• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কেন্দ্রের সামনে টাকা বিতরণ, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারসহ আটক ৪ 
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অবনী মোহন দাস নামে এক প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণের অভিযোগে চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার অপু রঞ্জন দাসসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের চব্বিশা গ্রামের একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে টাকা বিতরণ করার সময় ওই কর্মকর্তাকে হাতেনাতে আটক করেন স্থানীয়রা।  পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে টাকা বিতরণের অভিযোগে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪ জন আটক আছেন। এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ওই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। যেখানে অনিয়ম হবে সেখানেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২ ঘণ্টা আগে

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে টাকা ভরতেই নাই হয়ে যাচ্ছে!  
বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে টাকা ভরতেই নাই হয়ে যাচ্ছে। দ্বিগুণ, তিনগুণ পর্যন্ত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। টাকা রিচার্জ করতে করতে গ্রাহকরা এখন দিশেহারা। এমন অভিযোগ টঙ্গীর ডেসকোর গ্রাহকদের।  গ্রাহকরা বলছেন, গত দুমাস ধরে এ অবস্থা চলছে গাজীপুরের টঙ্গীতে। তাদের অভিযোগ প্রিপেইড মিটার থেকে স্বাভাবিকের চাইতে মাত্রাতিরিক্ত টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।  তবে এমন অভিযোগের ব্যাপারে স্হানীয় ডেসকো অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, প্রিপেইড মিটারে বিদ্যুৎ বিল ঠিকঠাক মতোই কাটছে। কোনো গন্ডগোল নেই। তবে কেন এভাবে অতিরিক্ত টাকা কাটা হচ্ছে তার সঠিক কারণ ও সমাধান চান ডেসকোর টঙ্গী এলাকার গ্রাহকরা। অনেকে বলছেন, সকালে টাকা ভরলে রাতেই নাই। বিদ্যুৎ ব্যবহার যেন গলার কাটায় পরিনত হয়েছে। এদিকে বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে চলতি সংসদে নিজ বাড়িতে দ্বিগুণ তিনগুণ বিদ্যুৎ বিল আসার কথা বলেছেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল ইসলাম সুমন। টঙ্গীর বাসিন্দা জহিুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগের তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ খরচ হচ্ছে। মিটারে টাকা ভরতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ তার কারণ জানে না। ডেসকো কর্তৃপক্ষও কোনো সমাধান দিচ্ছে না। এভাবে চলতে পারে না। আমরা ভুক্তভোগি। খুব কষ্ট হচ্ছে। এভাবে অতিরিক্ত টাকা খরচ করা সম্ভব নয়। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের অনুরোধ করছি।  আরেক গ্রাহক সোহেব আহমেদ বলেন, ছোট একটা ফ্লাটে আগে এক হাজার টাকা খরচ হতো। এখন দুই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। অভিযোগ করেও লাভ হচ্ছে না। দেখার কেউ নাই। আমরা সাধারণ মানুষ, আমরা যাব কোথায়?
১২ ঘণ্টা আগে

কত টাকা দরে ধান-চাল কেনা হবে, জানালেন মন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, আজ আমরা বোরো মৌসুমে ধান, চাল ও গম কেনার উদ্বোধন করেছি। ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চললেও জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধান-চাল ও গম কেনা কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বরেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বোরোতে এবার ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, এক লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা। একই সঙ্গে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  তিনি বলেন, গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো শ্রমিক যেন কৃষকদের হয়রানি না করে। সেজন্য ডিসি ও আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। কোনো কৃষক যেন কোনোভাবে অপমানিত ও হয়রানি না হয়, সেই বিষয়ে আমরা সদা সচেষ্ট থাকবো। যদি সেটা (কৃষককে হয়রানি) করে তবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ জানাতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দুটি নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে এবার কৃষকরা টেলিফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। কৃষক বা কোনো ব্যক্তি ওই নম্বরে যেন ফোন করে হয়রানির কথা জানাতে পারেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষক হয়রানি যেন না হয় সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি এডিবি ফান্ডের কৃষির অংশ থেকে আরও ময়েশ্চার মিটার কিনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দেওয়া জন্য। তিনি বলেন, নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সঠিক সময়ে সংগ্রহ (ধান, চাল ও গম) করতে হবে। আমরা জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ সংগ্রহ করার জন্য বলেছি। হাওরের ধানকে প্রাধান্য দিয়ে হাওরে বরাদ্দ বেশি দিয়েছি। আর্দ্রতা ১৪ শতাংশের বেশি থাকলে তাদের বলবেন আরও শুকিয়ে ১৪ শতাংশে নিয়ে আসেন। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। আরসি ফুড (আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক), ডিসি ফুড (জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক), কৃষি উপপরিচালক, কৃষক, চালকল মালিকরা ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের নির্দেশনা দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি ধান ও চালের গুণগত মান যাতে ভালো হয়, কোয়ালিটির সঙ্গে যাতে কোনো আপস না হয় সেটাই আমরাদের নির্দেশনা।
১৯ ঘণ্টা আগে

