• ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট কে এই মোখবার
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার দেজফুলিকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অর্থাৎ সামনের দুই মাস তিনি ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকবেন। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে আবারো ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনি মি. রাইসির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হলে, তার প্রথম ডেপুটি অন্য নেতাদের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ও দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ইরানের পার্লামেন্ট যাকে তারা মজলিস বলে এর স্পিকার, দেশটির বিচার বিভাগের প্রধান এবং প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্টের সমন্বয়ে একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে। এই কাউন্সিল সর্বোচ্চ পঞ্চাশ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বাধ্য থাকে। ইব্রাহিম রাইসির প্রথম ডেপুটি হওয়ার আগে, মোহাম্মদ মোখবার দেজফুলি প্রায় ১৫ বছর ধরে "এক্সিকিউটিভ স্টাফ অব ফরমান ইমাম" এর প্রধান ছিলেন। যা ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির অন্যতম ধনী অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান । এই সদর দপ্তর সরাসরি ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতার তত্ত্বাবধানে কাজ করে এবং কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে তারা দায়বদ্ধ নয়। মোহাম্মদ মোখবার কট্টরপন্থী গোষ্ঠীতে থাকা সুপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে প্রতিযোগিতা করে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। এরপর তিনি দেশটির ‘রেসিস্ট্যান্স ইকোনমি হেড কোয়ার্টার’ এর প্রধানের দায়িত্ব নেন। তার কাজ ছিল দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঢেলে সাজানো। যদিও এই পদে তার সফলতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। খুজেস্তান থেকে শুরু মোহাম্মদ মোখবার দেজফুল ১৯৫৫ সালের জুলাই মাসে (পার্সিয়ান হিজরি ক্যালেন্ডারে ১৩৩৪) ইরানের খুজেস্তান প্রদেশের দেজফুল শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বেশ ধার্মিক পরিবারে বেড়ে ওঠেন এবং তার বাবা শেখ আব্বাস মোখবার ছিলেন একজন ধর্ম প্রচারক এবং ধর্মগুরু। এক সময় তিনি দেজফুলের অস্থায়ী ইমাম ছিলেন। মোহাম্মদ মোখবার তার প্রাথমিক এবং হাইস্কুল শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন দেজফুল এবং আহভাজ শহর থেকে। এবং ইরানি মিডিয়ার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (তড়িৎ কৌশল) স্নাতক ডিগ্রি, ম্যানেজমেন্টে (ব্যবস্থাপনা) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানিং বিষয়ে (ব্যবস্থাপনা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনা) ডক্টরেট সম্পন্ন করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক আইনেও পিএইচডি করেছেন। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের আগে তিনি কী করতেন সে সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় হামামিহান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লেখা হয়েছিল যে তিনি মোহাম্মদ জাহানারা, আলী শামখানি, মোহসেন রেজাই, মোহাম্মদ ফারুজান্দেহ এবং মোহাম্মদ বাকের জুলকাদেরের মতো ব্যক্তিদের সাথে মনসুরুন গ্রুপের সদস্য ছিলেন। এটি এমন এক দল যা ইরানের দক্ষিণ পশ্চিমের খুজেস্তানে গঠিত হয়েছিল এবং ৬০ ও ৭০ এর দশকে পাহলভি সরকারের বিরুদ্ধে বেশ সক্রিয় ছিল। খুজেস্তানে ইরানের সশস্ত্র গোষ্ঠী আইআরজিসি প্রতিষ্ঠার পর, তিনি দেজফুলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ইরান-ইরাক যুদ্ধের বছরগুলোয় তিনি এই পদে বহাল ছিলেন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, মোহাম্মদ মোখবার ‘দেজফুল টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি’র সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) হন। এরপর