• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৪ দফা দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন
চার দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়ন। রবিবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে পাবনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের দাবি গুলো হলো- বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোন শুল্ক ছিল না, তাই আগামী বাজেটে বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার করা, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, বিদেশী কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ এবং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করা। মানববন্ধনে বিড়ি শ্রমিকরা বলেন, বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই শিল্পের দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল। তিনি এই শ্রমঘন শিল্পটি শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। পাবনা অঞ্চলসহ সারাদেশের ১৮ লক্ষ হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিড়ি শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবের জন্য এবং তাদের কর্ম রক্ষার্থে সংসদের বাজেট বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেছিলেন, বিড়ি উপর কর কমিয়ে সিগারেটের উপর একটু বেশি কর বাড়িয়ে দিতে হবে। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর সময়ের মত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও বিড়ি শিল্পের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করার আহবান জানাচ্ছি। একইসাথে বিড়ি দেশীয় শ্রমিক নির্ভর শিল্প হিসেবে এই শিল্পের উপর থেকে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি। শ্রমিকরা আরো বলেন, বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানি ও দেশের কিছু এনজিও এই শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে। সুতরাং দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে এই দেশে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। এছাড়া বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে। পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাভলু, আনোয়ার হোসেন, রাণী খাতুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আলম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক দুলাল মোল্ল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল শেখ, কোষাধ্যক্ষ টোকন রায়, শ্রম সম্পাদক চামেলি খাতুনসহ অনেকে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৬

হাওরের পাকা ধান নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক, শ্রমিক সংকট
সুনামগঞ্জের হাওরে হাওরে পাকা ও আধপাকা ধান ঢেউ তুলছে। সুন্দর এই দৃশ্য মনে দোলা দিলেও জলাবদ্ধতা আর পাহাড়ি ঢলের শঙ্কা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে হাওরের কৃষকদের। মঙ্গলবার রাতে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টিতে দিরাই উপজেলার কালিয়াকুটা হাওরের পূর্ব অংশে প্রায় ২০০ হেক্টর বোরো জমির ফসল  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কাইমা, মধুপুর, বেগমপুর, আনোয়ারপুর, গচিয়া ও খেজাউড়া গ্রামের সহস্রাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জলাবদ্ধতা আর শিলাবৃষ্টির শঙ্কার মধ্যে আগেভাগেই জেলার বিভিন্ন হাওরে ধান কাটছেন কৃষক। তবে হাওরের বেশির ভাগ জমির ফসল কাঁচা অবস্থায় থাকায় বিপাকে তারা। অন্যদিকে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ি ঢল, বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির কারণে হাওরে পর্যাপ্ত ধানকাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বিগত সময়ে বাইরের জেলা থেকে অস্থায়ীভাবে বিপুলসংখ্যক খেতমজুর এলেও এবার তার বিপরীত। কম্বাইন হার্ভেস্টর ও ধানকাটার আধুনিক মেশিন প্রচলনে সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটায় মুনাফা কম পাওয়া শ্রমিকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। ফলে ধান কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে হাওরের পাকা ধান দ্রুত কাটতে ভর্তুকিমূল্যে জেলার ১২ উপজেলার সাড়ে ৮০০ কম্বাইন হার্ভেস্টর মেশিন কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তবে হার্ভেস্টর মেশিন হাওরের উঁচু এলাকার ধান কাটতে সহায়ক হলেও তুলনামূলক নিচু উর্বর জমির ধান কাটতে না-পারায় বিপাকে কৃষক। তাই সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটতে শ্রমিকদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে কৃষকদের। পর্যাপ্ত শ্রমিক না পাওয়ায় হাওরের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। শান্তিগঞ্জ উপজেলায় খাই হাওরের কৃষক সিজাউল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর সিলেটের কানাইঘাট এলাকা থেকে ধানকাটা শ্রমিক আসেন। এবারও ১০ জন শ্রমিক আসার কথা ছিল। গতকাল ফোন দিয়ে তারা আসবে না বলে জানিয়েছেন। এখন হাওরের ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় আছি। কীভাবে এত ধান কাটব। সদর উপজেলার কৃষক রহমত মিয়া বলেন, হার্ভেস্টর মেশিন পানিতে বা নরম জমিতে ধান কাটতে পারে না। তাই নিচু এলাকায় জমির ধান কাটার জন্য শ্রমিকের ওপর নির্ভর করতে হয়। এখন আগের মতো শ্রমিক পাওয়া যায় না। আকাশের অবস্থাও ভালো না। কবে কী হয়, বলা যায় না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজার শ্রমিক সুনামগঞ্জে ধান কাটতে এসেছেন। জেলায় ২ লাখ শ্রমিক রয়েছে। তাছাড়া অস্থায়ী ভিত্তিতে আরও ৩০ হাজার অনিয়মিত শ্রমিক ধান কাটার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। একই তথ্য জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, এবার হাওরে শ্রমিক সংকট দেখা দেবে না। বুধবার পর্যন্ত জেলায় ৪০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা হয়েছে। প্রতিদিন ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৬

ময়মনসিংহে ছুরিকাঘাতে শ্রমিক খুন
ময়মনসিংহ নগরীতে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে মো. সামিউল সামি নামে এক শ্রমিক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ‍্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টার দিকে নগরীর কলেজ রোড মীরবাড়ী রেললাইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর সামি কমিউনিটি সেন্টারের অনিয়মত খাবার পরিবেশক শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার পারিবারিক পরিচয় জানা যায়নি।  ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন।  তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় কথা কাটাকাটির জের ধরে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন‍্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘লাশ ঘরে’ নেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে এই খুনের মূল কারণ অনুসন্ধানে পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়াও ঘটনার নেপথ্যে মাদক সম্পৃক্ততা বা অন‍্য কোন বিষয় আছে কিনা- তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।     এ দিকে খুনের ঘটনায় কলেজ রোড মীরবাড়ী রেললাইন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৬

পরিবহন শ্রমিক : আমাদের ক্ষোভ বনাম বাস্তবতা
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। এই উৎসবের আমেজ এখন সর্বজনীন। ঈদের এই আনন্দের শুরুটা হয় প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপনে বাড়ির পথে যাত্রা করার সময় থেকে। আমাদের এই ঈদযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ গণপরিবহনের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপাররা। আর তাদের রক্তে রঞ্জিত হল কিনা আমাদেরই হাত! গণমাধ্যমে খবর, বাড়তি ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির জেরে যাত্রীদের বেধড়ক পিটুনিতে ইতিহাস পরিবহনের বাসচালক ও সুপারভাইজর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে আশুলিয়ার ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ (ডিইপিজেড) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যাত্রীরা এমন বর্বর হতে পারে, ভাবা যায়?  