• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার সেই চিকিৎসক বাবার মৃত্যু
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার চিকিৎসক কোরবান আলী মারা গেছেন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের ছেলে আলী রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল বিকেলে পশ্চিম ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় বেশ কয়েকজন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য একজন পথচারীকে মারতে দেখেন কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানা। এ সময় লোকটিকে সাহায্য চাইলে রানা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ১পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।  পরে কিশোর গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় তারা। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা করা হয়।  ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪

কিশোর গ্যাং / ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে হামলার শিকার চিকিৎসক বাবা
কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৬০ বছর বয়সী কোরবান আলী নামে এক দন্তচিকিৎসক বাবা। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে কোরবান আলীর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে এক পথচারীকে বাঁচাতে ৯৯৯-এ কল করার অপরাধে ডা. কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা রানাকে মারধর করার সময় এ ঘটনা ঘটে।  অভিযুক্ত ওই কিশোর গ্যাং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী ও ছাত্রলীগকর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলার পর প্রথমে ডা. কোরবান আলীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ‘মেডিকেল সেন্টার’ নামে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালটির আইসিইউতে লাইফ সাপোর্ট আছেন তিনি।  ভুক্তভোগীর স্বজন জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ডা. কোরবান আলীর অবস্থা বর্তমানে সংকটাপন্ন। চিকিৎসকরা রোববার রাতেই তাকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেছেন। তবে তার লাইফ সাপোর্ট এখনো খোলা হয়নি। যেকোনো সময় কৃত্রিম লাইফ সাপোর্ট অটো শাটডাউন হয়ে যেতে পারে।’ জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘কয়েক দিন আগে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী ডাক্তারের ছেলে আলী রেজা রানা। এমন সময় একদল কিশোর একজন পথচারীকে পেটাচ্ছিল। তাদের মার সহ্য করতে না পেরে লোকটি বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। লোকটিকে কিশোর দলের মার থেকে বাঁচাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন দেন রানা। পরে পুলিশ এসে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়।’ জসিম উদ্দিন জানান, এই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে রানার বাসার সামনে এসে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। এরপর গত শুক্রবার বাসার পাশের দোকানে ইফতারি কিনতে গেলে কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্য রানার ওপর হামলা চালায়। এ সময় রানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার বাবা কোরবান আলীর ওপরও হামলা চালায় কিশোর গ্যাং। হামলায় কোরবান আলী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। আকবর শাহ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী। এ ঘটনায় ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৭

নড়াইলে পল্লী চিকিৎসক ও ফার্মেসিকে জরিমানা
নড়াইল সদর উপজেলায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এক পল্লী চিকিৎসক ও একটি ফার্মেসিকে মোট ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।  রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে নড়াইল ডায়াগনস্টিক ও অংকন ফার্মেসিকে এ জরিমানা করে। সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম পলিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতাল রোডের নিউ নড়াইল ডায়াগনস্টিকের পল্লী চিকিৎসক হীরক কুমার দাসকে বিভিন্ন অনিয়ম ও এখতিয়ারের বাইরে চিকিৎসা প্রদানের জন্য ২০ হাজার টাকা ও অংকন ফার্মেসিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় ঘোষ। অভিযানে সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. শুভাশিস বিশ্বাস ও আনসার সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন। এ বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় ঘোষ জানান, বিভিন্ন অনিয়মের জন্য এক পল্লী চিকিৎসককে ২০ হাজার টাকা ও একটি ফার্মেসিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:০৫

কাভার্ডভ্যানের চাপায় চিকিৎসক নিহত
মাগুরায় কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী এক হোমিও চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার স্ত্রীসহ দুজন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে মাগুরার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের লক্ষ্মীকান্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। হোমিও চিকিৎসকের নাম শাহজাদ জোয়ার্দার (৪০)। তিনি ঝিনাইদহের পাইকপাড়া গ্রামের মৃত মজিদ জোয়ার্দারের ছেলে। পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলযোগে স্ত্রী আরাবী খাতুন ও প্রতিবেশী এক নারীকে নিয়ে মাগুরার ওয়াপদা এলাকায় যাচ্ছিলেন শাহজাদ। পথে লক্ষ্মীকান্দর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে যশোরমুখী একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শাহজাদ। তার স্ত্রীসহ আহত দুজনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাগুরা রামনগর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌতম চন্দ্র মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা হয়েছে।
২৬ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

