• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণা, আইনজীবীকে আদালতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ায় তার আইনজীবী নিখিল কুমার সাহার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এক সপ্তাহের জন্য আদালতে প্রবেশ করতে মানা করা হয়েছে তাকে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী এক সপ্তাহ কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারবেন না অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার সাহা। একই সঙ্গে অর্থ পাচারের মামলায় জি কে শামীমের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন আদালত। জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জি কে শামীমের জামিনের আদেশ কার্যতালিকার ৪ নাম্বার সিরিয়ালে ছিল, যা দেখে অবাক হয়ে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এটি কীভাবে আদেশের জন্য আসে, এ বিষয়ে শুনানিই তো হয়নি। পরে আইনজীবী নিখিল কুমার সাহাকে এজলাসে ডাকেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আইনজীবীকে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, ‘এটা কি করে হলো?’ এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি আইনজীবী নিখিল কুমার। এ সময় প্রধান বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘চালাকি করেন? কটা টাকার জন্য এসব করেন! কেন করেন?’ পরে নিখিল কুমার সাহাকে এক সপ্তাহ মামলা না লড়তে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি পাল্টা যুক্তি দিতে চাইলে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, বেশি কথা বললে এক বছর নিষিদ্ধ করা হবে। এর আগেও জি কে শামীমের জামিন ঘিরে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল হাইকোর্টে। ২০২০ সালে মার্চ মাসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার জিকে শামীম। পরে অনুসন্ধানে জানা যায়, মাসখানেক আগে করা জামিন আবেদনে পুরো নাম উল্লেখ করেননি তিনি। যদিও জামিন আদেশে ঠিকই লেখা ছিল পুরো নাম। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আটক সাবেক যুবলীগ নেতা ও প্রভাবশালী ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে তিনি জি কে শামীমকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। ২০১৯ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে নাটকীয় এক অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮

নারী আম্পায়ার ঘিরে বিতর্ক : কে এই সাথিরা জেসি
বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজ যোগ্যতায় অনেকটাই এগিয়ে দেশের নারীরা। নানান অগ্রযাত্রার মধ্যেও নারীদের প্রতি সহিংসতার ঘটনাও আলোচিত। তবে একরাশ প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। তেমনই একজন বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক নারী আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি। দেশের ক্রিকেটের যারা টুকটাক খোঁজখবর রাখেন তাদের কাছে পরিচিত এক নাম জেসি। দেশের নারী ক্রিকেটের প্রথম দিকের সদস্য ছিলেন তিনি, লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের অধিনায়কত্বও করেছেন। এরপর ক্রিকেট কোচিং ক্যারিয়ারকে পাশে রেখে আম্পায়ারিংয়ে নেমে পড়েন তিনি। যেখানে ইতিহাস তৈরি করেছেন সাবেক এই নারী ক্রিকেটার। আম্পায়ারিংয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সবশেষ আইসিসির আম্পায়ারিং প্যানেলে যুক্ত হয়ে দেশের ক্রিকেটের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই অনেক ডানপিটে স্বভাবের ছিলেন জেসি। সারাদিন শুধু ক্রিকেট খেলতেন। যে কারণে তার বাবা-মা অনেক বকাবকি করতো। তবে দিনশেষে তার পরিবার সবকিছুতেই সাপোর্ট করতো। লালমনিরহাটে প্রাথমিক পাঠ চুকিয়ে ঢাকায় পাড়ি জমান জেসি। এরপর এআইইউবি থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন। ২০০১ সালে বিকেএসপিতে ক্রিকেট কোচিংয়ের জন্য গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখান ক্রিকেট না থাকায় তাকে টেনিস কিংবা শুর্টিংয়ে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বিকেএসপিতে নারী ক্রিকেটারদের জন্য কোচিং ব্যবস্থা চালু হলে শুক্র-শনিবার করে সেখানে যেতেন তিনি। সেখানে প্র্যাকটিসও করতেন।  ২০০৭ সালে দেশে মেয়েদের ক্রিকেট চালু হওয়ার সংবাদে ঢাকায় পাড়ি জমান। এরপর ক্রমেই ন্যাশনাল টিমে জায়গা করে নেন জেসি। ২০১০ সালে চীনের গুয়াংচুতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসের মহিলা ক্রিকেটে চীনকে হারিয়ে ঐতিহাসিক রৌপ্য পদক লাভ করে বাংলাদেশ। ওই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অন্যতম একজন খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। ২০১১ সালের ২৬ নভেম্বরে আয়ারল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অফব্রেক এই বোলারের ওডিআই অভিষেক হয়। এরপর ২০১৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০ ওভারের ফরম্যাটে আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয়। তবে দেশের জার্সিতে তিন ম্যাচের বেশি ২২ গজ মাতানো হয়নি জেসির। ওই বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতি টানেন তিনি। এরপর নাম লেখান আম্পায়ারিংয়ে। তবে জেসি যখনই দেশের সম্পদ হয়ে উঠছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের নারী ক্রিকেটের ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার পথে, ঠিক তখনই তাকে ঘিরে বিতর্কে দেশের ক্রিকেট।  প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংকের মধ্যকার ম্যাচেই তাকে ঘিরে আপত্তি। যদিও জেসির দাবি, ডিপিএল অভিষেকে ক্রিকেটারদের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি।   ঘটনার পরপর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেসি জানিয়েছেন, দলের ক্রিকেটার, বিশেষ করে মুশফিক, রিয়াদদের কাছ থেকে বেশ ভালো সহযোগিতা পেয়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। এর মধ্যে সাতটি ম্যাচে আম্পায়ার এবং একটিতে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিতর্ককে পাশে রেখেই ডিপিএলে অভিষেক হয়েছে তার। এর আগে, ১৬ এপ্রিল মোহামেডান ও শাইনপুকুরের ম্যাচের তৃতীয় আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। এদিকে চলতি বছরের অক্টোবরে ঘরের মাঠেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ গড়াবে। সেখানেই আম্পায়ারিংয়ের স্বপ্ন বুনেছেন জেসি। তার ভাষ্য, ‘হ্যাঁ অবশ্যই। ওইটাই (বিশ্বকাপ) এখন লক্ষ্য।’
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০২

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় সমাধিতে ফুল দিয়ে এ শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। ফুল দেওয়া শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৩

ফের পেছাল এস কে সিনহার অবৈধ সম্পদের মামলার প্রতিবেদন
ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ফের সময় দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হন। বুধবার (২৪ এপ্রিল) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু, দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন ২৬ জুন দিন ধার্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আক্কাস আলী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে তিনতলা বাড়ির সন্ধান পাওয়ায় ২০২২ সালের ৩১ মার্চ এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১২ জুন দুই লাখ ৮০ হাজার ডলারে (৮৬ টাকা ডলার ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা) এস কে সিনহার জন্য তিনতলা একটি বাড়ি কেনেন তার ভাই অনন্ত কুমার। বাড়িটি কেনার আগে ৩০ বছরের কিস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে অনন্ত সিনহা নিজের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার ডলার ব্যাংক ঋণ নিয়ে আরও একটি বাড়ি কিনেছিলেন। পেশায় দন্ত চিকিৎসক অনন্ত প্রথম বাড়িটি ৩০ বছরের কিস্তিতে কিনলেও নিজের ভাইয়ের জন্য বাড়ি কেনেন নগদ টাকায়। মামলার বিবরণে আরও জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৫ মার্চ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত অনন্ত কুমার সিনহার নিউজার্সির প্যাটারসনে অবস্থিত ভ্যালি ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি হিসাবে ৬০ হাজার ডলার জমা