খুজেস্তান প্রদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পরে ওই কোম্পানির সিইও হন। তিনি কিছু সময়ের জন্য খুজেস্তানের ডেপুটি গভর্নরও ছিলেন। মোহাম্মদ ফারুজান্দেহ ‘মুস্তাফাফান ফাউন্ডেশনে’র সভাপতি থাকার সময় মোহাম্মদ মোখবার খুজেস্তান থেকে তেহরানে যান এবং তিনি ফাউন্ডেশনের পরিবহন ও বাণিজ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন। এই সময় তিনি ইরান সেল কনসোর্টিয়ামে দ্বিতীয় মোবাইল ফোন অপারেটর প্রকল্পের টেন্ডার থেকে তুর্কসেল টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিকে হটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এমটিএন কোম্পানিকে প্রতিস্থাপন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বলে জানা গেছে। পরে তিনি ইরান সেলের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। মোহাম্মদ মোখবার 'সিনা ব্যাংকে'র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, যেটি মুস্তাফাফান ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হতো। ধনী চিফ অফ স্টাফ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনি তাকে ২০০৬ সালের জুলাই মাসে ফরমান ইমামের নির্বাহী সদর দফতরের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর ইরানের সরকারের নীতিনির্ধারক মহল, আর্থিক ও অর্থনৈতিক দফতরগুলোয় মোখবারের বিশাল অবস্থান তৈরি হয়। এই সদর দফতরটি তৎকালীন নেতা রুহুল্লাহ খোমেনি তার মৃত্যুর এক মাস আগে ১৯৮৯ সালের মে মাসে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইরানের এই নেতা মারা যাওয়ার পর ইসলামি বিপ্লবের পরে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তিসহ সব সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করে নির্বাহী সদর দফতর। এই সদর দফতর পরিচালিত হয় ইসলামি প্রজাতন্ত্রের নেতার তত্ত্বাবধানে এবং এই প্রতিষ্ঠানটি অন্য কারও কাছে দায়বদ্ধ নয়। এটি একটি বিশাল অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় যার ফলে সম্ভাব্য প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রমের পরিধি প্রসারিত হতে থাকে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, যখন ফরমান ইমামের নির্বাহী সদর দফতর এবং তৎকালীন প্রধান, মোহাম্মদ মোখবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তখন তারা এই সদর দফতরকে "একটি ব্যবসায়িক দানব" হিসাবে বর্ণনা করেছিল। কারণ এই প্রতিষ্ঠানটি ইরানের অর্থনীতির প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে, যেমন জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, এবং আর্থিক সেবায় ভূমিকা রাখে। নির্বাহী কমান্ড সদর দফতরের সম্পদের বিভিন্ন হিসাব রয়েছে। ২০১৩ সালে, রয়টার্স নিউজ এজেন্সি, একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে, নির্বাহী সদর দফতরকে একটি "বিশাল অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য" বলে অভিহিত করেছিল এবং সেই সময়ে এর সম্পদের মূল্য ধারণা করা হয়েছিল প্রায় ৯৫ বিলিয়ন ডলার। সমালোচকদের মতে, নির্বাহী সদর দফতর, একটি "মাফিয়া সিস্টেম" দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে তেল, গ্যাস, পেট্রোকেমিক্যাল, কৃষি, শিল্প, খনি, ওষুধ এবং নির্মাণের মতো বিভিন্ন কোম্পানির মালিকানা এবং "বারকাত ফাউন্ডেশন" এই প্রতিষ্ঠানটির অধীনে পরিচালিত হয়। বারকাত নলেজ ফাউন্ডেশন অ্যান্ড ইন্সটিটিউট হলো সদর দফতরের একটি শাখা, যা মোহাম্মদ মোখবারের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। বারকাত নলেজ বেজড ইন্সটিটিউটকে ফরমান ইমামের নির্বাহী সদর দপ্তরের সাইবার ও তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ক একটি কেন্দ্র হিসাবে শনাক্ত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। সদর দফতরে তার মেয়াদের শেষ বছরগুলোয় এবং করোনা মহামারির সময়ে মোহাম্মদ মোখবারের নাম গণমাধ্যমে উঠে আসে। কারণ তিনি কোভিড-১৯ এর টিকা অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন যা