নেইমারের মাঠে ফেরা নিয়ে যা বললেন চিকিৎসক লাসমার
ইনজুরির কারণে এবারের কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্ট মিস করবেন নেইমার জুনিয়র, তা অনেক আগে জানা গিয়েছিল। তবে আল হিলালে ফিটনেস অনুশীলন করতে দেখে অনেকেই ভেবেছিলো টুর্নামেন্ট শুরুর আগে মাঠে ফিরবেন এই ব্রাজিলিয়ান পোস্টার। নেইমারের মাঠে ফেরার নিয়ে কথা বলেছেন তার চিকিৎসক রদ্রিগো লাসমার। গত বৃহস্পতিবার লাসমারের হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করিয়েছেন নেইমার। এরপর স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোকে এই চিকিৎসক জানান, আমরা এখনো তার পুনর্বাসনের অর্ধেকটাতেও পৌঁছাতে পারিনি।  তিনি বলেন, যখন আমরা ৯ বা ১০ মাসের তার ফিজিওথেরাপি সম্পন্ন করব, তখনই শুধু আমরা তার মাঠে ফেরার সময় নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারবো। গত ১৭ অক্টোবর উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে চোট পান নেইমার। উরুগুয়ে মিডফিল্ডার নিকোলাস দে লা ক্রুজের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ের এক পর্যায়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান নেইমার।  ব্যথায় মাঠে শুয়েই কাতরাতে থাকেন তিনি। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন নেইমার। এরপরে ২ নভেম্বর ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তের হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচার করা হয় তার পায়ে। অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন ব্রাজিল দলের চিকিৎসক লাসমার। এরপর অনেক কষ্ট করেই আল হিলালে যোগ দিয়েছিলেন। ক্লাবটির চিকিৎসক দল নেইমারের পেশির শক্তি বাড়ানোর কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। কারণ, কয়েক মাস আগে এক ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। যেখানে ফিজিওর সাহায্যে তিনি পা ওঠানো-নামানোর চেষ্টা করছেন। বিছানায় শুয়ে-বসে সেই কাজটি করতেই নেইমারকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। কখনও ব্যথায় চিৎকার করছেন, কখনও সেটি সহ্য করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।   
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৭

সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা মারা গেছেন
সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তার (২৭) মারা গেছেন। আজ দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম।  চিকিৎসক লতা আক্তারের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণের টেক গ্রামে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে একটার দিকে গ্রামের বাড়িতে লতার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তার সাবেক স্বামী মো. খলিলুর রহমান (৩৫)। তিনি নিজের গায়েও আগুন ধরান। খলিলুর গত সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গ্রামের বাড়িতে লতা ও তার মা থাকতেন। তার বাবা মারা গেছেন। বড় দুই ভাই-বোন ইতালিপ্রবাসী। রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে লতা নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। খলিলুরের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকায়।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৬

সিলেটে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে ইউরোপের ৫৫ চিকিৎসক
একটি মেগা মেডিকেল ক্যাম্পে অংশ নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে ইউরোপ থেকে ৫৫ জনের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম সিলেটে এসেছেন। লন্ডন থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকদের সমন্বয়ে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশন। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেলিনা বেগমের নেতৃত্বে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান তারা। এসময় চিকিৎসকদের বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানান ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আহমদ আল কবির। শেলিনা বেগম বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি অভূতপূর্ব সুযোগ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শীর্ষ স্থানীয় চিকিৎসকদের একত্রিত করার মাধ্যমে দেশের অগণিত অসহায় দরিদ্র মানুষের চিকিৎসায় অংশ নিতে পারছি। তিনি বলেন, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। বিমানবন্দরে বিদেশি চিকিৎসকদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এসময় সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল জব্বার জলিল, ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাকির হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০৬

