• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

যেকোনো দুর্যোগে পুলিশ জনগণের পাশে রয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
জনগণের কল্যাণে সব ক্ষেত্রেই পুলিশের সতর্ক অবস্থান থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।  তিনি বলেন, শুধু এই গরমেই নয়, যেকোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে পুলিশ জনগণের পাশে রয়েছে। পুলিশ মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং সাজাতে সব ক্ষেত্রেই পাশে থেকে কাজ করছে। সেই প্রতিজ্ঞা নিয়েই দেশব্যাপী এই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাহীন সামাদ,  সুজিত মোস্তফা ও চন্দনা মজুমদার। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল আরটিভি।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২০

হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধা মাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলো পুলিশ
দেড় মাস আগে হারিয়ে যাওয়া ৬০ বছরের এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কুড়িগ্রামের কচাকাটা থানায় দেড় মাস পর সন্তানকে কাছে পান ওই বৃদ্ধা। সন্তানকে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন তিনি। বাড়ি ফিরে যেতে বারবার তাগাদা দেন সন্তানকে। বৃদ্ধা মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। তিনি লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। তার বড় ছেলের নাম মনিরুল ইসলাম। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় স্থানীয়দের সংবাদে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সীমান্ত এলাকার টাপুর গ্রাম থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই বৃদ্ধা মাকে উদ্ধার করে কচাকাটা থানা পুলিশ। পরে ওই বৃদ্ধার দেওয়া আংশিক তথ্যে খোঁজ করা হয় তার পরিবারের। সাহায্য নেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টের। পরে রাতে মেলে তার পরিবারের সন্ধান।  থানায় মাকে নিতে আসা সন্তান মনিরুল ইসলাম জানান, শবেবরাতের তিন দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন তার মা। এরপর বহু খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে কচাকাটা থানা পুলিশের ফোন আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দেখে মায়ের সন্ধান পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হন তিনি। থানায় এসে মাকে পেয়ে ভীষণ খুশি তিনি। তিনি আরও জানান, পারিবারিক কলহের জেরে চার বছর আগে কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারান তার মা। তখন থেকে তাকে চোখে চোখে রাখতে হয়। কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে এই মাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তার ঠিকানা এবং পরিজনের খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও পোস্ট দেওয়া হয়। পরে রাতেই তার পরিবারের খোঁজ মেলে। আজ তার সন্তানের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে সবার ভালো লাগছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১২

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা-ছিনতাই, কিশোর গ্যাংকে ধরতে মরিয়া পুলিশ
টাঙ্গাইল গোপালপুরে ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালিয়ে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের পর এলাকা থেকে পালিয়েছে মুশফিক, সিয়াম সাকিন ও জয় ঘোষ নামের তিন কিশোর গ্যাং সদস্য। ঘটনার পরদিন থানায় তাদের নামে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ঢেউটিন ব্যবসায়ী হাজী মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের ওপর এই হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব বলেন, আসামিদের ধরতে সব রকম চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। বেশ কয়েক বার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পরই তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আজ হোক বা কাল শাস্তি তাদের পেতেই হবে। অপরাধীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। থানার অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ অভিযোগকারীর ছেলে দিদার হোসেনের সঙ্গে অভিযুক্ত মুশফিকের খেলাধুলা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। সে সময় স্থানীয় কাউন্সিলর মইনুদ্দিন বাবু বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। তারপরও ওই সময় বাদীর ছেলেকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় মুশফিক। এর জেরে গতকাল শুক্রবার আ. রশিদের ছেলে মুশফিকের নেতৃত্বে কিছু কিশোর গ্যাং সদস্য বাদীর স্বামী জালাল উদ্দিনের ওপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হঠাৎ করে হামলা চালায়। এ সময় ভুক্তভোগীর কাছে থাকা ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার পর ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত মুশফিক। ঘটনার পরদিন চার জনের নাম উল্লেখ্য করে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী মোছা. ফিরোজা বেগম। তিনি বলেন, ঘটনার ছয় দিন পার হতে চলেছে এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। আমার একটাই চাওয়া অপরাধীদের আটক করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা।   বর্তমানে জালাল উদ্দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৪