এ ঘটনায় যথারীতি দুটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে: ১. পরিবহন খাত কতটা নিয়ন্ত্রণহীন হলে যাত্রী-শ্রমিকের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে? এভাবে ভাবতে গেলে অবশ্য যাত্রী কর্তৃক পরিবহন শ্রমিক হত্যার বিষয়টি হালকা হয়ে যায়। ২. বেশি ভাড়া চাইলেই মেরে ফেলতে হবে? হামলা করতে হবে? উত্তর অবশ্যই না। এসব প্রশ্নের উত্তর ভাবতে ভাবতে এবার কিছু বিষয়ে আলোকপাত করা যাক। পরিবহন শ্রমিকরা বাড়তি ভাড়া চাওয়াটা আইনত বৈধ না হলেও কোন যুক্তিতে আসলে তারা এটা দাবি করছে? এটার প্রয়োজনীয়তা কোথায়? সহজ করে যদি ভাবি, তাতে কিছু ব্যাপার উঠে আসে। আপনার আমার যেমন ঈদ আনন্দ আছে, তাদেরও তা আছে। আর প্রিয়জনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য এই সময়ে আমাদের যে বাড়তি খরচ রয়েছে, পরিবহন শ্রমিকরা নিশ্চয়ই এর বাইরে নয়। এখন আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন, তবে এই মাসে বাড়তি বিক্রি কিংবা মুনাফা থেকে রমজান-ঈদের বাড়তি খরচ মেটাতে পারবেন। সবথেকে বড় কথা আপনি ব্যবসায়ী হিসেবে খুব সহজে এসব খরচের যোগান দিতে পারেন। আর চাকরিজীবীদের জন্য বেতনের সাথে বোনাস তো আছেই। দেশে বর্তমানে অর্ধ কোটিরও বেশি গণপরিবহন শ্রমিক রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে যাদের বাড়তি কোনো আয়ের নিয়মতান্ত্রিক কোনো সুযোগ নেই। দৈনিক যে মজুরি, সেটাও চলার জন্য যথেষ্ট নয়।  বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্যমতে, দেশে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধিত মোটরযান ৫৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৪১টি। এ সংখ্যা থেকে ব্যক্তিগত শ্রেণির ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৪টি গাড়ি বাদ দিলে আর থাকে ৫৪ লাখ ৩০৭টি। এর মধ্যে বাস ৫৪ হাজার ১৫৮টি, কাভার্ডভ্যান ৪৭ হাজার ৬৪টি, মাইক্রোবাস ১ লাখ ২০ হাজার ৯৩টি, মিনিবাস ২৮ হাজার ৩০৯টি, হিউম্যান হলার ১৭ হাজার ৩৮৭ এবং মোটরসাইকেল আছে ৪২ লাখ ৬৯ হাজার ৪৩০টি। ১৯৮৩ সালের মোটরযান অধ্যাদেশ, ২০০৬ সালের শ্রম আইন এবং সর্বশেষ সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী নিয়োগপত্র, বেতন, মজুরি, বোনাস, ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি অতিপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ থাকলেও বেশিরভাগ বেসরকারি পরিবহন মালিক অতি মুনাফার লোভে চালক-শ্রমিকদের এসব বিষয় নিশ্চিত করেন না। অর্থাৎ আইন থাকলেও রাষ্ট্রীয় তদারকি অভাবে তার বাস্তবায়ন নাই। অন্যদিকে কল্যাণ তহবিলের নামে শ্রমিকদের কাছ থেকে শ্রমিক সংগঠন নিয়মিত যে চাঁদা নেয় তা থেকেও দুর্দিনে তেমন কোনো সাহায্য পান না তারা। তাই কোনো দিন গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকলে শ্রমিকদের কাটাতে হয় মানবেতর জীবনযাপন। অনেকটা দিনে এনে দিনে খাওয়ার মত সাদামাটা জীবন। মোদ্দাকথা মালিক, শ্রমিক সংগঠন ও সরকার সব পক্ষেরই উদাসীনতার বলি দেশের অন্যতম বৃহৎ এ খাতের শ্রমিকেরা।  সাপ্তাহিক কিংবা সরকারি ছুটির দিন, আমাদের জীবনে সব থাকলেও এ খাতের মানুষগুলো কখনো সেসব ছুটির স্বাদ নিতে পারেন না। আমাদের গতিময় জীবনকে নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য বছরের প্রতিটা দিন নিরাপদ কোনো ভবিষ্যৎ না থাকা সত্ত্বেও তারা শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। বিরামহীন ঘাম ঝরিয়ে যাওয়া এই মানুষগুলোরও ইচ্ছে হয়, এই ঈদে প্রিয়মুখে হাসি ফোঁটাতে, প্রিয়জনদের সাথে ঈদ কাটাতে। আমাদের মত ঘরে থেকে পরিবার, স্বজন কিংবা বন্ধুদের সাথে ঈদ উদযাপনের সুযোগ যদিও তাদের নেই। এতে যে আমাদের ঈদযাত্রা, ছুটিতে ঘুরাঘুরি বন্ধ হয়ে যাবে! নিজেদের ঈদ আনন্দ বিসর্জন দেওয়ার বিনিময়ে এই মানুষগুলো শুধু চেয়েছে বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানদের চেহারায় ঈদ আনন্দ দেখতে। যৎসামান্য ঈদ উপহার পরিবারের সদস্যদের দিতে। আর এটা নিশ্চিত করতে বাড়তি যে অর্থের প্রয়োজন সেটার যোগান আসলে কোথায়? না পাচ্ছে বিধিসম্মত কোন বেতন-বোনাস, না আমরা দিচ্ছি কোন বকশিস? তাই হয়তো কিছু টাকা বাড়তি নেয় ভাড়া হিসেবে। তাতে যদি ঈদ আনন্দটা পাওয়া যায়। সেটা অবশ্য বছরের পর বছর ধরে আমরা দিয়ে আসছি। যদিও তাদের চাওয়ার ধরন খুব একটা সুন্দর না। এটাকে আবদারের চেয়ে অধিকার হিসেবে দেখিয়ে ফেলে। এটাও তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। প্রয়োজন আছে বলেই যে যাত্রীদের কাছ থেকে গলাকাটা ভাড়া আদায় করবে সেটা কখনো কাম্য নয়। ঠিক এ জায়গায় আমরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠি, অপরাধ জেনেও তাদের গায়ে হাত তুলছি।   