• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাছ কেটে জীবন চলে তাদের
পায়ে বটি রেখে কাঠের ওপর সারাক্ষণ মাছ কাটেন। এই মাছ কাটতেই দিন শুরু হয়, মাছ কাটতে কাটতেই দিন কাটে। অন্যের মাছ কাটা পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন এই শ্রমজীবীরা। যদিও এ পেশায় আসার পেছনে রয়েছে নানা ঘটনা। মাছের আকার ভেদে কেজিপ্রতি মাছ কাটতে তারা নেন ২০ থেকে ৩০ টাকা। এতে দিনে আয় হয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। এই টাকা থেকে বসার জায়গা, ময়লা ফেলা ও ছাই কিনতে দৈনিক খরচ হয় ৯০ টাকারও বেশি। পরিবারের উপার্জনক্ষম যখন নারী তখন এই সামান্য আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। যদিও সপ্তাহের বন্ধের দিনগুলোতে বাজারে ক্রেতা বেশি থাকায় কিছুটা বাড়তি আয় হয়। তাই সপ্তাহের বন্ধের দিনের আশায় থাকেন তারা। তাই ঠান্ডা-জ্বরে অসুস্থ হলেও কাজে আসেন এই মাছ কাটিয়ারা।  কর্মব্যস্ত এই শহরে বিত্তবান ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে বাজার থেকে কাটানোর প্রবণতা বাড়ছে। গৃহস্থালির কাজে সময় বাঁচাতে মাছ কাটার জটিলতা এড়িয়ে যান তারা। এমনিতে সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। বাসায় কাজের লোকের সমস্যা রয়েছে। মেয়েরা রান্নাবান্না আর ঘরের জরুরি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই সময় বাঁচাতে, বাজার থেকে মাছ কিনে পরিষ্কার করে নিয়ে যায় তারা। এতে করে বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। তাই এই মাছ কাটিয়াদের চাহিদা বাড়ছে। সময় বাঁচাতে ২০ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে বাজার থেকে ছোট ও বড় মাছ কাটিয়ে নেন চাকরিজীবী ও মেসে থাকা লোকজন। এ পেশায় যেমন হতদরিদ্র নারীদের অর্থনৈতিক ভাবে করছে স্বাবলম্বী তেমনি ব্যস্ত নগরীর মানুষের গৃহস্থালির কাজকেও সহায়তা করছে। তবে সিটি কর্পোরেশনের এই খোলা স্থানে মাছ কাটায় নানা সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।  
৪ ঘণ্টা আগে

কুয়াকাটায় ৫০ মণ শাপলাপাতা মাছসহ ট্রলার জব্দ
পটুয়াখালীর মহিপুরে নিষিদ্ধ ৫০ মণ শাপলাপাতা মাছ, ১ মণ হাঙ্গর ও সাড়ে ৭ মণ পিতম্বর মাছসহ একটি মাছধরা ট্রলার আটক করেছে নিজামপুর কোষ্টগার্ড।  বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মৎস্য বন্দর মহিপুরের খাপড়াভাঙ্গা নদী সংলগ্ন একটি বরফ কলের সামনে থেকে এ ট্রলারটি জব্দ করা হয়। পরে মহিপুর বন বিভাগের উপস্থিতিতে রাতেই এসব মাছ মাটিচাপা দেওয়া হয়।  এ সময় জেলেদের কাছ থেকে শাপলাপাতা মাছ আর ধরবে না মর্মে মুচলেখা নিয়ে ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হয়।  নিজামপুর কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার আবু রাশেদ সুমন জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে শাপলাপাতা মাছ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এসব মাছ জব্দ করা হয়েছে। সাগর নিরাপদ রাখতে কোষ্টগার্ডের অভিযান অব্যাহ রয়েছে। 
১১ ঘণ্টা আগে

কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু
কার্পজাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা। আগামী ২৪ জুলাই পর্যন্ত মোট তিন মাস দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের মাছ আহরণ, বাজারজাত ও পরিবহনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।  বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদে কার্প প্রজাতির মা মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ রাখা প্রয়োজন। কাপ্তাই হ্রদ দেশের কার্পজাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজননের একটি অন্যতম স্থান। এ সময় মাছ শিকার বন্ধে কাপ্তাই হ্রদে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। স্থানীয় বরফ কলগুলোও এ সময় বন্ধ থাকবে। রাঙ্গামাটির জেল প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, কার্পজাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে ২৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে আগামী তিনমাস কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। জেলেরা যাতে বন্ধকালীন সঠিকভাবে খাদ্য সহায়তা পায় সেই বিষয়ে আমরা সচেষ্ট আছি। আশা করছি যথাসময়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে যাবে। মাছ শিকার বন্ধে নৌ পুলিশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ টিমও কাজ করে যাবে। এ সময় কেউ হ্রদে মৎস্য আহরণ করলে অপরাধ অনুযায়ী তাকে দণ্ড দেওয়া হবে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০১

