• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সেনাবাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেনাবাহিনী আজ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে, যা ১৫ আগস্টের পর হারিয়ে ফেলেছিল সাধারণ মানুষ। রোববার (৫ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধন করে তিনি এই কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলেছে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণ। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনী প্রধান, ঢাকা সেনানিবাসের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন পদবির অফিসারেরা উপস্থিত ছিলেন।
০৫ মে ২০২৪, ১৪:২৬

ভোটের ওপর আস্থা ফিরেছে মানুষের: ইসি আলমগীর
ভোটের ওপর দেশের মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। ইসি আলমগীর বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতির ক্ষেত্রে আপনারা দেখেছেন, গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে যে নির্বাচন হয়েছে সেখানে এই তীব্র গরমের মধ্যেও ৬০ থেকে ৮০ ভাগ ভোটার উপস্থিতি হয়েছে। কারণ নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে একটা আস্থা এসেছে যে এখন ভোট দেয়া যায়। আমার ভোট আমি দিতে পারবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যদি ভালো পরিবেশ পায় তাহলে তারা ভোটকে উৎসব হিসেবে মনে করে। সেই উৎসবের অংশ হিসেবে আমরা মনে করি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে। হ্যাঁ, গরমের কারণে মানুষের একটু কষ্ট হবে। তারপরেও মানুষ ভোট দিতে আসবে।’ এ সময় নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে যেকোনো ধরনের প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে মন্ত্রী, এমপি ও সরকারের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত বড় কোনো কর্মকর্তাদের প্রতি সতরকবার্তাও উচ্চারণ করেন নির্বাচন কমিশনার।  তিনি বলেন, ‘কোনো মন্ত্রী, এমপি বা সরকারের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত বড় কোনো কর্মকর্তার আত্মীয়-স্বজন প্রার্থী হলে তারা তাদের পক্ষে প্রচার চালাতে পারেন না বা পক্ষ অবলম্বন করতে পারেন না। তারপরেও যদি তারা এ কাজ করেন তাহলে প্রার্থীর যেমন প্রার্থিতা বাতিল হবে, ঠিক একইভাবে ওই মন্ত্রী, এমপি বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মতবিনিময় সভায় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২০

নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটারদের আস্থা রাখার আহ্বান ইসি রাশেদার
নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা রাখার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে লালমনিরহাটের বিভিন্ন উপজেলার প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আহ্বান জানান। রাশেদা সুলতানা বলেন, ভোটারদের উদ্দেশে আমরা বলবো, আমাদের প্রতি আপনারা আস্থা রাখুন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখুন। কারণ একটা গণতান্ত্রিক দেশের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা জোরদার হওয়া জরুরি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে প্রার্থীদেরও যেমন আচরণবিধি মেনে চলতে হবে তেমনি ভোটের মাঠে যারা থাকবে সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রিজাইডিং অফিসারদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে। যে গুণাবলী থাকলে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সবাইকে সচেতন করছি। পাশাপাশি যদি কেউ এসবের ব্যত্যয় ঘটান তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, সংসদ সদস্যরা যদি নির্বাচনি প্রচারণা কিংবা অন্য কোনোভাবে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেন, প্রমাণ সাপেক্ষে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এর আগে রাশেদা সুলতানা প্রথমে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন পদের প্রার্থীদের সঙ্গে এবং পরে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফর, অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল হক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা লুৎফুল কবিরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।   
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৮

গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ বুটক্যাম্পে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন আস্থা গ্রুপের সিইও
১০তম গ্লোবাল এন্টারপ্রেনারশিপ বুটক্যাম্পে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র গেছেন আস্থা গ্রুপের ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।  আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এই সফরে তিনি বিশ্ববিখ্যাত এমআইটি’র বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজ, হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের এডভাইজরি সদস্য, চেয়ার স্ট্যানফোর্ড ইনস্টিটিউট ও গুগলের ডিসিসিভ টেকনোলজির জনক John Dana Chisholm এর তত্বাবধানে প্রজেক্ট উপস্থাপন করবেন।  এছাড়া তিনি সিলিকন ভ্যালিতে অবস্থিত টেক জায়ান্ট টুইটার, এডোবি, এয়ারবিএনবি, মেটা, সিসকো ও স্ট্যানফোর্ড সিড অফিস পরিদর্শন করবেন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্টার্টআপকে জনপ্রিয় করা, সহজভাবে মানবিক কল্যাণে স্টার্টআপকে কাজে লাগানোর মডেল, সমস্যা সমাধানে স্টার্টআপ তথা অন্টারপ্রেনিউরাল মডেলকে টেকসইভাবে কাজে লাগানোর উপায় ও প্রয়োগ নিয়ে ধারণাপত্র ও প্রকল্প উপস্থাপন করবেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশে নিজের প্রতিষ্ঠিত বেশ কিছু সফল স্টার্টআপকে মডেল হিসেবে উপস্থাপন করবেন আবদুল্লাহ আল মাহমুদ।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৬

পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে : আইজিপি
পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা, বিশ্বাস বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) পুলিশ সদরদপ্তরের হল অব প্রাইডে অনুষ্ঠিত মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন। আইজিপি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়েছে। পুলিশ এখন যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম। ফলে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে আরও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সভায় আইজিপি গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে তিনি মামলায় সাজার হার বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি। সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম, পিবিআইয়ের অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার, সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ও ডিআইজি এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে সভায় যুক্ত ছিলেন।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৯

নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে : সিইসি
নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর থেকে জনগণের আস্থা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আর নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতার জন্য রাজনীতিবিদদের আস্থা জরুরি বলে মত দিয়েছেন তিনি।   বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে এ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সফলতা নিয়ে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সিইসি। এ সময় তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় জাতি সংকট থেকে উঠে এসেছে। তবে এটি স্থায়ী সমাধান নয়। নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সরকারের সহায়তা ছাড়া এত বড় কর্মযজ্ঞ সফল করা সম্ভব ছিল না। আমাদের অপবাদ, বদনাম দুটোই নিতে হবে। উদ্বেগ, সংকট থেকে জাতি উঠে এসেছে। তবে এটা স্থায়ী সমাধান নয়। রাজনীতিবিদদের যদি আস্থা না থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন খুব যে অংশগ্রহণমূলক হয়েছে তা কিন্তু নয়। একটি বড় দল শুধু বর্জন করেনি, প্রতিহত করতে চেয়েছিল। নির্বাচন উঠিয়ে আনায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে। আমরা স্বস্তিবোধ করছি। তবে নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৩

প্রধানমন্ত্রী আস্থা রেখেই আমাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছেন : হাছান মাহমুদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আস্থা রেখেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নবগঠিত মন্ত্রসভার শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেছেন তিনি। এ সময় নতুন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই সব মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছি। এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মধ্যে যে পরিতৃপ্তি আছে, অন্যকিছুতে তা নেই।  নিজের আগের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ও একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। আপনাদের সবার সহযোগিতায় সেই চ্যালেঞ্জ ভালোভাবেই মোকাবিলা করেছি। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে, যখন বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ চলছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি। প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ, এই দায়িত্বও ঠিকঠাক পালন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করব। পূর্ব-পশ্চিম সবার সঙ্গেই সম্পর্কের আরও উন্নয়ন ঘটাবো।  যেসব রাষ্ট্র বা বাইরের শক্তি আমাদের দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হচ্ছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক। সেই নীতি নিয়েই আমরা সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলব।  বিএনপি এখনও জনগণকে নাটক দেখিয়ে চলেছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম, বিএনপি তালা ভেঙে তাদের অফিসে ঢুকছে। তালা তো তারাই লাগিয়েছিল, আবার তারাই ভাঙছে। অর্থাৎ একটা নাটক দেখাচ্ছে। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সুসম্পর্ক বজায় আছে জানিয়ে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল বঙ্গভবনে সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর প্রায় সব রাষ্ট্রদূত ছিল। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তারা অভিনন্দন জানাতে সেখানে গিয়েছিল।
১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৪