আচ্ছা, আমরা কি কখনো ভেবেছি, পরিবহন শ্রমিকদের ত্যাগ, বঞ্চনার কথা। অনেক না পাওয়ার জীবনে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি টাকা আদায়ের পেছনের কথা। হয়তো ভাবি না। আমরা শুধু খিটখিটে মেজাজের পরিবহন শ্রমিকদের রূঢ় আচরণটাই দেখি। আমাদের চোখে এরা আজন্ম লোভী, শিষ্টতাহীন, অশিক্ষিত এক শ্রেণি, তাইতো? লোভ, শিষ্টাচারের আর শিক্ষার কথাই যেহেতু এসেছে তাহলে বলুন, দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী বড় পদের বড়কর্তারা কি লোভহীন? তবে হাজার কোটি টাকা যায় কোথায়? যখন সেবা প্রত্যাশী হিসেবে তাদের কাছে যান তখন কতটাই বা শিষ্টাচার উনারা প্রদর্শন করেন? এখানেই আমরা চুপ, নীরবে মেনে নিই সব। যত প্রতিবাদ আর ক্ষোভ এসব দুর্বল, কম শিক্ষিত মানুষগুলোর উপর। তাদের কাছ থেকে সুন্দর আচরণ প্রত্যাশার আগে কখনো ভেবে দেখি না যে, হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষগুলোর বিদ্যার দৌড়ই বা কতটুকু? যেখানে শিক্ষিত বড় কর্তাদের উচ্চতর ডিগ্রি, বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ থাকার পরও সদয় আচরণ অনিশ্চিত, সেখানে লেখাপড়া না জানা, ন্যূনতম প্রশিক্ষণ না পাওয়া এই পরিবহন শ্রমিকদের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত ব্যবহার আশা করা কতটা সমীচীন? আর আমরা নিজেরাই বা তাদের প্রতি কতটা সম্মান দেখাই? সর্বশেষ কবে তাদেরকে ‘আপনি’ সম্বোধন করেছি তা মনে আছে? কখনো তাদের জিজ্ঞেস করেছি, ‘শুভ সকাল! কেমন আছেন?’ এসব আমরা ভাবতেও পারি না। সবমিলিয়ে আস্থা আর সম্মানের জায়গায় বিশাল পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে সহজে অনুমেয়, উভয় পক্ষের মনে এ ক্ষোভের জন্ম একদিনে হয়নি। দিনে হাড়ভাঙা পরিশ্রম আর রাতের বেলা বাসের করিডোর কিংবা ছাদে মশার কামড়ে ঘুমানো। ভাসমান এ জীবন যাদের তাদের জন্য এগিয়ে আসতে হবে রাষ্ট্রকে। পরিবহন খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে শুধুমাত্র দুর্ঘটনা রোধে আইন করে চালক-সহকারীর শাস্তি নিশ্চিত করলেই হবে না। সেইসাথে প্রয়োজন তাদের জীবনমান উন্নয়নে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যার অংশ হিসেবে শ্রমিকদের যথাযথ মজুরি, বোনাস, চিকিৎসাভাতা, ইনসুরেন্সের, প্রভিডেন্ট ফান্ড ইত্যাদি নিশ্চিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নজরদারি ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাতে মালিকপক্ষ ও সরকার উভয় পক্ষের ভূমিকা থাকবে। অর্থের যোগান মালিকপক্ষ দিবে, আর পৃষ্ঠপোষকতা থাকবে সরকারের। এর পাশাপাশি যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পরিবহন পরিচালনায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীদের সাথে সুন্দর আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। এই ব্যাপারে যাত্রীদেরও সচেতন করার কর্মসূচি হাতে নেওয়া যেতে পারে। সবমিলিয়ে বলা যায়, রাষ্ট্রপক্ষ সরব হলে মালিকপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোও তাদের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসবে। তাতে যাত্রী-শ্রমিক অসন্তুষ্টি দূর হয়ে পরিবহন খাতে সত্যিকারের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে। সৃষ্টি হবে ন্যায্য ভাড়া আদান-প্রদানের পরিবেশ।  লেখক : বিভাগীয় প্রধান, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
১০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৮

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিরা শুধু শ্রমিক নয়, দক্ষ পেশাজীবীও : হাইকমিশনার
