• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘মা নেই, তাই ঈদের দিনের সব রান্না আমিই করি’
ঈদ মানেই আনন্দ। প্রতিবছর ঈদকে ঘিরে নানান আয়োজনে মেতে ওঠে সবাই। শপিং থেকে শুরু করে প্রিয়জনদের জন্য উপহার কেনা, ঈদের দিন রান্নাবান্না সব মিলিয়ে যেন আনন্দের কোনো সীমা নেই। তরুণদের কাছে এসে ঈদ আরও বর্ণিল হয়ে ওঠে। আর মাত্র একদিন পরেই ঈদুল ফিতর। তাই ঈদকে স্বাগত জানাতে এবং উৎসবকে আরও আনন্দময় করে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই। পিছিয়ে নেই জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘিও।  সম্প্রতি দেশের একগণমাধ্যমে আসন্ন ঈদকে ঘিরে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দীঘি। এসময় অভিনেত্রী জানান, ‘মা নেই,  তাই ঈদের দিনের সব রান্নাবান্না তিনিই করেন।   দীঘি বলেন, ঈদের দিন ইন্দিরা রোডের বাসাতেই থাকব। একটা বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ঈদ স্পেশাল সেলিব্রিটি অনুষ্ঠানে থাকব ঈদের দিন। তবে ঈদের দিন সবচেয়ে যার কথা ভেবে সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে, তিনি আমার মা ইফতে আরা ডালিয়া দোয়েল। ২০১১ সালে মায়ের মৃত্যুর পর মা-বাবা বলতে এখন বাবা সুব্রত বড়ুয়া আমার সব। ছোটবেলায় মাকে হারানোর পর বাবাকেই মায়ের ভূমিকায় পেয়েছি।  শুধু মাত্র আমার জন্যই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন বাবা। তাই বাবার প্রতি বাড়তি আবেগ আর অসীম শ্রদ্ধা কাজ করে। মা যখন অসুস্থ, তখন বাবা হাসপাতালের বিছানায় মাকে সামলেছেন, আবার আমাকেও সামলেছেন। পরিবারের সঙ্গেই কেটেছে আমার শৈশব ও কৈশোরের বর্ণিল ঈদগুলো। এখনও ঈদ আসে। তবে আগের মতো করে ঈদ উদযাপন করতে পারি না।   অভিনেত্রী আরও বলেন, আগে যেমন পাখির মতো ডানা মেলে উড়তে পারতাম, এখন তেমনটা পারি না। ঈদ এলে ঠিকই আনন্দে মেতে উঠি। ঘটা করে চলে কেনাকাটার পাশাপাশি ঈদের দিনের পরিকল্পনাও।  মায়ের কথা স্মরণ করে দীঘি বলেন, শৈশবের ঈদের দিনে মায়ের হাতের রান্না খেতাম মজা করে। জগতের সব মায়ের মতো আমার মাও রান্না করতেন অনেক মজা করে। আজ মা নেই। তাই এখন ঈদের দিনের সব রান্না আমিই করি। কেবল রান্নাবান্না নয়, ঘর গোছানো থেকে শুরু করে ঈদের দিনের সব কাজ একাই সামলাই বলা যায়! ইন্দিরা রোডের বাসায় বন্ধুরা আসে। তাদের নিয়ে আড্ডা দিই। খাওয়া-দাওয়া করি। তিনি বলেন, ছোটবেলার ঈদের দিনের পরিকল্পনাগুলোর কথা মনে পড়লে এখন হাসিই পায়। কিন্তু অন্যরকম এক ভালো লাগাও কাজ করে মনের মধ্যে। কত সহজ-সরল আর ভাবনাহীন ছিল শৈশবের ঈদ। সকালে গোসল সেরে বড়দের সালাম দিয়ে শৈশবের ঈদ শুরু হতো।    দীঘি বলেন, বড়দের সালাম দিয়ে সালামির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম! সালামি নিয়ে সে কত কত স্মৃতি, কত কী কিনতাম! তখন একমাত্র সালামির টাকাগুলোকেই নিজের টাকা মনে হতো। এ ছাড়া তেমন টাকাই হাতে পেতাম না। তাই সালামি হাতে পেয়েই নানান পরিকল্পনায় বসতাম। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই করা হতো না সালামির টাকা দিয়ে।    
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৮

স্বাধীনতা দিবসে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে মঙ্গলবার সূর্যোদয়ক্ষণে বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৫টা ৫৬ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ। বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবে। পাশাপাশি দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৭ মার্চ বেলা ১১টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ও বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।    
২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৭

মুখ খুলতে নারাজ দিঘী
