• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা  / সাতদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্নের আশ্বাস উপাচার্যের
শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। শনিবার (১৬ মার্চ) মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ আশ্বাস দেন। শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে যৌন হয়রানি ও মানসিক চাপের অভিযোগ তুলে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান তিনি। অবন্তিকার এই মৃত্যুর খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস। শুক্রবার রাত থেকেই ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দীকির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ তুলে তাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এরপর উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম কথা বলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।  উপাচার্য তাদের বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি তদন্ত কমিটি সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। তাছাড়া এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে ঘটা ঘটনারও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আর আমার হাতে যত আইন আছে, সব আইনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবো।’ এ সময় শিক্ষার্থীরা তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডিরও তদন্ত এবং দোষীদের দ্রুত আটক করার দাবি জানান। তখন উপাচার্য তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডির তদন্তের আশ্বাস দেন। অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘পূর্ববর্তী যত যৌন হয়রানির ঘটনার অভিযোগ আছে, সবগুলো আগামী সিন্ডিকেটে তুলে বিচারের আওতায় আনা হবে। এছাড়া অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল দায়িত্ব থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’ উপাচার্যের আশ্বাসের পরও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নিজের আত্মহত্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে গলায় ফাঁস নেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। পরে কুমিল্লার বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অবন্তিকার মরদেহ উদ্ধার করে।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়