• ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখা নিয়ে মাউশির জরুরি নির্দেশনা
মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তীব্র তাপপ্রবাহকালীন শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখা নিয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তার। রোববার (১৯ মে) অধিদপ্তরের দেওয়া নির্দেশনায় মাউশির আওতাধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তীব্র তাপপ্রবাহকালীন শ্রেণি কার্যক্রম চালু অবস্থায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়। নির্দেশনাগুলো হলো- ১. পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাত্যহিক সমাবেশ বন্ধ রাখা। ২. শ্রেণি কার্যক্রম চলাকালে শ্রেণিকক্ষের সব দরজা-জানালা খোলা রাখা। ৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক পাখা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (যদি থাকে) সচল রাখা। ৪. পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা রাখা। ৫. শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীদের প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা করা। ৬. নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা, যেন কোনো শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা যায়। ৭. প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা রাখা। ৮. শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক শ্রেণিকক্ষে অবস্থান নিশ্চিত করা। ৯. বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষার্থীরা যেন যথাসম্ভব সূর্যের আলো থেকে নিজেদের দূরে রাখে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।
৪ ঘণ্টা আগে

নোবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু
পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ফার্মেসি বিভাগ। মঙ্গলবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শফিক এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।  সূত্র বলছে, এই প্রোগ্রামের অধীনে সর্বোচ্চ ১৮ জন শিক্ষার্থী তাদের পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করতে পারবে। আবেদনকারীরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকদের মধ্য হতে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করে তার বা তাদের মাধ্যমে পিএইচডি গবেষণার আবেদন দাখিল করতে পারবেন।  এর আগে গত ৫ মে নোবিপ্রবির ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ ১ম বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করে। যাকে মাইলফলক হিসেবে অবহিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ফার্মেসি বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বিভাগ হিসেবে প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করতে যাচ্ছে বিভাগটি। বিজ্ঞপ্তি হতে জানা যায়, আগ্রহী প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন পত্র ডাউনলোড করা যাবে। যথাযথভাবে পূরণ পূর্বক আবেদন ফরম ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদন পত্রের সাথে সকল পরীক্ষার নম্বর পত্রের ফটোকপি, সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি (সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান কর্তৃক সত্যয়নকৃত) এবং গবেষণার একটি রূপরেখা জমা দিতে হবে।  বিজ্ঞপ্তি হতে আরও জানা যায়, বিদেশ থেকে অর্জিত ডিগ্রির ক্ষেত্রে ইউজিসি কর্তৃক সমতা সনদ প্রদান করতে হবে। পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীকে ইউজিসি স্বীকৃত বাংলাদেশের যেকোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বা পাঁচ বছর মেয়াদী স্নাতক ও এক বছর মেয়াদী মাস্টার্স অথবা এমফিল ডিগ্রির অধিকারী হতে হবে।  প্রার্থীদের সব পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণিসহ ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। জিপিএ নিয়মে মাধ্যমিক বা সমমান থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এর মধ্যে ৩.৫ অথবা জিপিএ-৪ এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে। তিন বছর মেয়াদী স্নাতক সম্মান এবং এক বছর মেয়াদী মাস্টার্স ডিগ্রি ধারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াও স্নাতক পর্যায়ে কোন স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে দু’বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা কোন স্বীকৃতমানের গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে দু’বছরের গবেষণা সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে দু’বছরের চাকুরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ফার্মেসি বিভাগ পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করতে পেরে অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। আমরা চাই উচ্চশিক্ষায় আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাক, দেশের সুনাম বয়ে আনুক। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, যেকোনো বিভাগ যদি পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর ইচ্ছে পোষণ করে এবং পিএইচডির শিক্ষার্থীদের পরিচালনার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক যদি বিভাগে থাকে তারা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালুর অনুমতি পেতে পারে।
১৫ মে ২০২৪, ০০:০৪