জালে ধরা পড়ল ৪০০ কেজি ওজনের ‘তলোয়ার’ মাছ
কক্সবাজারের টেকনাফের বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে প্রায় ৪০০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির একটি ‘তলোয়ার মাছ’ ধরা পড়েছে।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুরানপাড়া ঘাট থেকে মাছটি তুলে আনে জেলেরা।  এ সময় মাছটি দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। ধলা মিয়া নামে এক আড়তদার মাছটি ৮০ হাজার টাকায় কিনে নেন।  জেলেরা জানায়, বুধবার মাছটির জালে ধরা পড়ে। মাঝে মধ‌্যে এই প্রজাতির মাছ ধরা পড়লেও এত বড় মাছ এই প্রথম তাদের জালে উঠেছে। মাছের ক্রেতা জানান, বুধবার সকালে স্থানীয় জেলে আবু তৈয়বের জালে মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি ৮০ হাজার টাকায় ক্রয় করা হয়। এর ওজন প্রায় ৪০০ কেজি, লম্বায় প্রায় ২৫ ফুট। মাছটি কেটে প্যাকেটজাত করে শহরের বাজারে বিক্রি করা হবে। সুস্বাদু মাছ হিসেবে শহরের বাজারে মাছটির সুনাম রয়েছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৪

তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে তিন মাসের জন্য সকল প্রকার মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কাপ্তাই হ্রদে মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে জেলা প্রশাসন মাছের আহরণ ও বিপণনের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। আগামী ২৫ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা থেকে তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালে স্থানীয় বরফ কল বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি স্থানীয় বাজার ও কাপ্তাই হ্রদ মনিটরিং করা হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কাপ্তাই হ্রদের মাছ শিকারের ওপর এক সভায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। সভায় রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএফডিসি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর দাস, নৌ-পুলিশ প্রতিনিধি, মৎস্য ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও সুষম বংশবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকে। এই নিষেধাজ্ঞাকালে মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া অবৈধ উপায়ে মাছ আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি কাপ্তাই হ্রদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নৌ-পুলিশ মোতায়েন করা হবে। হ্রদে অবৈধ উপায়ে মাছ শিকারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙ্গামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল আলম ভূঁইয়া জানান, প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে এবার কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় ৫ দিন আগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। 
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৮

গলায় জীবন্ত কৈ মাছ আটকে কৃষকের মৃত্যু
নরসিংদীতে নালায় মাছ ধরার সময় গলায় কৈ মাছ আটকে মিয়াচাঁন নামে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে ঝড়বৃষ্টির পর সদর উপজেলার বালুসাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিয়াচাঁন (৪৮) বালুসাইর গ্রামের তারব আলীর ছেলে। নিহতের স্বজনেরা জানান, বৈশাখী ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশের নালায় কৈ মাছসহ বিভিন্ন মাছ আসতে দেখে ধরতে যান মিয়াচাঁন। এসময় একটি কৈ মাছ ধরার পর সাথে মাছ রাখার মত পাত্র না থাকায় মুখে কামড়ে আটকে রাখেন এবং আরও মাছ ধরার চেষ্টা করেন। এসময় অসাবধানতাবশত কৈ মাছটি মুখের ভেতর ঢুকে পড়ের গলায় আটকে যায়। উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরে স্বজনরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফতি কাওছার আহমেদ বলেন, গলায় মাছ আটকে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ঝড়বৃষ্টির কারণে সরজমিন খোঁজ নিতে পারিনি, তবে লোক পাঠিয়েছি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৩

