• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিরাজ কেন বাদ, জানালেন পাপন
দরজায় কড়া নাড়ছে আরেকটি বিশ্বকাপ। আগামী জুনে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই দল গোছানোর কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন নির্বাচক প্যানেল। এদিকে আসন্ন বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আসন্ন এই সিরিজের জন্য ১৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের। ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন বৈশ্বিক মহারণ থেকেও বাদ পড়তে যাচ্ছেন তিনি। তবে ঠিক কী কারণে অভিজ্ঞ মিরাজকে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি, সেটি নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। যদিও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, মিরাজকে বাদ দেওয়ার পেছনে দিলেন খোঁড়া যুক্তি। মিরাজের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ঢোকার সুযোগও দেখছেন না, বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে মিরাজকে নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।  পাপনের ভাষ্যমতে, ‘আমি জানতাম না। কিন্তু এখানে বেসিক জিনিসটা হচ্ছে, তারা যখন দলটা নির্বাচন করে, আপনি এখন এখানে কার কথা বলবেন, ১৫ জনের দলে বা ১৭ জনের দলের মধ্যে খেলবে কিন্তু ১১ জন। এই ১১ জন যখন আপনারা ঠিক করেন, আপনাদেরই যদি প্রশ্ন করি বলবেন, এখানে বাকিরা খেলবে না। এখন আপনি কি মনে করেন মিরাজের মতো ছেলেকে না খেলিয়ে বসিয়ে রাখা উচিত।  ক্রীড়ামন্ত্রীর মন্তব্য, আমি বলছি যাদের নিয়ে খেলানোর সম্ভাবনা আছে, তারা আছে কিনা; সেটা দেখেন, বেস্ট ইলেভেন। সেরা একাদশে আপনি যদি নিজেরাই সাজাতে চান, তাহলে আপনি দেখবেন; স্কোয়াড ঠিক আছে! আপনি যদি এখন অতিরিক্ত প্লেয়ার কাকে নেওয়া হচ্ছে, সেটার ভিতরে যদি মিরাজকে ধরেন, এটা তো দুঃখজনক। এটায় মিরাজকে ধরা উচিত না। তার যেকোনো সময় যেকোনো ফরম্যাটে সেরা একাদশে খেলতে পারে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে এই মুহূর্তে সে হয়তো আসে নাই। কিন্তু সে সবসময় প্রস্তুত থাকবে। আমাদের যদি দরকার হয়, সে যাতে ওইখানে গিয়ে জয়েন করতে পারে।  এ সময়ে বছরজুড়ে সিরিজের প্রসঙ্গও যোগ করেন তিনি। পাপনের দাবি, আরেকটা কথা যে পরিমাণ খেলা ক্রিকেটে এখন সারা বছর ধরে, এটা কারোর পক্ষেই সব খেলা সম্ভব না। ওডিআই, টি-টোয়েন্টি আর টেস্ট; অনেক খেলা। আমরা বছরে যেখানে খেলতাম, দুই বা তিনটা সিরিজ, এখন আমাদের ১৫ থেকে ১৬টা খেলতে হচ্ছে। তাই সবাই যেসব ফরম্যাটে খেলবে, বিষয়টা সেটা না। মিরাজ যদি টেস্ট এবং ওয়ানডেতে মনোযোগ দেয়, তাহলে ভালো। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে খেলবে না। এমন কোনো কথা নেই। যখন দরকার হবে, অবশ্যই খেলবে।  
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২

হঠাৎ বিয়ের পোশাক কেন ছিঁড়ে ফেললেন সামান্থা (ভিডিও)
বলিউডের জনপ্রিয় দুই তারকা নাগা চৈতন্য ও সামান্থা রুথ প্রভু। ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন এই জুটি। পর্দার সেই প্রেম যেন ধরা দেয় তাদের রিয়েল লাইফেও।  দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৭ সালে অক্টোবরে ঘর বাঁধেন নাগা চৈতন্য -সামান্থা। তবে খুব বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি তাদের সংসার। ২০২১ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। এবার জানা গেল, তার বিয়ের পোশাকই ছিঁড়ে ফেলেছেন সামান্থা।  হিন্দু আর খ্রিস্টান ধর্ম মেনেই নাগা চৈতন্যকে বিয়ে করেছিলেন সামান্থা। বিয়েতে সাদা রঙয়ের একটি গাউন পরেছিলেন অভিনেত্রী। ছোট্ট ছোট্ট ফুলের কাজ করা ছিল সেই গাউনে। আর এত সুন্দর গাউন ছিঁড়ে ফেললেন অভিনেত্রী।  জানা গেছে, নিজের পুরনো বিয়ের গাউন কেটে নতুন পোশাক তৈরি করেছেন সামান্থা। অভিনেত্রীর বিয়ের পোশাক ছিঁড়ে একটি ব্ল্যাক ড্রেস বানিয়েছেন ডিজাইনার ক্রেশা বাজাজ।    তবে সামান্থার বিয়ের গাউন কেটে তৈরি অভিনেত্রী কালো পোশাকটিও বেশ নজর কেড়েছে ভক্তদের। পুরোনোকে পোশাককে নতুন রূপ দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ডিজাইনার ক্রেশা বাজাজও।   প্রসঙ্গত, দক্ষিণি ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় করছেন সামান্থা। ক্যারিয়ারে অভিনয়ে প্রশংসা কুড়ানোর পাশাপাশি একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমায় সামান্থার আইটেম নাচও তুমুল জনপ্রিয় হয়। ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন 
