• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জেল থেকে তাড়াতাড়ি বের হওয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
 রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে জেল থেকে তাড়াতাড়ি বের হওয়ায় পাভেল নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে পল্লবী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন নিহতের মা পারুল বেগম।  মামলার আসামিরা হলেন- মো. হাবিব, মো. হানিফ, মো. আনিছ, মো. রায়হান বাবু, মো. মিলন, মো. জহির ও অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জন।  মামলাসূত্রে জানা গেছে, ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক পাভেল তার পরিবারের সঙ্গে ১২ বছর ধরে বাড্ডা এলাকায় বসবাস করতেন। মামলার আসামিরা পাভেলের পূর্ব পরিচিত ও তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। মামলার আসামিরা বাড্ডা এলাকায় মারামারি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা পরিচালনা, মাদক বিক্রয়সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করতেন। পাভেল তাদের (আসামিদের) এসব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় আসামিদের সঙ্গে তার মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে পাভেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন হাবিব। এই মামলায় পাভেল ১৮ দিন জেল খেটে জামিনে বের হন।  পাভেল তাড়াতাড়ি জেল থেকে জামিনে বের হওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন হাবিব। তাকে (পাভেল) কাছে পেলে উচিত শিক্ষা দেবেন- এই মর্মে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় প্রচার করেন হাবিব। এতে হাবিবের ভয়ে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে থাকতেন পাভেল। গত ১৪ এপ্রিল পাভেল বাসা থেকে বের হলে মামলার  প্রধান আসামি হাবিব তাকে মোটরসাইকেলে করে বাড্ডা থেকে মিরপুরের পল্লবী এলাকায় নিয়েন আসে। ওই দিন রাতে মামলার আসামিরা পাভেলকে পল্লবীর ১২ নম্বর  স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকা-১ এর পেছনে টেকেরবাড়ি নামক স্থানে গণপূর্তের পুকুরের উত্তর পাড়ে নিয়ে যান। আসামিরা পাভেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পাভেলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি ধারাল অস্ত্রের ক্ষত পেয়েছে পুলিশ। ডিএমপির পল্লবী জোনের এসি শাহিদ বলেন, পাভেল ও মামলার আসামিরা সবাই বাড্ডা এলাকার হলেও ঘটনাটি পল্লবী এলাকায় ঘটেছে। মামলার প্রধান আসামি হাবিবসহ অন্যরা আমাদের নজরদারিতে আছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৮

যে কারণে জেল থেকে বের হয়েই স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী 
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রী শরিফা খাতুনকে (২২) নির্যাতনের মামলায় কারাভোগ শেষে জেল থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরাফাত শুভর (২৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়ি ইয়াসমিন খাতুনকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান। গৃহবধূ শরিফা খাতুন শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা (সুতা পাড়া) গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং একই ইউনিয়নের আরাফাত শুভর স্ত্রী।  স্বামী আরাফাত শুভ একই ইউনয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। তিনি পেশায় প্রাইভেটকার চালক। তাদের ঘরে ইসরাত আক্তার নামে আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গৃহবধূর মামা ওমর ফারুক বলেন, ‘শুভ ও শরিফা খালাতো ভাই বোন। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুভ তার স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় স্ত্রী শরিফা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় স্বামী শুভ কারাভোগ শেষে সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে তাদের ঘরে ঝগড়ার আওয়াজ শুনতে পাই। সকালে শুনি আমার ভাগনি মারা গেছে। মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।’ স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রহবধূর স্বামী আরাফাত শুভ নারী লোভী ও জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসব অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া লেগেই থাকতো। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসী গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