বারকাত ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত হয়েছিল। ইরান সরকারের অন্যতম শক্তিশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও জনসাধারণের মধ্যে তার নাম কম পরিচিত ছিল। ইরানের নেতার সমর্থনে, ভ্যাকসিন উন্নয়ন প্রকল্প "কভু ইরান বারকাত" একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রকল্প হয়ে ওঠে এবং বিতর্কেরও জন্ম দেয়। কিন্তু এই টিকাটি অবশেষে উন্মোচন করা হয় এবং মোহাম্মদ মোখবারের মেয়ে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই টিকা গ্রহণ করেন। পর্দার আড়ালের ব্যক্তি সাঈদ জালিলির মতো আরও সুপরিচিত নামের সাথে প্রতিযোগিতা করে মোহাম্মদ মোখবার প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হন। ফারমান ইমামের সদর দপ্তরে যিনি একসময় নেতার কাঙ্ক্ষিত 'প্রতিরোধের অর্থনীতিকে' যেভাবে মূলনীতি মনে করতেন, সরকারি দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি একই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অর্থনীতির হাল ধরেন। একসময় তিনিই রেসিস্ট্যান্স ইকোনোমি কমান্ড স্টাফের প্রধান হয়ে ওঠেন। প্রথম কয়েক মাস, তিনি আধিপত্যকে দাবিয়ে রাখতে এবং অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত থেকে প্রতিযোগীদের দূর রাখার চেষ্টা করেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিলেন মোহসেন রেজাই, যিনি নির্বাচনে এব্রাহিম রাইসির প্রতিপক্ষ ছিলেন। তিনি বিভিন্ন তত্ত্ব এবং অর্থনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে ইরানের পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করেছিলেন। নতুন প্রেসিডেন্ট মি. রেজাইকে সরকারের অর্থনৈতিক ডেপুটি হিসাবে নিয়োগ করে। কিন্তু শিগগিরই এই ডেপুটিকে অর্থনৈতিক কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে কার্যত তাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্র থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, এর পেছনে মোহম্মদ মোখবারের হাত রয়েছে। যিনি নির্বাহী স্টাফের প্রধান থাকাকালীন সর্বোচ্চ ক্ষমতাধরদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু এব্রাহিম রাইসির প্রশাসন ক্ষমতায় আসার এক বছর পার হওয়ার আগেই তিনি নানা বিতর্কের মুখে পড়েন। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কারণে কট্টরপন্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। তারা ইব্রাহিম রাইসিকে হুঁশিয়ার করেন যেন মোহাম্মদ মোখবারের কর্তৃত্ব সীমিত করা হয়। আবার অনেকে তাকে অপসারণ করতে বলেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে ১১তম পার্লামেন্টের সদস্য এবং স্টেবিলিটি ফ্রন্টের সদস্য জাভেদ করিমি-কুদ্দোসি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন, "এই পদের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা মোখবারের নেই" এবং তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন যে "তিনি এই অবস্থানে এক ঘণ্টা থাকাও বড় ক্ষতি।" এর আগে কট্টরপন্থী মিডিয়া আন্দোলনকর্মী মোহাম্মদ মোহাজেরি স্থানীয় ইতেমাদ পত্রিকায় রাইসি সরকারের নেপথ্যে মোহাম্মদ মোখবারের ভূমিকার বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: "রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তার সাথে, তিনি এমন ভাব করেন যে, রাইসি সরকারের অদক্ষতার বিষয়গুলো খুব গুরুত্বের সাথে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তিনি আসলে গা করেন না। অনেকটা এমন যে সমুদ্রে নামবে কিন্তু শরীর ভিজবে না।" কিন্তু এসব সমালোচনায় কোনো লাভ হয়নি। বরং ২০২২ সালে শাহরিভার শহরে, মোহাম্মদ মোখবার ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নেতার আদেশে এক্সপিডিয়েন্সি কাউন্সিলের সদস্য হন এবং এব্রাহিম রাইসি তাকে নিয়ে কোনো সমালোচনায় কান দেননি। একই বছরের জানুয়ারিতে তিন শক্তিধর প্রধানের বৈঠকে মোহাম্মদ মোখবারকে অংশ নিতে দেখা যায়। যা এক বিরল ঘটনা। ওই সভায় তার উপস্থিত থাকার ছবি প্রকাশ করা হয় যেটিকে তার সমালোচকদের জন্য একটি বার্তা বলে মনে করেন অনেকে। সেই সময় থেকে, ইরানের অর্থনীতিতে অস্থিরতা সত্ত্বেও প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মোহাম্মদ মোখবার বহাল রয়েছেন। ইরান প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর সাথে সাথে, মোহাম্মদ মোখবার একটি নতুন এবং অপ্রত্যাশিত দায়িত্ব পেয়েছেন যা আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তিনি এখন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সরকারের অন্তর্বর্তী প্রধান। সূত্র: বিবিসি বাংলা