ব্যাংক এশিয়ায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, বেতন এক লাখ টাকা
জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ‘হেড অব রিটেইল লিয়াবিলিটি প্রোডাক্টস (এফভিপি-ইভিপি)’ পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন অনলাইনে। যা যা প্রয়োজন- প্রতিষ্ঠানের নাম: ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড পদের নাম: হেড অব রিটেইল লিয়াবিলিটি প্রোডাক্টস (এফভিপি-ইভিপি) পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয় শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর অভিজ্ঞতা: ১২ বছর বেতন: ১,০০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ বয়স: নির্ধারিত নয় কর্মস্থল: ঢাকা আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা Bank Asia Limited এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময়: ১২ মে ২০২৪ পর্যন্ত।
০৭ মে ২০২৪, ০৯:৪২

বিশ্বকাপ জিতলে কোটি টাকা পুরস্কার পাবেন বাবর-রিজওয়ানরা
আর মাত্র ২৫ দিন পর মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। জমজমাট এই আসরকে সামনে রেখে ক্রিকেটারদের নানানভাবে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে ক্রিকেট বোর্ডগুলো। এর মধ্যে চমকপ্রদ এক ঘোষণা দিয়ে বসেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।  বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানরা যদি আসন্ন এই বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে পারেন, তাহলে দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারকে ১ লাখ ডলার করে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি সাড়ে ৯ লাখ টাকা। রোববার (৫ মে) গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে যান মহসিন নকভি। সেখানে ক্রিকেটার ও বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন পিসিবি চেয়ারম্যান। তাদের সঙ্গে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মহসিন। পরে ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করার জন্য দারুণ এই ঘোষণা দেন তিনি। এদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করায় মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বিশেষ ধরনের সবুজ জার্সি উপহার দেন মহসিন নকভি। একই জার্সি নাসিম শাহকেও দিয়েছেন তিনি। কারণ, পেসার নাসিম শাহ নিউজিল্যান্ড সিরিজে ১০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। এখনও বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেনি পাকিস্তান। তবে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড সিরিজে জন্য ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে পিসিবি। এখান থেকেই বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনকে বেছে নেওয়া হবে।
০৬ মে ২০২৪, ১৬:২৭

ব্যবসার টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছোট ভাইকে হত্যা
সাতক্ষীরায় বড় ভাইয়ের অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছেন ছোট ভাই আজিবর রহমান।  সোমবার (৬ মে) সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে শুক্রবার রাত ৯টায় সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  আজিবর রহমান (৪০) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে। তিনি পুলিশের সাবেক কনন্সটেবল ছিলেন বলে জানা যায়। এদিকে পরিবারের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, বড় ভাই আফসার আলী ও আজিবর রহমান দুজনে একসঙ্গে গরুর মাংসের ব্যবসা করতেন। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ব্যবসার টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে বড় ভাই আফসার আলী ঘর থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে আজিবর রহমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন।  আহত অবস্থায় প্রথমে আজিবর রহমানকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকলে পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে মারা যান আজিবর। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মহিদুল ইসলাম।  তিনি জানান, শুক্রবার রাতের ঘটনায় আফসার আলীর নামে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে হিসেবে রেকর্ড করা হবে। আফসার আলীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
০৬ মে ২০২৪, ১৪:৫৩