মোরশেদ আলমেই আস্থা সোনাইমুড়ী-সেনবাগবাসীর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রোববার (৭ জানুয়ারি)। ইতোমধ্যে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার একাংশ) আসনে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। শনিবার (৬ জানুয়ারি) এই আসনের ১১৮টি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। কেন্দ্রগুলোর সার্বিক নিরাপত্তায় রয়েছে বিভিন্ন স্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাড়ে তিন লাখের বেশি ভোটারের এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন প্রার্থী। সাধারণ ভোটাররা বিগত দুই দফায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলমের ওপর আস্থা রাখবেন নাকি পরিবর্তন চাচ্ছেন, সে বিষয়ে আরটিভির নিজস্ব প্রতিবেদক স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। অম্বরনগর বাজারফেরত মধ্যবয়সী জালাল উদ্দীনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল— ‘রোববার তো ভোট, ভোট দিতে যাবেন তো, কোন প্রতীকে আস্থা রাখছেন?’ মুচকি হেসে জালাল উদ্দীন জানান, দেখুন প্রতীকের থেকেও আমাদের কাছে বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছেন ব্যক্তি। যিনি মানুষের কল্যাণ ব্রত নিয়ে মাঠে ছিলেন, আছেন— আমরা তাকেই এমপি বানাবো। ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. জলিল বলেন, সুখে-দুঃখে যে আমাদের পাশে ছিল আমরা তাকেই ভোট দেব। আলহাজ মোরশেদ আলম আমাদের জন্য যা করেছেন, তা বিগত কোনো সংসদ সদস্য করেননি।  কেশারপাড়ের স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসাইন বলেন, রাজনীতিতে মোরশেদ আলমের মতো মানুষকেই দরকার। তিনি সরকারি বরাদ্দের যে সুষ্ঠু ও সুষম বণ্টন দেখিয়েছেন, তা অভূতপূর্ব। তিনি এলাকায় বহু মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন। নিজ উদ্যোগে এলাকায় বেকারদের কর্মসংস্থান করেছেন ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমপি মোরশেদ আলমের নীতি-নৈতিকতা ও মানবিক বিষয়ে জোর দিয়ে কানকির হাটের অশীতিপর দাবিরউদ্দিন মিয়া বলেন, মোরশেদ আলমকে আল্লাহ অনেক দিয়েছেন। জনগণের হকের ওপর তার কোনো লোভ নেই। সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও নিজ উদ্যোগে তিনি এলাকার মানুষের কল্যাণে বিভিন্নভাবে এগিয়ে এসেছেন। ইনশাআল্লাহ, এবারও আমরা তাকে চাই।  অর্জুনতলার ওষুধ ব্যবসায়ী সাইয়্যেদুল ইসলাম বলেন, ভোট কাকে দেব সেটা এখনই বলতে চাচ্ছি না। ইনশাআল্লাহ, আমরা যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নেব।  সেনবাগের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির কথা উল্লেখ করে একই এলাকার মুদি দোকানি মো. আলম বলেন, মোরশেদ আলমের সময় এলকায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। আমাদের এলাকায় কিশোর গ্যাং বলে কিছু নেই। এলাকায় সবাই শান্তিতে বসবাস করছি। এদিকে আজ (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় নির্বাচন নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। ভাষণে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সরকার আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে একাধিকবার নিজেদের সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকার থেকে আবশ্যক সব সহায়তা গ্রহণ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। সিইসি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন কেবল ভোটগ্রহণ শুরুর অপেক্ষা। ভোটাররা নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে, বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবোরধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩২

