• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির আহ্বান জানালেন চীনের কালচারাল কাউন্সিলর 
বাংলাদেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওফেং।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ চীনা ভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তিনি।  চাইনিজ ক্যালিগ্রাফ সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রতিপাদ্যে উদযাপিত হয়েছে জাতিসংঘের চীনা ভাষা দিবস। বাংলাদেশের চীনা দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট ও আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট।    এসময় কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওফেং বলেন, আজকের এই আয়োজনে চীনের ক্যালিগ্রাফি, গান, পেইন্টিং,কবিতা নিয়ে কথা বলতে এখানে সবাই একত্রিত হয়েছে। চীনা ভাষা ও সংস্কৃতির নান্দনিকতা তুলে ধরতে আমরা কাজ করছি। আমরা বাংলাদেশের মানুষকে চীনা ভাষা শিখতে আহ্বান জানাই। পাশাপাশি এ দেশের তরুণ গবেষকদের চীনে আসার আমন্ত্রণ জানাই, যাতে করে দুই দেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানে দূত হিসেবে তারা কাজ করতে পারে।  অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সায়েদুর রহমান জানান, ভাষাগত সীমানা অতিক্রম করে ২০১০সালে জাতিসংঘের পাবলিক ইনফরমেশন বিভাগ প্রথম এই দিবসটি উদযাপন করে, যার লক্ষ্য হল বহুভাষিকতা, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং বিনিময় বাড়ানো।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের পরিচালক  ইয়াং হুই বলেন, আমাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা যা আজ অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের জাতির মধ্যে বন্ধুত্ব অব্যাহত থাকুক’।  অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিউটের চীনা ভাষা শিক্ষক এবং শান্ত-মরিয়াম-হোংহে কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের চীনা ভাষার শিক্ষক মাশার্ল আর্ট শৈলী পরিবেশন করেন।   এছাড়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের শিক্ষক দ্যা গেইম অফ হ্যাপি চাইনিজ শিরোনামে চীনা ভাষার ক্লাস নেন। পাশাপাশি আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ও কনফুসিয়াস ইন্সটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৫

বর্ষবরণে সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজন
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানতে সাংস্কৃতিক জোট বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে তাদের নিজস্ব পরিবেশনায় সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও পথনাটক নিয়ে উৎসবে অংশগ্রহণ করবে। রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখে বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান হবে। ‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’-এই প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট আইটিআই-এর সাম্মানিক বৈশ্বিক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। উদ্বোধন পর্বে অংশ নেবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নেতৃবৃন্দসহ বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. আহ্কাম উল্লাহ্।          
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২২

আসামে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ টিম রেনেসাস
আলচেরিঙ্গা, আইআইটি গুয়াহাটির বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব, এবং সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় উৎসব। বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এই উৎসবে অংশ নেয়।  প্রতিযোগিতা কেন্দ্র করে প্রায় এক লক্ষ মানুষের মিলনমেলা হয়ে ওঠে এই উৎসব।  ৭ থেকে ১০ মার্চ  ভারতের আসামের আইআইটি গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আলচেরিংগা ২০২৪ এর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতলো বাংলাদেশ টিম রেনেসাস। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের  ৩০ দলকে পিছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয় করে বাংলাদেশ দল। ভারতের গুয়াহাটির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) বার্ষিক সাংস্কৃতিক উত্সব ও প্রতিযোগিতা ‘আলচেরিঙ্গা’ বা ‘আলচার’। এবার এই আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে।  ১৯৯৬ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি গুয়াহাটিতে ‘আলচেরিঙ্গা’ বা ‘আলচার’ নামে বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসবের এই অনুষ্ঠানের শুরু হয়েছিল। চলতি বছর একঘেয়ে বিশ্বে আর্ট ব্লকের মুখোমুখি হওয়া একটি অল্পবয়সী মেয়ের গল্প, যে একটি জাদুঘরের শিল্প প্রদর্শনীতে ভ্রমণ করে, যখন সে স্মৃতি এবং সাইকেডেলিয়ার একটি যাত্রা উন্মোচন করার অনুপ্রেরণা পায়।তাই  থিমের নাম  ক্রোম্যাটিক এলিসিয়াম এই মূলমন্ত্রে ‘আলচেরিঙ্গা’-২৪ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এটা ছিল আল চেরিঙ্গার ২৮ তম  অনুষ্ঠান।  চার রাত ও ৩ দিনের এ উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রো-শো, ক্রিয়েটর ক্যাম্প, প্রো নাইটস, সোশ্যাল থেকে শুরু করে ইভেন্টের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় লাইনআপ থাকে। এবারের  উৎসবের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ  প্রতিযোগিতার বিস্তৃত পরিসর। যেখানে সামিট, সাংস্কৃতিক শোকেস, কুইজ, সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রতিযোগিতার লাইন আপসহ আরও অনেক কিছু অনুষ্ঠিত হয়। জনপ্রিয় বলিউড গায়ক আরমান মালিকের সঙ্গীত পরিবেশনাও এবারের ফেস্টিভালকে রঙ্গিন করে তোলে।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৬

জাবিতে সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ
ধর্ষণের বিচারসহ ৫ দফা দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে ধ্বনির দপ্তর সম্পাদক ফাইজা মেহজাবিন প্রিয়ন্তির সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদী  সাংস্কৃতিক সমাবেশ পালন করা হয়। প্রতিবাদী সমাবেশে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রাপ্তি তাপসী বলেন, এ ধর্ষণ কোনো বিচ্ছিন্ন কর্মকাণ্ড নয়। আমরা দেখেছি এ ধরনের অভিযোগ বারংবার আসার পরেও সে অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয় কিন্তু তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয় না। সাংস্কৃতিক জোট বলতে চায় যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করে বিদ্যমান সকল অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে ও আশু সুরাহা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, যে প্রশাসন চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের অভিযোগ আসার পরেও চুপ করে বসে থাকে, শিক্ষার্থীরা সেই প্রশাসনকে মান্য করে না। ধর্ষণকাণ্ডের পর থেকে প্রশাসন তাদের দায়িত্ব থেকে যে পিছনগুটিয়ে চলে এসেছে তার দায় এই প্রশাসনকে নিতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সকল জনসাধারণের জন্য নিরাপদ করতে হবে। প্রশাসন যদি ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্যের নিরসনে কাজ না করে তবে আমরা আরও কঠোর ভূমিকা নিতে বাধ্য হবো। জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, যারা ধর্ষক তারা একদিনে ধর্ষক হয়ে উঠেনি। তাদের পেছনে আছে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের মদদ, তার পাশাপাশি  রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আস্থার ছায়াতল। এই আন্দোলন শুধু ধর্ষকের বিরুদ্ধে নয়, এই আন্দোলন সেসব অছাত্র, মাদক চোরাচালানকারী ও ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যারা মাদকের সিন্ডিকেট গড়ে তুলছে এ ক্যাম্পাসে। এ আন্দোলন সেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে যে প্রশাসন যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত মাহমুদুর রহমান জনিকে তাদের ছায়তলে রেখে সুরক্ষা দেয়। জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক বান্না বলেন, আমরা জানতাম এ ক্যাম্পাসে রাতে-দিনে নারীরা সবসময় নিরাপদ। এই যে মোস্তাফিজ ও মুরাদ তারা একদিনে গড়ে ওঠেনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং ও গণরুম বন্ধ হয়নি এখনো। যে গণরুম বিশ্ববিদ্যালয়ে একেকটি মোস্তাফিজ ও মুরাদ তৈরি করছে সেই গণরুমকে বন্ধ করতে হবে। তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার হয়নি। যদি মোস্তাফিজ জানতো এই জনির বিচার হয়েছে তাহলে সে ধর্ষণের মতো এরকম কাজ করার সাহস পেত না। ধর্ষণকাণ্ডে শুধু মোস্তাফিজ ও মুরাদরা জড়িত নয়। এর পেছনে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জাহান বলেন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়েই মূলত জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের উৎপত্তি। আমরা সবসময়ই আন্দোলন