• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লক্ষ্মীপুরে তাপদাহ, হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
লক্ষ্মীপুরে প্রচণ্ড গরমে ডায়রিয়া ও সর্দি কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালসহ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। পেটের পীড়া, ঠান্ডাজ্বর, কাশি, সর্দি, ডায়রিয়া নিউমোনিয়া, পানি শূন্যতা, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এদিকে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। সিট না পেয়ে বারান্দায় শুয়ে আছেন ডায়রিয়া ওয়ার্ডের অধিকাংশ রোগী, শিশু ওয়ার্ডেও একই চিত্র। মৌসুমি এসব রোগে আক্রান্তদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অরুপ পাল জানান, গত তিন দিনে সদর হাসপাতালে প্রায় ৩০০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ডায়রিয়া, জ্বর, ঠান্ডা ও শ্বাস কষ্টের রোগীই বেশি। হাসপাতালে বেডের তুলনায় রোগী বেশি ভর্তি থাকলেও সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, প্রচণ্ড রোদ ও গরমে শিশুদের যথাসম্ভব বাসায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কোনোভাবেই যেন তাদের বাইরে বের করা না হয়। কারণ, গরমে বাচ্চারাই সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৩

কালিয়াকৈরে তাপদাহে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা হাসপাতাল ১০০ শয্যা হলেও জনবল কম থাকায় অতিরিক্ত তাপদাহে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এতে বেড কম থাকায় অনেকে রোগী মেঝেতেই পড়ে আছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়াজনিত রোগে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন। চিকিৎসাধীন আরও ১০ জন।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডাক্তার লুৎফর রহমান জানান, তাপদাহ না কমলে হয়তো এর সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।  অন্যদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। দিনরাত প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে গ্রামগঞ্জে লোডশেডিংয়ের প্রভাব বেশি পড়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, অতিরিক্ত তাপদাহের কারণেই এই লোডশেডিং হচ্ছে। এদিকে অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে কালিয়াকৈর টু ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের পিচঢালাই গলে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন চালক ও পথচারীরা। কালিয়াকৈরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগের দিন মঙ্গলবার উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিকে তীব্র তাপদাহের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জনজীবন। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটেখাওয়া মানুষ। রোদের তাপে গলে যেতে শুরু করেছে সড়কের পিচ।  গত কয়েক দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। শহরে বা গ্রামগঞ্জের লোকজনের উপস্থিতি কম হলেও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে জিরিয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ। আবার কেউ কিছু সময় পর পর হাতে মুখে পানি দিয়ে নিজেকে শীতল রাখার চেষ্টা করছেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৬

গরমে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা, ওষুধের তীব্র সংকট
প্রচণ্ড গরমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তাপদাহের কারণে বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শিশুদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগই ঠান্ডা, কাশি ও নিউমোনিয়াতে আক্রান্ত। প্রতিদিনই এসব রোগে আক্রান্ত শিশুরা চিকিৎসা নিতে ভিড় করছেন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুদের গরমজনিত ডায়েরিয়া এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে শিশুদের ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।  এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আক্তার হোসেন বলেন, বয়স্ক রোগীদের ওষুধ পর্যাপ্ত থাকলেও শিশুদের ওষুধের সরবরাহ নেই বললেই চলে। বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসায় অপরিহার্য স্বল্পমূল্যের বিভিন্ন সিরাপ যেমন প্যারাসিটামল ও হিস্টাসিন সিরাপের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।  তিনি আরও বলেন, ওষুধ সংকটের কারণে বিভিন্ন জটিল রোগ নিয়ে ভর্তি হওয়া শিশুদের সুচিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। এ সময় গরমে অসুস্থতা প্রতিরোধে শিশুদেরকে খোলামেলা পরিবেশে পাতলা সুতি কাপড় পরিয়ে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৯

