• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রায় প্রতিদিনই বেশির ভাগ মানুষ গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাচ্ছে : হানিফ
প্রায় প্রতিদিনই বেশির ভাগ মানুষ গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুুপুর ১২টায় কুষ্টিয়া শহরে নিজ বাসভবনে নাগরিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, মফস্বল শহরে আগে হয়তো মানুষ মাসে একদিন গরুর মাংস দিয়ে ভাত খেত। এখন তো প্রায় প্রতিদিনই বেশিরভাগ মানুষ গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাচ্ছে।  ‘দ্রব্যমূল্যের কারণে মানুষের মনে ঈদের আনন্দ নেই’ বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, জনগণের মধ্যে ঈদের আনন্দ রয়েছে। গভীর রাতেও তারা ঈদের মার্কেটে ঘুরছে। ঈদ আনন্দ নেই শুধু বিএনপির। কারণ তারা অবৈধ পথে ক্ষমতায় যেতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও বেড়েছে।  মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দৃশ্যমান উন্নয়ন অগ্রগতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটা ব্যাখ্যা করে বলার প্রয়োজন নেই। তবে এটি বিএনপি পছন্দ করে না। তাই তারা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এ সময় কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি ডাক্তার মুসতানজীদ, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. সেলিম তোহা, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৮

‘দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ অবৈধ সরকারের বিপক্ষে’
‘দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অবৈধ সরকারের বিপক্ষে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত ৭ই জানুয়ারি গণবর্জিত ডামি নির্বাচনের পর দেশ এক গভীর সংকটে পতিত হয়েছে। চিহ্নিত কতিপয় পুলিশ, আমলা, আর সরকারি দলের টাকা পাচারকারী সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ মাফিয়া চক্র ছাড়া দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন অবৈধ সরকারের বিপক্ষে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা ব্যতীত প্রতিটি মানুষ আজ নিরাপত্তাহীন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। মানুষের জান-মাল ও জীবন-জীবিকার কোনো নিরাপত্তা নেই। নারী-শিশু নির্যাতন ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। তিনি আরও বলেন, দলীয় নেতাকর্মীদের গুম করা হচ্ছে। এর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জড়িত। তবে নির্যাতন চালিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না। রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জুলফিকার সিদ্দিককে শনিবার রাত আনুমানিক ১০টা ২০ মিনিটের সময় চালতেঘাটা বাজার থেকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা সাদা রঙের নোহা মাইক্রোবাসে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় মেম্বার জাফর আলীসহ বাজারের দোকানদাররা বাধা দিলে তারা বলেন, আমরা ডিবির লোক। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক বর্তমান যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান ও যুবলীগ নেতা উজ্জ্বল উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, জুলফিকার সিদ্দিককে তুলে নেওয়ার ১০ মিনিট পর তার মোটরসাইকেলটি ছাত্রলীগ নেতা উজ্জ্বল নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জুলফিকার সিদ্দীকের মা শ্যামনগর থানায় গিয়ে খোঁজ করলে ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাকে ডিবি তুলে নিয়ে গেছে। এখনও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আমি অবিলম্বে জুলফিকার সিদ্দীককে জনসম্মুখে হাজির করে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেওয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি। পিলখানা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ঠান্ডামাথায় সুপরিকল্পতভাবে বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। মাত্র একদিনে এত সংখ্যক সেনা কর্মকর্তা হত্যার নজির বিশ্বের আর কোথাও নেই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসেও এতসংখ্যক সেনা কর্মকর্তাকে প্রাণ দিতে হয়নি।  তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৫ বছর পার হয়ে গেলেও এমন বর্বরোচিত ঘটনার আজ পর্যন্ত বিচার সম্পন্ন হয়নি। বরং বিডিআর বিদ্রোহের নামে পিলখানায় সেনা হত্যাযজ্ঞের দায়ে যাদের কারাগারে থাকার কথা ছিল তারাই এখন অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। অথচ বছরের পর বছর ধরে কারাগারে বিনা বিচারে মানবেতর জীবনযাপন করছে শত শত বিডিআর সেনা।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৬