১৭ মিনিট আগে

গরমে পেট ঠান্ডা রাখতে আম দিয়ে বানিয়ে নিন এই রেসিপি
পাকা হোক বা কাঁচা, আম থাকলেই যেন গরমে স্বস্তি পায় শরীর ও মন। কাঁচা আম লবণ মরিচ দিয়ে চাট বানিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি ডাল-সহ বিভিন্ন সবজিতেও দেওয়া হয়। গরমে কাঁচা আমের ডাল সকলেরই খুব প্রিয় খাবার। সামান্য তেলে আম ডালের রেসিপি জেনে নিন। আম-ডাল বানাতে যা লাগবে:  মুসুর ডাল, কাঁচা আম, কাঁচা মরিচ, তেজপাতা, সামান্য জিরাগুঁড়ো, হলুদগুঁড়ো, আস্ত সরিষা, শুকনো মরিচ, অল্প তেল, স্বাদমতো লবণ ও পানি। ডালে পেঁয়াজও দিতে পারেন। ডালের পরিমাণ অনুপাতে আম নিতে হবে। অন্তত ২৫০ গ্রাম মুসুর ডালের সঙ্গে ২টি কাঁচা আম লাগবে। এর সঙ্গে স্বাদ আনতে অন্তত ৪-৫টি কাঁচা মরিচ ও শুকনো মরিচ এবং ১টি পেঁয়াজ কুচি লাগবে। যেভাবে তৈরি করবেন: প্রথমে কাঁচা আম সরু লম্বা করে কেটে ধুয়ে নিন। তারপর সেগুলোতে লবণ-হলুদ মাখিয়ে গরম পানি হালকা ভাপিয়ে নিন। অন্যদিকে, ডাল ধুয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার কড়াইয়ে অল্প তেল দিন। তেল গরম হলে সামান্য আস্ত সরিষা, শুকনো মরিচ, তেজপাতা ফোড়ন দিন। তারমধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। পেঁয়াজ হালকা লাল হয়ে এলে আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা ডাল কড়াইয়ে ঢেলে দিন। পরিমাণমতো পানি দেবেন। তারমধ্যে সামান্য লবণ ও আস্ত কাঁচা মরিচ দিন। ডাল বলক উঠলে তারমধ্যে ভাপানো কাঁচা আমগুলো দিন। এবার হালকা আঁচে কয়েক মিনিট ফোটান। আমগুলো ডালের সঙ্গে মিশে গেলে নামিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি আম-ডাল।  
৯ ঘণ্টা আগে

কে এই ইব্রাহিম রাইসি
ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে ইব্রাহিম রাইসিকে মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে দেশটির প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। রোববার (১৯ মে) আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় জলাধার প্রকল্প উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। ওই হেলিকপ্টারে তার সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও ছিলেন। রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হেলিকপ্টারের কোনো আরোহী বেঁচে নেই, সোমবার (২০ মে) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।  এই দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু হলে তা হবে ইরানের জন্য বিরাট এক ধাক্কা। দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন। ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন রাইসি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রেসিডেন্ট রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এ সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তিনি ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা আটকে যায় এবং ২০২২ সালের শেষের দিকে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর দেশটিতে বড় ধরনের প্রতিবাদ হয়। রাইসির সময় ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়েছে, আন্তর্জাতিক পরিদর্শনে বাধা দিয়েছে এবং রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণে সমর্থন দিয়েছে। এ ছাড়া ইরান গাজার সংঘাতে ইসরায়েলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় এবং হিজবুল্লাহ ও হুথি আন্দোলনের মতো গোষ্ঠীগুলিকে অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে।  
