হুন্ডিতে টাকা পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন মালদ্বীপ প্রবাসীরা (ভিডিও)
বৈধ উপায় না থাকায় হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে মালদ্বীপ প্রবাসী অধিকাংশ বাংলাদেশি। এতে রেমিট্যান্স হারাচ্ছে দেশ। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে ব্যাংকের বিষয়ে আলোচনা ও এই সমস্যার সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
গেল কয়েক দশক ধরে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের দখলে। পাঁচ লাখের বেশি অধিবাসীর এই দেশে এক লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি। তবে ৫০ হাজার অনিয়মিত বাংলাদেশিদের ভোগান্তির শেষ নেই এখানে।
দেশটিতে একটা সমস্যা হচ্ছে কর্মীদের বেতন ধরা হয় ডলারে। কিন্তু পরিশোধের সময় দেওয়া হয় স্থানীয় মুদ্রা রুপিয়াতে। এখানেই বড় একটি ফাঁকি রয়েছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশি কর্মীদের।
সরকারিভাবে ১ ডলারে পাওয়া যায় ১৫ রুপিয়া। কোম্পানিগুলো সরকারি দরেই রুপিয়া দিয়ে কর্মীদের বেতন পরিশোধ করে। কিন্তু দেশে পাঠানোর জন্য তাদের আবার ডলার কিনতে হয়। আর কেনার সময় ১৯ রুপিয়া দিয়ে এক ডলার কিনতে হয়। এতে প্রতি
ডলারে তিন থেকে চার রুপিয়া বঞ্চিত হন বাংলাদেশি কর্মীরা; যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ টাকা। বছর শেষে তাদের এই বঞ্চনার অঙ্কটা বিশাল আকারে দাঁড়ায়।
এই বঞ্চনার হাত থেকে বাঁচতে দ্রুতই মালদ্বীপে একটি বাংলাদেশি ব্যাংকের শাখা স্থাপনের জোর দাবি প্রবাসীদের।
ব্যাংক না থাকায় অধিকাংশ বাংলাদেশি হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন। ফলে বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স হারাচ্ছে বাংলাদেশ।
একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, সরকারের কাছে আমাদের আবেদন হচ্ছে, সরকার এ একটা ব্যাংক স্থাপন করুক যেন আমরা বৈধ উপায়ে টাকাটা দেশে পাঠাতে পারি।
মালদ্বীপের প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য ব্যাংককের শাখা খোলার বিষয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মালদ্বীপ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রক্রিয়া চলমান আছে। সেখানে ব্যাংক একটা হওয়ার জন্য কথাবার্তা হচ্ছে। সেটা সরকারি বা বেসরকারি যা-ই হোক, আমরা উৎসাহিত করি।
দেশে টাকা পাঠাতে মালদ্বীপের কর্মীদের জন্য সহজ উপায় খুঁজে বের করা হবে বলে জানান তিনি।
এনএইচ/টিআই
মন্তব্য করুন