৪ টাকার টমেটো ঢাকায় এসে হয়ে যায় ৪০-১০০ টাকা
গাছে গাছে ঝুলছে পাকা টমেটো। টমেটোর ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ। কিন্তু সেই ওজনের মূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা। তাই অনেকটা অভিমানেই মাঠ থেকে ফসল তুলছেন না তারা। অথচ এ জমি থেকেই ৪ টাকা কেজির টমেটো ঢাকার বাজারে এসে কখনও কখনও হয়ে যায় ৪০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ শুধু টমেটোখেত। জমিতে ফলন ভালো হলেও দাম না পেয়ে হতাশায় কৃষকরা। প্রতি বছর সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়ারঢালা, সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ হয়ে থাকে। এবার উপজেলায় প্রায় ৫৭০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। এতে লাভের আশায় বুক বেঁধেছিলেন সাড়ে ৪ হাজার কৃষক। হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে নষ্ট হচ্ছে পাকা টমেটো। প্রক্রিয়াজাতকরণ বা সংরক্ষণের উপায় না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের টমেটো চাষিরা।  উপজেলা কৃষি দপ্তরের তদারকি, রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সীতাকুণ্ড উপজেলায় ১২ মাস বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। আর এই উৎপাদিত সবজি সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। দেশের সবজি চাহিদা মেটাতে অবদান রাখছেন সীতাকুণ্ডের কৃষকরা। খেত থেকে টমেটো তুলতে কর্মচারীর খরচও ওঠাতে পারছেন না চাষিরা। বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে না পেরে টমেটো ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। বিক্রি করতে না পেরে খেতেই নষ্ট হচ্ছে অসংখ্য কৃষকের টমেটো। প্রক্রিয়াজাতকরণ বা সংরক্ষণের উপায় না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের টমেটো চাষিরা। আলুর মতো প্রক্রিয়াকরণের কোনো ব্যবস্থা থাকলে কৃষকদের এ ক্ষতি এড়ানো যেতো বলে মনে করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুলল্ল্যাহ।
০৬ মে ২০২৪, ১৫:২৭

মাত্র ৩২ হাজার টাকা খরচ করলেই থাকা যাবে শ্রীদেবীর বাড়িতে!
বলিউডের প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেত্রী শ্রীদেবী তার মেয়ে জাহ্নবী কাপুরের জন্য চেন্নাইয়ে একটা বাড়ি কিনেছিলেন। সেই বাড়িতেই শৈশবের স্মৃতিকে আটকে রেখেছেন শ্রীদেবীকন্যা। যখনই সুযোগ পান কিংবা মায়ের কথা মনে পড়ে, একছুটে চেন্নাইয়ের সেই বাড়িতেই পৌঁছে যান জাহ্নবী। এবার সেই বাড়িতেই থাকার সুযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। ভেবে অবাক হচ্ছেন কীভাবে! খবর অনুযায়ী, আমেরিকান হোসস্টে প্রতিষ্ঠান এআরবিএনবির সাহায্য়ে জাহ্নবী এই বাড়িকেই গেস্ট হাউস বানাচ্ছেন। পিউপিলের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এয়ারবিএনবি অভিনেত্রীর প্রয়াত মা এবং কিংবদন্তি অভিনেতা শ্রীদেবীর কেনা প্রাসাদটিকে তাঁদের ১১টি আইকন সম্পত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ফলে সাধারণ মানুষ ভাড়া নিয়ে থাকতে পারবেন এই বাড়িতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহ্নবী তার চেন্নাই ম্যানশনের দরজা খুলবেন এয়ারএনবিএন ‘নির্বাচন’ করা ব্যবহারকারীদের জন্য। এক রাতের থাকার মধ্যেই প্যাকেজে রয়েছে জাহ্নবীর সঙ্গে তাঁর ‘প্রিয় বিউটি হ্যাকস’ এবং ‘তাজা, খাঁটি দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের স্বাদ নেওয়া’ সম্পর্কে কথোপকথনও অন্তর্ভুক্ত। জানা যায়, মাত্র ২৫ হাজার রুপি বা ৩২ হাজার টাকা খরচ করলেই আপনি থাকতে পারবেন শ্রীদেবীর এই চেন্নাইয়ের বাড়িতে।  
০৪ মে ২০২৪, ১৯:২৯