হয়। ওই একই হিসাবে অন্য একটি উৎস থেকে একই বছরের ১১ এপ্রিল থেকে ২০ জুন পর্যন্ত এক লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৮ ডলার জমা হয়। এস কে সিনহার বাড়ি কেনার বা বিদেশে অর্থপাচারে বৈধ কোনো উৎসের সন্ধান পায়নি সংস্থাটি। দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র মনে করে, এস কে সিনহা বিভিন্ন সময়ে ঘুষ হিসেবে যেসব টাকা নিয়েছেন তা বিদেশে পাচার করেছেন। দুদক তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে অভিযোগ আনে। এর আগে ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ১১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এরমধ্যে মানিলন্ডারিংয়ে সাত বছর এবং অর্থ আত্মসাতের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে ১৮২ পাতার রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক। এ ছাড়া এস কে সিনহার ৭৮ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪১

‘আমাকে একটা ভোট কে দিলো সেই মানুষটাকেই খুঁজছি’
সদ্য অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন অভিনেতা শ্রাবণ শাহ। তবে তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ১টি। এরপর থেকেই নেটদুনিয়ায় শুরু হয়েছে সমালোচনা। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে নির্বাচনের নানান বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন শ্রাবণ। এ সময় অভিনেতা জানান, নির্বাচনে তাকে একটা ভোট যে দিয়েছে সেই ব্যক্তিকেই খুঁজছেন তিনি। শ্রাবণ বলেন, আমার নিজের ভোটটাও নিজেকে দিইনি। কারণ, ভোট দিয়ে তো নষ্ট করা যাবে না। তাই আমার ভোটটা ডিপজল ভাইকে দিয়েছি। এমনকি পরিচিতদেরও বলে দিয়েছিলাম আমাকে যেন ভোট না দেয়। এরপরও কে যেন আমাকে একটা ভোট দিয়েছে, আমি সেই মানুষটাকেই খুঁজছি।     এর আগে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার কারণে শিল্পী সমিতির ভোটাধিকার হারাতে হয়েছিল শ্রাবণকে। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে পুনরায় শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফেরত পান তিনি। শুধু তাই নয়, ভোটাধিকার ফিরে পেয়েই ঘোষণা দেন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হবেন শ্রাবণ। নির্বাচনে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও নিপুণ আক্তারের সঙ্গে সেক্রেটারি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন এই অভিনেতা। শ্রাবণ বলেন, ডিপজল ভাইকে আরও আগেই আমাদের আনা উচিত ছিল। কারণ, তিনি নিজেই একটা ইন্ডাস্ট্রি। এরপরও নির্বাচনে নিপুণ আপু তাকে যেভাবে গ্রহণ করে নিলেন তাতে করে আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে যে মেরুকরণ ছিল সেটা আর থাকছে না বলে আমি মনে করছি। কয়েক দিন আগেই নিপুণ তার সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শ্রাবণ। আর এ কারণেই নাকি ভোটার তালিকায় নাম রাখেননি। তবে সদস্যপদ ফিরে পেয়ে অনেকটা জেদ করেই নির্বাচনে সেক্রেটারি পদে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনেতার এই সিদ্ধান্ত যে শিল্পীরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেননি সেটারই প্রমাণ মিলল ভোটের বাক্সে।      প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তবে ১৬ ভোট কম পেয়ে মিশা-ডিপজলের কাছে হেরে যান তিনি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৪

ইরান নাকি ইসরায়েল, কে বেশি শক্তিশালী
দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সরাসরি নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে তেহরান। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখন ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালায় কি না, তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। যদিও ইরানে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পায়নি ইসরায়েল তারপরেও আশঙ্কা কাটছে না। এদিকে দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। তবে এরই মধ্যে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে যেকোনো সময় মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ  সামরিকভাবে দুটি দেশই শক্তিশালী। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইরান সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ইসরায়েলের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে আছে। র‍্যাংকিংয়ে ইরানের অবস্থান ১৪তম আর ইসরায়েলের অবস্থান ১৭তম। নিয়মিত ও রিজার্ভ সৈন্য ইসরায়েলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সৈন্য রয়েছে ইরানের। ইরানের নিয়মিত সেনা রয়েছে ১১ লাখ ৮০ হাজার। আর ইসরায়েলের নিয়মিত সৈন্য ৬ লাখ ৭০ হাজার। ইরানের রিজার্ভ সৈন্য সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ আর ইসরায়েলের রিজার্ভ সৈন্য ৪ লাখ ৬৫ হাজার। যুদ্ধ বিমান ইরানের মোট সামরিক বিমান ৫৫১টি। আর ইসরায়েলের মোট সামরিক বিমান ৬১২টি। এর মধ্যে ইরানের যুদ্ধ বিমান আছে ১৮৬টি আর ইসরায়েলের যুদ্ধবিমান আছে ২৪১টি। ইরানের অ্যাটাকিং বিমান ২৩টি, ইসরায়েলের ৩৯টি। ইরানের পরিবহন বিমান ৮৬টি, ইসরায়েলের ১২টি। ইরানের প্রশিক্ষণ বিমান ১০২টি আর ইসরায়েলের ১৫৫টি। হেলিকপ্টার ইরানের হেলিকপ্টার রয়েছে ১২৯টি। আর ইসরায়েলের হেলিকপ্টার ১৪৬টি। ইসরায়েলের অ্যাটাক হেলিকপ্টার ৪৮টি। আর ইরানের অ্যাটক হেলিকপ্টারের ১৩টি। ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানের দিক থেকে ইসরায়েলের চাইতে এগিয়ে রয়েছে ইরান। ইসরায়েলের ট্যাংক আছে ১ হাজার ৩৭০টি আর ইরানের ১ হাজার ৯৯৬টি। ইরানের সাঁজোয়া যান আছে ৬৫ হাজার ৭৬৫টি। আর ইসরায়েলের সাঁজোয়া যান আছে ৪৩ হাজার ৪০৩টি। রকেট আর্টিলারি আর্টিলারি সক্ষমতায়ও এগিয়ে রয়েছে ইরান। তাদের রকেট আর্টিলারির সংখ্যা ৭৭৫টি এবং সেলফ প্রপেলড আর্টিলারির সংখ্যা ৫৮০টি। অন্যদিকে ইসরায়েলের ১৫০টি রকেট আর্টিলারি এবং ৬৫০টি সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি রয়েছে। নৌ শক্তি নৌবাহিনীর শক্তির দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে ইরান। ইরানের ১০১টি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৭টি ফ্রিগেট এবং ২১টি টহল জাহাজ। অন্যদিকে ইসরায়েলের যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা ৬৭টি। পাশপাশি সাবমেরিনের দিক থেকেও ইরান শক্তিশালী। ইরানের সাবমেরিন রয়েছে ১৯টি। আর ইসরায়েলের মাত্র ৫টি সাবমেরিন রয়েছে। পারমাণবিক শক্তি স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) সবশেষ তথ্যানুযায়ী, গত বছরের শুরুতে বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে প্রায় ১২ হাজার ৫১২টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল। এই তালিকায় ইরানের নাম নেই। কিন্তু গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ কয়েকবার দাবি করেছে যে, ইরান তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৬

ইরান-ইসরায়েল : সামরিক শক্তিতে কে কতটা এগিয়ে
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাত গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে চলেছে। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফলে দখলদারদের বিরুদ্ধে হামলার চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। এরইমধ্যে শুক্রবার  ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনার রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল বলছে, ইরানের মদতে এই হামলা হয়েছে। তারা ইরানকে কড়া জবাব দেওয়ারও হুঁশিয়ারি করেছে। সবমিলিয়ে ইসরায় ও ইরানের এক উত্তেজনারকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ ইরান যেমন সামরিকভাবে শক্তিশালী। তেমনি ইসরায়েলও এক্ষেত্রে আরও বেশি শক্তিশালী। ইসরায়েলের সামরিক শক্তি ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইন্ডেক্স’ এর গত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের ২৪১টি যুদ্ধবিমান, ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং ২ হাজার ২০০ ট্যাংক রয়েছে। যুদ্ধবিমানের মধ্যে রয়েছে এফ-৩৫। যেটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক রণ বিমান। এ ছাড়া ইসরায়েলের রয়েছে ১ হাজার ২০০টি কামান ইউনিট, সাতটি যুদ্ধজাহাজ এবং ছয়টি অ্যাটাক সাবমেরিন। এরমধ্যে রয়েছে আইএনএস ড্রাকন নামের একটি সাবমেরিন। যেটি দিয়ে পারমাণবিক হামলা চালানো যাবে। ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি হলো আয়রন ডোম। এটি একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আয়রন ডোমে ১০টি ব্যাটারি থাকে। যার এক একটি ব্যাটারি দিয়ে অন্তত ৬০ কিলোমিটার অঞ্চল রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য বস্তু আটকে দিতে সক্ষম। ইরানের সামরিক শক্তি বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইরানকে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর চেয়ে ইরানের কাছে সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন রয়েছে। ইরানের কাছে এমনও ড্রোন আছে যেগুলো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। আর এসব ড্রোনের বিশেষত্ব হলো এগুলো খুবই নিচ দিয়ে উড়তে পারে। ফলে এসব ড্রোন রাডারে ধরা পড়ে না। এ ছাড়া ইরানের রয়েছে ক্রুজ ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের কাছে যেসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে সেগুলো ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। পাশপাশি ইরানের রয়েছে স্পিডবোডের বিশাল বহর এবং ছোট ছোট সাবমেরিন। এসব স্পিডবোড এবং সাবমেরিন ব্যবহার করে তারা জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এমনকি বিশালাকৃতির জাহাজ জব্দ করতে পারে। ইরানের নৌবাহিনীর কাছে বর্তমানে দুটি বড় যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৫

সাকিব-মুশফিক-শান্তরা কে কোথায় ঈদ করছেন
ঈদ উদযাপনে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরেছেন মানুষ। বাদ যাননি ক্রিকেটাররাও। ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা না থাকায় প্রিয়জনদের সঙ্গেই এবার ঈদ করার সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) খেলা না থাকায় পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালনের জন্য ঢাকা ছাড়েন অধিকাংশ ক্রিকেটার। এ ছাড়া পরিবারের সঙ্গে কেউ কেউ রাজধানীতেই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন।  দুটো-একটি ব্যতিক্রমও রয়েছে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ওমরাহ করতে সৌদি আরব গেছেন। সেখান থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমান সাকিব। এরপর পরিবারের সঙ্গে ঈদ সেরেছেন তিনি। নিজের শহর বগুড়াতে ঈদ করছেন মুশফিকুর রহিম। ধর্মীয় এই উৎসবের আগে স্থানীয় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ব্যাটিং অনুশীলনও করেছেন মুশি। চোটের কারণে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা হয়নি তার। এমনকি ডিপিএলও মিস করছেন। বরাবরের মতো এবারও রাজশাহীতে ঈদ করছেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। অন্যদিকে চট্টগ্রামে ঈদ করছেন তরুণ ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন দীপু। সদ্য লাল-সবুজের হয়ে ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাটে অভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানা নিজ শহর চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন। এদিকে প্রতিবারের ন্যায় ঢাকাতেই ঈদ পালন করছেন তাসকিন আহমেদ। অন্যদিকে আইপিএলের কারণে ভারতেই ঈদ করছেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান।  চলতি আইপিএলে বল হাতে দারুণ সময় পার করছেন দ্য ফিজ। এবারের আসরে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট শিকার করেছেন কাটার মাস্টার। এখন পর্যন্ত তিনিই আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। উল্লেখ্য, ঈদের পরই সাকিব-শান্তদের ঢাকায় ফিরতে হবে। ঈদ ও পয়লা বৈশাখের ছুটির পর ফের মাঠে গড়াবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে গড়াবে ডিপিএলের দশম রাউন্ডের খেলা। ডিপিএল চলাকালেই ঢাকায় পা রাখবে জিম্বাবুয়ে। বিশ্বকাপের আগে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১

তারকারা কে কোথায় ঈদ করবেন