মাছ ধরতে গিয়ে ৪২ জেলে আটক
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। একই সঙ্গে অবৈধ জাল, মাছ এবং বাগদা রেনু পোনা জব্দ করা হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে নৌ-পুলিশ সদর দপ্তরের পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কাজী নুসরাত এদীব লুনা আটক ও জব্দের তালিকা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সারাদেশে নৌপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করছে নৌ-পুলিশ। চলমান এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধঘোষিত অবৈধ জাল, মাছ এবং মাছের পোনা উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে ৪২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন অভিযানে এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে মোট এক কোটি ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৪০ মিটার অবৈধ জাল, ২ হাজার ২০ কেজি মাছ এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০টি বিভিন্ন প্রজাতির বাগদা রেনু পোনা জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই অভিযানে মোট ১১টি নৌকা এবং বৈধ কাগজপত্রবিহীন ৫টি বাল্কহেড আটক করা হয়। পুলিশ সুপার বলেন, জব্দ করা অবৈধ জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে মাছ এবং পানিতে অবমুক্ত করা হয়েছে বাগদার রেনু পোনা।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৯

মাছ ধরতে গিয়ে পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু 
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে আহাদ (৫) এবং আফরোজা (৭) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নের পশ্চিম সুখাতি গ্রামের বোর্ডঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুরা সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। মৃত আহাদ নাগেশ্বরীর আমতলা এলাকার মমিনুল ইসলামের ছেলে ও নিহত আফরোজার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর মা রাশেদাসহ নানার বাড়িতে থাকে। স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, নিহত আহাদ ও আফরোজা এবং মামাতো ভাই জুনায়েদ বাড়ির পাশে পুকুরে নানা আফজাল খানের মাছ ধরার জাল থেকে মাছ দেখতে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন সবাই কাজে ব্যস্ত থাকায় তাদের খবর রাখতে পারেনি। কিছুক্ষণ পর জুনায়েদ বাড়িতে ফিরে খবর দেয় ওই দুইজন ডুবে গেছে। পরে পুকুরে নেমে দুজনকে ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। পরে তাদের নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুপ কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০১

পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন 
গোপালগঞ্জে পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে মাহিন মীনা (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে আপন চাচাতো ভাইয়েরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ঘ্যানাশুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত মাহিন মীনা ওই গ্রামের মৃত আবুল বাশার ওরফে বাসু মীনার ছেলে।  স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাহিন ঢাকায় একটি টাইলসের দোকানে কাজ করতেন। ঈদ করতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মঙ্গলবার গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ দিন সকালে তার আপন চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম মীনা ও নূরুল ইসলাম সৌখিনসহ বেশ কয়েকজন তাদের যৌথ পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরে নিচ্ছিল। মাহিন তাদেরকে নিষেধ করলে কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে চাচাতো ভাইয়েরা দা দিয়ে কুপিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে মাহিনের চাচাতো ভাইয়েরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে। মাহিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৮

গভীর সমুদ্রে ট্রলার ডাকাতি, ১৫ লাখ টাকার মাছ লুট
বরগুনার পাথরঘাটার সগির কোম্পানি মালিকানাধী এফবি তারেক-১ নামের একটি ট্রলারে গভীর সমুদ্রে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৫ লাখ টাকার মাছ ও রসদসামগ্রী লুটে নিয়েছে ডাকাত দল। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেল ৫ টার দিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ট্রলার মালিকের বাড়ি উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মঠেরখাল গ্রামে। জেলেদের বাড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ডাকাতি হওয়া এফবি তারেক-১ ট্রলারের মালিক সগির হোসেন বলেন, সোমবার (১ এপ্রিল) পাথরঘাটা ঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে যায় ১৭ জন জেলে। কদিনে অনেক মাছ পায় জেলেরা। ঘটনার সময় রাতে ট্রলারটি সাগরে জাল ফেলে নোঙর করে ঘুমিয়ে পড়ে জেলেরা। কিছুক্ষণ পর ডাকাতরা আকস্মিক ট্রলারে উঠে জেলেদের মারধর করে এবং ট্রলারে থাকা জাল, তেল, আহরিত ইলিশসহ অন্যান্য মাছ লুটে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ট্রলারের মাঝি লিটন তাকে জানায়, ডাকাতদের ব্যবহৃত ট্রলারের নাম এফবি আল্লাহর দান এবং তাদের ভাষায় মনে হয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা হবে। ট্রলারটিসহ ১৭ জন জেলে সাগর থেকে রওনা হয়েছে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গভীর বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। ডাকাতি হওয়া ট্রলারসহ জেলেরা কূলে আসতে রাত হতে পারে। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়