বিশ্বকাপে অঘটন ঘটানোর হুংকার যুক্তরাষ্ট্রের পেসারের
প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো ইভেন্টের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথভাবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করছে তারা।
তবে এর আগে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম দুই ম্যাচে দাপট দেখিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে তারা। তাই স্বাগতিকদের সামনে এবার আইসিসির পূর্ণ কোনো সদস্য দেশকে হোয়াইটওয়াশের চোখ রাঙানি।
এদিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টাইগাররা হেরে যাওয়ার পর অনেক ক্রিকেট ভক্ত মনে করেছিলেন, এটি হয়তো কোনো অঘটন। তবে সিরিজ জয়ের পর বিষয়টি কোনো অঘটন নয় বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পেসার আলি খান। সিরিজ জয়ের পর বিশ্বকাপে ভালো কিছুর হুংকারও দিয়ে রাখলেন আলী খান।
আলির ভাষ্য, ‘৩ মাস পর আমি খেললাম। আমার বড় চোট ছিল। মাঝেমধ্যে আপনার ছন্দ ফিরে পেতে সময় লাগবে। আমার জন্য বিষয়টা ছিল কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ভালো করা। আমি সাধারণত অত রান দেই না। প্রথম ম্যাচে আমার মত করে বল করতে পারিনি। সেখান থেকে যা শিখেছি, তা আমি এখানে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি। কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে আমি চেষ্টা করছি; আরও উন্নতি করে যাওয়ার। এখানে শেখার আরও অনেক কিছু রয়েছে। বিশ্বকাপ আছে সামনেই। খুব একটা সময় নেই। আমার আরও ছন্দ পেতে হবে। উন্নতি করতে হবে। ছেলেরা ভালো খেলেছে কানাডার বিরুদ্ধে, আমি যা খেলতে পারি। আমার আজকে ভালো লেগেছে। এখন এটি ধরে রাখতে হবে এবং বিশ্বকাপের আগে ছন্দে ফিরতে হবে।’
নিজেদের প্রসঙ্গে আলির মন্তব্য, ‘আমরা ক্ষুধার্ত। আমরা চেষ্টা করছি, যা আমাদের সামনে আসছে, তাই খেয়ে ফেলতে। সবাই অনেক ক্ষুধার্ত। আমরা বিশ্বকাপের জন্য মুখিয়ে আছি এবং ইউএসএ বিশ্বকাপে থাকবে, অঘটন ঘটাতে।’
আলি যোগ করেন, ‘এটা দারুণ। অনেক সময় বড় দলের সঙ্গে আমাদের জয়কে ফ্লুক মনে করা হয়। তবে টানা দুইবার কাউকে হারানো, সিরিজ জেতা কখনও ফ্লুক নয়। এর মানে হলো আমাদের প্রতিভা, স্কিল এবং সামর্থ্য আছে, যদি আমরা সুযোগ পাই।’
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ নিয়ে এই পেসারের মন্তব্য, ‘বিশ্বকাপে ভিন্ন খেলা হবে। আমরা অঘটন ঘটাতে প্রস্তুত আছি। আমরা এখনই ভারত-পাকিস্তান নিয়ে ভাবছি না। আপাতত পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। এরপর বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। এরপর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে, কানাডার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে শুরু করতে চাই। এটা আমাদের জন্য ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে বড় ম্যাচ। এরপর আমরা ভারত এবং পাকিস্তান নিয়ে ভাবতে চাই।’
আলি খান বলেন, ‘অবশ্যই বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজ সুবিধা দেবে। সবাই অভ্যস্ত হতে পারবে। আসলে এখনও কাজ শেষ হয়নি। আমি খুশি দলকে সাহায্য করতে পেরে। সেরা পারফরম্যান্স বলব না। কারণ, আমি জানি আমার অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে। আরও অনেক ভালো করতে পারি আমি।’
মন্তব্য করুন