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৫

তাপদাহে সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে কেন
সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। অসহ্য গরমের হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন। এরই মধ্যে যশোর, গাজীপুর, শরিয়তপুর, বগুরাসহ আরও কয়েকটি জেলার পাকা সড়কের পিচ বা বিটুমিন গলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে যশোর জেলার পিচ গলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। কারণ কয়েক দফায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এই জেলায়। ‘প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে’ গলে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন সড়কের বিটুমিন। তবে পুরো সড়কের বিটুমিন গলছে না। কিছু কিছু স্থানে গলছে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কেন গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বা বিটুমিন? মূলত প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণেই সড়কের কিছু কিছু অংশের বিটুমিন গলে যাচ্ছে বলে মনে করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীরা।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক নির্মাণের সঙ্গে জড়িত একাধিক ঠিকাদার বলেন, উচ্চ তাপমাত্রা সহনীয় বিটুমিন ব্যবহারে ঘাটতির কারণে সড়কের কোনো কোনো অংশ গলে যাচ্ছে। আবার ওসব অংশে যথেষ্ট পরিমাণ উন্নত বিটুমিন ব্যবহার না করার কারণে এমনটি হচ্ছে।    মহাসড়কের কিছু অংশের বিটুমিন কেন গলে যাচ্ছে জানতে চাইলে সড়ক নির্মাণে জড়িত এক ঠিকাদার বলেন, ‘আগে আমরা পদ্মা, যমুনাসহ বিভিন্ন অয়েল কোম্পানি থেকে বিটুমিন সংগ্রহ করতাম। এছাড়া একসময় ইরান থেকে বিটুমিন আমদানি করা হতো। এখন অবশ্য বন্ধ। ফলে দেশীয় সাধারণ গ্রেডের অর্থাৎ তরল বিটুমিন ব্যবহার করতে হয়। সঙ্গত কারণেই উচ্চ তাপমাত্রা সহনীয় বিটুমিন ব্যবহার করা হয় না। লোকাল মার্কেট থেকে কিছু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিনতে হয়। তারা যে ধরনের বিটুমিন সরবরাহ করে, সেগুলো দিয়ে মানসম্মত সড়ক তৈরি সম্ভব নয়। এই কারণে বিটুমিন বেশি তাপ পড়লে গলে যায়।’ এদিকে দেশে দুই ধরনের বিটুমিন বাজারজাত হয় বলে জানিয়েছেন সড়ক নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। তারা বলছেন, একটি ৬০-৭০ গ্রেডের, যা অধিকতর গাঢ়। এই শ্রেণির বিটুমিন সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হলে তা উন্নত ও টেকসই হয়। আর ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন কিছুটা তরল। তরল বিটুমিন দিয়ে পিচ ঢালাই হলে সড়ক টেকসই হয় না। ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন গুণগত মানে তরল বা পাতলা হওয়ার কারণে গ্রীষ্মকালে সড়কগুলো গলে ঢিবির মতো উঁচু-নিচু বা ঢেউয়ের আকৃতি ধারণ করে। এতে সড়কে সৃষ্টি হয় অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত।  যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সহনীয় সড়কে ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। পরে আরও বেশি তাপমাত্রা সহনশীল সড়কে ৬০-৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। কিছু কিছু সড়ক বেশ কয়েক বছর আগের তৈরি। সেখানে মূলত ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। সে কারণে এগুলো গলে যেতে পারে। এ ব্যাপারে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুব হায়দার খান বলেন, ‘সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে মূলত তাপমাত্রার কারণেই। গত কয়েকদিন ধরে যশোরে প্রচণ্ড তাপমাত্রা বিরাজমান। এই তাপমাত্রায় কোথাও কোথাও পিচ বা বিটুমিন গলে যাচ্ছে।   
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৫