করার চেষ্টা করেছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে। দেশের প্রচলিত আইনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে সেই মামলাটি যেন দ্রুত কার্যকর হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন সংকট নিরসনের মূল যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা হচ্ছে হলগুলো থেকে অছাত্রদের বিতাড়িত করা। এবং ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের যারা হলে অনেকগুলো সিট একসঙ্গে দখলে রেখেছেন এবং পলিটিকাল ব্লক তৈরি করে থাকেন তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শরন এহসান বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্ষণের ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবং তার প্রেক্ষিতে মুহূর্মুহু যেসব তথ্য উঠে আসছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে, মাদক, চোরাকারবারি এবং অভারল ক্যাম্পাসের শিক্ষাব্যবস্থা কিংবা প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা যারা সংস্কৃতি কর্মী, আমরা জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সংস্কৃতি কর্মী রয়েছি, আমরা শিল্পের মাধ্যমেই আমাদের প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরতে সর্বদা চেষ্টা করি। এর আগে, ৪ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট তাদের পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করে। দফাগুলো হলো - চলমান ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু সুরাহা এবং জড়িত সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে, যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করে পূর্বের সকল অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার পূর্বক দায়িত্ব অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, হল থেকে অছাত্রদের বের করে সিট সংকট নিরসন করতে হবে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্য নিরসনে পদক্ষেপ নিতে হবে।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৭

বাংলাদেশ-নরওয়ের সাংস্কৃতিক বিনিময় ‘লেট দ্যা লাইট ইন’
বাংলাদেশের চিরকুট এবং নরওয়ের মার্তে উলফ মিলে তৈরি করেছে নতুন গান ‘লেট দ্যা লাইট ইন’। ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকাস্থ নরওয়েজিয়ান দূতাবাসে নরওয়ে-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে চিরকুটের লাইভ পারফরমেন্সের মাধ্যমে ‘লেট দ্যা লাইট ইন’ উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-স্ভেনসন, বাংলাদেশের অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, কূটনীতিক, থিঙ্কট্যাঙ্ক, ব্যবসায়ী এবং উন্নয়ন অংশীদারদের প্রতিনিধিরা এই সাংস্কৃতিক উদযাপনে অংশ নেন। নরওয়ে এবং চিরকুট ব্যান্ডের মিউজিক্যাল পার্টনারশিপ, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক বছরের। ২০১১ সালে রিক্সকনসার্টিন (ন্যাশনাল ট্রাভেলিং কনসার্ট) এবং লাইভ স্কয়ার কনসার্ট, বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে নরওয়ের সাথে চিরকুটের সহযোগিতা শুরু হয়। এটি রক ব্যান্ডের জন্য একটি নতুন সূচনা ছিল এবং এর পর থেকে চিরকুটকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নরওয়েজিয়ান দূতাবাস এই সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।  এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টার-স্ভেনসন। এদিকে চিরকুট নেতা সুমি আর নরওয়েজিয়ান শিল্পী মার্তে’র নতুন গান ‘লেট দ্য লাইট ইন’ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকি এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি হয়েছে। গানচিত্রটি গত ডিসেম্বরে প্রকাশ হয় চিরকুটের ইউটিউব চ্যানেলে।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৭

আরটিভির সিইওকে দেশ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর শুভেচ্ছা
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে দেশ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী এবং জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির মধ্যে সহযোগিতার এক যুগ পূর্তি হয়েছে।  এ উপলক্ষে আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) সৈয়দ আশিক রহমানকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর কর্ণধার মিঠু কবির। এ সময় জার্মানির বুকে বাংলার সংস্কৃতি তুলে ধরতে সংগঠনটির প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন সৈয়দ আশিক রহমান। এক যুগ ধরে দেশ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর প্রচারণায় আরটিভি মিডিয়া পার্টনার হিসেবে কাজ করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীকে ধন্যবাদ জানান মিঠু কবির। সামনেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২২

সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রের নামফলক ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে
নরসিংদীর শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ‘সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র’ নামের এক সংগঠনের নামফলক ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।  বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন খান নেতাকর্মীদের নিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর সামনেই সংগঠনটির নামফলক ভেঙে গুড়িয়ে দেন। ওই সংগঠনে কলেজটির বিভিন্ন বর্ষে পড়ুয়া দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী গান-কবিতা-বিতর্ক চর্চা করে আসছেন।  কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, একযুগ ধরে কলেজটির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালাউদ্দীন মর্তুজা শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক বিকাশে কাজ করছেন। প্রতিবছর রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী, বর্ষবরণ ও বসন্তবরণ আয়োজনের পাশাপাশি তিনি নিয়মিতভাবে শহীদ মিনার কেন্দ্রীক সংস্কৃতিচর্চায় ব্যস্ত রাখেন শিক্ষার্থীদের। সংস্কৃতিচর্চাকে আরও উদ্বুদ্ধ করতে গত দুই মাস আগে কলেজ কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে সালাউদ্দীন মর্তুজাকে আহবায়ক করে ‘সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র’ নাম দিয়ে এর সাংগঠনিক রূপ দেওয়া হয়। বিজ্ঞান ভবনের নিচতলার দুইটি কক্ষ এবং বাদ্যযন্ত্র কেনা ও সাজসজ্জার জন্য দুই দফায় ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন অধ্যক্ষ কল্যাণী ব্যানার্জী।  সোমবার উদ্বোধনের কথা থাকায় দেয়াল খোদাই করে একটি সুদৃশ্য নামফলক সাটানো হয়। আজ দুপুরে ওই নামফলকটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন খান নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজ্ঞান ভবনের সামনে আসেন। সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্রের নামফলকটি দেখেই উত্তেজিত হয়ে যান তারা। এ সময় শাওন খানের নির্দেশে তার নেতাকর্মীরা ওই নামফলক ভেঙে গুড়িয়ে দেন। তাদের বলতে শোনা যায়, লেখাপড়ার নামে খবর নাই, আবার গানবাজনা। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে আসার পূর্বমুহূর্তে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চলে যান।  জানতে চাইলে সংগঠনটির আহবায়ক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সালাউদ্দীন মর্তুজা বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে গত একযুগে রক্ত পানি করা পরিশ্রমে, বাধার পর বাধা পেরিয়ে সংগঠনটিকে এই জায়গায় এনেছি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, এমন একটি মডেল তৈরি করা যা এক সময় দেশের সব কলেজে অনুসরণ করা হবে। এবার যখন চর্চার জন্য কক্ষ পেলাম, বাদ্যযন্ত্র কেনার জন্য বরাদ্দ পেলাম, তখন নামফলক ভেঙে দেওয়ার নামে আবার বাধা এল। জামাত-শিবির যদি এ কাজ করত, কষ্ট পেতাম না।   অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন খান বলেন, ঘটনার সময় আমি কলেজেই অবস্থান করছিলাম। আমি নিজে তো নয়ই, ছাত্রলীগের কোন কর্মীও এতে জড়িত নন। সাধারণ শিক্ষার্থীরাই ক্ষুব্ধ হয়ে এই কাজ করেছেন।  ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন এই কাজ করবেন’ জানতে চাইলে শাওন খান বলেন, ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে কলেজের অধ্যক্ষ কল্যাণী ব্যানার্জী অবসরে যাবেন। ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে তাকে বলেছিলাম, অবসরে যাওয়ার আগে ছাত্রদের কমনরুম ও কিছু ক্লাসরুমের সাউন্ড সিস্টেম সংস্কার করে দিতে। তিনি বলেছিলেন, সব হিসেব ক্লোজ করে ফেলেছেন, এখন আর কিছু করা সম্ভব নয়। পরে শুনলাম, গান-কবিতা-বিতর্কের জন্য নাকি কক্ষ ও টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি আমাদের এখনও পর্যন্ত কিছু জানাননি। এরই প্রেক্ষিতে আজ ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই সংগঠনের নামফলক ভেঙে দিয়েছে।  শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের অধ্যক্ষ কল্যাণী ব্যানার্জী এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শত শত শিক্ষার্থীর সামনেই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন খান দলবল নিয়ে এই নামফলক ভেঙেছে। কেন সে এমনটা করল, তা আমরা নিশ্চিত নই। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনা জানিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।  এ বিষয়ে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনা শুনেছি, কিন্তু কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:১৮