১১ ঘণ্টা আগে

‘অস্ট্রেলিয়ার এই দলটা ইতিহাসের সেরাদের কাতারে থাকবে’
এক সময় শেন ওয়ার্ন, গিলক্রিস্ট এবং রিকি পন্টিংদের যুগকেই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের স্বর্ণযুগ ভাবা হতো। তবে দলটা অস্ট্রেলিয়া বলেই হয়তো একেকটি প্রজন্ম যেন ছাড়িয়ে যায় তার আগের প্রজন্মকে। অতীতের মতো বর্তমানেও তিন ফরম্যাটেই অজিদের দাপট চলমান। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে এই শিরোপা জেতে অজিরা। রোহিত শর্মার দলকে টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে ঠেলে বর্তমানে শীর্ষে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফিটাও বর্তমানে আছে স্টার্ক-কামিন্সের দখলে। তাই অস্ট্রেলিয়ার এই বর্তমান টেস্ট দলটাকে সেরাদের কাতারে রেখেছেন অজিদের নিয়মিত ওপেনার উসমান খাজা। আগের দলগুলোর চেয়ে এগিয়ে না রাখলেও অন্তত তাদের সাথে একই কাতারে থাকার যোগ্য বলে মনে করেন খাজা। সম্প্রতি আইসিসির প্রকাশিত এক ভিডিওতে খাজা বলেন, আমি মনে করি, অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান দলটি আগের যেকোনো দলের মতই শক্তিশালী। আপনি আমাদের বোলারদের দিকে দেখুন না। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স এবং নাথান লায়ন এবং এর সাথে ব্যাটিংটাকে মেলান। বিশেষ করে যে দলটা ডেভিড ওয়ার্নার এবং স্টিভেন স্মিথসহ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতল।’ অস্ট্রেলিয়ার আগের দলগুলোকে নিয়ে খাজা বলেন, আমার মনে হয় এই দলটি অন্য যেকোনো দলের মতই শক্তিশালী যেসব দলকে আমি বড় হওয়ার সময় দেখেছি এবং আমি এটি হালকাভাবে বলছি না।  ‘আমি অনেক অস্ট্রেলিয়া দলকে দেখতে দেখতে বড় হয়েছি এবং আমি বলছি না যে, আমরা তাদের কোনো দলের চেয়ে ভালো হয়ে গেছি, কখনোই না। দারুণ ছিল সে দলগুলো বিশেষ করে ২০০০ সালের দিকের শুরুতে। তারা দারুণ কিছু অর্জন করেছিল। তবে এই দলের যে ভারসাম্য আছে, এটি আমার খেলা অন্যতম সেরা দল।’ অজিদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ে বড় অবদান ছিল উসমান খাজার। ২০২১-২৩ চক্রে বাঁহাতি এই ওপেনার করেছেন ১৬২১ রান। গত বছর আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কারটাও জিতেছেন উসমান খাজা। নিজের সাফল্য নিয়ে খাজা বলেন, এটা হয়ত আমার জন্য অন্যতম সেরা সম্মানের বিষয়। এটা শুধু অস্ট্রেলিয়াতে নয়, এটা শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটে নয়, এটা সারা বিশ্বের মধ্যে। যারা আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছে তাদের দিকে যদি তাকান (কুমার) সাঙ্গাকারা, রিকি পন্টিং, স্টিভ স্মিথ ক্রিকেটের কিংবদন্তিরাই জিতেছেন এই পুরস্কার। সেই একই ট্রফি জিততে পারাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও বলেন, আমার ক্যারিয়ারের যেকোনো সময় যদি আপনি আমাকে বলতেন বিশেষ করে দুই বছর আগে; যে আমি আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতব; তাহলে আমি হাসাহাসি করতাম। এটা বিশেষ কিছু। সম্ভবত এটি আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম লালন করা পুরস্কার হতে যাচ্ছে।
১৯ মে ২০২৪, ১৮:৫৯

আকাশে নয়, পানিতেও চলে চীনের এই উড়োজাহাজ
যে প্লেন জল ও স্থল উভয় স্থানেই ওঠানামা করতে পারে সেগুলোকে উভচর উড়োজাহাজ বা অ্যামফিবিয়াস প্লেন বলা হয়। এ খাতসহ প্রযুক্তি খাতে চীনের রয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। এরই ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাওয়া চীন, চমকে দিয়েছে বিশ্বে সবচেয়ে বড় উভচর প্লেন তৈরি করে। ১২ মে রোববার সফলভাবে প্রথম উড্ডয়ন শেষ করেছে এই প্লেন। যদিও উড়োজাহাজ নির্মাণ শিল্পে সামরিক যান তৈরিতেই বেশি পরিচিত তারা। নতুন এ সাফল্য দক্ষিণ চীন সাগরে দেশটির আধিপত্য বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর আইএএনএস-এর। এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অফ চায়নার তৈরি করা এজে ৬০০ মডেলের এই প্লেন প্রথম উড্ডয়ন করা হয় রবিবার। যার ছদ্মনাম বলা হয়েছে ‘কুনলং’। এটি বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলবর্তী শহর ঝুয়াই থেকে আকাশে ওড়ে।   