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিরা শুধু শ্রমিক নয় বরং তারা দক্ষ পেশাজীবী হয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামিম আহসান। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মালয়েশিয়া প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে ইফতার ও মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন। এ সময় প্রবাসী ও দেশের স্বার্থে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বেশি গুরুত্ব দিতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান তিনি। রাজধানী কুয়ালালামপুরে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ সেন্টারের বলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার বলেন, প্রবাসে হাইকমিশন সবার আস্থার জায়গা, আমরা প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানে সার্বক্ষণিক কাজ করছি। এরপরও কোনো অভিযোগ থাকলে হাইকমিশনকে অবহিত করার পরামর্শ দেন বর্ষীয়ান এ কূটনীতিক। এ সময় শুধু শ্রমিক নয়, মালয়েশিয়ায় বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রকৌশলী, আইটি এমনকি গবেষক হিসাবেও কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ ছাড়া অধ্যায়নে বিদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ বাংলাদেশ থেকে বলেও জানান হাইকমিশনার। আরটিভির মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মোস্তফা ইমরান রাজুর সঞ্চালনায় প্রবাসী সাংবাদিকদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক শেখ আহমাদুল কবির। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রবাসে দেশের সম্মান সমুজ্জল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে প্রবাসী সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনার গল্প উঠে আসে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় প্রবাসীদের জন্য সেবার মান বাড়ানোয় হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি। অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট কবে চালু হবে এ বিষয়ে হাইকমিশনারকে সাংবাদিকরা অবহিত করলে, হাইকমিশনার ঈদের পরপরই মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, ডিফেন্স উইং কমোডর মো. হাসান তারিক মন্ডল, কাউন্সির (শ্রম) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, প্রথম সচিব (শ্রম) এ এস এম জাহিদুর রহমান, প্রথম সচিব (প্রেস) সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ উপস্থিত ছিলেন। প্রবাসী সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাইটিভি ও বিজয় টিভি প্রতিনিধি আশরাফুল মামুন, এনটিভি প্রতিনিধি কায়সার হামিদ হান্নান, এশিয়া টিভি ও বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম হিরন, ডিবিসি টিভি প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি, একুশে টিভি প্রতিনিধি শেখ আরিফুজ্জামান, মানব জমিন প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম, ওআইসি টুডে প্রতিনিধি সাঈদ হক, এসএটিভি প্রতিনিধি বাপ্পি কুমার দাস, দ্য নিউজ প্রতিনিধি শওকত হোসেন জনি, কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি ইমরান হাসান ও সকল খবরের প্রধান সম্পাদক, আরজি উলফি মিথুন। এ সময় পবিত্র মাহে রমজানে দেশ ও প্রবাসে থাকা সকলের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৬

নড়াইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত
নড়াইলের কালিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাচ্চু শেখ (৩৮) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াগ্ৰামে এ ঘটনা ঘটেছে।  এ সময়ে মাহাবুর শেখ (৪০) নামের অপর এক  শ্রমিক আহত হয়েছেন। নিহত বাচ্চু শেখ কালিয়া পৌরসভার মির্জাপুর গ্রামের ম‌ৃত সাহেব শেখের ছেলে। আহত মাহবুর শেখ একই পৌরসভার বেন্দারচর গ্রামের মৃত সোনা শেখের ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নওয়াগ্রামের নজির ফকিরের বাড়িতে রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করছিলেন বাচ্চু ও মাহাবুর শেখ। আজ সকালে ছাদে রড উঠানোর সময় অসাবধানতাবশত রড বিদ্যুতের তারের সঙ্গে জড়িয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়েন তারা। স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাচ্চু শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মাহাবুর শেখ কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৫

