• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনা : নিহত ৪ জনের দাফন সম্পন্ন
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রাইভেটকার-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার একই পরিবারের নিহত চার সদস্য মো. রেজাউল করিম জামাল মৃধা (৪০), তার স্ত্রী কামরুন নাহার (৩৫), ছেলে কাওসার আহমেদ অনন্ত (১৩) ও জামালের ছোট ভাই মো. এনামুল হক মৃধার (৩৫) দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) সকাল ১০টায় বোয়ালিয়ার নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাদের। জানাজায় শত শত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। এর আগে ভোর ৫টার দিকে হবিগঞ্জ থেকে ফ্রিজিং লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহ গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার মৃধা বাড়িতে নেওয়া হয়। মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে এলাকা। মরদেহ পৌঁছানোর খবর পেয়ে মানুষ ছুটে আসে মৃধাবাড়িতে।  গত বুধবার (১ মে) প্রাইভেটকার ভাড়া করে জামাল মৃধা তার স্ত্রী-সন্তান ও ছোট ভাইকে নিয়ে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর এলাকা থেকে সিলেটে হযরত শাহ জালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত করতে যান। মাজার জিয়ারত শেষ করে পুনরায় সাভার ফেরার পথে রাত ২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হরিতলা নামক স্থানে প্রাইভেটকার-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের চার সদস্যসহ মোট ৫ জন মারা যান।  এদিকে একসঙ্গে দুই ছেলে, ছেলের বউ ও নাতিকে হারিয়ে জামাল মৃধার বৃদ্ধা মা মোসা. হালিমা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা এখন পাগলপ্রায়। বারবার তারা মূর্ছা যাচ্ছেন আর বিলাপ করছেন। 
০৩ মে ২০২৪, ১৬:৩৯

হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিচয় মিলেছে
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতদের পরিচয় পাওয়া গেছে। বুধবার (১ মে) রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার শাহপুর এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে তারা নিহত হন। নিহতরা হলেন- পটুয়াখালী জেলার আনা গলাচিপা গ্রামের মোজ আলী মৃধার ছেলে জামাল (৪০), তার স্ত্রী কামরুন্নাহার (৩৫), তার ছেলে অনন্ত (১১), ভাই এনামুল হক (৩৫) ও বরিশাল জেলার ভরপাশা গ্রামের ইউনুস বেপারীর ছেলে গাড়ির চালক হারুন বেপারী (৩৪)। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল করীম গণমাধ্যমকে জানান, স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা আসলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরও জানান, তারা ঢাকার সাভার এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। তারা একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে। মাজার জিয়ারতের জন্য পরিবারের সবাই মিলে প্রাইভেটকারযোগে তারা সিলেট যান। ফেরার পথে রাত ২টার দিকে তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে শাহপুরে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারের চালকসহ সবাই ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।
০২ মে ২০২৪, ১৮:৫৭

হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ, একই পরিবারের ৪ জনসহ নিহত ৫
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে এক নারীসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহত সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত ৫ জনের মধ্যে ৪জনই এক পরিবারের।  বুধবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হরিতলা নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।   মাধবপুর থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিদেশ থেকে ফেরা এক ব্যক্তি ও অন্যদের নিয়ে প্রাইভেটকারটি রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে। রাত দেড়টার দিকে হরিতলা নামক জায়গায় পৌঁছালে ঢাকাগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে যায়। পুলিশ জানায়, প্রাইভেটকার থেকে এক নারীসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্বার করা হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তবে এতোটুকু জানা গেছে, তাদের বাড়ি বরিশালে, থাকতেন সাভার হেমায়েতপুরে। সিলেট মাজার জিয়ারতে আসছিলেন। ফেয়ার পথে দুর্ঘটনায ঘটে। মরদেহগুলো শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানায় আছে। পরিবারের লোকজন আসছে। তারপর পরিচয় জানা যাবে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া গাড়ি দুটি শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার হেফাজতে রয়েছে। মাধবপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মনোতোষ মল্লিক জানান, রাতে দেড়টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাইভেটকারের বিভিন্ন অংশ কেটে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।    
০২ মে ২০২৪, ১২:৩৫

হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জে হারুন আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরও ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১-এর বিচারক আজিজুল হক এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জয়নাল মিয়া, মিলন আহমেদ, আবুল ফজল, কুতুব উদ্দিন, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন ও আব্বাস উদ্দিন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ছায়েদ আলী, মিজাজ আলী, মতলিব মিয়া, কুতুব উদ্দিন, আবুল কালাম, জিয়াউর রহমান, আয়াত আলী (পলাতক), ইছাক আলী, জজ মিয়া ও ইব্রাহিম। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার হুরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি মেম্বার মিলন আহমেদ ও হারুন আহমেদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০০৩ সালে ইউপি নির্বাচনের পর এ বিরোধ আরও তীব্র হয়। ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে হারুন আহমেদসহ ৭-৮ জন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল আহমেদকে দাওয়াত দিতে যান। এ সময় পথে মিলন আহমেদের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। হামলায় হারুন আহমেদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার শরীরে ৩২টি ফিকলের (সুচালো অস্ত্র) আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুমন আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৮ আগস্ট সব আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ রায় ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, আসামিদের মধ্যে আটজন বিচার চলাকালীন মারা যান। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ২২ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫১

হবিগঞ্জে ট্রাক ও পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ২
হবিগঞ্জের বাহুবলে মাছবোঝাই পিকআপ ও সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৬টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তগলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন পিকআপচালক হৃদয় মিয়া (২৬) ও হেলপার রিপন মিয়া (২৪)। জানা যায়, হৃদয় মিয়া চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়ারী গ্রামের বাহার মিয়ার ছেলে ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং (পূর্ব নোয়াগাও) গ্রামের ছোয়াব আলীর ছেলে রিপন মিয়া। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফজরের নামাজের পর সুতাং বাজার থেকে মাছবোঝাই একটি পিকআপ বাহুবল বাজারে কিছু মাছ পৌঁছে দেয়। পরে বাকি মাছ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল হয়ে জুড়ী যাওয়ার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তগলী এলাকায় পৌঁছালে সিলেটগামী সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় পিকআপটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপের চালক ও হেলপার মারা যান। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি বদরুল করীম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৭

হবিগঞ্জে চিপসের কারখানায় আগুন
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের অলিপুরে অবস্থিত প্রাণের একটি কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।  বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।  খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেল ৪টার দিকে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৩ নম্বর ভবনের চিপস তৈরির কারখানায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ও হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর থেকে কাউকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।  এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, বিকেলে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানতে পেরেছি। তবে আগুনের কারণ জানতে পারিনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৩

হবিগঞ্জে গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত
হবিগঞ্জে ডাকাতি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে হিরাজ মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মধ্যরাতে লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের গোয়াকারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত হিরাজ মিয়া হবিগঞ্জের সদর উপজেলার ধল গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে। লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের বলেন, রাত আনুমানিক ১২টার দিকে গোয়াকারা গ্রামে কয়েকজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করছিল। এ সময় গ্রামবাসীর ধাওয়ায় হিরাজ মিয়া ধরা পড়ে। আর বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এসময় গ্রামবাসী হিরাজ মিয়াকে গণপিটুনি দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহত হিরাজ মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:১০

হবিগঞ্জে আগুনে ১৫ দোকান পুড়ে ছাই
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনও তা জানা যায়নি।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টার দিকে একটি খাবার হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।   খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এবং পৌনে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে ছোট-বড় ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তন্মধ্যে সফর আলীর চা দোকান, ফুল মিয়ার মিষ্টির দোকান, ফরিদ মিয়ার ফলের দোকান, করিম মিয়ার হোটেল, টং দোকান ২টি, সেলুন, কম্পিউটার দোকান, মোবাইল সার্ভিসিং ছাড়া কয়েকটি টং দোকান পুড়েছে।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৪

হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
হবিগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন বাহুবল উপজেলার পুটিজুরি এলাকার জহুর মিয়া (৫৫), নুরুল আমিন (৩৫) ও চুনারুঘাট উপজেলার নাছিমাবাদ চাবাগানের বিশাল উড়াং (২০)। গুরুতর আহত অবস্থায় ৩ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার দিবাগত গভীর রাতে বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেওড়াতুলী ও চুনারুঘাট উপজেলার গাজীগঞ্জ নামক স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। চুনারুঘাট ও বাহুবল মডেল থানার পক্ষ থেকে ঘটনা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশের বরাতে জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ২নং পুটিজুরী ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে মাওলানা মিজান মিয়া পিকআপ ভ্যানবোঝাই দিয়ে নিজ ঘরের দরজা জানালার কাঠ নিয়ে বাড়িতে আসছিলেন। এ সময় পিকআপ ভ্যানটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেওড়াতুলী নামক স্থানে আসা মাত্রই যান্ত্রিক ক্রটির কারণে মহাসড়কে উল্টে যায়। পিকআপ ভ্যানে থাকা উপজেলার হিলালপুর গ্রামের মৃত চন্দু মিয়ার ছেলে জহুর মিয়া (৫৫), মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে মাওলানা মিজান মিয়া (৪০), উপজেলার অলুয়া গ্রামের মৃত সিজিল মিয়ার ছেলে মো. নুরুল আমিন (৩৫) এবং উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের গোলগাও গ্রামের ছুরুক মিয়ার ছেলে ফজলু মিয়া (৫৩) গুরুতর আহত হন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহুর মিয়াকে (৫৫) মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় নুরুল আমিন, ফজলু মিয়া ও মিজান মিয়াকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল প্রেরণ করা হয়। সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে নুরুল আমিন (৩৫) মারা যান।  এ দিকে রাত ২টার দিকে চুনারুঘাট উপজেলার গাজীগঞ্জ বাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজন মারা গেছেন। তিনি উপজেলার নাছিমাবাদ চা বাগানের আকাশ উড়াং এর ছেলে বিশাল উড়াং (২০)।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৫:০১

প্রেমের টানে ফিলিপাইনের তরুণী হবিগঞ্জে
প্রেমের টানে হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইন তরুণী জুবেলিন। গত ৪ মার্চ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আশিকুর রহমান মিশুকে বিয়ে করতে বাংলাদেশে আসেন জুবেলিন।  গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) হবিগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন ফিলিপাইন এই তরুণী ও মাধবপুরের আশিকুর রহমান মিশু। জুবেলিন বলেন, বাংলাদেশকে আমি খুব ভালোবাসি। এখানকার পরিবেশ, মানুষের আন্তরিকতা এবং সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি চির দিন তাদের সঙ্গে থাকতে চাই। আশিকুর রহমান মিশু বলেন, জুবেলিন খুবই ভালো মেয়ে। দুইজনের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে। আমার পরিবারের লোকজন সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে। জুবেলিনও এই বিয়েতে খুশি। জানা গেছে, মাধবপুরের ধর্মঘর কামারহাটি গ্রামের স্কুল শিক্ষক লুৎফুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান মিশু। চাকরির সুবাদে প্রায় ৫ বছর আগে কাতারে যান মিশু। সেখানে ফিলিপাইনি তরুণী জুবেলিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপরই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্কও গভীর হতে থাকে। মিশুর বাবা লুৎফুর রহমান বলেন, জুবেলিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তার নাম এখন জান্নাত রহমান রাখা হয়েছে। বিদেশি নতুন বউকে দেখতে এলাকাবাসীসহ অনেকেই বাড়িতে ভিড় করছে। মিশুর চাচা আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, অন্য সব বিয়ের চেয়ে আলাদা একটি বিয়ে ছিল এটি। বিদেশি নতুন বউ দেখতে অনেকেই বাড়িতে এসেছে, মানুষের ভিড় লেগেই আছে। বিদেশি হলেও বউ খুব শান্ত প্রকৃতির। আমরা জান্নাতকে সম্পূর্ণ মর্যাদা দিয়েই ঘরে তুলেছি। বউ সবার সঙ্গে মিলে মিশে সুন্দরভাবে সংসার করবে বলে আমি আশা করছি।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়