• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দরে বছরে চলাচল করতে পারবে ২৬ কোটি যাত্রী
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ। নতুন এই বিমানবন্দরটি দিয়ে বছরে চলাচল করতে পারবে ২৬ কোটি যাত্রী। দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নামানুসারে নতুন এই বিমানবন্দরটির নাম রাখা হয়েছে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। খবর আল জাজিরার।  প্রধানমন্ত্রী রশিদ আল মাকতুম জানিয়েছেন, বিমানবন্দরটি নির্মাণে খরচ হচ্ছে তিন হাজার ৫০০ কোটি ডলার। বর্তমান দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেয়ে পাঁচগুণ বড় নির্মিতব্য এই বিমানবন্দরটি। তিনি আরও জানিয়েছেন, নির্মাণ শেষ হলে আসছে বছরগুলোতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব কার্যকলাপ নতুন এই আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হবে। এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রশিদ আল-মাকতুম বলেন, যেহেতু দুবাই বিমানবন্দরের চারপাশে সম্পূর্ণ শহর তৈরি হয়েছে, তাই এই বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করেও একটি শহর তৈরি করা হবে। সেখানে অন্তত ১০ লাখ মানুষের আবাসন চাহিদা পূরণ হবে। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ছাড়াও বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোর অফিস তৈরি করা হবে নতুন শহরে। নতুন বিমানবন্দরটির অবস্থান দুবাই শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে বিশাল এলাকাজুড়ে। এই বিমানবন্দর হবে পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ।  জানা গেছে, নতুন বিমানবন্দরে থাকবে চারশটি টার্মিনাল গেট এবং ৫টি রানওয়ে। স্থানীয় বৃহত্তম বিমান পরিবহণ সংস্থা এমিরেটস এবং এর ছোট অংশীদার ফ্লাই দুবাই এ বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হবে। এছাড়া, দুবাই থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যাতায়াত করা অন্য সব অংশীদার এয়ারলাইন্সও এখান থেকে পরিচালিত হবে।  
১৬ ঘণ্টা আগে

‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল’
শিগগিরই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে, তবে নিয়ম মেনে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনে চলতে পারবে মোটরসাইকেল। কারণ গত এক বছরের মহাসড়কের দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে মোটরসাইকেল চালক ও যাত্রীরা, যার সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশেরও বেশি। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মহাসড়কের তিনটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিফা নুসরাতসহ হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। এ সময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, মহাসড়কের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপে যাচ্ছে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিগগিরই সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে মহাসড়কে। এছাড়া প্রথম দিনের অভিযানে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে যাত্রী ও পথচারীদের অনীহা ও যানবাহনের ওভার ট্রাকিংসহ অতিরিক্ত গতিতে চলাচলের চিত্র চোখে পড়েছে। ফলে দ্রুত এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্থায়ীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  এ সময় অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেন, ঢাকা সার্কেলের বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. মুছা, হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ কাঞ্চন কুমার সিংহ, বিআরটিএর মুন্সীগঞ্জের মটরযান শাখার পরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২২

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় চলাচল বন্ধ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় লোকসভা নির্বাচনের কারণে আজ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে পাইপলাইনে থাকা কাঁচামালের ট্রাকগুলো বিশেষ বিবেচনায় আমদানি হবে। এ ছাড়াও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে মেডিকেল ভিসা ছাড়া অন্য ভিসায় পাসপোর্টের যাত্রী চলাচল বন্ধ থাকবে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভারতের বালুরঘাটে নির্বাচনের কারণে বুধবার সকাল থেকে বাংলাদেশ হতে ট্যুরিস্ট ভিসা ও বিজনেস ভিসায় পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে মেডিকেল ভিসায় চলাচল করা যাবে এবং ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে পারবেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৭

সেতু ভেঙে ভোগান্তি, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল  
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নওদা শালুয়া ও নলকা খালের ওপর নির্মিত সেতু ভেঙে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার সঙ্গে সেতুর পূর্ব পাশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন ওই এলাকার মানুষ। তবে যানবাহন চলাচল না করায় ভোগান্তিতে রয়েছেন বাসিন্দারা। খোঁজ নিয়ে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক যুগ আগে নির্মিত সেতুটি পাঁচ বছর ধরে নড়বড়ে ছিল। এ অবস্থায় স্থানীয় ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচল করায় এবার রমজানের শুরুতেই একাংশ ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অটোরিকশা, ভ্যানসহ ছোটখাটো যানবাহন চলাচল এখনও করে। বর্তমানে ভাঙা অংশের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় ওই ইউনিয়নসহ প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্তমানে গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় ব্রিজের ভেঙে যাওয়া অংশে মাচাল বিছিয়ে ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করছে। তবে খুঁটি এখনও নড়বড়ে অবস্থা। এতে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হচ্ছেন। জরুরি ভিত্তিতে সেতু সংস্কার বা পুনরায় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ।  স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরেও কাজ হচ্ছে না। মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে এলাকাবাসী মিলে সামান্য চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। যেকোনো মুহূর্তে সেতু ভেঙে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, সেতুটি অনেক পুরোনো। এজন্য ভেঙে গেছে। এ সেতু দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। জরুরি ভিত্তিতে এখানে স্থায়ী সমাধান করতে হবে এবং আধুনিক সেতু নির্মাণের জন্য বিষয়টি সংশিষ্টদের জানানো হয়েছে। রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, সেতু পরিদর্শন শেষে এলজিইডিকে জানানো হয়েছে। জনগণের ভোগান্তি নিরসনে দ্রুত সমাধান করা হবে। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, সেতুর যাবতীয় তথ্যাদি স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬

তেহরানে বিমান চলাচল স্বাভাবিক
ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসফাহান শহরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়। এবার তেহরানের প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের ইমাম খোমেনি ও মেহরাবাদ বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শহরটির কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছিল। এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল। এর আগে, ইরান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৮

দুই ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ২ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।  এর আগে, এদিন সকাল ৭টার দিকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কামাক্ষার মোড় এলাকায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে জোকারচর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও ধীর গতিতে চলে যানবাহন। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লিটন মিয়া জানান, সংঘর্ষের পর ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান সড়কের মাঝখানে চলে আসলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সড়ক থেকে গাড়ি দুটি সরিয়ে নেওয়া হলে সকাল ৯টার পর থেকে পুরোপুরি যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২১

দুই ঘণ্টা পর পটুয়াখালীতে বাস চলাচল শুরু
পটুয়াখালীতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় দুটি বাসকে জরিমানা করায় মহাসড়ক অবরোধ করে বাস মালিক-শ্রমিকরা। তারা পটুয়াখালীর চৌরাস্তা ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা-সংলগ্ন মহাসড়কের ওপর আড়াআড়ি ও এলোপাতাড়ি বাস রেখে মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ফের যানবাহন চলাচল শুরু হয়।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে মহাসড়কের পটুয়াখালীর চৌরাস্তা এলাকায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে দুটি বাসকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস শ্রমিকরা। মহাসড়কের দুই দিকে আটকে পড়ে শত শত যানবাহন এবং ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রী সাধারণ এবং যানবাহনের ভেতরে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী ও শিশু যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।  এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধা বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষেরা পরিবারদের সঙ্গে ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করে। তারা দ্রুত কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য চালক ও হেলপারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে বাসে ওঠে। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাসে অতিরিক্ত যাত্রী পেয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এত টাকা বাসের চালক বা হেল্পারের পক্ষে দেয়া কষ্টকর হওয়ায় তারা মহাসড়ক অবরোধ করেন। জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে এবং ঈদে কর্মস্থলে ফিরতি মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে জরিমানা পরিশোধ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। পটুয়াখালীর সদর থানার ওসি মোহাম্মদ জসীম জানান, প্রশাসনের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে তা অল্প সময়ের মধ্যেই জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। বর্তমানে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫১

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের তেমন চাপ নেই। অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকেই সড়কটিতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। শেষ সময়ে অনেকটা স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে, সড়কে যাত্রীবাহী বাসের চেয়ে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল বেশি চলাচল করছে। কম ভাড়ায় খোলা ট্রাকেও বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে সড়কের মির্জাপুর, গোড়াই, টাঙ্গাইল, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পারে যাত্রীদের জটলা রয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।  টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানিয়েছেন, সড়কে ৭ শতাধিক পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে শেষ দিনে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ। 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে যান চলাচল স্বাভা‌বিক
দীর্ঘ ভোগা‌ন্তির পর টাঙ্গাইলের মহাসড়‌কে প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক হ‌য়ে‌ছে। এর আগে ফিট‌নেসবহীন প‌রিবহন, বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দুর্ঘটনা ও টোল আদায় বন্ধ থাকায় গভীর রাত থে‌কে মহাসড়‌কের বি‌ভিন্ন প‌য়ে‌ন্টে গাড়ি চলাচ‌লে ধীরগ‌তি ও যানজ‌ট সৃষ্টি হ‌য়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুর ২টার পর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়‌কে যানবাহন চলাচল স্বাভা‌বিক হ‌তে শুরু হয়। বর্তমা‌নে একরকম ফাঁকাই হ‌য়ে প‌ড়ে‌ছে মহাসড়ক। স‌রেজ‌মি‌নে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা গে‌ছে, প‌রিবহ‌নের তেমন চাপ নেই। ক‌য়েক‌টি করে গা‌ড়ি যা‌চ্ছে উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে। এর আগে সকা‌লে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়‌কে ব্যাপক যানজ‌ট সৃ‌ষ্টি হয়। এতে মহাসড়‌কের টাঙ্গাইল-আশিকপুর বাইপাস থেকে সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কি‌লো‌মিটার সড়‌কে গাড়ি থমকে যায়। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, এখন পু‌রো মহাসড়কে তেমন কোনো প‌রিবহন চাপ নেই। স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তে চলাচল কর‌ছে গা‌ড়িগু‌লো। দুপু‌রের পর মহাসড়ক ফাঁকা হ‌য়ে‌ছে। গা‌ড়ির চাপও ক‌মে‌ছে। চাপ আর বাড়ার সম্ভবনা নেই। বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, সোমবার দিবাগত রাত ৯টার পর সেতুর ওপরে ১১টি গাড়ি বিকল হয়। সেগুলো তাৎক্ষণিক অপসারণ করাতে কিছুটা সময় লাগে। এতে যানজট সৃষ্টি হ‌য়ে‌ছিল। বর্তমা‌নে সেতুর টোল প্লাজার কা‌ছে কিছু সংখ্যক প‌রিবহন থাক‌লেও সেতুর দুই পা‌শে তেমন প‌রিবহন নেই। স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তে চলাচল কর‌ছে গাড়ি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০১

