• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যে নায়ককে ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করেন কারিশমা
সময়টা  ১৯৯১ সাল, ‘প্রেম কয়েদি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের। এরপর দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বয়সে ছোট হরিশ কুমারকে অভিষেক চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে পেয়েছিলেন কারিশমা কাপুর। অভিষেক সিনেমার শুটিং সেটে ডুবে যাচ্ছিলেন হরিশ। আর সেই সময়ে তাকে উদ্ধার করেছিলেন কারিশমা কাপুর। ইনস্ট্যান্ট বলিউডকে দেওয়া সাক্ষাৎকার এ তথ্য জানিয়েছেন আড়ালে চলে যাওয়া নায়ক হরিশ। হরিশ কুমার বলেন, সিনেমার (প্রেম কয়েদি) দৃশ্যে পুলে ডুবতে যাওয়া কারিশমাকে আমি লাফিয়ে পড়ে বাঁচাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো তার বিপরীত; কারিশমাই আমাকে বাঁচায়। কারণ, আমি সাঁতার জানতাম না। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হরিশ কুমার বলেন, আমি ডুবতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু সেটের সবাই ভাবছিলেন আমি প্রাঙ্ক করছি। সুতরাং কারিশমা ছাড়া সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। কারিশমা এসে আমাকে ধরেছিল, আমিও কারিশমার জামা ধরেছিলাম। ‘প্রেম কয়েদি’ সিনেমায় নীলিমা চরিত্রে অভিনয় করেন কারিশমা। চন্দ্র মোহন চরিত্রে অভিনয় করেন হরিশ কুমার। তখন তার বয়স মাত্র ১৫ বছর। আর কারিশমার বয়স ১৬ বছর। ‘প্রেম কয়েদি’ সিনেমা পরিচালনা করেন কে. মুরালি মোহন রাও। কারিশমা কাপুর অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। প্রায় ৬ বছর পর ‘মার্ডার মোবারক’ সিনেমায় অভিনয় করেন। চলতি বছরের ১৫ মার্চ মুক্তি পায় সিনেমাটি। অন্যদিকে, হরিশ কুমারও অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন। ২০১৮ সালে সর্বশেষ মুক্তি পায় তার অভিনীত সিনেমা।
০২ মে ২০২৪, ১৯:১৭

জন্মান্ধ হয়েও ঘরের ইলেকট্রিক কাজ করেন রিপন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের তের বাড়ি সমাজের মরহুম আব্দুস সোবহানের ছেলে ইমরোজ হোসেন রিপন (৩৬)। তিনি জন্মান্ধ। দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা কোনো বাধা নয়—এমনটা প্রমাণ করতে যেন তার লড়াইটা জীবনের প্রথম দিন থেকেই শুরু। মনের আলোয় উদ্ভাসিত এ যুবক পেশায় একজন ইলেকট্রিক ও প্লাম্বার মিস্ত্রি। পাশাপাশি বাড়ির পাশে করছেন ছোট্ট একটি ইলেকট্রিক দোকান। শারীরিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কারও কাছে হাত না পেতে করছেন ইলেকট্রিক ও পাইপ ফিল্টারের কাজ। স্থানীয় এলাকাবাসী তার এমন প্রয়াসে অনুপ্রাণিত। তিনি যেন নিজের অনুপ্রেরণা নিজেই। ১৯৮৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন রিপন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। বর্তমানে তার মা দুই ছেলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। আমেরিকা প্রবাসী বড় বোন সুমনা ও ডাক্তার শাহজান আক্তার এবং ছোট ভাই শিপনের সহযোগিতায় বাবার দিয়ে যাওয়া ঘরে এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছেন রিপন। নিজ গ্রামে বিদ্যুতায়ন শুরু হলে ইলেকট্রিকের কাজ শেখার স্বপ্ন জাগে তার। কিন্তু এতে বাধা