চোরাই কয়লা আনতে গিয়ে পাথরচাপায় ২ শ্রমিক নিহত
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তে অবৈধভাবে ভারত থেকে চোরাইপথে কয়লা আনতে গিয়ে পাথরচাপা পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন এক শ্রমিক। সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাতে তাহিরপুরের টেকেরঘাট সীমান্ত এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।  নিহত শ্রমিকরা হলেন, উপজেলার শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লাকমা গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে খায়রুল ইসলাম (২৪), একই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে মুখলেস মিয়া (২৫)। গুরুতর আহত অপর শ্রমিকের নাম তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।  স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে ১০-১২ জনের একটি শ্রমিক দল টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে ভারত থেকে কয়লা আনতে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রমিকরা কয়লার গর্তের মধ্যে প্রবেশ করলে হঠাৎ পাথরচাপায় গর্তের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। পরে অক্সিজেনের অভাবে তিনজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে হয়ে পড়েন। এ সময় সঙ্গে থাকা অপর শ্রমিকরা গর্তের ভেতর থেকে তিনজনকে টেনে বের করলেও দুজন অক্সিজেনের অভাবে ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং অপর আহত একজন শ্রমিককে মুমূর্ষু অবস্থায় বাংলাদেশে নিয়ে এসে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিজিবির টেকেরঘাট ক্যাম্প কমান্ডার সাইদুর রহমান বলেন, শ্রমিকরা কোন দিক দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল জানি না। আমরা দিনরাত সীমান্তে টহল দিচ্ছি। শুনেছি কয়লা আনতে গিয়ে দুজন মারা গেছেন।  তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, রাতের আঁধারে ভারত থেকে অবৈধভাবে কয়লা আনতে গিয়ে পাথরচাপায় ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:০৩

বাংলাদেশি শ্রমিক সংকটে দুশ্চিন্তায় মালয়েশিয়ার চাষিরা
অপ্রত্যাশিত বিদেশি শ্রমিক সংকটে আগামী কয়েক মাসে সবজি চাষ কমিয়ে আনার চিন্তা করছে মালয়েশিয়ার ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের সবজি খামারিরা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) ক্যামেরুন হাইল্যান্ড মালয় ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দাতুক সৈয়দ আবদুল রহমানের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মালয়েশিয়ার নিউ স্ট্রিট টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের বিদেশি শ্রমিকদের কোটা বাতিল করার পদক্ষেপ চলতি বছরের মে বা জুন থেকে দেশটির অর্থনীতিতে একটি বড় প্রভাব পড়বে। ক্যামেরুন হাইল্যান্ডসে প্রায় ৬০০০ জন ভাড়া করা বিদেশি শ্রমিক ছিল। এপ্রিল শুরুর আগেই বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার বেশির ভাগ শ্রমিক ঈদে তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছে। যেসব শ্রমিক ১০ বছর খামারে কাজ করছেন তাদের অধিকাংশের ওয়ার্ক পারমিট আর রিনিউ হবে না। যাদের বৈধ পারমিট আছে তারা এখনও ১০ বছর কাজ করতে পারবেন কিন্তু ঈদের পরে মালয়েশিয়ায় না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা, যা খুবই খুবই হতাশাজনক। এতে বলা হয়েছে, দেশটির পাইকারি বাজারের জন্য দৈনিক ১০০০ টন সবজি উৎপাদন করে ক্যামেরুন হাইল্যান্ড। কিন্তু শ্রমিকের ঘাটতি এ উৎপাদনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। খামারিরা বলেন, শ্রমিকের অভাবে অল্প জমি চাষ করবেন তারা। যদি একজন খামারির ১.৬ হেক্টর জমি থাকে, তবে তিনি ০.৮ হেক্টর চাষ করবেন। ফেডারেশন অব ভেজিটেবল ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন অব মালয়েশিয়ার চেয়ারম্যান লিম সের কুই বলেন, বিদেশি শ্রমিক কোটা বাতিল করায় বাজারে সবজির দাম বাড়বে। সৈয়দ আব্দুল রহমান বলেন, বিদেশি শ্রমিকের অভাব এবং পরবর্তীতে উৎপাদনে হ্রাস সরকারকে দাম স্থিতিশীল করতে বাইরে থেকে সবজি আমদানি করতে হবে। কর্মীর অভাব রোধে দেশটির সবজি অ্যাসোসিয়েশন সরকারের কাছে বিদেশি শ্রমিকদের আনার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার চিঠি দিয়েছে।  
