• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘মা নেই, তাই ঈদের দিনের সব রান্না আমিই করি’

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি

  ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০১
প্রার্থনা ফারদিন দীঘি
প্রার্থনা ফারদিন দীঘি

ঈদ মানেই আনন্দ। প্রতিবছর ঈদকে ঘিরে নানান আয়োজনে মেতে ওঠে সবাই। শপিং থেকে শুরু করে প্রিয়জনদের জন্য উপহার কেনা, ঈদের দিন রান্নাবান্না সব মিলিয়ে যেন আনন্দের কোনো সীমা নেই। তরুণদের কাছে এসে ঈদ আরও বর্ণিল হয়ে ওঠে।

আর মাত্র একদিন পরেই ঈদুল ফিতর। তাই ঈদকে স্বাগত জানাতে এবং উৎসবকে আরও আনন্দময় করে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই। পিছিয়ে নেই জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘিও।

সম্প্রতি দেশের একগণমাধ্যমে আসন্ন ঈদকে ঘিরে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দীঘি। এসময় অভিনেত্রী জানান, ‘মা নেই, তাই ঈদের দিনের সব রান্নাবান্না তিনিই করেন।

দীঘি বলেন, ঈদের দিন ইন্দিরা রোডের বাসাতেই থাকব। একটা বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ঈদ স্পেশাল সেলিব্রিটি অনুষ্ঠানে থাকব ঈদের দিন। তবে ঈদের দিন সবচেয়ে যার কথা ভেবে সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে, তিনি আমার মা ইফতে আরা ডালিয়া দোয়েল। ২০১১ সালে মায়ের মৃত্যুর পর মা-বাবা বলতে এখন বাবা সুব্রত বড়ুয়া আমার সব। ছোটবেলায় মাকে হারানোর পর বাবাকেই মায়ের ভূমিকায় পেয়েছি।

শুধু মাত্র আমার জন্যই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন বাবা। তাই বাবার প্রতি বাড়তি আবেগ আর অসীম শ্রদ্ধা কাজ করে। মা যখন অসুস্থ, তখন বাবা হাসপাতালের বিছানায় মাকে সামলেছেন, আবার আমাকেও সামলেছেন। পরিবারের সঙ্গেই কেটেছে আমার শৈশব ও কৈশোরের বর্ণিল ঈদগুলো। এখনও ঈদ আসে। তবে আগের মতো করে ঈদ উদযাপন করতে পারি না।

অভিনেত্রী আরও বলেন, আগে যেমন পাখির মতো ডানা মেলে উড়তে পারতাম, এখন তেমনটা পারি না। ঈদ এলে ঠিকই আনন্দে মেতে উঠি। ঘটা করে চলে কেনাকাটার পাশাপাশি ঈদের দিনের পরিকল্পনাও।

মায়ের কথা স্মরণ করে দীঘি বলেন, শৈশবের ঈদের দিনে মায়ের হাতের রান্না খেতাম মজা করে। জগতের সব মায়ের মতো আমার মাও রান্না করতেন অনেক মজা করে। আজ মা নেই। তাই এখন ঈদের দিনের সব রান্না আমিই করি। কেবল রান্নাবান্না নয়, ঘর গোছানো থেকে শুরু করে ঈদের দিনের সব কাজ একাই সামলাই বলা যায়! ইন্দিরা রোডের বাসায় বন্ধুরা আসে। তাদের নিয়ে আড্ডা দিই। খাওয়া-দাওয়া করি।

তিনি বলেন, ছোটবেলার ঈদের দিনের পরিকল্পনাগুলোর কথা মনে পড়লে এখন হাসিই পায়। কিন্তু অন্যরকম এক ভালো লাগাও কাজ করে মনের মধ্যে। কত সহজ-সরল আর ভাবনাহীন ছিল শৈশবের ঈদ। সকালে গোসল সেরে বড়দের সালাম দিয়ে শৈশবের ঈদ শুরু হতো।

দীঘি বলেন, বড়দের সালাম দিয়ে সালামির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতাম! সালামি নিয়ে সে কত কত স্মৃতি, কত কী কিনতাম! তখন একমাত্র সালামির টাকাগুলোকেই নিজের টাকা মনে হতো। এ ছাড়া তেমন টাকাই হাতে পেতাম না। তাই সালামি হাতে পেয়েই নানান পরিকল্পনায় বসতাম। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই করা হতো না সালামির টাকা দিয়ে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউপিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন 
ঈদযাত্রায় বেশি মৃত্যু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত
X
Fresh