শিশুশিল্পী হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসেবে  চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনবার অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এখনও দর্শকদের চোখে ভাসে সেই ছোট্ট দীঘির অভিনয় আর কানে বাজে তার মিষ্টি সংলাপ। দীঘি এখন আর শিশুশিল্পী নেই, দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছেন। ২০২১ সালে ‘তুমি আছো তুমি নেই’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। এরপর তিনি ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’ ও ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাগুলোয় অভিনয় করেন। সবশেষ সরকারি অনুদানের নির্মিত ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’-এর মাধ্যমে আবার বড় পর্দায় আসেনি দীঘি। নতুন বছরে নতুন ছবি মুক্তির মাধ্যমে দীঘির যাত্রা শুরু হলেও হাতে কোনো নতুন ছবির খবর ছিল না এ অভিনেত্রীর। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দীঘির নতুন ফটোশুটের বেশ কয়েকটি পোস্ট করা হয়। ফটোগ্রাফার রাফ ছবিগুলো পোস্ট করেছেন নিজ পেজে। সেই ছবির সূত্র ধরেই দীঘির সঙ্গে যোগাযোগ। স্টেজ পারফর্ম কিংবা ব্রাইডাল শুটের বাইরে নতুন কোনো কাজের খবর আছে কি না? দীঘির উত্তর, আছে তো বটেই। কিন্তু আপাতত মুখ খোলা বারণ। কিছুই জানাতে পারছি না। দীঘি বলেন, নতুন বছরে আমার অভিনীত শ্রাবণ জোছনায় মুক্তি পেয়েছে। সিনেমার গল্পটি দারুণ ছিল। ইমদাদুল হক মিলন আঙ্কেলের উপন্যাস থেকে বানানো ছবিটি। যারা দেখেছেন সবাই গল্পের প্রশংসা করেছেন। আপাতত মুক্তির অপেক্ষায় তো কোনো ছবি নেই আমার। তবে আমি অপেক্ষায় আছি ভালো গল্প ও ভালো সিনেমার। দেখা যাক কবে সেটা পাই। নতুন কাজ নিয়ে তিনি বলেন, দুটি ওয়েব ফিল্মে কাজ করছি। একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির, আরেকটি দীপ্ত প্লের। দুটি কাজই দারুণ গল্পের। এর একটি নারীনির্ভর গল্পে। আনুষ্ঠানিকভাবে এর বাইরে আর কিছুই বলতে পারছি না। তারাই জানাবেন। এদিকে দীঘি বরাবরই ব্যস্ত থাকছেন স্টেজ পারফর্ম, ব্রাইডাল সাজ ও ফটোশুটে। দীঘি বললেন, স্টেজ পারফর্মের ব্যস্ততা তো সারাবছরই থাকে। পাশাপাশি ফটোশুটও নিয়মিত করছি। পড়ছি নতুন নতুন কাজের চিত্রনাট্যও। সব মিলিয়ে ব্যস্ততাতেই সময় পার করছি।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৮:০১

সামাজিক মাধ্যম বাচ্চাদের ক্ষতি করায় জাকারবার্গের ক্ষমা প্রার্থনা
সামাজিক মাধ্যম নিয়ে মার্কিন সেনেটরদের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়লেন মার্ক জাকারবার্গসহ অন্যরা। ক্ষমা চাইলেন জাকারবার্গ। বুধবার মার্কিন সেনেটে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ার পর ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ সেই সব বাবা-মা ও পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইলেন, ফেসবুক ও অন্য সামাজিক মাধ্যমে আসক্তির জন্য যাদের সন্তানদের ক্ষতি হয়েছে। একজন সেনেটর সরাসরি অভিযোগ করেন, জাকারবার্গরা এমন একটি প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছেন, যা মানুষের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে। শুনানির সময় জাকারবার্গ ওই সন্তানদের অভিভাবকদের বলেছেন, আপনাদের যে কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অন্যদের না হয়। সিনেটের জুডিশিয়ারি কমিটি এই হাইটেক কর্তাদের ডেকেছিল এবং তাদের কঠিন প্রশ্ন করে। এর নাম দেয়া হয়েছিল, বিগ টেক অয়ান্ড অনলাইন চাইল্ড সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন ক্রাইসিস। জাকারবার্গ ছাড়াও টিকটকের সিইও শাও জি চিউ, স্ন্যাপচ্যাটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পিগেল, ডিসকর্ড সিইও জেসন সিট্রঁ এবং এক্স-এর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রধানও ছিলেন। সেনেটর ডিক ডুবিন ছিলেন এই কমিটির প্রধান। তিনি বলেন, এই কোম্পানিগুলি যে প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে, তা প্রচুর বাচ্চার কাছে বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোম্পানিগুলি সুরক্ষার পিছনে যথেষ্ট অর্থ খরচ করেনি, প্রাথমিক সুরক্ষার থেকে লাভকেই বড় করে দেখেছে। এর ফলে বাচ্চারা বিপদের মধ্যে পড়েছে। সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, মিস্টার জাকারবার্গ, আপনি ও আপনার কোম্পানিগুলির কাজ আমাদের সামনে আছে। আমি জানি, আপনি কখনোই এরকম পরিস্থিতি চাইবেন না, তা সত্ত্বেও আপনার হাতে রক্ত লেগে আছে। আপনার প্রোডাক্ট মানুষকে মারছে। জাকারবার্গ সেনেটরদের বলেন, ইন্টারনেট শুরু হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের নিরাপদে রাখাটা প্রথম থেকে একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অপরাধীরা তাদের কৌশল বদলেছে। আমাদেরও প্রোডাক্টের সুরক্ষা বদলাতে হয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, সমীক্ষায় দেখা গেছে, সামাজিক মাধ্যম বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ। অনলাইন সুরক্ষায় অর্থ খরচ করবে কোম্পানিগুলি জানিয়ে টিকটক সিইও শাও জি চিউ বলেছেন, আমার তিনটি সন্তান আছে। আমি জানি, যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা খুবই ভয়ের এবং প্রতিটি বাবা-মার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো। তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও মানুষের আস্থা ফেরাতে তিনি দুইশ কোটি ডলার খরচ করবেন। চলতি বছরেই আমাদের ৪০ হাজার পেশাদার সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন। মেটাও জানিয়েছে, তাদের ৪০ হাজার কর্মী অনলাইন সুরক্ষার বিষয়টা নিয়ে কাজ করছেন। ২০১৬ সালে থেকে তারা দুই হাজার কোটি ডলার এর জন্য খরচ করেছে। মেটার কাছেই ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিকানা আছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিশোর ও সদ্য যুবকদের কাছে অচেনা জায়গা থেকে কোনো বার্তা পাঠানো হলে, তা ব্লক করা হবে। এছাড়া ইনস্টা ও ফেসবুকে কিশোরদের কনটেন্টের উপর আরো কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৫

অবশেষে দীঘির স্বপ্নপূরণ
শিশুশিল্পী হিসেবে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন প্রার্থনা ফারদিন দিঘী। তার অভিনয়ে অভিভূত হননি এমন মানুষ কমই আছেন। ফলস্বরুপ তার অনুরাগীরা সংখ্যাও বেশ। সেই শিশুশিল্পী আজ নায়িকা হিসেবে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন বেশ কিছু চলচ্চিত্র দিয়ে। অন্যদিকে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের রয়েছে বিশেষ কদর। এই গুণী পরিচালকের হাতেই নির্মাণ হয়েছে কালজয়ী ‘মনপুরা’ থেকে ‘স্বপ্নজাল’ কিংবা ‘গুণিন’-এর মতো সিনেমা। ছোটবেলা থেকেই গিয়াসউদ্দিন সেলিমের নির্মাণে কাজ করতে চাইতেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। এই নায়িকার ছোটবেলার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। প্রথমবারের মতো এই নির্মাতার হাত ধরে ওয়েব ফিল্ম ‘গাঁইয়া’-তে অভিনয় করবেন তিনি। যেটি একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মর  নতুন আয়োজন ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রেমের গল্প’ সিরিজের অংশ। বুধবার (৩ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে দীঘি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। যেখানে তার বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেতা  খায়রুল বাসারকে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আগামী ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পাবে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটি।  এ বিষয়ে দীঘি বলেন, আমি কতটা খুশি, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। গিয়াস উদ্দিন সেলিম স্যারের ছবিতে কাজ করব, এটা আমার জন্য বিশেষ পাওয়া। এই নায়িকা আরও বলেন, এত দ্রুত সেলিম আঙ্কেলের সঙ্গে কাজ করতে পারব তা ভাবিনি। আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। ছোটবেলা থেকে তার নির্মাণ দেখে আসছি। ‘মনপুরা’ সিনেমাটা আমার খুব প্রিয়। সব সময় ভাবতাম, যদি সেলিম আঙ্কেলের এমন একটা সিনেমা করতে পারতাম! এবার শুরুটা তো হলো। খুব শিগগিরই হয়তো তার আরো সিনেমায় সুযোগ পাব। এই ওয়েব ছবিটি বঙ্গর ‘লাভ স্টোরিজ’ সিরিজের। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে তারা বেশ কয়েকটি ভালোবাসার কনটেন্ট তৈরি করছে। প্রসঙ্গত, এর আগে দীঘিকে দেখা গেছে বহুল আলোচিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই বায়োপিকে তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কিশোরী বেলার চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়