রাজধানীতে আর রঙচটা বাস চলাচল করতে পারবে না
রাজধানীতে ঈদুল ফিতরের পর কোনো রঙ উঠে যাওয়া বা রঙচটা বাস চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ ভবনে ‘ফিটনেসবিহীন, বায়ু দূষণকারী ও রুটপারমিটবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধকরণসংক্রান্ত সভা’য় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া সভায় ঢাকার সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিকে নিয়ে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। তবে বাস মালিকরা কথা দিয়েছেন, এপ্রিলের মধ্যে ২০ শতাংশ বাস রঙ করা হবে। বাকিটা ধাপে ধাপে সম্পন্ন করবেন।  সভায় বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার পরিবহন মালিকদের উদ্দেশে বলেন, ঢাকার রাস্তায় আগামী ৩১ মে’র পর কোনো ধরনের রঙ ওঠা বাস চলতে দেওয়া হবে না। আমরা এর জন্য অভিযানে বের হবো। আশা করবো, মালিকরা নিজ উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন বাস উপহার দেবেন। আমরা পুরো বিষয়টি মনিটর করবো। সভায় বিআরটিএ থেকে জানানো হয়- রাজধানীতে ৩৯টি কোম্পানির ৫২৮টি ফিটনেসবিহীন গাড়ি ছিল, এর মধ্যে ২৫৭টি ঠিক করা হয়েছে। তবে এ তালিকা পূর্ণাঙ্গ আকারে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার তাগিদ রয়েছে বিআরটিএর। আগামী ৩০ মে’র মধ্যে ঢাকার সড়কে চলাচলকারী সব বাস-মিনিবাসের তালিকা ও মালিকদের নাম বিআরটিএ-তে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, রাস্তায় যেন রঙ ওঠা গাড়ি চলতে না পারে সে বিষয়ে ঈদুল ফিতরের পরে সমিতির জোনাল অফিসগুলো থেকে গাড়িগুলোর মনিটরিং বাড়ানো হবে। ভাঙাচোরা গাড়িগুলোর মালিকদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। তারপরেও কেউ সড়ক এসব বাস নামালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হবে। তবে বাস মালিকদের দাবি, ঢাকার ৬০ শতাংশ বাস মালিকের আর্থিক সচ্ছলতা নেই যে দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি ঠিক করে রাস্তায় নামাবে। কেননা এইসব মালিকদের অধিকাংশ একটা দুইটা পুরানো বাস কিনেই মালিক হয়েছেন। এদের কেউ কেউ গাড়ির মেকানিক থেকে, কেউ আবার বাসচালক থেকে বাস মালিক হয়েছেন। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির হিসাব দেখিয়ে তারা বলেন, ঢাকার সড়কে এখন সাড়ে ৩ হাজার বাস-মিনিবাস যাত্রী পরিবহন করছে যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। এখন পুরোপুরি ফিটনেস ঠিক করা পর্যন্ত যদি ১ থেকে দেড় হাজার গাড়ি যদি বসিয়ে রাখা হয় তবে নগরে গণপরিবহন সংকট তীব্র হবে। মালিকদেরও ১ থেকে দেড় লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হবে। এর আগে, গত রোববার (৩১ মার্চ) বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনের কালো ধোঁয়া এবং উন্মুক্ত স্থানে নির্মাণ সামগ্রী না রাখা এবং বায়োম্যাস বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছিলেন, বায়ু দূষণ রোধে ২০ বছরের বেশি পুরানো বাস রাজধানীতে চলতে দেওয়া হবে না। মন্ত্রী নির্দেশ দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ৮ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা শহরে চলাচলকারী এরকম পুরনো বাসের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। আর পরিবহন মালিক সমিতি ২০ এপ্রিলের মধ্যে ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া পুরাতন যানবাহন পুরোপুরি নিয়ম মেনে স্ক্র্যাপ করতে হবে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়