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩৫ লাখ টাকা চাঁদা, গ্রেপ্তার ৭
কুমিল্লায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে নারীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা নিজেদের ভুয়া ডিবি পুলিশ-সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা আদায় করত। শনিবার (৪ মে) কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।  এর আগে ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদের আটক করে। এ সময়ে চাঁদা আদায়ে ব্যবহৃত ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরিত সাতটি অলিখিত স্টাম্প ও সাতটি খালি ব্যাংক চেক জব্দ করে পুলিশ।  আটক ব্যক্তিরা হলেন- ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া সৈয়দ অয়াত উল্যাহ ও ইমরান হোসেন, সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মো. মোজাম্মেল হক, চাঁদা আদায়কারী মো. সাখাওয়াত হোসেন, গোপনে ভিডিও ধারণকারী আব্দুর রহিম, ফাঁদে ফেলার বাসার মালিক মোহাম্মদ কোভিদ হোসেন ও পুরো ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তাসনুভা আক্তার।  পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, কুমিল্লার লাকসামে ভুক্তভোগীকে মোবাইলে কল করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাসনুভা আক্তার। পরিকল্পনা করে তাকে সদর উপজেলার বালুতোপা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের গোপন ভিডিও করে। এ সময় কৌশলে ঘটনাস্থলেই ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখিয়ে শুরু হয় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়।  একপর্যায়ে প্রতারণার ভিডিও ভুক্তভোগীর ছেলের মোবাইলে পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে চক্রটি। সম্মানহানির কথা চিন্তা করে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে প্রতারক চক্রকে ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়া হয়। পরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে।
০৪ মে ২০২৪, ১৬:৫৬

ভুয়া দলিলে কয়েকটি ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয় চক্রটি
ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (টিআইএন) তৈরি করত চক্রটি। পরে এসব জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে তৈরি করত ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল। পরে এসব দলিল বিভিন্ন ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে মোটা অংকের টাকা ঋণ নিতো চক্রের সদস্যরা। তারা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে ভুয়া দলিল জমা দিয়ে। এমন অভিযোগে গতকাল শুক্রবার (৩ মে) ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ সংঘবদ্ধ ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিসসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। গ্রেপ্তার জালিয়াতি চক্রের অন্য সদস্যরা হলেন- ইদ্রিসের প্রধান সহযোগী মো. রাকিব হোসেন (৩৩), জয়নালের ভায়রা ভাই কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক মো. লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান মিঠু (৩০), এনআরবিসির ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)।  এর আগে, এই চক্রের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিলমোহর, একই ব্যক্তির একাধিক এনআইডি ও টিন নম্বর, মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডসহ নগদ ৩ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগস্থ সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের এই সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। তিনি বলেন, সম্প্রতি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট গোপন সূত্রে জানতে পারে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যদের সহযোগিতায় একাধিক এনআইডি ও টিন তৈরি করে আসছে। পরবর্তীতে এই এনআইডি ও টিন ব্যবহার করে চক্রের সদস্যরা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু লোকদের মাধ্যমে চক্রের সদস্যদের নামে ফ্ল্যাট/ জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করত। পরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব জাল দলিল দিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রেখে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে একাধিক ঋণ নিত। এভাবে তারা প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। তিনি আরও বলেন, এ সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের মূল হোতা জয়নাল আবেদীন ইদ্রিস। তার নেতৃত্বে এ চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পেতে জাল দলিলের মাধ্যমে পথে বসিয়েছে বহু ফ্ল্যাট মালিককে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে তাদেরকে করেছে নিঃস্ব। সিআইডির অনুসন্ধানে ফ্ল্যাট জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জয়নালের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রোপার্টিস লিমিটেড, স্নেহা এন্টারপ্রাইজ, ই আর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা-পূর্ব থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা সিআইডি। সিআইডি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এ ফ্ল্যাট জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ চক্রের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধুকর্মকর্তা ও দালাল, ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অসাধু ব্যাংকার জড়িত। মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, এ চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল রাজধানীর মিরপুরে কো-অপারেটিভ মার্কেটে একটি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। পরে তিনি ও শহিদুল ইসলাম সবুজ মিলে ফ্ল্যাট জালিয়াতি শুরু করেন। এভাবে শতকোটি টাকার মালিক বনে যান জয়নাল। তার অন্যতম প্রধান সহযোগী দুই স্ত্রী রোমানা সিদ্দিক ও রাবেয়া আক্তার মুক্তা। প্রতারণার জন্য নিজ নামে ছয়টি এনআইডি ব্যবহার করেন তিনি। এসব এনআইডি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০টির অধিক হিসাব খোলেন। অর্থ আত্মসাতের টাকা দিয়ে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৭ তলা বাড়ি, ৩টি ফ্ল্যাট, মিরপুর ও আশকোনায় ৩টি ফ্ল্যাট কেনেন জয়নাল।
০৪ মে ২০২৪, ১৫:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়