• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

পরীক্ষা ছাড়াই মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে চলছে প্রতারণা (ভিডিও)

মাইদুর রহমান রুবেল

  ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১৪:৪৭

নারায়ণগঞ্জে সরকারি হাসপাতালের দালালরাই খুলে বসেছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। রোগীদের বাধ্য করা হয় সেখানে যেতে। লোক দেখানো নমুনা সংগ্রহ করা হলেও নেই পরীক্ষার প্রয়োজনীয় মেশিন। মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে রোগীর সঙ্গে প্রতারণা চলছে।

নারায়ণগঞ্জের খানপুরে ৩০০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল ঘিরে দেখা যায় সংঘবদ্ধ দালালদের আনাগোনা। রোগী আসতেই ভোগান্তির ভয় দেখিয়ে নেওয়া হয় বেসরকারি ক্লিনিক বা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে।

সরকারি হাসপাতালটির ২০০ গজের মধ্যে অন্তত এক ডজন ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। দালালরাই খুলে বসেছে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান।
দখল ঠেকাতে নিজেদের জায়গা ঘিরে রাখতে হয়েছে রাজউককে। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। বেড়া ভেঙেই চলছে ইমন ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। ক্যামেরা দেখে মালিক পালিয়ে গেলেও প্রমাণ পাওয়া গেল অবৈধ কর্মকাণ্ডের।

নেই টেকনোলজিস্ট, নমুনা সংগ্রহ করে কলেজ শিক্ষার্থী। পরীক্ষার যন্ত্র না থাকলেও ঠিকই রিপোর্ট দেওয়া হয়।

গ্যাস্ট্রোলিভার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রবেশ করতেই রেগে আগুন পরিচালক আল আমিন। তবে প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি তিনি।
মেশিনের কার্যকারিতা নিয়ে আছে প্রশ্ন, নেই টেকনোলজিস্ট কিংবা প্যাথলজিস্ট। মেডিএইড হাসপাতালেরও একই হাল। এই হাসপাতালের মালিকও স্বীকার করেন বেসরকারি ক্লিনিকে অনিয়মের কথা।

মেডিএইড হাসপাতালের মালিক ও পরিচালক বলেন, ‘এই চারপাশের গোলচত্বরে যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে প্রত্যেকের প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া আছে এই হাসপাতালে। এমন লোক আছে আগে দালাল ছিল, এখন ডায়াগনস্টিক দিয়ে বসে আছে। কোনো মেশিন নেই, সে পরীক্ষা করে কী দিয়ে? কিছুই করে না, ব্লাডটা নিয়ে ফেলে দেয় আর কম্পিউটার থেকে গৎবাঁধা রিপোর্ট দেয়।’

সরকারি হাসপাতালে আধুনিক মেশিন আর অভিজ্ঞ চিকিৎসক থাকলেও দালালদের খপ্পরে পড়ে রোগীরা মানহীন ও অবৈধ ক্লিনিকে যেয়ে প্রতারিত হচ্ছে।
ডব্লিউএস/এসএস/টিআই

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিশেষ প্রতিবেদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নওগাঁয় ৩ ক্লিনিকে অভিযান, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
গোমস্তাপুরে দুই ক্লিনিককে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা
আরও জোরদার হচ্ছে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে অভিযান
মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশন সংরক্ষণ, ২ ক্লিনিককে লাখ টাকা জরিমানা
X
Fresh