নিপুণের হারে কেন এতো খুশি মুনমুন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। এতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ১৬ ভোট কম পেয়ে মিশা-ডিপজলের কাছে হেরে যান তিনি। এদিকে নিপুণ হেরে যাওয়ায় ভীষণ আনন্দিত চিত্রনায়িকা মুনমুন।  গেলবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন মুনমুন। নির্বাচনের দিন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খানের সঙ্গে তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে তোপের মুখে পড়েন তিনি। শুধু তাই নয়, রীতিমতো জায়েদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে মুনমুনের বিরুদ্ধে।      সেবার জায়েদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ অভিযোগ করেন, জায়েদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগে ভরেছেন মুনমুন। যা নিয়ে সে সময় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। যদিও মুনমুন দাবি করেন— টাকা নয়, নির্বাচনের দিন জায়েদ খানের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় নিজের ব্যবহৃত কালো মাস্কটি রেখেছিলেন তার ব্যাগে। তবুও সেই অভিযোগ থেকে রেহাই পাননি। টাকা নেওয়ার অভিযোগে অসম্মানিত হতে হয়েছে তাকে। মূলত সেই ক্ষোভেই চলতি বছরের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দেননি মুনমুন। তিনি নিজে ভোট না দিলেও নিপুণদের হারে খুশি হয়েছেন। গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে মুনমুন বলেন, আমি যে লজ্জা পেয়েছিলাম সেই লজ্জায় এবার নির্বাচনে ভোট দিতে যাইনি। আমাকে শুধু অপদস্থ নয়, তাদের (নিপুণ) লোক দিয়ে আমার নামে ভিডিও বানিয়েও অনেকভাবে অপদস্থ করেছিল। সেজন্য দুই বছর ধরে এফডিসিতে পা রাখছি না। অভিনেত্রী আরও বলেন, নির্বাচন হচ্ছে শিল্পীদের মিলনমেলা। দু’বছর পরপর প্রিয় সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা হয়। আনন্দ-আড্ডায় কাটে দিনটি। কিন্তু গত দুই বছর যে নোংরামি হয়েছে এবার তার জবাব দিয়েছেন সাধারণ শিল্পীরা। মুনমুন বলেন, এবার যোগ্য নেতৃত্ব পেয়েছে শিল্পী সমিতি। মিশা-ডিপজল ভাইসহ তাদের কমিটির জয়ে আমি খুবই আনন্দিত। ঈদের চেয়েও বেশি খুশি লাগছে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালে ‘মৌমাছি’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় কাজ শুরু করেন মুনমুন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সর্বশেষ ‘রাগী’ সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৯

ধনী শহর হয়েও দুবাই কেন পানিতে তলিয়ে গেল
ভারী বৃষ্টি ও তীব্র জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত বিশ্বের অন্যতম অত্যাধুনিক শহর দুবাই। যে শহর কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরায়, সে শহরে আচমকা এমন বৃষ্টিতে স্তব্ধ বিশ্ববাসী। শহরটির বাসিন্দারা কখনও ভাবেনি প্রকৃতির এমন খেলায় নিজেদের হার মানতে হবে। দামি দামি সব গাড়ি এখন খেলনা গাড়ির মতো অথৈই জলে ভাসছে। থইথই পানিতেই প্লাস্টিকের নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে দেখা যায় শহরের বাসিন্দাদের। ভয়াবহ বন্যায় শহরটি বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এমনকি বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে খ্যাত দুবাই বিমানবন্দরের শতশত ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ৭৫ বছরে এমন বৃষ্টি দেখেনি আরব আমিরাতের মানুষ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিশ্বের এই ধনী দেশটির জন্য এ বৃষ্টিপাত ঠিক কতটা অস্বাভাবিক ছিল বা এর কারণগুলো আসলে কী? এমন পরিস্থিতিতে নেটিজেনরা দাবি করছেন, কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে গিয়েই হয়তো এমন ভয়াবহ বন্যা ঘটিয়েছে দুবাই। বছরে গড়ে ১০০ মিলিমিটারের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের শহর দুবাই সাধারণত শুষ্ক থাকে। আর তাই পানির সংকট কমাতে প্রযুক্তির সাহায্যে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো হয়। এটি মূলত আকাশে মেঘ দেখা গেলে উড়োজাহাজ দিয়ে মেঘের উপর ছড়িয়ে দেওয়া হয় সিলভার আয়োডাইডের মতো ছোট ছোট কণা। এর ফলে খুব সহজেই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে তা বৃষ্টিতে পরিণত হয়। নেটিজেনরা কৃত্রিম বৃষ্টিকে দায়ী করলেও দেশটির আবহাওয়াবিদদের বড় অংশই এসব গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের দাবি, কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে বাতাসের সমস্ত জলীয় বাষ্পকে কাজে লাগানো হয়। এই প্রযুক্তি দিয়ে সারা বছরে ১০ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টি মেলে। কিন্তু সেখানে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ। এদিকে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর বিমানগুলো মঙ্গলবার নয়, রোববার এবং সোমবার মোতায়েন করা হয়েছিল।  