শেখ হাসিনাতেই আস্থা
১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানকে (এখন বাংলাদেশ) শোষণ, বঞ্চনা, সীমাহীন বৈষম্য ও লুণ্ঠনের অসহায় শিকারে পরিণত করেছিল পাকিস্তানের শাসকরা। যার কারণে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু জিডিপি পশ্চিম পাকিস্তানের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম ছিল।  সকল ক্ষেত্রে যে সীমাহীন বৈষম্য ছিল তা মেনে নিতে পারেনি পূর্ব পাকিস্তানে বসবাসকারী লোকজন। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এবং ৩০ লক্ষ মানুষের জীবনের বিনিময়ে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করে বাংলাদেশ নামকরণ করা হলো। যুদ্ধবিধস্ত দেশকে তখন তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।  সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র আট বিলিয়ন ডলার। যুদ্ধবিধস্ত দেশকে পুনর্গঠন করার জন্য বঙ্গবন্ধু সরকার অনেকগুলো সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল।  বঙ্গবন্ধু সরকার এর উদ্যোগের কারণে সাড়ে তিন বছরে মাথাপিছু জিডিপি (বর্তমান ইউএস ডলারে) ১৮৬ শতাংশ বেড়েছিল। তাঁর আমলে অর্থনীতির আকার ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলাওে দাঁড়িয়েছিল।   দুর্বল অর্থনীতিকে সামনে টেনে নেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু সরকার এর নির্দেশে গঠন করা হলো পরিকল্পনা কমিশন। পরিকল্পিতভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা কমিশন প্রথম পাঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই ১৯৭৩ – জুন ১৯৭৮) গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় পাঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৮১-১৯৮৫), তৃতীয় পাঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৮৫- ১৯৯০) গ্রহণ করা হয়।  পরবর্তী সময়ে চতুর্থ পাঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৯০-১৯৯৫) পঞ্চম পাঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (১৯৯৭-২০০২) এর মাঝে দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র ও ষষ্ঠ পাঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১১-২০১৫) বাস্তবায়ন করা হয়। সপ্তম পাঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) এর আওতায় ছিল  দারিদ্র্য কমানো, জনসংখ্যা বৃদ্ধিও হার কমিয়ে আনা, রপ্তানি বৃদ্ধি, দেশজ সঞ্চয়, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মোট দেশজ উৎপাদনের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জন।  যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলায় রূপান্তর করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ঘাতকরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাঁর দেখা স্বপ্নগুলো মেরে ফেলে। এরপর থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি থেমে যায়।  বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে। এ সময়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ শুরু করেন। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু কন্যার নেওয়া কর্মসূচীগুলো বন্ধ হয়ে যায়।  ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর থেকে পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করা আরম্ভ করেন। বঙ্গবন্ধুর দেখা অনেকগুলো স্বপ্নের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বপ্ন ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। অর্থনৈতিক মুক্তির বিষয়টি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি জানতাম বাংলাদেশ স্বাধীন হবে। বাংলার মানুষ মুক্ত হাওয়ায় বাস করবে, খেয়ে পরে সুখে থাকবে, এটাই ছিল আমার সাধনা। তিনি আরও বলেছিলেন, যদি দেশবাসী খাবার না পায় , যুবকরা চাকরী বা কাজ না পায়, তাহলে স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে- পূর্ণ হবে না। বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ে তুলতে হবে। হ্যাঁ, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে বাংলাদেশকে এখন নানাভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ বা উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।  বিগত এক দশকে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এ কৃতিত্ব শেখ হাসিনা সরকারে। এমনকি দক্ষিণ এশিয়ার শক্তিধর অর্থনীতি ভারত থেকেও চার বছর আগে মাথাপিছু জিডিপিতে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে।  ২০২৩ এ ভারতের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়ায় ২ হাজার ৬১২ ডলার সেখানে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ২ হাজার ৬২১ ডলার। আর আট বছর আগে থেকেই পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ মাথাপিছু জিডিপির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। এক দশক ধরে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির হার, কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, গড় আয়ু, সাক্ষরতার হার এবং নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে অনেক এগিয়ে গেছে।  বর্তমানে কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে নারীর হার বাংলাদেশে ৩৫ শতাংশ, ভারতে ২৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ২০ শতাংশ। বিগত এক দশকে মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ করেছে বাংলাদেশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৩১৬ ডলার। এখন তা বেড়ে ২ হাজার ৭৬৫ ডলার। উল্লেখ্য, গত এক দশকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দ্রুতগতিতে মাথাপিছু আয় বেড়েছে বাংলাদেশে।  দারিদ্র্যের হার কমানোর ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকার সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশের মত দেশে দারিদ্র্য কমানো সহজ কাজ নয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দারিদ্র্যের হার কমে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসে।  অতি দারিদ্র্যের হার ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে নেমে আসে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাথাপিছু আয় ৬৯৯ ডলার থেকে প্রায় চার গুন বেড়ে ২ হাজার ৬৮৮ ডলার হয়েছে। ২০০৫ সালে বাংলাদেশে প্রতি হাজারে শিশু মৃত্যুবরণ করতো ৫১ জন । এখন কমে ২২ জন। ঐ সময় প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যু হার ছিল ৩৭৬ জন। এখন কমে এসেছে ১২৩ জনে। মানুষের গড় আয়ুষ্কাল ২০০৫ সালে ছিল ৬৫ দশমিক ২ বছর।  এখন তা বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে। ২০০৫ সালে বিদ্যুৎ সংযোগ উপভোগ করা পরিবারের অনুপাত ছিল ৪২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বর্তমানে  তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ দশমিক ১৪ শতাংশ।  আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রোল মডেল হয়েছে। যার দরুন, স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে আয়-বৈষম্য এবং  টাকা পাচার কমিয়ে আনতে পারলে বাংলাদেশ অচিরেই অর্থনৈতিকভাবে অনেকদূর এগিয়ে যাবে।  শেখ হাসিনা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে অনেক কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত হবে। এই মুহূর্তে অর্থনৈতিক সংস্কার জরুরী হয়ে পড়েছে। শেখ হাসিনার উপর আস্থা রেখেই দেশবাসী অপেক্ষা করছে কবে বাংলাদেশ সোনার বাংলায় রূপান্তর হবে।    লেখক : অর্থনীতি বিশ্লেষক এবং সেন্টার ফর ইষ্ট এশিয়া ফাউন্ডেশনের গবেষণা পরিচালক।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়