হিটস্ট্রোকে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
পটুয়াখালীর বাউফলে হিটস্ট্রোকে মোহাম্মদ শাহ-আলম (৫০) নামের একজন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পুলিশের ঢাকা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত ছিলেন। গত শনিবার তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বাউফলে আসেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে বাউফল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাকে বরিশালে পাঠানো হয়। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।  তিনি হিটস্ট্রোক করেছিলেন বলে তার পরিবারকে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৯

তীব্র গরমে পুলিশ সদস্যদের প্রতি ১১ নির্দেশনা
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। চলমান এই গরম আরও বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এবং পুলিশ সদস্যদের সুস্থ থাকতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১১টি নির্দেশনা প্রদান করেছে। নির্দেশনাগুলো হলো- ১. বাইরে দায়িত্ব পালনের সময় ছাতা, ক্যাপ এবং সানগ্লাস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ২. পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি (বরফসহ/ফ্রিজের পানি) পান পরিহার করতে হবে। ৩. স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ৪. পুলিশ মেস এবং ক্যান্টিনে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে। ৫. বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আধাঘণ্টা পর/দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর হাতমুখ ধৌত বা গোসল করতে হবে। ৬. জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে। ৭. স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানি পান করা যেতে পারে যদি তা অন্য কোনো কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। ৮. অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৯. অফিস ও আবাসন-ব্যারাকের দরজা-জানালা যথাসম্ভব খোলা রাখতে হবে। ১০. ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের তাপপ্রবাহ চলাকালে সুস্থ থাকার বিষয়টি তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। ১১. তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকতে এবং হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত রোলকলে এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পুলিশ সদস্যদের অবহিতকরণসহ সচেতন করতে হবে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৮

শাবনূরকে চিনতে না পেরে আটকে দিল পুলিশ
ঢাকাই সিনেমার নন্দিত নায়িকা শাবনূর। দুই যুগের বর্ণিল ক্যারিয়ার তার। অভিনয় করেছেন প্রায় আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে বড় পর্দায় অনুপস্থিত তিনি। সম্প্রতি একটি সিনেমা করার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন এই নায়িকা। এদিকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)  উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। প্রবীণ-তরুণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পদচারণে মুখর এফডিসি প্রাঙ্গণ। এর মধ্যেই দেশে ফিরেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। এদিন চিত্রনায়িকা শাবনূরকে দেখে চিনতে পারেননি রাজধানীর বিএফডিসির সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা। শুক্রবার দুপুরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে এলে এফডিসির মূল ফটকের সামনে তার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়।  এসময় সংশ্লিষ্ট ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‌আপনি কী ভোটার? তা শুনে শাবনূর বলেন, আমি শাবনূর, আমি শাবনূর। তখন ফটকের সামনে ভিড় করা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের বলতে শোনা যায়, উনি নায়িকা শাবনূর। ওনাকে ছেড়ে দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে হঠাৎ লাইভে এসে ভক্ত-অনুরাগীদের চমকে দিয়েছেন নায়িকা। লাইভটি তিনি করেছেন শাবনূরের প্রাণের এফডিসি থেকেই। গাড়িতে বসা অবস্থাতেই শাবনূর বলেছেন, হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমি এসেছি, জানো তো, আমাদের সমিতিতে। আমাদের মিলনমেলা। ভীষণ ভালো লাগছে সবাইকে দেখে। এ সময় শাবনূরের মেকআপম্যানের এফডিসিতে প্রবেশ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। অনুমতি ছাড়া মেকআপম্যানদের প্রবেশ নিষেধ। পাশাপাশি শাবনূরের গাড়িও ঘিরে ধরেন উৎসুক জনতা। অভিনেত্রী বলেন, এখানে এত পুলিশ কেন? এফডিসিতে প্রবেশ করতেই নায়ক রুবেলকে জড়িয়ে ধরেন শাবনূর। রুবেল বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম একজন স্টার আমার এ আদরের ছোট বোনটি। এর পর চিত্রনায়ক রিয়াজের সঙ্গে দেখা হতেই অভিনেতা বলে ওঠেন, তুমি কখন এলে? অনেক দিন পর দেখা হলো রুবেল ভাইয়ের নায়িকার সঙ্গে। শাবনূর বলেন, তোমার কী? রিয়াজ বলেন, আজকে সবাই আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিলাম।’ শাবনূরও বলে ওঠেন, ‘আমাদের জুটি অমর হয়ে থাকবে। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩০