তবে জলে থৈ থৈ দুবাইকে ফের শুকনো করাও কঠিন। কারণ অত্যাধুনিক এ শহরে বিশাল বিশাল অট্টালিকা, পাঁচ তারকা হোটেলসহ বিলাসবহুল নানা স্থাপনা থাকলেও নেই  যথেষ্ট সংখ্যক নর্দমা।  শহরের কেন্দ্রে যেসব নর্দমা আছে তাতেও অল্প বৃষ্টিতে তীব্র জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। আবার শহরের কোথাও সবুজের ছোঁয়া না থাকায় মাটি জল শুষে নেবে, তেমন পরিস্থিতিও নেই।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৪

মুসলিম দেশে হয়েও কেন ইসরায়েলের পক্ষ নিল জর্ডান?
ইরানের ড্রোন ও মিসাইল হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে দেহরক্ষীর মতো পাশে ছিল প্রতিবেশী মুসলিম দেশ জর্ডান। আরব দেশ হয়েও ইসরায়েলের সহযোগী হিসেবে জর্ডানের এমন কাণ্ডে বিস্মিত হয়েছে খোদ ইসরায়েলও। তবে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এতে বেশ খুশিও হয়েছে ইসরায়েলিরা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তবে কী নিজেদের স্বার্থেই ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি? এ নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। যদিও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহর দাবি, ইসরায়েলকে সাহায্য করতে নয়, বরং নিজের দেশকে রক্ষা করতেই ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে জর্ডানের এমন কাণ্ডে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে দেশটি। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, অনেকে আবার হাস্যরসাত্মকভাবে নিন্দা করছেন। আবার কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েলি সামরিক ইউনিফর্ম পরিহিত জর্ডানের শাসক রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর ছবি প্রকাশ করছেন। পর্যবেক্ষকের অনেকেই বলছেন, জর্ডান প্রকৃতপক্ষে দুই নৌকায় পা রেখেছে। একদিকে আমেরিকা ও ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কৌশলগত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা। কারণ, আর্থিকভাবে দুর্বল দেশ জর্ডান নানাভাবে আমেরিকা ও ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করতে হয়। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে হচ্ছে। কারণ, মুসলিম দেশ জর্ডানের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ফিলিস্তিনি শরণার্থী। অর্থাৎ ভৌগোলিকভাবে জর্ডান এমন একটি অবস্থায় রয়েছে যে ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে কোনো যুদ্ধ শুরু হলে সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে জর্ডানের ওপর। তাই এ সংঘাতে নিজেদের ক্রসফায়ারে ফেলতে চায় না জর্ডান। ফলে জর্ডানের বিবৃতিকে ‘ভারসাম্য রক্ষার’ বিষয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।  এছাড়া ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর পেছনে জর্ডানের কূটনৈতিক বিষয় ছাড়াও রয়েছে কিছু ইতিহাস। ১৯৯৪ সালে জর্ডান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি হয়, যার মাধ্যমে জর্ডান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। শান্তি চুক্তির পর থেকে দুই দেশের মধ্যে শক্ত নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সহযোগিতা তৈরি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল জর্ডানে গ্যাস ও পানি সরবরাহ করে। কারণ পৃথিবীর যেসব দেশে পানির তীব্র সংকট রয়েছে তার মধ্যে জর্ডান অন্যতম। এছাড়া সে চুক্তি অনুসারে কোনো দেশই তাদের ভূমি ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশকে আক্রমণ করতে দেবে না। ২০২২ সালে আরেকটি চুক্তির আওতায় জর্ডান ইসরায়েলের কাছে সৌর বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত ভাগাভাগি করে জর্ডান। ফলে ইসরাইলের সঙ্গে যে কোনো বৈরী সম্পর্ক অর্থনৈতিকভাবে দেশটিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও মিত্রতার সম্পর্ক জর্ডানের। ফলে নিজেদের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আত্মরক্ষার স্বার্থেই ইরানের হামলায় ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশটি।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪৩

হিট স্ট্রোক কেন হয়, প্রতিরোধে যা করবেন
দেশের সবচেয়ে তাপপ্রবাহের মাস এপ্রিল শুরু হয়েছে। প্রতিদিন পারদ স্তম্ভ বেড়েই চলছে। অধিক তাপমাত্রা জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ওপর প্রভাব বেশি পড়ে। তীব্র গরমে জনদুর্ভোগের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।  এমন বৈরী পরিবেশে প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয় মানুষ। হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান কেউ কেউ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ চুয়াডাঙ্গা ও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মোট ২ জন হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। হিটস্ট্রোকের প্রধান লক্ষণগুলো নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, প্রচণ্ড গরমে যখন শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, শরীর থেকে পানি, তরল পদার্থ ও লবণও বেরিয়ে যায়, তখন আমাদের শরীরের রক্তের চাপ কমে যায়। সেই সঙ্গে নাড়ির গতি বেড়ে যায়। শরীর অবসন্ন লাগে, মাথা ঝিমঝিম করে। এ কারণে বমি-বমি ভাব লাগে ও বমিও হতে পারে। অনেকে চোখে আবছা দেখে। মাথা ঘুরতে থাকে। কেউ কেউ অসংলগ্ন কথা-বার্তাও বলে। এগুলো হচ্ছে হিট স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ। তিনি বলেন, হিট স্ট্রোক হলে কেউ কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারেন। জ্ঞান হারালে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ,  এই গরমের মধ্যে যারা বাইরে বের হবেন, তারা যদি সঙ্গে একটু খাবার পানি রাখেন এবং যাদের রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকার বাধ্যবাধকতা আছে, তারা যদি ওরস্যালাইন নিয়ে বের হন তাহলে ভালো হয়। এক্ষেত্রে একটু পর পর তারা পানি ও ওরস্যালাইন খাবেন এবং প্রস্রাবের রঙ ও পরিমাণের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। প্রস্রাবের রঙ বদলের পাশাপাশি পরিমাণ কমে গেলে পানিসহ তরলজাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ডা. লেনিন জানান, তাপপ্রবাহের সময়টাতে টাইট জামাকাপড় না পরে ঢিলেঢালা সুতি জামাকাপড় পরতে হবে। এ সময় ছাতা নিয়ে বের হলে ভালো হয়। আর যারা শ্রমজীবী, টানা রোদের মধ্যে কাজ করেন তাদের কিছুক্ষণ পর পর বিশ্রামের সঙ্গে পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। তবে রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় যে সরবত, পানি বিক্রি হয় তা খাওয়া যাবে না। কারণ এই সরবত যে পানি কিংবা বরফ দিয়ে বানানো হয় সেটা কোনোমতেই সুপেয় না। তিনি বলেন, এর বাইরে বয়স্ক মানুষ, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু ও দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগতে থাকা সংবেদনশীল মানুষদের নিতান্তই প্রয়োজন না পড়লে বাইরে বের না হওয়া ভালো। লেনিন চৌধুরী বলেন, গরমের ভেতর তৃষ্ণা নিবারণে ঠান্ডা পানি খাওয়া একেবারেই উচিত না। কারণ, আমাদের গলায় শ্বাসনালীর ওপরের অংশে কিছু সুবিধাবাদী জীবানু বাস করে। সুবিধাজনক অবস্থা পেলেই এরা আক্রমণ করে। যখন চারপাশে গরম তখন হঠাৎ করে ঠান্ডা পানি গলায় গেলে গলার তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। এই জীবাণুগুলো তখন সক্রিয় হয়ে ওঠে।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৮

কেন ইরানের ইস্পাহানকেই টার্গেট করল ইসরায়েল 
ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ ইস্পাহানে আঘাত হেনেছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোররাতে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালিয়ে ফিলিস্তিনের গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা মার্কিন মদদপুষ্ট দেশটি।  ইস্পাহান শহরের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে কয়েকটি সন্দেহজনক বস্তু লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের পর শহরের পূর্ব দিকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন ইরানের একজন সেনা কর্মকর্তা। তবে, ইরানের ভেতর ঢুকে অনুপ্রেবশকারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি দেশটির সেনাবাহিনীর। মার্কিন কর্মকর্তারা অবশ্য বলছেন, ইসরায়েল থেকেই নিক্ষেপ করা হয়েছে ওই ক্ষেপণাস্ত্র।   এদিকে ইরানে হামলার ক্ষেত্রে দেশটির রাজধানী বাদ দিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ইস্পাহানকেই কেন বেছে নিলো ইসরায়েল, সে বিষয়ে জানতে একজন পারমাণবিক ও রাসায়নিক অস্ত্রবিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি।  হামিশ ডে ব্রেটন গর্ডন নামে যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্রবিষয়ক বাহিনীর সাবেক ওই কমান্ডার বিবিসিকে বলেছেন, ইস্পাহানকে টার্গেট করা খুবই উল্লেখযোগ্য একটি বিষয়। ইরানের এই শহর ঘিরে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। তার একটি লক্ষ্য করেই ভোররাতে হামলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। গর্ডন বিবিসিকে বলেন, ইরান যেখানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে বলে ইসরায়েলসহ পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, সেই পারমাণবিক স্থাপনার আশপাশে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। এর মধ্য দিয়ে মূলত ইরানে হামলা করার সক্ষমতার বিষয়ে জানান দিতে চেয়েছে ইসরায়েল। ইরানের নিক্ষেপ করা তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় সবকটিই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। কিন্তু ইসরায়েলের ছোড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের সবকটি সফলভাবে আঘাত হেনেছে ইসরায়েলে। ন্যাটোর পারমাণবিক অস্ত্রবিষয়ক এ কমান্ডারের মতে, প্রথাগত সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইরানের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে ইসরায়েল। সে কারণেই ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের হুতিদের মতো গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে ছায়াযুদ্ধ চালাতে বেশি আগ্রহী।  ইরানের পক্ষ থেকে হামলার এ ঘটনাকে ছোট হিসেবে দেখানোর কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ইরানের পুরোনো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা যে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র ভেদ করে ফেলেছে, এটা তেহরান স্বীকার করতে চাইছে না।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৫

কেন গতি কমিয়ে চলছে ট্রেন
বছরের উষ্ণতম মাস এপ্রিল। মাসের অর্ধেক পার না-হতেই তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ তাপমাত্রা রেলপথেও বাধতে পারে বিপত্তি। ফলে দুর্ঘটনা রোধে সব ধরনের ট্রেনের গতি কমিয়ে চালাতে বলেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিভিন্ন সেকশনের লোকোমাস্টার ও রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কমার তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিন রেলওয়ের এই নির্দেশনা মেনে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের একটি সেকশনের ট্রেনকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার বেগে চলতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সেকশনের লোকমাস্টারদের বরাত জানা গেছে, তাপমাত্রার কারণে লাইন বেঁকে যায়, তাই রেলওয়ের কন্ট্রোলরুম থেকে গতি কমিয়ে ট্রেন চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। মূলত সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ নির্দেশনা চলমান থাকলেও এটি তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, গরমে লাইন বেঁকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য একটি স্ট্যান্ডিং অর্ডার রয়েছে। তবে স্থান, কাল, পাত্রের ওপর নির্ভর করে নির্দেশনা কার্যকর হবে। অর্থাৎ, কর্মকর্তারা ট্র্যাকের টেম্পারেচার কেমন, পরিবেশ কেমন দেখার পর নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, নতুন ট্র্যাকগুলো ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নিতে পারে। তবে পুরোনো ট্র্যাকগুলোতে এত বেশি তাপমাত্রা নিতে পারে না। এজন্য সবকিছু বিবেচনা করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪০