সেঞ্চুরি করে যেসব রেকর্ডে ভাগ বসালেন তানজিদ তামিম
চলমান বিপিএল ও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয় এবং এরপর সেঞ্চুরি করেন উইল জ্যাক। এবার তাদের পাশে নাম লেখালেন তানজিদ হাসান তামিম। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। এতে বেশ কয়েকটি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন জুনিয়র তামিম। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেয় তানজিদ হাসান তামিম। ৫৮ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ৬৫ বলে ১১৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।  সামগ্রিকভাবে বিপিএলে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোর। সমান ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আরও দুজন। ক্রিস গেইল ও লেন্ডন সিমন্সের আছে ১১৬ রানের ইনিংস।  বিপিএলের দশ আসরে মধ্যে এটি দেশি ক্রিকেটারদের মাঝে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সবার ওপরে আছে টাইগার ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের অপরাজিত ১৪১ রানের ইনিংস। এরপরেই আছে সাব্বির রহমানের ১২২ রান।  চলমান বিপিএলে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। ছাড়িয়ে গিয়েছেন উইল জ্যাকস ও তাওহিদ হৃদয়ের ১০৮ রানের ইনিংস। বিপিএলের ইতিহাসে চট্টগ্রামের মাঠে এটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। বিপিএলের আগের নয় আসর এবং চলতি বিপিএলে তামিম, হৃদয় ও উইল জ্যাকের শতক রানে  মোট ৩২ টি সেঞ্চুরি হয়েছে। যেখানে পাঁচটি সেঞ্চুরির মালিক ক্যারিবিয়ান তরকা ক্রিকেটার ক্রিস গেইল।  জনসন চালর্স ও তামিম ইকবালের রয়েছে দুটি করে শতক রানের ইনিংস। তা ছাড়া বাকি সবার একটি করে সেঞ্চুরি রয়েছে। তাই ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করে গেইলদের পাশেও বসেছেন জুনিয়র তামিম।    
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৪

জাপানি তিন শিশুকে বাবা-মায়ের মধ্যে ভাগ করে দিলেন হাইকোর্ট
জাপানি বংশোদ্ভূত দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও তার ছোট বোন তাদের জাপানি মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। আর মেজ মেয়ে লাইলা লিনা তাদের বাংলাদেশি বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। বড় মেয়েকে নিয়ে নাকানো এরিকো জাপানে যেতে পারবেন বলেও রায়ে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। জাপানি চিকিৎসক নাকানো এরিকোর সঙ্গে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ইমরান শরীফের বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য কলহের জেরে ২০২০ সালের শুরুতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন এরিকো। এরপর ইমরান স্কুলপড়ুয়া বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ছোট মেয়ে জাপানে এরিকোর সঙ্গে থেকে যান। মেয়েদের জিম্মা পেতে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসেন এ জাপানি নারী।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৮

বইমেলার ৮০ ভাগ কাজ শেষ
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে বাঙালির প্রাণের ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’। মেলা সফল করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জোরেশোরে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, এরই মধ্যে মেলার ৮০ ভাগেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশের খুঁটি লাগানো ও বাঁশের ফ্রেমিংয়ের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এখন বইয়ের তাক নির্মাণ ও বৃষ্টির দুর্ভোগ এড়াতে স্টলের ওপরে টিন দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তথ্যকেন্দ্র, বইমেলার মিডিয়া সেন্টার, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডাসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজ অধিকাংশ শেষ হয়েছে।  কাজ করা শ্রমিকরা জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও মিস্ত্রি কাজ করছেন। স্টল নির্মাণ, বইয়ের তাক নির্মাণ এবং ভেতরের ডেকোরেশনের জন্য আলাদা আলাদা মিস্ত্রি কাজ করছেন। বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে ৮০ ভাগেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। গত বছর নানা সমালোচনায় পড়ে এবার বইমেলা সম্পন্ন করতে যথাযথ পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলা একাডেমি। এবছর প্রায় ৭০টি নতুন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মেলায় স্টল বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিল। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত ২১টি প্রকাশনাকে বাছাই করা হয়েছে। এছাড়া গত বছরেরগুলো অপরিবর্তিত থাকছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হবে স্টল। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে কাঠামোসহ মেলার সব কাজ সম্পন্ন করা হলেও এবার পুরো মেলার কাজ বাংলা একাডেমি একাই সম্পন্ন করবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, পুলিশ বিভাগ, মেট্রোরেল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সভা করেছে বইমেলা পরিচালনা কমিটি। এবার নতুন করে ঢাকার ২৫টি স্কুলের শিক্ষকদের তাদের শিক্ষার্থীদের বইমেলায় আনতে চিঠি দিয়েছে বাংলা একাডেমি। মেট্রোরেলও চালু থাকবে রাত পর্যন্ত। বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমি মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মেলার পূর্বপ্রস্তুতি ও পর্যবেক্ষণের জন্য সাতটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, গত মেলায় যেসব অভিযোগ ছিল এবার থাকবে না। প্রকাশনী নিয়েও অস্থিরতা নেই। গত মার্চ থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। এবার আমরা পুস্তক সমিতি থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সদস্য ও মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে নিয়ে বইমেলার একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। তিনি বলেন, বিগত বছরের মত এবারও মেলার অবকাঠামোগত বিন্যাস অপরিবর্তিত থাকছে। একটা গলির সামনে দাঁড়ালে এর শেষ মাথা দেখা যাবে। গুচ্ছ আকারে থাকবে না। প্যাভিলিয়ন ও স্টলের লাইন আলাদা থাকবে, যাতে স্টল খুঁজে পেতে সহজ হয়।  আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’ এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।  উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় চটের ওপর ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। যা আজ অমর একুশে বইমেলায় পরিণত হয়েছে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪২

