• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঢাবি অধ্যাপকের পিএইচডি জালিয়াতি তদন্তে কমিটি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গবেষণা নীতি লঙ্ঘন করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।   মঙ্গলবার (৭ মে) উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   সূত্রমতে, কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে। বাকি দুই সদস্য হলেন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম জাবেদ আহমদ। তিন সদস্যের এ কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।   উল্লেখ্য, গবেষণা নীতি লঙ্ঘন করে একই গবেষণা দিয়ে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণের অভিযোগ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। এমফিলের গবেষণাপত্রের শিরোনাম পাল্টে আগের অংশ পরে ও পরের অংশ আগে জুড়ে দিয়ে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।    
১২ ঘণ্টা আগে

হল-মার্কের তানভীরসহ ১৮ জনের মামলায় আরও সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত
হল-মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় করা একটি মামলা রায়ের পর্যায়ে থেকে নিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাসেম এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম। তিনি বলেন, তানভীরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে করা একটি মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল আজ (২৮ ফেব্রুয়ারি)। তবে দুদকের পক্ষ থেকে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে থেকে নিয়ে আরও দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এখন আদালত নতুন করে দুজনের সাক্ষ্য নেবেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, তানভীরের স্ত্রী ও হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা হল-মার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিযা, প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক, সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার, সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন (বর্তমান ইন্টারকন্টিনেন্টাল) শাখার সাবেক সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন, ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি, প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ননী গোপাল নাথ, মীর মহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন ও সফিজউদ্দিন, এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান। আসামিদের মধ্যে কারাগারে তানভীর, তুষার, জেসমিনসহ আটজন। জামাল ও আলতাফ জামিনে। পলাতক সাইফুল ইসলাম, মতিন, হুমায়ুন, গোপাল, তসলিম, সাইফুল হাসান, মেহেরুন্নেসা ও জাকারিয়া। জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় হল-মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে হোটেল শেরাটন (বর্তমান ইন্টারকন্টিনেন্টাল) শাখা থেকে হল-মার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে দায় (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ১১ মামলায় হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর, তার ভায়রা তুষারসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪৬

পাসপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্ড জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ১
রাঙামাটিতে পাসপোর্টসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড ও সিল জালিয়াতি করে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের আড়ালে এসব জাল-জালিয়াতি করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তার প্রতারকের নাম নুরু জালাল মুন্না (৩১)। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাঙামাটি শহরের মিনি সুপার মার্কেটে ‘সাইফুল আইটি অ্যান্ড কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার’ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক নুরু জালাল মুন্না। তিনি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও কম্পিউটারের অপব্যবহার করে পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষেত্রের আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সিল মোহরসহ বিভিন্ন প্রকার সার্টিফিকেট জাল করে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। পুলিশ আরও জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি শিমুলতলীর বাসিন্দা মো. শাহজাহানের ছেলে। এ সময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার সামগ্রী, পুলিশের জাল আইডি কার্ড, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্যাড, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ, সিল মোহরসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কোতয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, পুলিশ এক ব্যক্তির পাসর্পোট ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে দেখেন ঠিকানার সঙ্গে ছবির ব্যক্তির মিল নেই। উক্ত ব্যক্তি পুলিশকে জানান, তিনি কোনো পাসপোর্ট করতে দেননি। তার কথার সূত্র ধরে পুলিশের সন্দেহ হয়, এ জাল জালিয়াতির সঙ্গে সাইফুল কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের মুন্না জড়িত থাকতে পারে। কোতয়ালী থানার এসআই মো. মামুনের নেতৃত্বে পুলিশ মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল জব্দ করে। এতে মুন্নার জাল জালিয়াতির অনেক তথ্য পায়।  এ দিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের আড়ালে মুন্না বিভিন্ন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া পাসপোর্টসহ বিভিন্ন জাল আইডি কার্ড বানিয়ে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। তাকে কোর্টে তুলে রিমাণ্ডের আবেদন করবো এবং তার সঙ্গে আরও কারা জড়িত আছেন তা খুঁজে বের করবে পুলিশ।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০০

সালাম মুর্শেদীর বাড়ি নিয়ে জালিয়াতি হয়েছে : দুদক
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে জালিয়াতি হয়েছে। ইতোমধ্যে বাড়িটি নিয়ে একটি মামলাও দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে দুদকের পক্ষ থেকে দাখিল করা অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আদালত তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে বাড়ি-সংক্রান্ত যাবতীয় নথি চেয়েছেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, সালাম মুর্শেদীর বাড়িকে কেন্দ্র করে জাল জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে, এটা দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। বাড়িটি নিয়ে মামলা হয়েছে। তদন্তে জানা যাবে কার কতটুকু দায় রয়েছে। এদিকে আদালত বলেছেন, বাড়িটির চেইন অব টাইটেল আমাদের দেখাতে হবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারির মঙ্গলবারের মধ্যে দুদককে যাবতীয় নথি দাখিল করতে বলা হয়েছে। এর আগে, গত ১৭ জানুয়ারি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদককে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। বাড়িটি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল দুদক। গত বছরের ১ নভেম্বর সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেন আদালত।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়