দেন মা-বাবাও স্থানীয় ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা। এরপর একা একা নিজেদের বসতঘরে ইলেকট্রিকের কাজ শিখতে চেষ্টা চালান রিপন। একপর্যায়ে এ নিয়ে রাগ করতেন তার মা-বাবা। এ কারণে ইলেকট্রিকের কাজ করার যন্ত্রপাতি লুকিয়ে রাখতেন। পরে ঘর থেকে বের হয়ে বারান্দায় চলে যান। সেখানে একাকী দীর্ঘ চেষ্টার পর আয়ত্ত করেন ইলেকট্রিক, প্লাম্বার ও সোলারের কাজ। এরপর তিনি গত ১৮ বছরে নিজ গ্রামে বেশ কয়েকটি মসজিদসহ ১৫০-২০০টি ঘরের ইলেকট্রিক কাজ সম্পন্ন করেন। এ ছাড়াও টুকটাক অসংখ্য মেরামতের কাজ করেছেন। নিজের গ্রামের সকল রাস্তার সঙ্গে তার নাড়ির সম্পর্ক। কারও সহযোগিতা ছাড়াই রাস্তাঘাটে চলাফেরা করেন। একা একা যান নিজের দোকানে। গোসল থেকে খাবার সবই করেন নিজে হাতে কারও সাহায্য ছাড়া। এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি রিপন। তবে তিনি সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতা পেতেও তেমন আগ্রহী নয়। রিপনের স্ত্রী শাহিনা আক্তার বলেন, স্বামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও অন্যদের থেকে তিনি পুরোপুরি আলাদা। তিনি নিজের সকল কাজ নিজে করতে পারে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা যে স্বপ্ন পূরণের জন্য বাধা নয় তার উজ্জল দৃষ্টান্ত রিপন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও অবিরাম কাজের পেছনে ছুটে চলেছেন। দৃষ্টি তার সামনে এগোনোতে কোনো বাধা হতে পারেনি, উল্টো সে এক অনুপ্রেরণার নাম। ব্যতিক্রমী প্রতিভার অধিকারী রিপন কারও বোঝা না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। তার এ উদ্যোম ও মনের শক্তি সমাজের প্রতিটি মানুষের কর্মজীবনকে প্রভাবিত করবে এমনটাই সকলের প্রত্যাশা। তাকে খুব দ্রুত একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেওয়া হবে।
০১ মে ২০২৪, ১৯:২০

দেশে সেলিব্রিটিদের মধ্যে প্রথম মোবাইল ব্যবহার করেন সালমান শাহ
ঢাকাই সিনেমার ফ্যাশন আইকন বলা হয় প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহকে। আজও তার স্টাইলকে অনুকরণ করে সবাই। শুধু ঢালিউড নয়, বলিউডেও তার ফ্যাশন আইডিয়াকে ফলো করেন অনেকেই।  নব্বই দশকের হাল ফ্যাশনে সবার চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে থাকতেন সালমান শাহ।  চলচ্চিত্রে ফ্যাশন বিষয়টিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনিই। যেমন ফ্যাশনেবল গাড়ি, মোটরসাইকেল ব্যবহার করতেন সালমান শাহ। এমনকি এফডিসিতে তিনিই সবার আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করেন।     সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে সালমান শাহর মৃত্যুর এত বছর পর বিষয়টি জানালেন নির্মাতা জাকির হোসেন রাজু। তিনি নির্মাণ করেছিলেন সালমান শাহকে অভিনীত সিনেমা ‘জীবন সংসার’। আর এই সিনেমা শেষ হ ওয়ার পরপরই সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান সালমান শাহ।  নির্মাতা রাজু বলেন, শোবিজ তারকাদের মধ্যে প্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন সালমান শাহ। ‘জীবন সংসার’ শুটিংয়ের সময় মোবাইল ফোন নিয়ে আসতেন তিনি। তখন চলচ্চিত্র জগতের আর কারও হাতেই মোবাইল ফোন ছিল না । জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয় বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের বাণিজ্যিক যাত্রা। সিটিসেল ব্র্যান্ডই প্রথম প্রথম মোবাইল ফোন নিয়ে আসে। সেসময় চড়া মূল্য ও সীমিত নেটওয়ার্কের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামের অল্প মানুষই এই ফোন ব্যবহার করতেন। এদের মধ্যে একজন ছিলেন সালমান শাহ। হাল ফ্যাশনের সবদিকে নজর ছিল তার। যুগের চেয়েও আধুনিক ছিলেন এই নায়ক। 