‘৬০-৮০ ভাগ ভোট না আসলে স্যাংশন আসবে’
৬০-৮০ শতাংশ ভোট না দেখাতে পারলে স্যাংশন আসবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ছেড়ে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহম্মদ শাহজাহান ওমর। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। শাহজাহান ওমর বলেন, নির্বাচনকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নাই। এই নির্বাচনটা কঠিন থেকে কঠিনতর নির্বাচন। এখন বলেন, কেন? আপনার তো কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নাই, হয়ে গেছেন। নির্বাচন দুই প্রকারের। একটা হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক, সব দল মিলে করে। সেখানে ২০, ৩০, ২৫ পার্সেন্ট ভোট পাইলেও সমস্যা নাই। আরেকটা নির্বাচন হলো কমপিটেটিভ, প্রতিযোগিতামূলক। এখানে যেহেতু বড় কয়েকটা দল নাই, এখানে যদি আমরা ৬০, ৭০, ৮০ ভাগ ভোট না দেখাতে পারি, মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনার দেশে ও বিদেশে অনেক শত্রু আছে, তারা চায় না উনি প্রধানমন্ত্রিত্ব করুক। যদি আপনারা ভোট সঠিকভাবে ৬০ এর ওপরে না দিতে পারেন, তখন তারা প্রচার মাধ্যমে বলবে, এই ভোট হয় নাই। এই ভোটকে আমরা বৈধতা দেই না। শাহজাহান ওমর শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই ভোটের ফলাফলে বঙ্গভবনে যে শপথবাক্য পাঠ হবে, সেখানে দুষ্টভাবাপন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত হবেন না। তারা বিভিন্ন দেশে- ওরা বেশি শক্তিশালী, অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল- প্রচার করবে এই নির্বাচন হয় নাই। কয়েকটি কচিকাঁচার লোক ভোট দিয়েছে। এই নির্বাচন হয় নাই। ওরা আমাদের দেশে অর্থনৈতিক স্যাংশন দেবে, ভিসা স্যাংশন দেবে, গার্মেন্টসে স্যাংশন দেবে, ম্যানপাওয়ারে স্যাংশন দেবে- নানা চেষ্টা করবে। আর যদি অন্য সেরকম দল নাও আসে, আর আপনারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৬০ থেকে ৭০-৮০ ভাগ ভোট দিয়ে যান, তাহলে নেত্রীর মুখটা বড় করবেন। তিনি বলতে পারবেন, আমি তো কারো ভোট জোর করে আনি নাই। আমি তো মরা মানুষের ভোট দেই নাই। জনগণ ভোটের পক্ষে ছিলেন নাকি ছিলেন না? সেটা বোঝাতে হলেও জনগণকে ৬০, ৭০, ৮০ ভাগ ভোট দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়