পুলিশ লাইনস পুকুরে কনস্টেবলের রহস্যজনক মৃত্যু
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের সিরুমীয়া মাঠের পাশের পুকুরে গোসল করতে নেমে কনস্টেবল মো. মমিনুল ইসলামের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফুটেজে দেখা যায়, মমিনুল গোসলের আগে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর দুজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। এরপর গোসলের জন্য তিনি পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে সাতার কাটেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তলিয়ে যান। এর পরপরই এক ব্যক্তি পুকুরে গোসল করতে নামেন। তিনি সাতরে কিছু দূর গিয়ে মমিনুলের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে চিৎকার করে অন্যদের ডাক দিলে সেখানে অনেককে জড়ো হতে দেখা যায়। জানা যায়, ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন নিহত কনস্টেবল নওগাঁর মমিনুল ইসলাম।  
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৭

জেল থেকে তাড়াতাড়ি বের হওয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
 রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে জেল থেকে তাড়াতাড়ি বের হওয়ায় পাভেল নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এ ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করে পল্লবী থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন নিহতের মা পারুল বেগম।  মামলার আসামিরা হলেন- মো. হাবিব, মো. হানিফ, মো. আনিছ, মো. রায়হান বাবু, মো. মিলন, মো. জহির ও অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জন।  মামলাসূত্রে জানা গেছে, ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক পাভেল তার পরিবারের সঙ্গে ১২ বছর ধরে বাড্ডা এলাকায় বসবাস করতেন। মামলার আসামিরা পাভেলের পূর্ব পরিচিত ও তারা একসঙ্গে চলাফেরা করতেন। মামলার আসামিরা বাড্ডা এলাকায় মারামারি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা পরিচালনা, মাদক বিক্রয়সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করতেন। পাভেল তাদের (আসামিদের) এসব কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করায় আসামিদের সঙ্গে তার মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে পাভেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা করেন হাবিব। এই মামলায় পাভেল ১৮ দিন জেল খেটে জামিনে বের হন।  পাভেল তাড়াতাড়ি জেল থেকে জামিনে বের হওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হন হাবিব। তাকে (পাভেল) কাছে পেলে উচিত শিক্ষা দেবেন- এই মর্মে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় প্রচার করেন হাবিব। এতে হাবিবের ভয়ে বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে থাকতেন পাভেল। গত ১৪ এপ্রিল পাভেল বাসা থেকে বের হলে মামলার  প্রধান আসামি হাবিব তাকে মোটরসাইকেলে করে বাড্ডা থেকে মিরপুরের পল্লবী এলাকায় নিয়েন আসে। ওই দিন রাতে মামলার আসামিরা পাভেলকে পল্লবীর ১২ নম্বর  স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকা-১ এর পেছনে টেকেরবাড়ি নামক স্থানে গণপূর্তের পুকুরের উত্তর পাড়ে নিয়ে যান। আসামিরা পাভেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। পাভেলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫টি ধারাল অস্ত্রের ক্ষত পেয়েছে পুলিশ। ডিএমপির পল্লবী জোনের এসি শাহিদ বলেন, পাভেল ও মামলার আসামিরা সবাই বাড্ডা এলাকার হলেও ঘটনাটি পল্লবী এলাকায় ঘটেছে। মামলার প্রধান আসামি হাবিবসহ অন্যরা আমাদের নজরদারিতে আছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:০৮

দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, অতঃপর....
শরীয়তপুরের জাজিরায় দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন। গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন বেপারী জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য। জানা গেছে, গত শনিবার রাতে জাজিরার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের সৈয়দ তাজুল ইসলাম তার চাচাতো বোনের বিয়েতে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীসহ তার সমর্থকদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার রাতে বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ওই দিন রাতেই তাজুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।  জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বলেন, বিয়ে বাড়িতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়