০১ মে ২০২৪, ১২:০৮

‘বিয়ে না করানোয় মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে’
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মাকে কুপিয়ে হত্যার ৬ ঘণ্টা পর পলাতক আসামি মো. রাসেলকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে উপজেলার কেরোয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় শুক্রবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামের খান বাড়িতে ছেলে রাসেল হোসেন তার মা রানু বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে সে বিষয়টি তার বাবা আতর খানকে মুঠোফোনে জানিয়ে পালিয়ে যায়। রাসেলের দেওয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত জব্দ করে পুলিশ। খুন হওয়া রানু বেগম (৫৫) খান বাড়ির আতর খানের স্ত্রী। ঘাতক ছেলে রাসেল (২২) ঘটনার পর পালিয়ে যায়। জানা যায়, রাসেল গত কয়েক বছর পূর্বে ঢাকার একটি বাসায় দারোয়ানের চাকরি করতো। তার মানসিক সমস্যা থাকায় তাকে ওই বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সে গ্রামের বাড়িতে এসে থাকতো। এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, হত্যার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে থেকে নিহত রানু বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার শিকার রানু বেগমের স্বামী আতর খান ও তার মেয়ে শাহিনের বক্তব্যনুযায়ী নিজের ছোট ছেলে রাসেল কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।  
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪২

প্রেমিকের কাছে মেয়েরা যে ৭ জিনিস প্রত্যাশা করেন
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা অভিমানী প্রকৃতির হয়। তারা চায় না বলতেই যেন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝে যায়। মনে মনে অনেকে কল্পনার রাজ্যও গড়ে তোলে। এরপর যখন প্রিয় মানুষটি তার মনের কথা বুঝতে পারে না তখনি অভিমান হয় প্রেমিকার। আর এ কারনেই মেয়েদের তার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে একটা কমন অভিযোগ হলো- কেউ তাদের বুঝতে পারে না। অবশ্য এই দায় ছেলেরাও স্বীকার করে নিয়েছে যে, মেয়েদের মন বোঝার সাধ্য তাদের নেই। আসলেই কি নেই? মেয়েরা আসলে এমন কী চায় যে তাদের বুঝতে পারা সহজ হয় না? না-কি এই বুঝতে না পারার পেছনে ছেলেদের আগ্রহেরও অভাব রয়েছে? একটি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পর পরস্পরের প্রতি অভিযোগের তীর ছুঁড়তে থাকা সহজ। কিন্তু একে অন্যকে বুঝে সামনে এগিয়ে যাওয়া সহজ নয়। সেজন্য দু’জনের আগ্রহ কিংবা টান থাকা চাই। প্রেমিকের কাছে মেয়েদের চাওয়া খুব বেশি থাকে না, যদি তা সত্যিই প্রেম হয়। ছোট ছোট বিষয়ে খেয়াল রাখলেই তাদের মন জয় করা সম্ভব। জেনে নিন মেয়েরা প্রেমিকের কাছে  প্রত্যাশা করে এমন ৭টি জিনিস-  ​১. সবকিছুতেই থাকবেন পাশে​ মেয়েরা সাধারণত তার প্রেমিকের কাছে সব বিষয়ে সাহায্য চান না। কিন্তু তারা আশা করেন যে, মনের মানুষ সবসময় তাদের মাথায় ছাতার মতো ছায়া দেবেন। তাই এবার থেকে প্রেমিকাকে সমস্যায় দেখলে কোনও দিকে না তাকিয়ে দ্রুত  তা সমাধানের কাজে লেগে পড়ুন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই প্রেমিকার মনে হৃদয়ে চিরস্থান পেতে সুবিধা হবে।  ২. দেবেন সম্মান​ ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েও অনেক ছেলে মেয়েদের কোনও রকম সম্মান দেন না। আর এই বিষয়টাই তাদের প্রেমের পথে অন্তরায়। তাই নিজের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে প্রেমিকাকে যথাযোগ্য সাম্মান দিন। আর এই কাজটা গোপনে নয়, সবার সামনেই করুন। আশা করছি, এই কাজটা করলেই আপনাদের প্রেমের রাস্তায় কোনও বাধা বিপত্তি মুখ তুলতে পারবে না। বরং আপনারা হেসেখেলে আগামীদিনগুলো কাটাতে পারবেন। ​​৩. নিজের থেকেও আপন​ মেয়েরা প্রেমিকের অকৃত্রিম ভালোবাসা চান। এমনকী প্রেমিক যাতে নিজের থেকেও তাকে বেশি ভালোবাসেন, এই বিষয়টাও মনে মনে আশা করেন তারা। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই প্রেমিকাকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিন। তাকে সবসময় প্রেমের কথা বলুন। ব্যস, তাহলেই খেলা ঘুরে যাবে। তারপর তিনি আপনার সঙ্গে সারাজীবন হাতে হাত রেখে চলার জন্য অঙ্গিকারবদ্ধ হয়ে পড়বেন। ​৪. সততার নেই বিকল্প​ প্রেমের গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে সবসময় সত্যি কথা বলতে হবে। এমনকী প্রেমিকার থেকে কোনো কিছু লুকানো চলবে না। কারণ প্রেমিকা যে গোপনে আপনার থেকে সততাই আশা করেন। তাই এতদিনের ভুল শুধরে নিতে চাইলে প্রেমিকাকে সবসময় সত্যি কথা বলুন। এমনকী কোথাও কোনও ভুল হলে, সেই কথাও সময় করে জানিয়ে দিন।  ​৫. সবসময় রাখবেন ভালো​ আমাদের সকলের জীবনের লক্ষ্যই হলো ভালো থাকা। আর মেয়েরাও ঠিক একই পথের পথিক। তাই তারা আশা করেন যে তার মনের রাজকুমার তাকে সবসময় হাসিখুশি রাখবে। সুতরাং প্রেমিকার মনে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে চাইলে তাকে সবসময় ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে। আর এই কাজটা করলেই কিন্তু তিনি আপনাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসবেন। ৬. মনোযোগ মেয়েরা প্রেমিকের কাছ থেকে মনোযোগ প্রত্যাশা করে। প্রেমিক যদি তার কথা মন দিয়ে শোনে, কোনো সমস্যায় সমাধান খুঁজে দেয়, মানসিকভাবে সমর্থন দেয় তাহলে মেয়েরা খুশি হয়। আর যদি প্রেমিক নিজের মতো ব্যস্ত থাকে, প্রেমিকার কথার দিকে মনোযোগ না দিয়ে ফোন কিংবা সোস্যাল মিডিয়ায় সময় কাটায় তখন বিরক্তি চলে আসে।  ৭. সারপ্রাইজ মুখে না বললেও একথা সত্যি যে মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে ভালোবাসে। অবশ্য সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। তবে তুলনামূক ছেলেদের থেকে বেশি মেয়েরা সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করে। খুব দামি কিছু হতে হবে তা কিন্তু নয়। চাইলে একটি চকোলেট কিংবা ফুল দিয়েও তাকে চমকে দেওয়া যায়। প্রেমিকাকে খুশি রাখতে এটুকু তো সামান্যই, নয় কি!