আরটিভিতে সংবাদ প্রকাশের পর নোবিপ্রবির ২ হলের ডাইনিং-ক্যান্টিন চালু
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিন ও প্রায় সাত মাস পর ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের ডাইনিং চালু  হয়েছে। এর আগে হল দুটোর ডাইনিং-ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করে আরটিভি। মঙ্গলবার (১৪ মে) বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট ড. অবন্তি বড়ুয়া হলের ক্যান্টিন ও সালাম হলের প্রভোস্ট ড. কাউসার হোসেন ডাইনিং খোলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হল সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাস থেকে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের ডাইনিং বন্ধ ছিল। ফলে দীর্ঘ সাত মাস যাবত ডাইনিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ঈদের বন্ধের পর  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিন না খোলায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীদের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড.অবন্তী বড়ুয়া বলেন, গত রবিবার পুনরায় হল ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। পূর্ববর্তী ক্যান্টিনের চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় এবং ক্যান্টিন সংস্কারের জন্য হল ক্যান্টিন সাময়িক বন্ধ ছিল। হল প্রশাসনের দ্রুততম উদ্যোগে পুনরায় হল ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা ও রাতের খাবার সরবরাহ করা হবে। খাবারের দাম ও মান ঠিক রাখতে প্রভোস্ট বডি সর্বদা মনিটরিং করছে। তিনি বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে হলকে সুন্দর করে গুছানোর চেষ্টা করেছি।  গত এক বছরে হল ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করেছি। এর মধ্যে হল গেটের পাশে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও ফটো গ্যালারি স্থাপন, বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছসহ দেড় শতাধিক ফলজ, বনজ এবং ঔষধি গাছ রোপন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে হলের মেইন ফটক ও চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নারী দিবস উদযাপন, বিভিন্ন রকমের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, প্রায় শতাধিক বইয়ের একটি সংগ্রহশালা স্থাপনসহ বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং কিছু কাজ চলমান রয়েছে। ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট ড. কাউসার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ সালাম হলের ডাইনিং পুনরায় চালু করা হয়েছে। আগে শিক্ষার্থীরাই চালাত ডাইনিং। এবার অভিজ্ঞ এক লোক দেওয়া হয়েছে। তিনি আগে ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাইনিং চালাতেন। খাবারের দাম ও মান ঠিক রাখতে তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডাইনিং ভালোভাবে সচল রাখতে হল সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
১৪ মে ২০২৪, ২২:৫৪

যানজট নিরসনে আজ থেকে বাসের গেটলক সিস্টেম চালু
রাজধানীতে যানজট সমস্যা নিরসনে চালু হচ্ছে বাসের গেটলক সিস্টেম। রোববার (১২ মে) মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে এই সিস্টেম চালু হবে। শনিবার (১১ মে) রাতে ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে প্রথমে কাকলী, তারপর কুর্মিটোলা, খিলক্ষেত এবং সর্বশেষ আব্দুল্লাহপুর থেকে যাত্রী নিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাবে। যেসব পরিবহন এই নিয়ম অমান্য করে যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পোস্টে যত্রতত্র হাত নাড়িয়ে বাসে না ওঠার জন্য যাত্রীদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
১২ মে ২০২৪, ০৮:৪৬

১০ জুন চালু হচ্ছে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন: রেলমন্ত্রী  
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকা রুটে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে আগামী ১০ জুন।  শনিবার (১১ মে) রাজশাহী বিভাগ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় আম পরিবহন বিষয়ে সেমিনারে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম। তিনি জানান, ছয়টি লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে আম পরিবহন করা যাবে ২৮ দশমিক ৮৩ টন। তবে এবার ট্রেন যাবে পদ্মা সেতু হয়ে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এই ট্রেন। যাত্রাপথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, আব্দুলপুর, ঈশ্বরদী, পোড়াদহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা স্টেশনসহ মোট ১৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন। এই ট্রেন ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ২টা ১৫ মিনিটে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি আমের ভাড়া লাগবে ১ টাকা ৪৭ পয়সা আর রাজশাহী থেকে ১ টাকা ৪৩ পয়সা। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের পরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহী আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম।
১১ মে ২০২৪, ১৫:৩৬

ঢাকায় ফ্লাইট চালু করবে বিদেশি দুই এয়ারলাইনস
বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিদেশি দুই এয়ারলাইনস। চলতি মাস থেকেই তারা ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে। এরই মধ্যে এই দুই বিদেশি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।  ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাওয়া এয়ারলাইনস দুটি হলো— ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস এবং এয়ার চায়না। ফ্লাইট চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে বেবিচক সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর এ এফ এম আতিকুজ্জামান আরটিভি অনলাইনকে বলেছেন, আমাদের যা করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমরা দিয়ে দিয়েছি। এখন এয়ারলাইনস অপারেটর তাদের সুবিধা মতো প্রোগ্রাম ঘোষণা করবে। তবে কবে নাগাদ ফ্লাইট চালু হতে পারে সেটা আমরা বলতে পারবো না।  বেবিচক সূত্রে জানা যায়, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আদ্দিস আবাবা থেকে ঢাকার মধ্যে ফ্লাইট চালু করার পরিকল্পনা করেছে। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। আফ্রিকার বিস্তৃত নেটওয়ার্কের জন্য পরিচিত এয়ারলাইনসটি তার বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ উড়োজাহাজ দিয়ে ঢাকায় প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায়, যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের আদ্দিস আবাবা থেকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার প্রধান শহরগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াদে কূটনৈতিক আলোচনার পর ইথিওপিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান চলাচল চুক্তি সই হয়। ১৪৭টি বিমান নিয়ে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইনস আফ্রিকার বৃহত্তম বিমান সংস্থা এবং পরিষেবা প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিমান সংস্থা। এদিকে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এয়ার চায়না ঢাকা-বেইজিং-ঢাকা রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট চালু করবে বলে জানা গেছে।
০৬ মে ২০২৪, ১৬:২০

পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করল নোবিপ্রবি 
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের অধীনে এই পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং নোবিপ্রবির জন্য এটি একটি নতুন মাইফলক বলে দাবি করেন তারা। সম্প্রতি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পিএইচডি শিক্ষার্থী চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।  বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটি, ডেনমার্ক; স্টারলিং ইউনিভার্সিটি, ইউকে; এভাডিন ইউনিভার্সিটি, ইউকে; আইসিডিডিআরবি এবং নোবিপ্রবিসহ মোট ৬টি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে পিএইচডি প্রোগ্রাম ৫ বছরের জন্য চলমান থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুইটি থিমেটিক এরিয়ার জন্য ২ জন নির্বাচিত প্রার্থীকে পিএইচডি প্রোগ্রামের আওতায় মাসিক বৃত্তির পাশাপাশি ইউকে এবং ডেনমার্কে ৬ মাসের পড়ালেখার পাশাপাশি গবেষণামূলক কাজের জন্য ২টি যাতায়াতের খরচ বহন করা হবে। সভ্যতার পরিপূর্ণ বিকাশ এবং উন্নয়ন সাধনে নতুন জ্ঞান-অম্বেষণ করা খুবই অপরিহার্য। আর নতুন জ্ঞান খুঁজতে হলে গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের ডিগ্রি প্রদান করা হয়। যার মধ্যে পিএইচডি অথবা ডক্টর অব ফিলোসফি অন্যতম যা একাডেমিক সর্বোচ্চ ডিগ্রি হিসেবেও পরিচিত। পিএইচডি বা ডক্টরেট ডিগ্রির মাধ্যমে একজন গবেষক নিজেকে দক্ষ গবেষক হিসেবে গড়ে তোলা বা নিজের হাতে গবেষণা পরিচালনা করার সক্ষমতা অর্জন করে। এ ডিগ্রি অর্জনের মূল উদ্দেশ্য হলো একজন গবেষকের গবেষণার ক্ষেত্র নির্ধারণ করে স্বাধীনভাবে নতুন কিছু উদ্ভাবন করা; যা এর আগে কখনো করা হয়নি। যা পরবর্তীতে দেশ বা বিশ্বের আর্থ সামাজিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য ও সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের কো-সুপারভাইজর ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করার বিষয়টি আমাদের জন্য একটা নতুন মাইলফলক। এখানে শিক্ষার্থীরা নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে গবেষণা করবে যা পরবর্তীতে দেশের আর্থ-সামাজিকসহ বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  পিএইচডি প্রোগ্রাম নিয়ে তিনি বলেন, চালু হতে যাওয়া পিএইচডির বিষয়টি হচ্ছে একুয়াটিক সিস্টেম। এটি প্রতীয়মান যে, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বাড়ছে এবং সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে যা জীববৈচিত্র্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তবে এমন প্রতিকূল অবস্থায় মাছ চাষ বন্ধ না করে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য আমরা এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এর ফলে খাদ্য ও পুষ্টির যোগান দেওয়ার বিষয়টি চলমান রাখতে সক্ষম হব। প্রায় সময় দেখা যায়, মানুষ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের অভাব, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রনসহ বিভিন্ন ধরনের অপুষ্টিতে ভুগছে। এ ক্ষেত্রে একুয়াটিক ফুড এধরনের ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রনসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের জোগান দিতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, এখানে একটি ক্রস সেকশনাল গবেষণা হবে যাতে আমরা একুয়াটিক ফুডে কোন কোন উপাদান কি পরিমাণে আছে তা দেখতে পাব। যারা খাচ্ছে তাদের হেলথ ডায়েট কেমন? পরবর্তীতে ফলাফল কেমন? এবং তা হ্রাস করার জন্য কোন কোন উপাদানগুলো তার খাবারে যোগ করতে হবে তা বলে দিতে সক্ষম হব। আমরা যদি প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে এটির সমাধান করতে পারি তাহলে আমাদের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ওষুধ নেওয়ার প্রয়োজন হবে না।   বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৮ বছরে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করতে পেরেছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্নক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। সবাই মিলে কাজ করলে নোবিপ্রবি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটা প্রতিষ্ঠান হবে বলে আশা করি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেলের পরিচালক ও কোষাধ্যক্ষ নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রাম শুরু হতে যাচ্ছে এটা অবশ্যই আমাদের জন্য একটা সুখবর। আমরা একটা নীতিমালা করেছি এবং একটি ভর্তি নীতিমালা করেছি। এখন যারা যারা ভর্তি নিতে চায় নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি নিতে পারবে। তবে এখানে একটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে পিএইচডি যেন শুধুমাত্র সার্টিফিকেট এর জন্য না হয়। পিএইচডির কোয়ালিটি অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যেহেতু এটা আমাদের প্রথম আমরা এটা ধীর গতিতে নিখুঁতভাবে শুরু করতে চাই।  এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, পিএইচডি না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ন হয় না। পিএইচডির মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচক বেড়ে যায়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের ফার্মেসি, এপ্লায়েড কেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, ইএসডিম এর পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করার মতো সক্ষমতা আছে। এসব বিভাগের শিক্ষকদের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের সাথে কোলাবোরেশানের মাধ্যমে অনেক গবেষণা হয়। এদের মধ্যে যে বিভাগ পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করতে চায় তাদের নিয়মকানুন মেনে শুরু করতে হবে, তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাপত্র থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকার ক্ষেত্রে অনেকগুলো সূচক বিবেচনা করা হয় যেমন- কয়টা মাস্টার্স, পিএইচডি আছে, আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোতে প্রকাশিত গবেষণাপত্র ইত্যাদি। যদি আমরা পিএইচডি শুরু করতে পারি তাহলে র‍্যাংকিংয়েও আমরা এগিয়ে থাকতে পারব। বাকি বিভাগগুলোকে ও আমরা নীতিমালা মেনে পিএইচডি প্রোগ্রাম শুরু করার জন্য বলেছি। যেহেতু তারা এডভান্স পড়ালেখা করবে তাই তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
০৫ মে ২০২৪, ১৫:৩৯

শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত এবং প্রয়োজনে শুক্রবারও খোলা রাখার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতারা। বৃহস্পতিবার (২ মে) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে এক ধরনের তালবাহানা চলছে, যা হাস্যকর পরিস্থিতির উদ্রেক হয়েছে। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। শিখন-শেখানো কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, কোনো দুর্যোগ শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী সৃষ্ট নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হতেই পারে। পূর্বেও এমন হয়েছে। সে কারণে নির্ধারিত ছুটি কমিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়। মন্ত্রণালয়ের এহেন সিদ্ধান্তে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত বৈ কিছু নয়। কারণ নির্ধারিত ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে শিক্ষার্থীরা পাঠ সংশ্লিষ্ট ‘বাড়ির কাজ’ সম্পন্ন করতে পারেন। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকগণ চিকিৎসা নেওয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানো, আচার-অনুষ্ঠান ও বিশ্রামসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন। ছুটি নিয়ে আচমকা সিদ্ধান্ত নেওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সামাজিক, শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হচ্ছে। তারা বলেন, জাতীয় দিবসগুলোতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থান নিতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের, অথচ সে দিন অন্যদের ছুটি। শুধু তাই নয়, শিখন ঘাটতি পূরণের অজুহাতে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও শীতকালীন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরে রমজানের ছুটিও কমানো হয়েছে যা মোটেই সুবিবেচনাপ্রসূত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত নির্লিপ্ততারই বহিঃপ্রকাশ।  নেতারা বলেন, অবিলম্বে শনিবারের ছুটি বহাল রাখা এবং বিগত দিনের কেড়ে নেওয়া নির্ধারিত ছুটিগুলো সমন্বয় করতে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় দাবি পূরণ না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।
০২ মে ২০২৪, ২০:৩১

বিচার বিভাগের সব ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু হচ্ছে
উচ্চ আদালতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হতো। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়। উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।  বুধবার (১ মে) দুপুরে সিলেটে আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে সিলেটে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চান তিনি। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, সিলেটের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালত একিউএম নাসির উদ্দিন, মহানগর পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিত সিংহ, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অসীম পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট রুহুল আনাম মিন্টু, সিলেট কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
০২ মে ২০২৪, ০১:৪১

‘শুক্রবারেও ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে’
সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্রবারেও ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একেক অঞ্চলের তাপমাত্রা একেক রকম। এখন উত্তরপূর্বাঞ্চল ও হাওড় এলাকার তাপমাত্রা কম। তবে, অতি বৃষ্টিতে কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে বন্যার কারণে পাঠদান বন্ধ রাখতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ বিভিন্ন ছুটির কারণে সৃষ্ট লার্নিং গ্যাপ কমাতে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্রবারেও ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগ বিভিন্ন এলাকার পাঠদানের বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। তবে, স্বপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত এলে আমাদের কাজের ব্যাঘাত ঘটে। তবে, আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আপিল না করা পর্যন্ত আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে চলা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ বিভিন্ন ছুটির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শহরের চেয়ে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্বপ্রণোদিত হয়ে তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদরাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়