• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

মোরশেদ আলমেই আস্থা সোনাইমুড়ী-সেনবাগবাসীর

  ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১২
মোরশেদ আলমেই আস্থা সোনাইমুড়ী-সেনবাগবাসীর
ছবি : সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রোববার (৭ জানুয়ারি)। ইতোমধ্যে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার একাংশ) আসনে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) এই আসনের ১১৮টি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। কেন্দ্রগুলোর সার্বিক নিরাপত্তায় রয়েছে বিভিন্ন স্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সাড়ে তিন লাখের বেশি ভোটারের এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন প্রার্থী। সাধারণ ভোটাররা বিগত দুই দফায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলমের ওপর আস্থা রাখবেন নাকি পরিবর্তন চাচ্ছেন, সে বিষয়ে আরটিভির নিজস্ব প্রতিবেদক স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন।

অম্বরনগর বাজারফেরত মধ্যবয়সী জালাল উদ্দীনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল— ‘রোববার তো ভোট, ভোট দিতে যাবেন তো, কোন প্রতীকে আস্থা রাখছেন?’ মুচকি হেসে জালাল উদ্দীন জানান, দেখুন প্রতীকের থেকেও আমাদের কাছে বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছেন ব্যক্তি। যিনি মানুষের কল্যাণ ব্রত নিয়ে মাঠে ছিলেন, আছেন— আমরা তাকেই এমপি বানাবো।

ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. জলিল বলেন, সুখে-দুঃখে যে আমাদের পাশে ছিল আমরা তাকেই ভোট দেব। আলহাজ মোরশেদ আলম আমাদের জন্য যা করেছেন, তা বিগত কোনো সংসদ সদস্য করেননি।

কেশারপাড়ের স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ বিল্লাল হোসাইন বলেন, রাজনীতিতে মোরশেদ আলমের মতো মানুষকেই দরকার। তিনি সরকারি বরাদ্দের যে সুষ্ঠু ও সুষম বণ্টন দেখিয়েছেন, তা অভূতপূর্ব। তিনি এলাকায় বহু মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন। নিজ উদ্যোগে এলাকায় বেকারদের কর্মসংস্থান করেছেন ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

এমপি মোরশেদ আলমের নীতি-নৈতিকতা ও মানবিক বিষয়ে জোর দিয়ে কানকির হাটের অশীতিপর দাবিরউদ্দিন মিয়া বলেন, মোরশেদ আলমকে আল্লাহ অনেক দিয়েছেন। জনগণের হকের ওপর তার কোনো লোভ নেই। সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও নিজ উদ্যোগে তিনি এলাকার মানুষের কল্যাণে বিভিন্নভাবে এগিয়ে এসেছেন। ইনশাআল্লাহ, এবারও আমরা তাকে চাই।

অর্জুনতলার ওষুধ ব্যবসায়ী সাইয়্যেদুল ইসলাম বলেন, ভোট কাকে দেব সেটা এখনই বলতে চাচ্ছি না। ইনশাআল্লাহ, আমরা যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নেব।

সেনবাগের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির কথা উল্লেখ করে একই এলাকার মুদি দোকানি মো. আলম বলেন, মোরশেদ আলমের সময় এলকায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। আমাদের এলাকায় কিশোর গ্যাং বলে কিছু নেই। এলাকায় সবাই শান্তিতে বসবাস করছি।

এদিকে আজ (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় নির্বাচন নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

ভাষণে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সরকার আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করার লক্ষ্যে একাধিকবার নিজেদের সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে এবং সরকার থেকে আবশ্যক সব সহায়তা গ্রহণ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

সিইসি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন কেবল ভোটগ্রহণ শুরুর অপেক্ষা। ভোটাররা নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।

ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য।

এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।

এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।

এদিকে, বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবোরধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রতিদ্বন্দ্বী ও আস্থার সংকট থাকায় আগ্রহ হারাচ্ছেন ভোটাররা
সেনবাগে স্কাউটস সমাবেশ উদ্বোধন
সেনাবাহিনী মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
সেনবাগ পৌরসভার নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন এমপি মোরশেদ আলম
X
Fresh