করোনাভাইরাস: পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের গতি কমবে
চলতি মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণের সঙ্গে জড়িত চীনা কর্মীরা কর্মস্থলে যোগ না দিলে মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের।
তিনি আরটিভি অনলাইনকে জানান, পদ্মা সেতুতে সর্বমোট ৯৮০ জন চীনা নাগরিক কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে মূল সেতুতে কর্মরত ছিলেন ৭১৩ জন। মূল সেতুর ৩৩১ জনসহ মোট ৩৩২ জন চীনা কর্মী গত জানুয়ারিতে চীনের নববর্ষ উদযাপনে নিজ দেশে যান। তবে, তাদের কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। এখানে বাকিরা যারা কর্মরত রয়েছেন তারাও আর চীনে যাননি।
তিনি আরও জানান, ভাইরাসে আক্রান্ত স্থল চীনের উহানে পদ্মা সেতুর হেড অফিস। ছুটিতে যাওয়া কর্মীরা উহানের আশে পাশেরই বাসিন্দা। করোনাভাইরাসের কারণে চীনে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে চীন সরকারও তাদের আসতে দিচ্ছে না। ফলে তারা কবে নাগাত আসতে পারবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। চলতি মাসের মধ্যে কর্মস্থলে যোগ দিতে না পাড়লে মূল সেতুর কাজের গতি কমে যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কাজের গতি যাতে না কমে যায় সেই জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিকল্প উপায় খুঁজছে। তারা অন্য কোথাও থেকে কিংবা স্থানীয় কর্মী আরও যুক্ত করার ব্যাপারে ভাবছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন।
এ পর্যন্ত পদ্মা সেতুর ৩ হাজার ৬০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি দ্বিতল হবে। যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ।
এজে
মন্তব্য করুন