শিশু আয়হামের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২ চিকিৎসক
মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আহনাফ তাহমিন আয়হামের (১০) মৃত্যুতে দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আওলাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার দুই চিকিৎসক হলেন এস এম মুক্তাদির ও মাহবুব। ওসি বলেন, এ ঘটনায় জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর দুজন চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্বজনদের অভিযোগ, লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়েছে। যে কারণে আয়হামের আর জ্ঞান ফেরেনি। এর আগে, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় আয়হামের সুন্নতে খতনা করাতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। এর ঘণ্টাখানেক পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। জানা গেছে, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খতনা করাতে আসেন শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত ৮টার দিকে খতনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি আয়হামের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে আয়হামের বাবা ফখরুল আলম বলেন, আমরা চিকিৎসককে বলেছিলাম যেন ফুল অ্যানেস্থেসিয়া না দেওয়া হয়। তারপরও আমার ছেলের শরীরে সেটি পুশ করেন ডা. মুক্তাদির। আমি তাদের পা পর্যন্ত ধরেছি। বলেছি, কিছু একটা ব্যবস্থা করেন। তারা বলে ঠিক হয়ে যাবে, এই যে দেখেন নিশ্বাস নিচ্ছে। কিন্তু এর আগেই ডেট। তিনি বলেন, আমার সন্তানকে অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় মুক্তাদিরসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবারই। আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই। অভিযুক্ত চিকিৎসক মুক্তাদির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অর্থোপেডিক বিভাগের জয়েন্ট ব্যথা, বাত ব্যথা, প্যারালাইসিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা দিতেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর বাড্ডা সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ান মারা যায়। টানা সাত দিন লাইফ সাপোর্টে ছিল আয়ান।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৭

ওএমআর ছেঁড়া সেই চিকিৎসক লাপাত্তা, মারধরকারীর নেতৃত্বে কমিটি!
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় নকল না করলেও হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়া নামে এক শিক্ষার্থীর ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ নিয়ে চলছে তোলপাড়। একদিকে পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত যে পরিদর্শকের দিকে সন্দেহের তীর, ঘটনার পর থেকে তিনি লাপাত্তা, আরেকদিকে অভিযোগ জানাতে গিয়ে যে চিকিৎসকের মারধরের শিকার হয়েছেন বলে ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, তাকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। সব মিলিয়ে সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে আছেন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীর অভিবাবকরা।   ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী হুমাইরা ইসলাম ছোঁয়ার চিঠির প্রেক্ষিতে জানা যায়, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২৩ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তার পাশের এক পরীক্ষার্থী ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করছিলেন। এক ঘণ্টা পরীক্ষার ৪০ মিনিট পর দায়িত্বরত এক নারী পরিদর্শক ডিভাইস ব্যবহার করা শিক্ষার্থীকে ধরে ফেলেন। হুমাইরার দাবি, এ সময় নকল করা শিক্ষার্থীর মতো সন্দেহবশত তারও ওএমআর শিট ছিঁড়ে ফেলেন ওই নারী পরিদর্শক। পরে, হুমাইরার দাবির মুখে যাচাই করে তার উত্তরপত্র সঠিক ছিল বলে প্রমাণ হয়। পরে দুঃখ প্রকাশ করে তাকে নতুন একটি ওএমআর শিট দেওয়া হয়। তবে তখন পরীক্ষার নির্ধারিত সময় ছিল শেষ পর্যায়ে। এতে শেষ হয়ে যায় হুমাইরার সব স্বপ্ন। ঘটনাটি ঘটেছে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রে। ঘটনার পর শুরুতে শেরেবাংলা কেন্দ্র এবং পরে মেডিকেল কলেজে এসেও কোনো সুরাহা পায়নি হুমাইরার পরিবার। শেষমেষ ১১ ফেব্রুয়ারি ফলাফল ঘোষণার দিন স্বাস্থ্য অধিপ্তরে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেই অভিযোগ জানান হুমাইরা ও তার পরিবার। মন্ত্রী চলে যাবার পর ঘটে মারধরের ঘটনা। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, ওই কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলেন তিনজন চিকিৎসক। যাদের মধ্যে দুজন নারী, অপরজন পুরুষ। দুই নারী চিকিৎসকের একজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের। হুমাইরা বলছেন, যিনি তার ওএমআর ছিঁড়েছেন তিনি বাঙালি। নথি বলছে, ডা. নাফিসা ইসলামের সঙ্গেই হুমাইরার ওই কাণ্ড ঘটে। এদিকে ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা নাফিসা ইসলাম। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের কোথাও পাওয়া যায়নি তাকে। বন্ধ পাওয়া গেছে পরিদর্শন নথিতে দেওয়া তার মোবাইল নম্বরটিও। হাসপাতালে থাকা তার সহকর্মীরাও অবস্থান জানাতে পারেননি। ফলে নাফিসা ইসলামের কাছ থেকে ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়নি। পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের উপাধাক্ষ্য ডা. সোহেল মাহমুদ অবশ্য দাবি করছেন, অভিযোগকারী যা বলছে তা সত্য নয়। সেদিন এ রকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ আসার পর হল সুপারদের আমি ডাকাই। তাদের তিনজনের সাক্ষাৎকার নেই। তারা বলে, এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’ এমন অবস্থায় অভিযোগকারী সেই শিক্ষার্থী এবং তার পরিবার অভিযোগের ইতিবাচক ফল নিয়ে পড়েছেন সংশয়ে। তারা বলছেন, কেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এমন অভিযোগ জানানো হয়েছে 'সেই অপরাধে' যিনি মারধরের নেতৃত্বে ছিলেন তাকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তদন্ত কমিটির প্রধান করেছে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে কমিটির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি মেলেনি। সাংবাদিকদের সামনে পড়লেও তাদের এড়িয়ে যান কমিটির চার সদস্য। সব শুনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলছেন হুমাইরার সঙ্গে কোনো অন্যায় ঘটবে না। তিনি বলেন, আমি খুবই দুঃখিত। একটা পরীক্ষার্থী কোনওভাবে কারো গাফলতিতে বঞ্চিত হোক, সেটা কোনোভাবেই কাম্য না। আমি দেখবো মেয়েটির সঙ্গে যেন কোনও অন্যায় না হয়।   হুমাইরার পরিবারের দাবি, পরিদর্শক ডা. নাফিসার সঙ্গে হুমাইরার সাক্ষাৎ করানো হোক এবং বাকি পরীক্ষার্থীদের কাছেও শোনা হোক সেদিন আসলে কী ঘটেছিল।    
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৫

