• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া   / কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ করল ইউএস-বাংলার ফ্লাইট
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে নামতে না পেরে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট। সোমবার (৬ মে) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ইউএস বাংলার ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। তবে বিমানের কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা যান্ত্রিক ত্রুটি হয়নি বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএস-বাংলার কক্সবাজার বিমানবন্দরের ইনচার্জ মুছা আহমেদ।  তিনি বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে নামতে না পেরে কক্সবাজারে অতরণ করেছে ফ্লাইটটি। অন্য কোনো সমস্যা হয়নি। ইউএস-বাংলা সূত্রে জানা গেছে, কলাকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোমবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ইউএস-বাংলার বিএস ২০৪ নম্বর ফ্লাইটটি উড়াল দেয়। যেটি ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবওয়ার কারণে দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে পারেনি ফ্লাইটটি। পরে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়।  পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি কক্সবাজারে অবস্থান করবে বলে জানা গেছে। তবে ওই ফ্লাইটে কতজন যাত্রী রয়েছে এবং তাদেরকে নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেই বিষয়ে মন্তব্য করেনি ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ। এ দিকে সোমবার বিকেল ৫টা থেকে কক্সবাজারেও কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের গতিও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টিও হচ্ছে থেমে থেমে। এর ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে পুরো শহর।
০৬ মে ২০২৪, ২০:০০

কক্সবাজারে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু
কক্সবাজারের রামুতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (৬ মে) সকাল ১০টায় রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে চেইন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুরা হলো, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার ফজল আহমদের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (১২) ও একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন খোকা (১০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান। তিনি বলেন, দক্ষিণ মিঠাছড়িতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শিশুদের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতেই আছে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চেইন্দা ইউপি সদস্য জাফর আলম বলেন, রাতে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ছড়ার বিভিন্নস্থানে সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমেছিল। সকালে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার একটি পাহাড়ি ছড়ায় জমে থাকা পানিতে স্থানীয় ৬ থেকে ৭টি শিশু মিলে গোসলে করতে নামে। এক পর্যায়ে ৪ শিশু ছড়ার পানিতে ডুবে যায়। পরে ঘটনাস্থলে থাকা অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা ৪ জনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
০৬ মে ২০২৪, ১৭:১৬

কক্সবাজারে র‍্যাব-ডাকাত গোলাগুলি, কৃষক নিহত 
কক্সবাজারের ভারুয়াখালীতে র‌্যাব-ডাকাতের গোলাগুলিতে বায়াত উল্লাহ নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মুরা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বেসরকারি সংস্থা ‘প্রত্যাশী’ এর কর্মী মাসুদ চৌধুরীকে শেরে বাহিনী নামে পরিচিত ডাকাত দল অপহরণ করে। বিষয়টি জানার পর র‍্যাব এনজিওকর্মী মাসুদকে উদ্ধারে ভারুয়াখালীর ৯নং ওয়ার্ড মুরাপাড়া এলাকার পাহাড়ে অভিযান চালায়। ওই অভিযানের সময় র‍্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে কৃষক বায়াত উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। নিহত বায়াত উল্লাহর ভাই করিম উল্লাহ জানান, ডাকাত ফরহাদ বাহিনীর সদস্যরা একজন এনজিও কর্মীকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করতে গেলে র‍্যাবকে লক্ষ্য করে তারা গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে আনা হলে আমার ভাই মারা যান।  তিনি বলেন, শেরে বাহিনীর প্রধান ডাকাত ফরহাদ মোস্তাক এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আমাদের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা বাজারে আসলে সবার মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতো। এদিকে আহত বেশ কয়েকজন চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান। জানা যায়, এনজিও কর্মী মাসুদ চৌধুরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করেছে র‍্যাব। অভিযানে ডাকাত ফরহাদকে আটক করা হয়েছে বলে র‌্যাবের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। ওই কর্মকর্তা জানান, র‌্যাব পুরো বিষয়টি নিয়ে পরে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানাবে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৭

কক্সবাজারে বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৩
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও উপজেলায় বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজনে দাঁড়ালো। আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ঈদগাঁওয়ের খোদাইবাড়ি এজি লুৎফুর কবির আদর্শ দাখিল মাদরাসা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।   নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ইলশা এলাকার মনির আহমেদের স্ত্রী হাফসা বেগম, একই উপজেলার রায়ছড়া এলাকার গোলাম সোবহানের ছেলে দুলা মিয়া।  জানা যায়, তারা চোখের চিকিৎসা করাতে গত শুক্রবার কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতালে এসে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ বিষয়ে চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, দুপুর ১২টার দিকে বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজন মারা যান। তার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।  মরদেহ উদ্ধার ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দুপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। ঘটনাস্থলে দুজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন মারা গেছেন। আরও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০০

কক্সবাজারে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ২
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ৮ জন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলা খোদাইবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈদগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা। তিনি বলেন, ঈদগাঁও উপজেলার খোদাইবাড়ি নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীবাহী বাস ও একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দু’জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৭

রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা: এফএসআইএন
মিয়ানমারের সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার কারণে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা ২০১৭ সাল থেকে একটি বড় খাদ্য সংকট হিসেবে জিআরএফসি প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গত বছর জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হয়েছে।   বৈশ্বিক খাদ্যসংকট নিয়ে ফুড সিকিউরিটি ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (এফএসআইএন) প্রকাশিত প্রতিবেদন ২০২৪-এ বলা হয়েছে, গত বছর বাংলাদেশে নিষ্ফলা মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ১৯ লাখ মানুষতীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার উচ্চমাত্রার সম্মুখীন হয়ে থাকতে পারে, যার ৬৫ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও ।  সংস্থাটির মতে, এসব মানুষের তীব্র খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় বিশেষভাবে প্রভাব রেখেছে প্রতিকূল আবহাওয়া, বৈশ্বিক যুদ্ধ-সংঘাত ও উচ্চমাত্রায় দেশের অভ্যন্তরীণ খাদ্য মূল্যস্ফীতি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিসহ ১৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ নেটওয়ার্কের সদস্য। এটির অর্থায়নে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বজুড়েই গত বছর খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। ওই বছর ২৮ কোটি ২০ লাখের মতো মানুষ সংঘাত, বিশেষ করে গাজা ও সুদানে লড়াই চলার কারণে তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়। বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদন ও ২০২৩ সালে খাদ্যের সহজলভ্যতার উন্নতি হলেও বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ধাক্কায় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তিই রয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি পৌঁছায় ৭ দশমিক ৮ শতাংশে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ তা এসে দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশে। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে জ্বালানি, গমের মতো অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যশস্য, সার ও গবাদিপশুর খাবার আমদানিতে বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রাখে। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এসব পণ্যের আমদানি ব্যাহত হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয় টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া। ফলে একদিকে খাদ্যশস্যের আমদানি কমার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্যের উৎপাদন খরচ বাড়ে।   প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অব্যাহত উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর খাদ্যসুবিধা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে। এসব মানুষের আয় ক্রমেই কমেছে ও তাঁদের খাদ্যপণ্য কেনার খরচ বেড়েছে।   ২০২২ সালে ৭০ লাখের বেশি মানুষ অস্বাভাবিক মৌসুমি বন্যার শিকার হন এবং প্রধানত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গৃহহীন হন ২০ লাখের বেশি মানুষ। এতে তাঁদের সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ কারণে ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলা করার সক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে তাঁদের। আগস্টে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী মৌসুমি বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধস সৃষ্টি হয়। এর শিকার হন ১৩ লাখ মানুষ।   ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষের মধ্যে ছয় লাখের খাবার, সুপেয় পানি, ওষুধ ও বিদ্যুতের মতো মৌলিক সেবার বিশেষ প্রয়োজন দেখা দেয়। একই সময় রাজশাহীতে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ দেখা দেয় এবং দেশে ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিধসের মতো ঘটনা ঘটে। মৌসুমভিত্তিক কর্মসংস্থানের প্রভাব এবং খাদ্যসুবিধা ও প্রাপ্যতার ওপর পুনঃপুন বিপর্যয় মানুষের মধ্যে বড় ধরনের পুষ্টির ফারাক তৈরি করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দুটি রেশন কাটছাঁট খাদ্য গ্রহণের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেছিল। রেশন কাটছাঁটের কারণে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারের গ্রহণযোগ্য খাদ্য গ্রহণের স্কোর ছিল, যা ২০২২ সালে ছিল ৫৬ শতাংশ।  ২০২২ ও ২০২৩ সালে মিয়ানমারে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরার কোনো প্রত্যাশিত সম্ভাবনা নেই। বাইরে কাজ করার সুযোগ সুযোগ, আয়, জমি এবং পানীয় জলের উৎসগুলোর ওপর চাপের কারণে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৩

কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত
কক্সবাজার ডুলাহাজারা স্টেশনে কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ঈদগাঁও ডুলাহাজারা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী।  তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ডুলাহাজারা স্টেশনে প্রবেশের সময় ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। এতে ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।  তিনি আরও বলেন, ইঞ্জিনসহ দুটি বগি লাইনচ্যুতির ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকারী ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান স্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫০

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, নিরাপত্তা জোরদার
ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে সকাল থেকে পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। পর্যটকরা সৈকতের কিটকটে বসে, ওয়াটার বাইক, বিচ বাইক ও ঘোড়ায় চড়ে মনের আনন্দে ঘুরছেন। জেলার ইনানী, পাটুয়ারটেক, মহেশখালী, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরসহ অন্যান্য স্পটেও পর্যটকদের পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়ন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম টহল জোরদার করেছেন। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেলগুলোর ৮০ থেকে ১০০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।  এ বিষয়ে কলাতলী আবাসিক হোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, আগামী সোমবার পর্যন্ত পর্যটকদের পর্যটকদের চাপ থাকবে।  রমজান মাসের পর পর্যটন ব্যবসায় ফের চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন তিনি। এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে দেখা গেছে, তীব্র গরমের মাঝেও সমুদ্রের নীলজলরাশি অস্বস্তি ভুলিয়ে দিয়েছে পর্যটকদের। এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ফলে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল কক্সবাজার। ঈদের আগমনে দর্শনার্থীদের সেই খরা কেটেছে। ঈদের দিনই পর্যটন নগরীতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের লোনাজলে গোসল করতে নামে। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকেই কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে লক্ষাধিক দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা। সৈকতে দায়িত্বরত এক বিচকর্মী বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি আজ সকাল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। শুধু ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন বলে আমরা ধারণা করছি। শুক্রবারে এ সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। খাবার টেবিলে মূল্যতালিকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা তালিকা দেখেই খাবারের চাহিদা জানাতে পারবেন। জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলের কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ অনেক আগেই দেওয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পৃথক কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। হোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২২

কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, তিলধারণের ঠাঁই নেই
সমুদ্র সৈকতের টানে কক্সবাজার পর্যটকের ঢল নেমেছে। তীব্র গরমের মাঝেও সমুদ্রের নীলজলরাশি অস্বস্তি ভুলিয়ে দিয়েছে তাদের।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল পর্যটন নগরী কক্সবাজার। ফলে হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল কক্সবাজার। ঈদের আগমনে দর্শনার্থীদের সেই খরা কেটেছে। ঈদের দিনই পর্যটন নগরীতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের।  সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই সমুদ্রসৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণি পয়েন্টে পর্যটকরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় চরম আকার ধারণ করে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাগরের নোনাজলে গোসল করতে নেমেছেন। কেউ সৈকতে ঘোড়ায় চড়ে সমুদ্র দর্শন করছেন। কেউ আবার ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকেই কলাতলী থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতে অন্তত ৪০ হাজার দর্শনার্থী নামেন বলে জানিয়েছেন সৈকতে দায়িত্বরত কর্মীরা। সৈকতে দায়িত্বরত এক বিচকর্মী বলেন, স্থানীয়দের পাশাপাশি আজ সকাল থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। শুধু ঈদের দিনেই অন্তত ৪০ হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন বলে আমরা ধারণা করছি। শুক্রবার থেকে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে।  এ বিষয়ে কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য আদায় হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। খাবার টেবিলে মূল্যতালিকা রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা তালিকা দেখেই খাবারের চাহিদা জানাতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলের কক্ষ ভাড়ার তালিকা টাঙানোর নির্দেশ অনেক আগেই দেওয়া আছে। অতিরিক্ত ভাড়া যেন কেউ আদায় করতে না পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পৃথক কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন।  হোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৪

কক্সবাজারে তালাশ টিমের ওপর হামলায় ক্র্যাবের নিন্দা 
পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার শিকার হয়েছেন ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার নাজমুল সাঈদ ও সিনিয়র চিত্র সাংবাদিক কাজী মোহাম্মদ ইসমাইলসহ স্থানীয় টিভির সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন রাব্বানী। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করেন রিসোর্টের মালিক নোমানুল হক সাজিমসহ তাদের বাহিনী। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ক্র্যাবের দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, কক্সবাজারের পর্যটক এলাকায় হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায় তার একটি বাস্তব দৃশ্য ধারণ করার জন্য নাজমুল সাঈদ ও তার টিম তালাশ কক্সবাজারের রাজভীর রিসোর্টে অনুসন্ধানে যায়। সংবাদ সংগ্রহের স্বার্থে নগদ টাকা দিয়ে রুম বুক করেন। ইয়াবা বিক্রি ও অসামাজিক কার্যাকলাপ গোপন ক্যামেরায় ধারণও করেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরে তালাশ টিমের পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট মালিকের বক্তব্য নিতে গেলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মালিক নোমানুল হক সাজিম। একপর্যায়ে হামলা ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। এ সময় সাজিম বাহিনীর সদস্যরা তালাশ টিমকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখে। ঘটনার একপর্যায়ে টিম তালাশকে ভুয়া প্রমাণ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন সাজিম বাহিনী। তার মাসোহারাভুক্ত ভুয়া সাংবাদিকদের দিয়ে শুরু করেন অপপ্রচার। বাগবিতণ্ডার একটি খণ্ডিত অংশ দিয়ে তার অপকর্ম ঢাকার মিশনে নেমে পড়েন সাজিম বাহিনী। ইয়াবা ব্যবসায়ী সাজিমের মদদপুষ্ট স্থানীয় একটি পত্রিকাসহ বেশ কিছু ভুঁইফোড় অনলাইনে মিথ্যা খবর প্রকাশ করতে থাকে একেরপর এক। অথচ পুরো ঘটনা উল্টো। তালাশ টিমের ওপর হামলার ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইছার হামিদ জানান, কক্সবাজারে তালাশ টিমের ওপর হামলার বিষয়ে আপাতত কোনো তথ্য দিতে পারছি না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালাশ টিমের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানাতে পারব। উল্লেখ্য, রিসোর্ট মালিক সাজিম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা ছিনতাই, চুরি, দখলসহ নানা অপরাধে ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে। সাজিম এর আগেও বিভিন্ন অপরাধের কারণে গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কক্সবাজারের চিহ্নিত অপরাধীর তালিকায় রয়েছে তার নাম।
১৪ মার্চ ২০২৪, ২১:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়