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই ঈদ। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সবার মাঝেই দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। পরিবারের সাথে ঈদ করতে অনেকেই ছুটছেন দেশের বাড়ি। পাশাপাশি এই ছুটিতে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে টিভি চ্যানেল, ওটিটি, ইউটিউবে আসছে অনেক নতুন নাটক, ওয়েব ফিল্ম শুরু করে নানা ধরনের কন্টেন্ট। পাশাপাশি নিজেকে একটু সবার থেকে ভিন্ন করে সাজাতে নিচ্ছেন অনেকেই অনেক প্রস্তুতি। সব কিছু মিলিয়ে পিছিয়ে নেই শোবিজ তারকারাও। আরটিভির সঙ্গে কথা হলে বেশ কিছু তারকারা জানান ঈদ নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা।   অমিত হাসান আসলে ঈদ নিয়ে তেমন কোন পরিকল্পনা নেই। ঈদ ঢাকাতেই থাকবো। ঈদের পর দিন গ্রামের বাড়িতে যাবো, সেখানে আমার মা আছে।  শাকিব খান  এবারের ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে এই তারকার ‘রাজকুমার’ সিনেমা। যে কারণে ঈদের দিন গুলশানে নিজ বাড়িতেই থাকবেন শাকিব। সেখানেই সময় কাটাবেন পরিবারের মানুষদের সঙ্গে।  অপু বিশ্বাস  ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাসও এবারের ঈদ ঢাকাতেই উদযাপন করবেন। কয়েকদিন আগেই ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন এই অভিনেত্রী। বর্তমানে ছেলে আব্রাম খান জয়কে নিয়ে নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন। ঈদের দিন ছেলেকে নিয়ে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই নায়িকার।  পরীমণি  ঢাকাই সিনেমার অন্যতম গ্ল্যামার নায়িকা পরীমণি ঈদের ঠিক দুইদিন আগে কলকাতা থেকে দেশে ফিরেছেন । সেখানে সিনেমার শুটিংয়ের কাজ শেষ করে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। ঈদের দিন ঢাকাতেই থাকবেন তিনি। এরপরে গ্রামের বাড়ি বরিশালে যেতে পারেন। ঈদ প্রসঙ্গে পরীমণি বলেন, আমার ঈদ এখন একমাত্র পুত্র রাজ্যকে ঘিরে। ওর জন্য অনেক আগে থেকেই শপিং করা শুরু করেছি। মা-ছেলে মিলে খুব ভালো একটি ঈদ পার করার ইচ্ছা এবার।  বুবলী ঈদ মানেই তো অনেক আনন্দের একটি উৎসব আর তার সাথে যদি সিনেমা মুক্তির বিষয় থাকে তখন উৎসবের আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাই ঈদের পরিকল্পনা বলতে অবশ্যই পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করবো, আর আমি যেহেতু খেতে এবং খাওয়াতে ভীষণ পছন্দ করি তাই আম্মুর সাথে রান্নাবান্নার ব্যাপার তো থাকবেই সাথে পরিবারের বড়দের থেকে সালামী নেয়া এবং ছোটদের সালামী দেয়া সহ নিজের সিনেমা মুক্তির আনন্দ তো আছেই। তাই সব কিছু মিলিয়ে খুব আনন্দ করে ঈদ কাটাবো ইনশাল্লাহ। মাহিয়া মাহি  এবারের ঈদ ঢাকাতে ছেলে ফারিশকে নিয়েই উদযাপন করবেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। উত্তরাতে নিজ বাসাতেই ঈদের সকালের শুরুটা করবেন অভিনেত্রী। মাহি বলেন, এবারের ঈদ ঢাকাতেই করছি। আমার একমাত্র ছেলে ফারিশকে নিয়ে ঈদটি ভালো কাটবে বলে প্রত্যাশা করছি। তবে যেহেতু আমি এখন সিঙ্গেল মাদার, তাই ঈদটিও এবার একটু অন্যরকম হবে। বিদ্যা সিনহা মিম ঢালিউডের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম ঈদ উদযাপনে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে উড়াল দিয়েছেন সিঙ্গাপুরে। সেখানেই এবারের ঈদ পালন করছেন তিনি। যেহেতু এই ঈদে নায়িকার কোনো সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে না, ফলে ঈদের সময়টুকু পরিবারকেই দিতে চেয়েছেন মিম। প্রার্থনা ফারদিন দীঘি এবারের ঈদ ঢাকায় নিজ বাসাতে ও বন্ধুদের সঙ্গে কাটাবেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। এই নায়িকা জানালেন, ঈদের দিনের সব রান্না আমিই করি। কেবল রান্নাবান্না নয়, ঘর গোছানো থেকে শুরু করে ঈদের দিনের সব কাজ একাই সামলাই বলা যায়! বাসায় বন্ধুরা আসে। তাদের নিয়ে আড্ডা দেই, খাওয়া-দাওয়া করি।  জায়েদ খান  ঢাকাই সিনেমার আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খানের ঈদ কাটবে ঢাকাতেই। এই ঈদেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘সোনার চর’ সিনেমা। ঈদের দিন নিজ সিনেমা দেখতে লায়ন সিনেমাস ও ব্লকবাস্টার সিনেমাসে হাজির হতে পারেন এই নায়ক। ভাই-বোনদের সঙ্গে সময় দিয়ে ঈদের দুইদিন পর গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার।   