভোট চেয়ে আর কোনো কর্মসূচি পালনের সুযোগ নেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের। তবে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের সুযোগ শেষ হয়নি এখনও। আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক।  শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দল কিংবা তাদের প্রার্থীরাই নয়, ফেসবুকে ব্যাপক সরব নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো এবং তাদের নেতারাও। সাধারণ প্রচারমূলক পোস্ট ছাড়াও বিজ্ঞাপনেও বেশ খরচ করছে রাজনৈতিক দলগুলো। আরও পড়ুন : শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত, ২ শিক্ষক আটক   ফেসবুকের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটার অ্যাড লাইব্রেরিতে পাওয়া গেছে গত ১৫ মাসে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বাবদ বাংলাদেশ থেকে তাদের আয়ের হিসাব। ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বাবদ অর্থ আয়ের হিসাব দিচ্ছে মেটা। যেখানে শুধু সর্বশেষ ৭ দিনেই তাদের প্রায় ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রার্থীরা নিজেরা যেমন ব্যয় করেছেন তেমনি খরচ করা হয়েছে বিভিন্ন দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ থেকে।  মেটার গত ১৫ মাসের হিসাবে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বাবদ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সবার ওপরের নামটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের। এরপর রয়েছেন তথ্য ও যোগযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম এ রাজ্জাক খান।   গত এক মাস ধরে ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের পেছনে প্রথম স্থান ধরে রেখেছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম। তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান যথাক্রমে সালমান এফ রহমান ও জুনাইদ আহমেদ পলকের। এই সময়ে ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের পেছনে বাংলাদেশ থেকে মোট ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ডলার বা ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আরও পড়ুন : অগ্নিদগ্ধ ৮ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক   মেটার সর্বশেষ ৭ দিনের হিসেবে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে প্রায় পাঁচ হাজার ডলার খরচ করে সালমা ইসলামের অবস্থান একই থাকলেও দুই নাম্বারে উঠে এসেছেন এম এ রাজ্জাক খান। ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি ফেসবুকে খরচ করেছেন প্রায় দুই হাজার ডলার। এবারের নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনি। আর এক হাজার ৭০০ ডলার ব্যয় করে এই এক সপ্তাহের হিসাবে তালিকার তৃতীয় অবস্থানে আছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জামালপুর-২ আসনে দলের প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদ।   এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ফেসবুক পেজ থেকে সারা বছরই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তিনি ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। সাত দিনে তার নামের পেজ থেকে ব্যয় করা হয়েছে ৯৪১ ডলার। মেটার হিসাব বলছে, ডিজিটাল রাজনৈতিক প্রচারণার ক্ষেত্রে, ২০২২ সাল থেকে এক হাজার ৬৫৩টি বিজ্ঞাপনভিত্তিক পোস্টে বিনিয়োগ করেছে আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০২৩ সালে এই প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদায়ী বছরে  এক হাজার ৪৫০টি বিজ্ঞাপনভিত্তিক পোস্ট অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা। শুধুমাত্র ডিসেম্বর মাসেই ৮৪টি পোস্ট করেছে ক্ষমতাসীন দলটি, গড় হিসেবে প্রতিদিন করা হয়েছে পাঁচটি করে পোস্ট।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার পোল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেপোলিয়নক্যাটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ফেসুবক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটির কিছু বেশি। আর মেটার হিসাবে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন বেশি দেওয়া হয়েছে ঢাকা বিভাগকে কেন্দ্র করে। আরও পড়ুন : সড়কে গাড়ি কম, ভোগান্তিতে যাত্রীরা   ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনদাতা প্রার্থীদের মধ্যে আরও রয়েছেন ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী, জামালপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ, নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোরশেদ আলম, ঢাকা-১৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী খসরু চৌধুরী, গাইবান্ধা-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হোসেন, ঢাকা-৪ আসনে কল্যাণ পার্টির প্রার্থী ইয়াসিন পাভেল, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী প্রমুখ। অবশ্য তথ্যব্যবস্থায় প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটালি রাইট লিমিটেড (ডিআরএল) গত মাসে এক গবেষণায় জানায়, অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন শনাক্তে ভুল করে মেটা। অর্থাৎ মেটা যে তথ্য দিচ্ছে, তার বাইরেও অনেকভাবেই রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে। তাই প্রকৃত ব্যয়ের অঙ্ক আরও বেশি হতে পারে বলেই অনুমান প্রতিষ্ঠানটির।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়