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৫

আবাসিক হোটেলে থেকে বাসাবাড়িতে চুরি করেন তারা
সিরাজগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিরাজগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম।  আটককৃতরা হলেন- মাদারীপুর জেলার পুনিয়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন (৫২), ইব্রাহিম হাওলাদারের ছেলে মো. আতিয়ার রহমান (৪০), গুরুয়াপাড়া গ্রামের মৃত ইউসুফ ব্যাপারীর ছেলে মো. রফিক ব্যাপারী (৩৭) ও ঝিনাইদহ জেলার বিত্তিরাণী নগর ঘোষপাড়ার মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে সাধন কুমার বিশ্বাস (৪৫)। এদের মধ্যে সাধন কুমার চোরাই মালামাল ক্রয় করতেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্টেশন রোডের আল হামড়া আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ওই ৪ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, শহরের বিভিন্ন বাসা ও দোকানে চুরি করার জন্য চোর দল ওই আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সিরাজগঞ্জ শহরের সুবিধাজনক বাসাবাড়িতে বা দোকান থেকে চুরি করার জন্য দলভুক্ত হয়ে অবস্থান করছিল। তাদেরকে যেন কেউ সন্দেহ না করে এ জন্য শহরের অনুন্নত মানের হোটেলে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে কক্ষ নিয়ে অবস্থান করে থাকে এবং চুরি করে বেড়ায়।  মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, তারা বগুড়ার একটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাড়িতেও চুরি করেছেন। তার হাত ঘড়ি ও অন্যত্র থেকে চুরি করা স্বর্ণের চেইনসহ বিভিন্ন চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও চোরাই কাজে ব্যবহৃত তালা ভাঙার চাইনিজ কাটার, হাতুড়ি, স্বর্ণালংকার মাপার ডিজিটাল স্কেল, নাট খোলার সেলাইসহ নানান প্রকার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে তাদের আরও অনেক চুরির পরিকল্পনা ছিল। তিনি আরও বলেন, আমাদের ইতোমধ্যেই ঈদকে সামনে রেখে এমন সংঘবদ্ধ চোরদের ধরতে বিশেষ অভিযান চলছে। এরই মধ্যে ২০ জনের মতো চোরকে ধরে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক এই চারজনকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।  এ সময় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম, পরিদর্শক (অপারেশন) সুমন কুমার দাস, উপপরিদর্শক ব্রজেশ্বর বর্মণসহ থানা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫২

সাতজন পুরুষকে আটবার বিয়ে করেন যে অভিনেত্রী
হলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেলর।  শানিবার ( ২৩ মার্চ) তার চলে যাওয়ার দিন। ২০১১ সালের এই দিনে ৭৯ বছর বয়সে প্রয়াত মারা যান এই অভিনেত্রী। তার প্রস্থানের দিন চলুন জেনে নেওয়া যাক এই অভিনেত্রী সম্পর্কে কিছু তথ্য। আলোচিত এই অভিনেত্রী সাতজন পুরুষকে আটবার বিয়ে করেছিলেন। এরমধ্যে অভিনেতা রিচার্ড বার্টনকে দুইবার বিয়ে করেন। তবে কারও সঙ্গে থিতু হতে পারেননি। বিয়ে নিয়ে নিজেই মজা করে বলেছিলেন, সাতজনকে আটবার বিয়ে করেছিলাম।  এলিজাবেথ টেলর হলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে প্রথম মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। ‘ক্লিওপেট্রা’ছবির জন্য নিয়েছিলেন এই সম্মানী। দশ লাখ ডলার গুনে নিয়েছিলেন তিনি।  জিনগত ত্রুটি নিয়ে জন্মেছিলেন টেলর। মেরুদণ্ডের একটি হাড় বাঁকা ছিল তার। তাই অসুখ বিসুখ লেগেই থাকত। সারা জীবনে ৭০ বারের বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি, ২০ বারের বেশি বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয় তার। সুগন্ধীর প্রতি বিশেষ দুর্বলতা ছিল এলিজাবেথের। তিনিই প্রথম অভিনেত্রী যিনি নিজের জন্য আলাদা সুগন্ধী তৈরি করেছিলেন। ভক্তরা তার তৈরি সেই পারফিউমের নাম দিয়েছিলেন ‘ভায়োলেট আইজ’।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৪