জেল থেকে বেরিয়ে কিশোর গ্যাং গড়ে তোলেন জুলফিকার
‘দে ধাক্কা’ ও ‘ডায়মন্ড’ নামে দুটি কিশোর গ্যাং তৈরি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন জুলফিকার আলী ও তার সহযোগীরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুরের হাউজিং সোসাইটিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. জুলফিকার আলী (৩৭), তার অন্যতম সহযোগী মো. হারুন অর রশিদ (৩৮), মো. শামছুদ্দিন বেপারী (৪৮), কৃষ্ণ চন্দ্র দাস (২৮) ও মো. সুরুজ মিয়া (৩৯)। তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন, দুটি চাপাতি ও সাতটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাব জানায়, জুলফিকার অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে একটি ওয়ার্কশপে কাজ শুরু করেন। কিছুদিন ওয়ার্কশপে কাজ করার পর নারায়ণগঞ্জে পিকআপ ভ্যানে হেলপারের কাজ শুরু করেন। এ অবস্থায় মালামাল চুরির দায়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় তার নামে মামলা হয়। এরপর তিনি পালিয়ে সৌদি চলে যান। এরপর ২০২১ সালে দেশে আসার পর গ্রেপ্তার হয়ে দুই মাস জেল খেটে জামিনে বের হন। জেলে বসে হারুনের সঙ্গে জুলফিকারের সখ্যতা গড়ে ওঠে।  জুলফিকার জামিনে মুক্ত হয়ে হারুনকে নিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে টিউবওয়েলের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে মাদক সেবনের আড্ডার মাধ্যমে কৃষ্ণ শামছুদ্দিন ও সুরুজসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা হয়। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ২০২২ সালে জুলফিকার ‘ডায়মন্ড’ নামে একটি কিশোর গ্যাং তৈরি করেন। পরে ‘দে ধাক্কা’ নামে আরও একটি কিশোর গ্যাং তৈরি করেন তিনি। কিশোর গ্যাং বাহিনী দুটিকে দিক-নির্দেশনা দিয়ে মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করতে থাকেন জুলফিকার। র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্যাং দুটির সদস্যরা নিজেদের আধিপত্য জানান দিতে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতেন। তাদের নির্দেশনা দেওয়াসহ দেশি-বিদেশি অস্ত্র সরবরাহ করতেন জুলফিকার। কিশোর গ্যাং দুটির সদস্যরা এলাকায় নিয়মিত মোটরসাইকেল ব্যবহার করে ছিনতাই, মাদক, ভূমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানান অপরাধ করতেন। এ ছাড়া তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তেন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২১

পাথরঘাটায় বন উজাড় করে দখল, তিনজনের জেল
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার চরলাঠিমারা ও বাদুরতলা সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে জমি দখলের মামলায় তিনজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।  বুধবার (৩১ জানুয়ারি) জামিনের জন্য হাজির হলে দুপুরে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠান। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৩৮), একই গ্রামের ওয়ারেচ আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৯) ও মৃত মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে সুলতান (৫২)। জানুয়ারি মাসে বন আইনে পৃথক ৩টি মামলা করে বন বিভাগ। ওই মামলায় আসামিদের আদালত সমন জারি করলে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। গত ১৪ জানুয়ারি এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই বন বিভাগ অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ বিষয়ে বন বিভাগের কৌঁসুলি সোহরাব হোসেন বলেন, বনবিভাগের তৎপরতায় একাধিক অভিযানসহ মামলা করা হয়েছে।  অপর একটি মামলায় ১১ ফেরুয়ারি হাজির হওয়ার  জন্য ২ জনকে সমন জারির আদেশ দেন আদালত।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৫

নৌকায় জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে যুবকের ৫ বছরের জেল
কুড়িগ্রাম-৩ আসনে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে মাহাতাব হোসেন রুদ্রকে (২২) ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উলিপুরের বড়াবুড়ি ইউনিয়নের মণ্ডলের হাট উচ্চবিদ্যালয় ১১১ নম্বর কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে উলিপুরের রামেশ্বর গ্রামের ওহিয়ার রহমানের পুত্র মাহাতাব হোসেন রুদ্র নৌকা মার্কায় জাল ভোট দিতে গেলে পুলিশ তাকে আটক করে। খবর পয়ে তাৎক্ষণিক বিচার আদালত, নির্বাচন এলাকা-২৭ কুড়িগ্রাম-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লিটন চন্দ্র রায় ঘটনাস্থলে এসে আদালত বসিয়ে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।  আদালতের সামনে দোষ স্বীকার করায় বিজ্ঞ বিচারক মাহাতাব হোসেনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। একই সঙ্গে ওই কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মুর্তজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত মাহাতাব হোসেন রুদ্র এবং প্রত্যাহারকৃত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়