প্লেনটি ইতিমধ্যে তিনটি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। যার প্রথমটি ছিলো রাত্রিকালীন ফ্লাইট। চীনের শানসি প্রদেশের পুচেং কাউন্টির জাতীয় বেসামরিক বিমানের পরীক্ষা-ফ্লাইট বেস থেকে প্রথম ফ্লাইটটি উড্ডয়ন করা হয়। ফ্লাইটটি প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল, যার মধ্যে ধারাবাহিক নয়টি টেকঅফ এবং অবতরণ ছিল। রাতের ফ্লাইট পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো টেকঅফ এবং অবতরণের সময় পাইলটকে যেনো কোন প্রকার অস্বস্তিতে না পরতে হয় সেটি নিশ্চিত করা। অপরদিকে সোমবার দ্বিতীয় দিনের মত পুনরায় জিওয়ান সিভিল এভিয়েশন এয়ারপোর্ট থেকে আকাশে ওড়ে এজি ৬০০ মডেলের এই প্লেন। এদিন দুটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষামূলক ফ্লাইট সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এটি। দুটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ পরীক্ষা ফ্লাইটের মধ্যে রয়েছে একটি এয়ারস্পিড ক্রমাঙ্কন ফ্লাইট এবং অন্যটি বেঞ্চমার্ক স্টল স্পিড ফ্লাইট। যা এই মডেলের বিমানের সক্ষমতা প্রকাশ করে।  এই প্লেনের নকশাকারী হুয়াং লিংচাইয়ের বরাতে চীনা সংবাদ সংস্থা শিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এটির প্রথম সফল উড্ডয়ন চীনকে বড় উভচর প্লেন প্রস্তুতকারী কিছু সংখ্যক দেশের একটিতে পরিণত করেছে। নতুন এই প্লেনে ব্যবহার করা হয়েছে চীনে তৈরি চারটি টারবোপপ ইঞ্জিন। প্লেনের দৈর্ঘ্য রাখা হয়েছে ৩৯.৬ মিটার। আর এর পাখার দৈর্ঘ্য ৩৮.৮ মিটার, জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অফ চায়না। সর্বোচ্চ ৫৩.৫ টন ওজন নিয়ে উড়তে পারবে কুনলং। আর এটির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৫০০ কিলোমিটার। একটানা ১২ ঘণ্টা উড়তে পারা এই বিমানটি তৈরির উদ্দেশ্যে হলো বন অগ্নিনির্বাপণ, মহাসাগর পর্যবেক্ষণ, সমুদ্র উদ্ধার এবং সামুদ্রিক মিশন পরিচালনা।
১৯ মে ২০২৪, ১৩:২৬

১৭ মে : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১৫৪০ - শেরশাহ কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করেন। ১৭৭৫ - ব্রিটিশ ও মারাঠা বাহিনীর মধ্যে আরারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৮৮১ - নিউ টেস্টামেন্টের পরিমার্জিত সংস্করণ ছাড়া হয়। ১৯২০ - বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান কেএলএম চলাচল শুরু করে। ১৯৮১ - শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৯৯ - বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিষেক হয়। জন্ম: ১৮৭৩ - ফরাসি লেখক ও চিন্তাবিদ অঁরি বারব্যুস। ১৮৮৩ - অগ্রগণ্য পারসিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী খুরশেদ ফ্রানজি নরিন। ১৮৯৭ - নোবেল বিজয়ী (১৯৬৯) নরওয়েজীয় ভৌতরসায়নবিদ ওড হাজেল। ১৮৯৭ - বিশিষ্ট গায়িকা সাহানা দেবী। ১৯০০ - আয়াতুল্লা রুহেল্লা খোমিনী, ইরানের ধর্মগুরু। মৃত্যু: ১৭২৭ - রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী প্রথম ক্যাথারিন। ১৯১৩ - দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, বাঙালি কবি, গীতিকার, ও নাট্যকার। ১৯৫৪ - নৃত্যশিল্পী বুলবুল চৌধুরী (রশীদ আহমদ চৌধুরী) ১৯৬৫ - বিশিষ্ট বিপ্লববাদী উল্লাসকর দত্ত।
১৭ মে ২০২৪, ০৬:৪২

১৬ মে : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১৫০২ -  ক্রিস্টোফার কলম্বাস দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ট্রুজিল্লোতে প্রথম পা রাখেন এবং ঐ এলাকার নাম রাখে হন্ডুরাস। ১৫৩২ -  স্যার টমাস মুর পদত্যাগ করেন ইংল্যান্ডের লর্ড চ্যানসেলর পদ থেকে। ১৮২২ -  গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধে তুরষ্ক গৃসের সৌলি শহর দখল করে নেয়। ১৮৭৪ -  মিল নদীর ভয়াবহ বন্যায় ম্যাসাচুসেটসের ৪টি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়ে যায় এবং প্রায় ১৩৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। ১৮৮১ -  বার্লিনের কাছে বিশ্বের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রাম সার্ভিস চালু হয়। ১৮৯০ -  ব্রাহ্ম মহিলা সমাজের উদ্যোগে কলকাতায় ব্রাক্ষবালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৬ -  ফ্রান্স ও বৃটেন সাইকেস পিকো নামে একটি গোপন চুক্তি করেন। ১৯২০ -  ফ্রান্সের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর নারী জোয়ান ডি আর্ক-কে রোমে পোপ পঞ্চদশ বেনেডিক্ট ক্যানোনাইজের মাধ্যমে সেইন্ট হিসেবে ভূষিত করেন। ১৯২৯ -  হলিউডে প্রথম চলচ্চিত্রে একাডেমি পুরস্কার চালু হয়। ১৯৪৫ -  জার্মান নাৎসি বাহিনী অবলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ১৯৪৬ -  ব্রিটিশ কেবিনেট মিশনে ভারত বিভক্তির প্রস্তাব। ১৯৬১ -  জেনারেল পার্ক চুংহির নেতৃত্বে দ. কোরিয়ার সামরিক অভ্যুত্থান। ১৯৬৯ -  সোভিয়েত নভোযান ভেনাস-৫ শুক্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে। ১৯৭৪ -  বাংলাদেশ-ভারত যুক্ত ঘোষণা স্বাক্ষর। বেরুবাড়ি ভারতের এবং দহগ্রাম, আসালং লাঠিটিলা ও পাথুরিয়া বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৭৪ -  জোসিপ টিটো দ্বীতিয়বারের মতো সমাজতান্ত্রিত যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এবার তিনি আজীবনের জন্য ম্যান্ডেট পান। ১৯৭৬ -  মাওলানা হামিদ খান ভাসানী ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক লং মার্চে নেতৃত্ব দেন। ১৯৮৬ -  সৌরজগতের অভ্যন্তরভাগে শেষবারের মত দেখা যায় হ্যালির ধূমকেতু। ১৯৯১ -  ইরানের প্রেসিডেন্ট খাতামির সৌদি সফর। ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো ইরানি প্রেসিডেন্টের সৌদি সফর। ২০০৭ -  নিকোলাই সারকোজি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। জন্ম: ১৮২৩ -  হের্মান স্টাইন্টল, জার্মান ভাষাতাত্ত্বিক ও দার্শনিক এর জন্ম। ১৮৩১ -  বঙ্গ নাট্যালয়-এর প্রতিষ্ঠাতা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের জন্ম। ১৮৩১ -  টেলি প্রিন্টার ও মাইক্রোফোনের উদ্ভাবক ডেভিড এডওয়ার্ড হিউম জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১৮ -  মেক্সিকান কথাসাহিত্যিক হুয়ান রুলফোর জন্ম। ১৯২৩ -  আমেরিকান নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মার্টন মিলারের জন্ম। ১৯৪৭ -  নোবেলজয়ী (১৯২৯) ব্রিটিশ জীবরসায়নবিদ গাউল্যান্ড হপকিনসের মৃত্যু। ১৯৫০ -  নোবেলজয়ী (১৯৮৭) জার্মান বিজ্ঞানী ইয়োহান গেয়র্গ বেডনৎর্সের জন্ম। মৃত্যু: ১৯৩২ -  জাপানের প্রধানমন্ত্রী তসুশি ইনুকাই টোকিওতে আততায়ীর হাতে নিহত। ১৯৭৭ -  মালির প্রথম প্রেসিডেন্ট মোদিবো কেইটা মৃত্যুবরণ করেন।
১৬ মে ২০২৪, ০৬:৩২

কান উৎসবে কে এই অন্তঃসত্ত্বা বাংলাদেশি তারকা
গত কয়েকবারের ন্যায় এবারও চলমান ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশি মেয়ে ও সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আখতার প্রিয়তি। তবে এবারের উপস্থিতিটা তার জন্য থাকছে বিশেষ হয়ে। মা হতে যাচ্ছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রিয়তি গণমাধ্যমকে বলেন, আয়ারল্যান্ডের রিচার্ড হ্যারিস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পক্ষ থেকে এবারও কানে এসেছি। সপ্তাহখানেক থাকব। এরমধ্যে বেশ কিছু ইভেন্ট অংশ নিতে হবে। আজকেই (১৫ মে) লালগালিচায় হাঁটব আমি। তিনি আরও বলেন, আবার মা হতে চলেছি আমি। আশা করছি, আগস্ট মাসেই নতুন অতিথি পৃথিবীর আলো দেখবে। পেটে সন্তান ধারণ করে ফেস্টিভ্যালে অংশ নেওয়ায় এটি আমার জন্য আরও বিশেষ হয়ে গেছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ‘মিস আয়ারল্যান্ড’ নির্বাচিত হন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মডেল, অভিনেত্রী ও পাইলট মাকসুদা আখতার প্রিয়তি। এরপর আন্তর্জাতিক বহু প্রতিযোগিতায় তিনি হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন। পরে ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে পান টপ মডেলের অ্যাওয়ার্ড। ইনটিগ্রিটি ম্যাগাজিন আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বিশ্বের নানা প্রান্তের মডেলরা। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়ে ‘সেরা’র অ্যাওয়ার্ড পান প্রিয়তি। পাশাপাশি আইরিশ চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন তিনি।