ছোটবেলার থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে আফিলকে হত্যা করেন পুলক
রাজধানীর দক্ষিণখানে নিরাপত্তাকর্মী আফিল মিয়াকে (৫৭) হত্যার ঘটনায় এস এম ওয়াহিদ হোসেন ওরফে পুলক নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবি বলছে, নিহত আফিল ছোটবেলায় পুলককে চড়-থাপ্পড় দিতেন। এর প্রতিশোধ নিতেই তাকে হত্যা করেন পুলক। শুক্রবার (২২ মার্চ) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, রাজধানীর দক্ষিণখানের তোফাজ্জল চেয়ারম্যানের বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী আফিল মিয়াকে গত ১৮ মার্চ গভীর রাতে অজ্ঞাত আসামিরা কুপিয়ে হত্যা করে। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খোরশেদা খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর তদন্তে নেমে হত্যায় জড়িত এস এম ওয়াহিদ হোসেন ওরফে পুলককে গ্রেপ্তার করা হয়। হারুন অর রশীদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পুলক জানিয়েছেন বাবা হারিয়ে ছোটবেলায়  তিনি চাচাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। নিহত নিরাপত্তাকর্মী আফিল মিয়া ছোটবেলায় তাকে চড়-থাপ্পড় মারতেন। এতে পুলকের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া তার ভেতরে একটি বিকৃত ইচ্ছার জন্ম হয়। তিনি সিরিয়াল কিলিংয়ের পরিকল্পনা করছিলেন। তার টার্গেট ছিল ৯টি হত্যা করা। যার প্রথমটির বলি নিরাপত্তাকর্মী আফিল মিয়া। পুলকের ডন হওয়ার স্বপ্ন ছিল। তিনি চাইতেন সন্ত্রাসী হিসেবে মানুষ তাকে চিনবে, তার কথায় মানুষ উঠবে-বসবে। ডিবিপ্রধান বলেন, নিরাপত্তাকর্মী আফিল মিয়াকে হত্যার আগে পুলক ইয়াবা সেবন করেন। এরপর হত্যাকাণ্ড ঘটান। হত্যার বিষয়ে তিনি নিজের দায় স্বীকার করেছেন। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৩

বিয়ে ভাঙার কাজ করেন তৌসিফ-নিহা
বিখ্যাত ঘটক শাকিল ভাইয়ের মেয়ে মুনতাহা। বাবার লিগ্যাসি ধরে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘ম্যাচমেকার’ নামে ম্যারেজ অ্যাপস খুলেছে সে। যার মাধ্যমে বিয়ে প্রত্যাশী দুটি হৃদয়ের মেলবন্ধন ঘটানো হয়। অন্যদিকে ইফতেখারের একটি ইনভেস্টিগেশন ফার্ম আছে। যেখানে বিয়ের আগে কেউ চাইলে হবু বউ বা হবু জামাইয়ের অতীত সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে পারে। ইফতেখার আর তার টিম খুবই দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত করে নিখুঁত রিপোর্ট দেয়। এমন দুটি পেশা ও চরিত্র নিয়ে দারুণ একটি নাটক নির্মাণ করেছেন ইমরাউল রাফাত। নাম দিয়েছেন ‘ম্যাচমেকার’। এই নাটকে মুনতাহা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাজনীন নিহা এবং ইফতেখার চরিত্রে আছেন তৌসিফ মাহবুব। বিভিন্ন চরিত্রে আরও আছেন- শেহজাদ ওমর, শাহবাজ সানী, রিসা চৌধুরী, শহীদুল্লাহ সবুজ, যাকি আহমেদ যারিফ প্রমুখ। নির্মাতা ইমরাউল রাফাত জানান, রোমান্টিক ঘরানার এই গল্পে তিনি তুলে এনেছেন ভিন্ন ধারার দুই পেশার দুজন মানুষের মেলবন্ধন। যাদের কাজের ধরণ আলাদা হলেও বিয়ে ভাঙা ও গড়ার ক্ষেত্রে দুজনের প্রতিষ্ঠানেরই প্রভাব রয়েছে। নাটকে দুজনের মধ্যকার সম্পর্ক গড়ে ওঠে একটি বিয়ে ভাঙার মধ্যদিয়ে। নিহার একটি ক্লায়েন্ট হাতছাড়া হয়ে যায় তৌসিফের নেতিবাচক রিপোর্টের কারণে! এরপর ঘটতে থাকে দুটি প্রতিষ্ঠান, দুজন ব্যক্তি ও একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে দারুণ সব ঘটনা। নাটকটির প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ‘ম্যাচমেকার’ আসছে ঈদে তাদের অন্যতম বিশেষ চমক। যা ঈদ আয়োজনে প্রকাশ হবে।