কেন এত জনপ্রিয় ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। ঈদ আসলেই টিভি চ্যানেল থেকে শুরু করে সব জায়গায় নতুন নতুন কনটেন্ট দেখা যায়। তবে সবার প্রিয় এই উৎসবটি এলেই সবার কানে বাজতে থাকে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি। এটি শোনেননি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছোট থেকে বড় প্রায় সব বয়সের মানুষই গানটির সঙ্গে এখন পরিচিত। গানটির এত জনপ্রিয়তা থাকলেও এটি কেন জনপ্রিয় এবং এর শুরু কীভাবে―তা হয়তো অজানা অনেকের। ২০০৯ সাল, অর্থাৎ দীর্ঘ পনেরো বছর আগে বেসরকারি একটি মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য গানটি লিখেন প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন কর্মকর্তা আনিকা মাহজাবিন। ২০১১ সালে অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে দেন তিনি। তবে ওই সময় তার লেখা গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেন তরুণ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদ এবং এতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী মিলন মাহমুদ। ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি’ গানটি বিজ্ঞাপনচিত্রের থিম সং হলেও গান হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে এটি। প্রকাশের প্রায় দেড় দশক হলেও এখনো এর কদর একদমই কমেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আবেগের সঙ্গে মিশে গেছে গানটি। প্রতিবছরই ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরা মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় গানটির কথা। আবার যেসব মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে পরিবারের সদস্য ছেড়ে কর্মস্থলে ঈদ করেন, তাদেরও অনেক অনুভূতির মিশেল পাওয়া যায় গানটির কথায়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে গানটি নিয়ে শ্রোতাদের উন্মাদনার ব্যাপারে এর গীতিকার আনিকা মাহজাবিন বলেন, আমাদের সময়ের কথা ভেবে খুবই ভালো লাগে। গানটির কথার সঙ্গে এর সুর ও কণ্ঠের জন্যও ভালোবেসে হৃদয়ে জায়গা দিয়েছেন মানুষ। ২০০৯ সালের ঘটনা। ঈদের খুব বেশি বাকি নেই তখন। ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে একটি বিজ্ঞাপনচিত্র করতে হবে। আনিকা মাহজাবিন অতীত মনে করে বলেন, খন্দকার আশরাফুল হক সরোজ বলেন, কিছু একটা করতে হবে। তখন লিখে ফেলি কথাগুলো ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি, আমার পথ দেব পাড়ি, কাছে যাব ফিরে বারবার’। এরপর গানটি হাবিব ওয়াহিদ সুর করেন। তার ধানমন্ডির হোম স্টুডিওতে গানটির কথাগুলো পান সংগীতশিল্পী মিলন মাহমুদ। তিনি বলেন, গানটির সুর হওয়ার পর হাবিব নিজেই গাইছিল। আমি বললাম, তোমার কণ্ঠেই ভালো হচ্ছে। তখন হাবিব বলল, আপনি শুধু ভয়েসটা দিয়ে দেখেন, তারপর দেখেন কী ঘটে। ভয়েস দেয়ার পর তো অনুভূতিই পাল্টে গেল। এরপর গ্রামীণফোনের কাছে পছন্দ হয় গানটি। যা দিয়ে পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করেন কিসলু গোলাম হায়দার। এরপর গানটির ভিডিওচিত্র তৈরি করেন রম্য খান। যা বিভিন্ন রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট ও টেলিভিশনে দেখানো হয়েছিল। ‘স্বপ্ন বাড়ি যাবে’ প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেললে এর সাত বছর পর ২০১৬ সালে ‘স্বপ্ন বাড়ি যাবে-২’ তৈরি করা হয়। এটিও বিজ্ঞাপনের থিম সং ছিল। যার সুর ও সংগীতায়োজন করেন হাবিব ওয়াহিদ। রাসেল মাহমুদের লেখায় গানটিতে কণ্ঠ দেন সংগীতশিল্পী মিথুন চক্র।  এটিও প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেলে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন, ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গানটি হাবিব ওয়াহিদের বা মিলন মাহমুদের। আসলে তা নয়, এটি গেয়েছেন মিঠুন চক্র। দুটি গানের শিরোনাম একই হলেও কথা একদমই আলাদা। এর গীতিকারও আলাদা। কিন্তু দুটি গানেরই সুরে কিছুটা মিল থাকায় দ্বিধায় পড়তে হয় দর্শক-শ্রোতাদের। আর ২০২২ সাল থেকে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’ গান নিয়েই নিয়মিত বিজ্ঞাপনচিত্র করছে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানটি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়