• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo

যে রেস্টুরেন্টে দুপুর হলেই নামে বৃষ্টি, তীব্র গরমে মেলে স্বস্তি

মোখলেছুর রহমান, মাগুরা প্রতিনিধি

  ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৭

তীব্র গরমে যেখানে হাঁসফাঁস অবস্থা, সেখানে মাগুরা এই হোটেলে নামীদামি রেস্টুরেন্টের মতো নেই না কোনো কুলিং ব্যবস্থা। তাই তীব্র দাবদাহের মধ্যেও ভোক্তাদের একটু স্বস্তি দিতে এই অভিনব পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন রবিউল ইসলাম।

মাগুরা শহরের ইসলামপুর পাড়ায় অবস্থিত ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের পিছনে এই হোটেলটিতে দুপুর হলেই দোকানে নামে বৃষ্টি। টিনের চালে টুপটাপ বৃষ্টির শব্দে ভেতরে খাবার খাচ্ছেন ভোজনরসিকরা।

বাইরে যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থাকে সেখানে কুলিং সিস্টেমের কারণে রবিউলের হোটেলের ভেতরের তাপমাত্র থাকে ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি। কৃত্রিম বৃষ্টির মাধ্যমে টিনের চালকে ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

দীর্ঘ ৫৭ বছর ধরেই এই খাবার হোটেল ব্যবসায় যুক্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রবিউল। তার হোটেলে এমনিতেই কাস্টমার বেশি হয়। কারণ, তার হোটেলে খাসি, মুরগি, মাছ, সবজি সবই পাওয়া যায়। বিশেষ করে রেজিস্ট্রি অফিসের পেছনে হওয়ায় সপ্তাহের অফিস ডেতে বেশি সমাগম হয়।

এ বিষয়ে রবিউল ইসলাম বলেন, বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা এই হোটেল ব্যবসায় জড়িত। আমার দুই চোখ নষ্ট হয়েছে অনেক বছর আগে। তাই লেখাপড়া বেশিদূর করতে পারিনি। মানুষের ভালোবাসা ও দোয়ায় ব্যবসায় ভালোই চলছিল। সম্প্রতি লক্ষ্য করলাম গরমের কারণে আমার হোটেলে মানুষ আসতে চাইতো না। টিনের চালার হোটেল। তাই গরম বেশি। সে কারণে কাস্টমারের সংখ্যা অনেক কম ছিল। এ সময় রুমের তাপ কমানোর বুদ্ধি বের করি। মূলত ইন্টারনেট থেকে দেখে আমি আমার ঘরের চালার ওপর ওয়াটার কুলিং সিস্টেম লাগাই। এটা করতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।

এই কৃত্রিম বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরমের পরিবর্তে রুমের তাপমাআত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকছে। এমন অভিনব ব্যবস্থা দেখে খাবার খেতে অনেকেই আসছেন এই হোটেলটিতে। ভোক্তাদের সেবা দিতে পেরে খুশি রবিউল।

মন্তব্য করুন

  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ধানমন্ডির রেস্টুরেন্টের আগুন ২ ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর ধানমন্ডিতে রেস্টুরেন্টে আগুন
দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
ফ্রিজে পচা মাংস, ২ হোটেলকে জরিমানা