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৭

আমিরাতের সব ট্রেডে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার আহ্বান
বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের সব ট্রেডে পুনরায় ভিসা চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে দুবাইয়ে আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী আব্দুল রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদির মধ্যে আমিরাতে বাংলাদেশি স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদ, কৃষক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সব অঙ্গনে আরও বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেন দুই মন্ত্রী।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান আমিরাতের সব ট্রেডে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য পুনরায় ভিসা চালু করা, ভিসা পদ্ধতি সহজ করা এবং এক নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অন্য নিয়োগকর্তার কাছে ওয়ার্ক পারমিট স্থানান্তর সহজীকরণের অনুরোধ জানান। এ সময় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে কোনো বাধা নেই জানিয়ে আমিরাতের মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার প্রযুক্তিচালিত চাকরির বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে দক্ষ কর্মী নিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে। তিনি আমিরাতে কর্মী নিয়োগ ও ব্যবস্থাপনার জন্য এআই এবং এ সম্পর্কিত সফ্টওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত করেন এবং চাকরি প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই পদ্ধতি তুলে ধরেন।  এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান আমিরাতগামী কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া নানান উদ্যোগ সম্পর্কে জানান এবং সেখানকার চাকরির বাজারের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশি কর্মীদের প্রস্তুত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাষা প্রশিক্ষক নিয়োগের কথা জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, দুবাইয়ে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া শাখার মহাপরিচালক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৭

মাটি খুঁড়তে গিয়ে চাপা পড়ে শ্রমিক নিহত
রংপুরের পীরগাছায় সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খোঁড়ার সময় ধসে সাইফুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের মাস্টার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম একই উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের কানিপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মাস্টার পাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের বাড়িতে সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খুঁড়তে পাঁচজন শ্রমিক কাজ করছিলেন। প্রায় ২০ ফিট খননের পর আকস্মিক বালু ধসে সাইফুল ইসলাম নিচে চাপা পড়েন। বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে তারা এসে দীর্ঘসময় চেষ্টা করেও সাইফুলকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেনি। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় স্কেভেটর দিয়ে মাটি সরিয়ে সাইফুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, বালু ভরাট করা একটি জায়গায় সেপটিক ট্যাংকের গর্ত খোঁড়ার সময় ধসে যায়। এতে চাপা পড়ে সাইফুলের মৃত্যু হয়। পীরগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশান্ত কুমার সরকার জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়