করোনায় প্রাণ গেলো আরও ১ জনের, শনাক্ত ৪৯
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৪৯ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।
দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৮৪৭ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ৮২০ জন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর দেশে প্রথম একজনের করোনায় মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
আন্দোলনে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে যে ১৩ হাসপাতাল
রাজধানীর ১৩ সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২১ আগস্ট) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসার জন্য সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় অবস্থিত নিম্নোক্ত হাসপাতালগুলোতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের ভর্তির জন্য অনুরোধ করা হলো।
হাসপাতালগুলো হলো-
১. ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
২. সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)
৩. কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল
৪. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল)
৫. মুগদা জেনারেল হাসপাতাল
৬. স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল
৭. শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
৮. জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল)
৯. জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
১০. জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
১১. জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
১২. জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
১৩. জাতীয় নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল
আহতদের চিকিৎসায় আমেরিকা থেকে চিকিৎসক আনার চেষ্টা চলছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের যাতে আরও উন্নত চিকিৎসা দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, অনেকের এক পা কাটা গেছে। কেউ সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। আমেরিকার সেবা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা চাচ্ছি তাদের কিছু ডাক্তার যদি বাংলাদেশে আসে তাহলে তাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আমরা আরও ভালো করতে পারব।
বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার চিকিৎসাসেবা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এখানে আহতরা চিকিৎসা সেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত এবং নিহতদের তালিকা প্রণয়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গঠিত কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আহতরা ঢাকায় এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমরা বলেছি, সরকারি খরচে তারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ঢাকায় এসে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
পরিদর্শনকালে সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শফিউর রহমান, হাসপাতালের চিকিৎসক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিম এবং প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বন্যার্তদের পাশে কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী
ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের ১১টি জেলা। এতে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ। এ অবস্থায় যে যেভাবে পারছেন ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের সহায়তায় কমিউনিটি ক্লিনিকের ১৪ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী তাদের ১ দিনের বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (২৬ আগস্ট) কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (সিএইচসিপি) সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের বন্যায় এক নতুন বাংলাদেশ দেখেছে বিশ্ব। যে যেভাবে পারছেন ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যেকে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এরইমধ্যে প্রবল এই বন্যায় বানভাসিদের মাঝে নিজেদের বিলিয়ে দিয়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে তারা নিজেদের এক দিনের বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীরা বন্যা দুর্গত এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র থেকে শুরু করে বন্যার্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন। বিতরণ করছেন জরুরি ওষুধপত্র, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। কিছু জায়গায় তৈরি খাবার এবং ত্রাণসামগ্রীও বিতরণ করছেন।
কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (সিএইচসিপি) সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশে বন্যা ভয়াবহ পরিস্থিতি রূপ নিয়েছে। আমাদের নিজেদেরও বেতন দীর্ঘদিন বন্ধ। তবুও এই মুহূর্তে বন্যার্ত ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আসুন সবাই যার যেমন সামর্থ্য আছে সেখান থেকে ততটুকুই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।
স্বাস্থ্যকর্মী আব্দুর রশিদ বলেন, বর্তমানে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবার পাশে আছি। আমাদের অনেক ক্লিনিক বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। ওষুধপত্র নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়েছি। সেখান থেকে ওষুধ নিয়ে প্রতিদিন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিচ্ছি।
ঢামেকসহ ৫ মেডিকেল কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ দেশের পাঁচটি মেডিকেল কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বুধবার (২৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপ-সচিব দূর-রে-শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ঢাকা মেডিকেলের থোরাসিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. ফয়সল আলমকে স্ব স্ব কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নাক কান ও গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. মাজহারুল শাহীনকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে এবং বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল হককে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের এসব কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢামেকে মৃত্যু ১৭২
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢামেক হাসপাতালে মোট ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হাসপাতাল পরিচালক।
ব্রিগেডিয়ার আসাদুজ্জামান বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢামেক হাসপাতালে মোট ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ জন হাসপাতালে মারা গেছেন এবং ৮৮ জন মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল।
তিনি বলেন, মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগের মৃত্যু হয়েছে গুলির আঘাতে, বিশেষ করে হেডশট ও বুকে গুলির কারণে। মৃতদের ৮৫ শতাংশের ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়েছে।
ময়নাতদন্ত না হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, মৃত্যুর পর ময়নাতদন্তের কাজ পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশ কেস হলে মর্গে লাশ পাঠানো হয় এবং ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ ময়নাতদন্ত করে। প্রথম ধাপে, ১৫ থেকে ২২ আগস্টের মধ্যে মৃত্যুর শিকার সকলের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাপে মৃত অবস্থায় আসা কিছু লাশের ময়নাতদন্ত হয়নি, কারণ প্রায় এক সপ্তাহ পুলিশ ছিল না। কিছু পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্তে বাধা দিয়েছেন, যদিও তাদের বোঝানো হয়েছিল যে বিচারের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও জানান, যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মারা গেছেন, তাদের সকল তথ্য রয়েছে এবং তাদের ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। তবে মৃত অবস্থায় আসা ব্যক্তিদের সঠিক তথ্য না থাকায় তাদের সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব হয়নি।
বেওয়ারিশ লাশ সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার আসাদুজ্জামান বলেন, কিছু লাশের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করেছে। যাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তাদের লাশ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। সঠিক সংখ্যাটি পুলিশ জানাতে পারবে।
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৪৬
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৩৪৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শনিবার (৩১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২০০ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২ হাজার ৮৪১ জন। মারা গেছেন ৮৩ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানান উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
ঢামেকে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, জরুরি বিভাগসহ সব সেবা বন্ধ
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর অবহেলাজনিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) ঢুকে চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) জরুরি বিভাগসহ সব বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন তারা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টা পর তারা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
ওইদিন মধ্যরাতে খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে অন্য আরেক গ্রুপ চাপাতিসহ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীকে দেয় কর্তৃপক্ষ।
পরে অন্য আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অনস্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় রোগীর স্বজনরা।
চিকিৎসকরা নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। আল্টিমেটামের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা।
এদিকে, ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবা সংস্কার পরিষদ।
শনিবার রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত নিশ্চিত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা না হলে এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা না হলে ইমার্জেন্সি অপারেশন/চিকিৎসা ছাড়া সকল প্রকার অপারেশন এবং সেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হবে।