২২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৪

আমাদের বিচ্ছেদ ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন : স্বাগতা
ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা। চলতি বছর শুরুর দিকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের পর প্রাক্তন ও বার্তমান স্বামীকে নিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এসব কথা কানে না নিয়ে আপন গতিতে এগিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। ব্যস্ত ছিলেন পরিবার ও কাজ নিয়ে। দুই মাস পর এবার মুখ খুললেন স্বাগতা। তিনি বলেন, এর আগেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কারণ, ভালো না বেসে বিয়ে করে কারও সঙ্গে সংসার করা কঠিন। এটা আমার কাছে অসম্ভব। আমি ভালোবেসেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আর আমার বিচ্ছেদ হয়েছে আইন মোতাবেক। মেয়েরা ডিভোর্স দিতে পারে। এটা আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি। জীবন কি সবসময় এক রকম চলে? সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, এই সমাজে মেয়ে হয়ে একা থাকা কঠিন। যখন আমি একা থাকলাম, তখন দেখলাম, যার বয়স ১৬ সেও আমার প্রেমিক, আবার যার বয়স ৭০, সেও আমার প্রেমিক। এমন অনেকেই প্রেম করতে চায়। তখন দেখা গেল, আমার কাজের বাইরে প্রেমিক ঠেকানো একটা বাড়তি কাজ হয়ে দাঁড়াল। এটা তো আমি চাই না। কেন আমাকে নিয়ে এসব ভাবার সুযোগ দেব? তখন মনে হলো, আমার অভিভাবক লাগবে। এই জন্য আমি আবার প্রেমে পড়ি। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। প্রথম বিয়ের ৭ বছরের মাথায় বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে হয় স্বাগতাকে। সেই সংসারে মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে চাপের মধ্যেও থাকতে হয়েছে। যে কারণে একটা সময় বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে। আর অভিনয়শিল্পী হওয়ার কারণে প্রায়ই তাকে শুনতে হয় বিচ্ছেদ নিয়ে নানা কথা। কথাগুলো এমন- ‘তারকারা সংসার করতে পারে না’, ‘কেন সংসার ভাঙে’, ‘কেন তারকারা একের অধিক বিয়ে করে’ ইত্যাদি। বিভিন্ন সময় এমন প্রশ্ন মুখ বুজে সহ্য করলেও এবার চটেছেন এই অভিনেত্রী। স্বাগতা বলেন, আমি আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র সেলিব্রিটি। আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে সবার পরে আমার ডিভোর্স হয়েছে। আমার ক্লাসের ৮০ ভাগ মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেছে। তারা তো সেলিব্রিটি না। শুধু আমাদের সঙ্গে ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন। আপনাদের মন্তব্যের কারণে আমি সেলিব্রিটি হয়েও সাত বছর মার খেয়েছি, মা-বাবাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই শুনেছি। তারপরও আমি সম্পর্ক থেকে বের হতে চাইনি। কারণ, আপনারা গালিগালাজ করবেন। কষ্ট করেও আমি সংসার করতে চেয়েছি। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আমি কখনোই কথা বলিনি, বলতে চাইনি। আর ডিভোর্স নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বলা বন্ধ করুন। যৌক্তিক কথা বলুন। না জেনে কারও ওপর দোষ চাপাবেন না।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়