১৫ মে ২০২৪, ১৮:১৬

৭০০তম পর্বে ‘এই রাত তোমার আমার’
আরটিভির জনপ্রিয় কালজয়ী গানের বৈঠকি আসর ‘এই রাত তোমার আমার’। ৭০০তম পর্বে পা রেখেছে স্যান্ডালিনা নিবেদিত এই সংগীতানুষ্ঠানটি।  বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে প্রচার করা হবে সংগীতানুষ্ঠানটি। ইফতেখারুল ইসলাম টিটনের গ্রন্থনা ও গবেষণায় এটি প্রযোজনা করেছেন শাহরিয়ার ইসলাম।    জানা গেছে, এই পর্বে গানে গানে শ্রোতা-দর্শকদের মাতাবেন শিল্পী সমরজিৎ রায় ও ঝিলিক। সংগীতানুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় রয়েছেস নিশি শ্রাবণী।  ২০১৭ সালে ২৩ মে প্রচারিত হয় ‘এই রাত তোমার আমার’ সংগীতানুষ্ঠানটির প্রথম পর্ব। শ্রদ্ধেয় শ্যামল মিত্রর সন্তান সৈকত মিত্র ও দেবলীনা সুর ছিলেন প্রথম পর্বের অতিথি।    বর্তমানে ‘ইয়াং স্টার’-এর গায়িকা আনিতা আমীর লামী এবং বাংলার গায়েনের সংগীতশিল্পী নিশি শ্রাবণী এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন।    
১৫ মে ২০২৪, ১৪:১৫

১৫ মে : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ বুধবার, ১৫ মে ২০২৪।এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলি: ১০০৪ - দ্বিতীয় হেনরি ইতালির রাজা হিসেবে অভিষিক্ত। ১৬২৫ - অস্ট্রিয়ায় ১৬ বিদ্রোহী কৃষকের ফাঁসি হয়। ১৭৭৬ - প্রথম বাষ্প চালিত জাহাজ বানানো হয়েছিলো। ১৮১৮ - বাংলা ভাষার প্রথম সংবাদপত্র বেঙ্গল গেজেট প্রকাশিত হয়। ১৯৫১ - দৈনিক সংবাদ-এর আত্মপ্রকাশ। ১৯৫৪ - আদমজি মিলে বাঙালি-অবাঙালি দাঙ্গা। সরকারি হিসাবে নিহত ৪০০, বেসরকারি মতে ৬০০। ১৯৬০ - কঙ্গো প্রজাতন্ত্র স্বাধীন হয়। ১৯৮৮ - আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহার শুরু। জন্ম: ১৫৬৫ - ক্লডিও মন্টেভার্ডি, ইতালীয় গীতিকার। ১৬০৮ - রেনে গোপিল, ফরাসি ক্যাথলিক মিশনারি। ১৭২০ - ম্যাক্সিমিলিয়ান হেল, স্লোভাকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী। ১৭৭৩ - রাজপুত্র ক্লেমেন্স ভেনজেল ভন মেটারনিখ, অস্ট্রিয়ান কূটনীতিক। ১৭৮৬ - জেনারেল ডিমিট্রিস প্লাপাউটিস, গ্রিসের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান বিপ্লবী সেনানায়ক। ১৮১৭ - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভারতের ধর্মীয় সংস্কারক; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা। ১৮৪৮ - ভিক্টর ভাসনেতসভ, রুশ চিত্রশিল্পী। ১৮৫৬ - এল ফ্রাঙ্ক বাম, মার্কিন লেখক। ১৮৫৭ - উইলিয়ামিনা ফ্লেমিং, স্কটল্যান্ডীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী। ১৮৫৯ - পিয়েরে কুরি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী। ১৮৬২ - আর্থার শ্নিজলার, অস্ট্রীয় নাট্যকার। ১৮৯০ - ক্যাথেরিন অ্যান পোর্টার, মার্কিন লেখক। ১৮৯১ - মিখাইল বুলগাকভ, রুশ লেখক। ১৮৯২ - জিমি ওয়াইল্ড, মুষ্টিযোদ্ধা । ১৮৯৫ - প্রেসকট বুশ, মার্কিন সিনেটর এবং জর্জ ডব্লিউ বুশের পিতামহ। ১৮৯৫ - উইলিয়াম ডি বায়রন, মার্কিন কংগ্রেসম্যান। ১৮৯৮ - আর্লেট্টি ফরাসি মডেল এবং অভিনয়শিল্পী। ১৮৯৯ - জিন ইটিন্নি ভ্যালুই, ফরাসি জেনারেল। ১৯০২ - রিচার্ড ডি ডেলেই, শিকাগোর মেয়র। ১৯০৩ - মারিয়া রাইখ, জার্মান বংশোদ্ভূত গণিতবিদ এবং প্রত্নতত্ত্ববিদ। ১৯০৫ - জোসেফ কটেন, মার্কিন অভিনেতা। ১৯০৭ - সুখদেব থাপার, ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা। ১৯০৯ - জেমস মেসন, ইংরেজ অভিনেতা। ১৯৩৫ - টেড ডেক্সটার, বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার। ১৯৮১ - প্যাট্রিস এভরা, ফরাসি-সেনেগালীয় আন্তর্জাতিক ফুটবলার। মৃত্যু: ১১৫৭ - রুশ যুবরাজ ইউরি ডলগোরুক। ১৮৮৬ - মার্কিন নারী কবি এমিলি ডিকিনসন। ১৯৯৪ - সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক আবদুল আহাদ।
১৫ মে ২০২৪, ০৬:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়