‘চলচ্চিত্র উৎসবের শুরুর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাকে মুগ্ধ করেছে’
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে পর্দা উঠেছে ২২তম ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ ছিলেন বলিউডের প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। উৎসবের এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক হিসেবে আছেন তিনি।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শর্মিলা ঠাকুর বলেন, আমি এই সুন্দর শহর ঢাকায় এসে খুবই খুশি। তবে এই সুন্দর শহরে আসা প্রায় বাতিল হতে বসেছিল! গতকাল যখন আমি দিল্লি বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম, আমাকে বলা হলো কুয়াশার কারণে ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বাইরে তখন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। পরবর্তী ফ্লাইট ছিল আজকে; যদি পরের এই ফ্লাইট ধরতাম, তাহলে আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারতাম না। পরে বাংলাদেশ বিমানের সহযোগিতায় ঢাকায় আসতে পেরেছি। একটা অ্যাডভেঞ্চার দিয়ে জার্নিটা শুরু হয়েছিল। দ্বিতীয় অ্যাডভেঞ্চারের বর্ণনায় শর্মিলা বলেছেন, আমাকে উৎসবের পরিচালক বলেছেন, হোটেল থেকে ভেন্যু হেঁটে গেলে মাত্র দুই মিনিট, আর গাড়িতে পাঁচ মিনিট। কিন্তু কোনো কারণে আমরা একটা ভুল মোড় নিয়ে ফেলি। যার কারণে আমরা প্রায় ৩৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছলাম। এটা একরকম অ্যাডভেঞ্চারই ছিল। ঢাকার কিছু রূপও দেখা হয়ে গেল। হাসিমাখা মুখে ঘটনাগুলো যখন বলছিলেন শর্মিলা, তখন তার কাছে একটি আরজি রাখেন ঢাকা উৎসবের পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল। অনুরোধটা বাংলায় কথা বলার। কিন্তু বিনয়ের সঙ্গেই সেটা ফিরিয়ে দেন অভিনেত্রী। শর্মিলা ঠাকুরের ভাষ্য, আমি বাংলায় কেন বলব, এটা তো আন্তর্জাতিক উৎসব। আর সবাই জানে, আমি বাংলা বলতে জানি। ইংরেজি তো আন্তর্জাতিক ভাষা, সবাই বোঝে। প্লিজ মাফ করবেন। প্রশংসা করেন উদ্বোধনী আয়োজনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার শর্মিলা। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র উৎসবের এই শুরুর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাকে মুগ্ধ করেছে। পুরনো চলচ্চিত্রের গানগুলো দিয়ে এই আয়োজন খুব ভালো লেগেছে। একটি সমাজের জন্য, একটি জাতির জন্য নিজের সংস্কৃতি তুলে ধরার চলচ্চিত্র ছাড়া আর কোনো ভালো মাধ্যম হতে পারে না। কারণ একমাত্র চলচ্চিত্রের কোনো ভাষা নেই। সেটা বাংলা, ইংরেজি, চায়নিজ, হিন্দি যা-ই হোক না কেন দর্শক চলচ্চিত্র খুব সহজেই বুঝতে পারে। প্রসঙ্গত,  রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত উৎসবের এবারের আসরে ৭৪টি দেশের আড়াই শ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য ১২৯টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র ১২৩টি। এর মধ্যে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ৭১টি। উৎসবের চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, নৃত্যশালা মিলনায়তন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তনে। এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেনস ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম ও উইমেনস ফিল্ম সেশনে প্রদর্শিত হবে ছবিগুলো।  উদ্বোধনী দিন দেখানো হয়েছে মুর্তজা অতাশ জমজম পরিচালিত ও জয়া আহসান অভিনীত ‘ফেরেশতে’ ও শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব—একটি জাতির রূপকার’। উৎসবের সব প্রদর্শনীই বিনা মূল্যে উপভোগ করতে পারবে দর্শক। আসনসংখ্যা সীমিত থাকায় ‘আগে এলে আগে দেখবেন’ ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে। উৎসব চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।  
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়