চোখে-মুখে আঠা লাগিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, যা জানাল চিকিৎসক
খুলনার পাইকগাছায় চোখে-মুখে ‘সুপার গ্লু’ আঠা লাগিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গৃহবধূকে (৪৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার চোখ ও মুখের আঠা অপসারণ করা হলেও শারীরিকভাবে দুর্বল থাকায় তিনি কথা বলতে পারছেন না। চিকিৎসক জানান, চোখে ও মুখে এভাবে আঠা লাগানো অবস্থায় কোনো রোগী আগে দেখিননি। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই নারীর ছেলে বলেন, সোমবার রাতে তার মায়ের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তিনি কথা বলতে পারছেন না। কিছু বলতে গেলে ইশারা করছেন। তার মায়ের শরীর এখনও বেশ দুর্বল। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-২-এর সহকারী রেজিস্ট্রার চিকিৎসক মো. কনক হোসেন বলেন, হাসপাতালে যখন আনা হয়, তখন ওই রোগী পুরোপুরি অজ্ঞান ছিলেন তেমন নয়। তবে তিনি একটু অবচেতন অবস্থায় ছিলেন। চোখের পাতা ও দুই ঠোঁট শক্ত আঠা দিয়ে লাগানো ছিল। রোগীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঁচড়ের দাগ ও ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন ছিল। অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে আঠা অপসারণ করা হয়। এরপর রোগীকে পাঠানো হয় চক্ষু ওয়ার্ডে।  তিনি বলেন, রোগীর স্বজনদের অভিযোগ ছিল, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাই চক্ষু ওয়ার্ড থেকে তাকে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। তবে এর আগে কখনও চোখে ও মুখে এভাবে আঠা লাগানো অবস্থায় কোনো রোগী দেখিনি। এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় কেউ মামলা করেননি। তবে অপরাধীদের শনাক্ত করতে অভিযান অব্যাহত আছে। এর আগে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে খুলনার পাইকগাছায় চোখ-মুখে ‘সুপার গ্লু’ আঠা দিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় গৃহবধূর কানের দুল ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, ওই গৃহবধূর ছেলে বাগেরহাট ও মেয়ে খুলনায় থেকে পড়ালেখা করে। রোববার রাতে তার স্বামী ব্যবসায়িক কাজে গড়ুইখালী বাজারে ছিলেন। এ সুযোগে ভোর তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা মই দিয়ে ছাদে যায়। এরপর সিড়ির দরজা ভেঙে গৃহবধূর বেডরুমে প্রবেশ করে তার চোখে ও মুখে ‘সুপার গ্লু’ আঠা দিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে গৃহবধূর কানের দুল ও গলার চেনসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, গৃহবধূকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত এবং তাদেরকে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়