• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
২২ বছর পর হত্যা মামলার রায়, ১৯ আসামিকে যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় প্রায় ২২ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামে। এদের মধ্যে দু’জন পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার হরেনদা গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে আলম, আব্দুস সাত্তারের ছেলে দোলা, ওসমান, কোরমান, আব্দুল গফুরের ছেলে আজাদুল, খলিল আকন্দের ছেলে লাবু, বাবু, আমিনুর, বিরাজ উদ্দিনের ছেলে ফারাজ মণ্ডল, সুন্নত আলীর ছেলে শুকটু, মৃত নায়েব আলীর ছেলে উকিল, ভরসা আকন্দের ছেলে দুলাল, আলতাফ আলীর ছেলে আলিম, নজরুল, আব্দুল গফুরের ছেলে সাইদুল, ভরসা আকন্দের ছেলে সানোয়ার, আব্দুস সাত্তার প্রধানের ছেলে সাইফুল, কফিল উদ্দিনের ছেলে কালাম এবং সোলেমান আকন্দের ছেলে জহুরুল। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানকে ধানের জমি থেকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামি আলমের বাড়িতে ধরে নিয়ে যায় অন্যান্য আসামিরা। এরপর সেখানে আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে পা দিয়ে বুকে ও পেটে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জয়পুরহাট জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের রায় দীর্ঘ ২২ বছর পর বিজ্ঞ আদালত দিয়েছেন। এই রায়ে সরকার পক্ষে আমরা খুশি। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও উদয় সিংহ। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, শাহজালাল সিদ্দিকী ও সোহেলী পারভীন সাথী।  
৯ ঘণ্টা আগে

৩২ মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে হত্যা ও অস্ত্রসহ ৩২ মামলার আসামি রমজান আলীকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে শহরের রেলগেট কলাবাগান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রমজান শহরের রেলগেট পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা ফয়েজ শেখের ছেলে। জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে যশোর শহরের রেলগেট কলাবাগান এলাকায় রমজান শেখকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান, রমজানের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্ত্রী পপি খাতুন বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী পিচ্চি রাজা বিভিন্ন স্থানে অপকর্ম করে এসে তার স্বামীর কাছে শেল্টার নিতেন। বর্তমানে পিচ্চি রাজা পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে ছিলেন। তার স্বামী পিচ্চি রাজাকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে পারেন আশঙ্কা থেকে হত্যা করা হয়েছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, যশোর শহরের রেলগেট এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী রমজান আলীকে অজ্ঞাতনামা আসামিরা কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। আমরা ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে। থানার রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে রমজান আলীর বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্রসহ ৩২টি মামলা রয়েছে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:০১

হত্যা মামলার আসামিকে শিশু প্রমাণের পায়তারা
ফেনীতে হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা ১৯ বছর বয়সী এক আসামিকে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে শিশু প্রমাণের পায়তারা করা হচ্ছে। ওই আসামির নাম শুভ, সে ফেনী জেলার সদর উপজেলার মাথিয়ারা এলাকার সেলিমের ছেলে। সম্প্রতি দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের বারাহিগুনী এলাকায় প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী মমতাজ বেগম পারুলকে (৫৬) পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শুভ ২০১৬ সালে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী এলাকায় জামাল একাডেমী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাশ করে। এরপর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে বিদ্যালয় থেকে তাকে দেয়া প্রত্যয়নপত্রে জন্মতারিখ ২১.০৪.২০০৪ইং উল্লেখ করা হয়। ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারিতে ভর্তি হওয়ার পর পাঁচগাছিয়া এ জেড খাঁন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের রেজিষ্ট্রারেও তার জন্মতারিখ ২১.০৪.২০০৪ইং লিপিবদ্ধ রয়েছে। অথচ, গত ডিসেম্বরে মমতাজ বেগম পারুল হত্যাকান্ডে তার সংশ্লিষ্টতার পর তার জন্মতারিখ পরিবর্তন করা হয়। পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইস্যু হওয়া নতুন জন্মনিবন্ধনে তার জন্মতারিখ ২১.০৪.২০০৬ইং দেখানো হয়েছে। অপর একটি সূত্র জানায়, নতুন জন্মনিবন্ধন উপস্থাপন করে গত মঙ্গলবার আদালতে শুভ'র জামিন আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট অপরাজিতা দাস ওই আবেদন না মঞ্জুর করেন। এর আগে বারাহিগুনী দরবার শরীফ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষ্মীপুর জেলার টুমচর গ্রামের মাঈন উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেনের দেয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী শুভকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৭ ডিসেম্বর (সোমবার) জবানবন্দিতে দস্যুতার ঘটনায় বাধা দেয়ায় শুভ ছাড়াও ফিরোজ নামে আরও একজন ওই হত্যাকান্ড ঘটায় বলে মোবারক উল্লেখ করে। মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু জানান, আদালতের অনুগ্রহ পেতে আসামি শুভকে শিশু প্রমাণ করতে তার বয়স কমানো হয়েছে। বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা থানার ওসি (তদন্ত) মো. রাসেল মিয়া জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। জন্মতারিখ বিতর্কের বিষয়টি আদালতে প্রমাণসাপেক্ষ বিষয়। প্রসঙ্গত, ১৩ ডিসেম্বর রাতে পারুলকে নিজ ঘরে ঢুকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর ঘরের আলমারি, শোকজ এবং ওয়ারড্রপ ভেঙ্গে স্বর্নালংকার এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত পারেুলের ছোট ছেলে মাহমুদুল হাসান তন্ময় বাদি হয়ে দাগনভূঞা থানায় মামলা  দায়ের করেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৪

জাজিরায় হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
শরীয়তপুরের জাজিরায় দাউদ খান (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশ। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। নিহত দাউদ খান একই এলাকার মৃত ইসমাইল খানের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে সংঘটিত মেছের আলী মুন্সি কান্দি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি ছিলেন দাউদ খান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জামিনে ছিলেন। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় একই এলাকার মুজাম্মেল মাদবর (৪৫) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। নাওডোবা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি সকালে শুনেছি। পদ্মা দক্ষিণ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ইয়াকুব আলী বলেন, দাউদ খানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। তার পরিবারের লোকজন ঢাকায় থাকে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়