সাইমন সাদিক  প্রতি ঈদে গ্রামের বাড়ি চলে যান চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। এবারও সেটাই করছেন। এই নায়ক বলেন, ঈদ সবসময় আমার প্রাণের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে করার চেষ্টা করি। আমার গ্রামকে আমি কলিজার গ্রাম বলে ডাকি। এবারও ইনশাআল্লাহ্ পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে খুব ভালো একটি ঈদ পার করবো। নিরব  এবার ঈদে ঢাকাতেই কাটবে থাকছেন নিরব। ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গে সময় দিয়ে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো দেখারও ইচ্ছে রয়েছে তার।  ফারিন খান এবার ঈদে বাসাতেই থাকছি। আমি একটি এতিমখানার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। ঈদের দিন ওখানে সময় দেব। ওদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়ে বাসায় আসব। এরপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাব। শিমুল শর্মা সত্য কথা বলতে ঈদ নিয়ে কখনো কোন পরিকল্পনা থাকে না। আমি যেহেতু ক্যামেরার পিছনে মানুষ সে ক্ষেত্রে ঈদের বিভিন্ন কাজ ডেলিভারি দেয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকি। কাজ ডেলিভারি না দেয়া পর্যন্ত আমাদের ঈদ নেই। যেদিন কাজ ডেলিভারি  দেয়া হয়ে যায় সেদিনই আমাদের ঈদ। হ্যাঁ হয়তো ঈদের দিন আমার টিপের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে আবারও কাজে ব্যস্ত হয়ে যাবো।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২১

বিএনপি নেতারা কে কোথায় ঈদ করবেন
ঝিমিয়ে পড়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙা করতে নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন নিজ নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের।  বিএনপি নেতারা বলছেন, বিগত আড়াই মাসের সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর তৃণমূলকে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান তারা। ঈদের দিনগুলোতে নেতাকর্মীদের আবারও চাঙা করতে কাজ করছেন নেতারা। ঈদ আয়োজনের মধ্যেই দেওয়া হবে দলের নির্দেশনা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার নিয়ে ইতোমধ্যে তৃণমূলে ছুটেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কারাগারে আটক কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর খোঁজ নিতে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পাজামা-পাঞ্জাবি ও শাড়ি উপহার দিতে টিম গঠন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সারাদেশে অসহায়-দুস্থদের জন্য বস্ত্র ও খাবার বিতরণ কার্যক্রমও পালন করছেন দলটির নেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিজের গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতেই ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখানে তার সঙ্গে গিয়ে দেখা করবেন পরিবারের সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবার ও স্থানীয় নেতাকর্মী নিয়ে ঈদ উদযাপন করবেন লন্ডনে। সেখানে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও দুই মেয়েও ঈদ পালন করবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ঈদে কাটাবেন ঢাকায়। তবে ঈদের দিন নিজ এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে ঘুরে আসতে পারেন তিনি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে ঢাকায় আরও থাকবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ ছাড়া সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারত এবং চিকিৎসার জন্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দেশের বাইরে ঈদ করবেন। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীও ঢাকায় ঈদ করবেন। নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান ও বরকত উল্লাহ বুলু। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঈদ ঘিরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা সেতুবন্ধ তৈরি হয়। এর মাধ্যমে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো যায়, আবার জনমতও সৃষ্টি করা সম্ভব। বিএনপি সেটাই করবে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়