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, রোগীর স্বজনদের মারধরের অভিযোগ
কোটালীপাড়ায় ভুল চিকিৎসায় আফরোজা বেগম (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা প্রতিবাদ করলে ক্লিনিক মালিকের লোকজন রোগীর স্বজনদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের নারায়ণ খানা বাজারের ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। প্রসূতি আফরোজা বেগম উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের কালারবাড়ি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম খানের স্ত্রী। নিহতের মা মনিকা বেগম বলেন, ওইদিন সকালে তিনি মেয়েকে নিয়ে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করেন। দুপুরে ডাক্তাররা অপারেশন রুমে নিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পরে তারা জানায় তার মেয়ে ও তার গর্ভের সন্তান মারা গেছে। তিনি বলেন, আমার মেয়ে মারা যায়নি; তাকে ও তার সন্তানকে ডাক্তাররা মেরে ফেলেছে।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে ক্লিনিকের লোকজন আমাদেরকে মারধর করেছে। আমরা এর বিচার চাই।  ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডাক্তার জাহিদ হোসেন রিন্টু বলেন, সকালে ওই প্রসূতি নারী ভর্তির পর আমরা তাকে স্যালাইন দিই। দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার প্রভাষ মণ্ডল ও আমি তাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যাই। এরপর রোগীটি হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক চিকিৎসক বলেন, প্রভাষ মণ্ডল অ্যানেসথেশিয়ার ডাক্তার না। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন মেডিকেল অফিসার। তার ভুলের কারণে ওই রোগীর মৃত্যু হতে পারে। ডাক্তার প্রভাষ মণ্ডল বলেন, অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে আমরা চিকিৎসা শুরু করার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, এ ঘটনায় মৃত আফরোজা বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:১০

রোগীর স্বজনকে পেটালেন চিকিৎসকের স্বামী
লক্ষ্মীপুরে গাইনি কেয়ার নামে এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হয়রানির শিকার এক রোগীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের স্বামী ও স্টাফদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম মামুন পলাতক রয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে লক্ষ্মীপুর হাসপাতাল সড়কের ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাজহারুল ইসলাম মামুন জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সদস্য সচিব এবং ডা. নার্গিস পারভীনের স্বামী। মারধরের শিকার কামাল লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও কুয়েত প্রবাসী। মারধরের শিকার কামাল অভিযোগ করেন, প্রবাসী কামালের স্ত্রী রোশন আরাকে দেখাতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গাইনি চিকিৎসক নার্গিস পারভীনের সিরিয়াল দেওয়া হয়। কিন্তু দুপুর সোয়া ২টার দিকেও চেম্বারে আসেননি চিকিৎসক। এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলেও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্টাফরা রোগী ও সেজনদের সঙ্গে অসাধাচরণ করেন। এনিয়ে প্রতিবাদ করলেই গাইনি কেয়ারের মালিক ডা. নার্গিস পারভীনের স্বামী মামুন ওই রোগীর প্রবাসী স্বামী কামালকে ধাক্কা দেয়। এক পর্যায়ে কামালকে মারধর করেন মামুন এবং স্টাফরা। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে জানতে গাইনি কেয়ারে গিয়েও অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। তবে চিকিৎসক নার্গিস পারভীন বলেন, রোগী দেখতে দেরি হওয়ায় হাসপাতালে স্টাফদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন রোগীর স্বামী। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি সাফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন ডা. আহমেদ কবীর বলেন, বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে অনুমোদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৮

টাঙ্গাইলের সখিপুরে ফ্রি ক্যাম্পে ৩ হাজার রোগীর চিকিৎসা
প্রতি বছরের মতো এবারও ভাষা শহীদের স্মরণে টাঙ্গাইলের সখিপুরে অনুষ্ঠিত হলো ফ্রি মেডিকেল ও চক্ষু ক্যাম্প। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সখিপুর উপজেলার হাতিবান্ধা গ্রামে তালিমঘরে দিনব্যাপী বিনামূল্যে এ চিকিৎসাসেবার আয়োজন করে কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস)। সখিপুর ছাড়াও আশপাশের উপজেলার প্রায় ৩ হাজার রোগীর মাঝে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এ ছাড়াও রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ ও প্রায় ৩০০ রোগীকে চোখের ছানি অপারেশন ও লেন্স প্রতিস্থাপনের জন্যে প্রাথমিকভাবে বাছাই করে আয়োজকরা। অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বিশেষ অতিথি ছিলেন পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ আওলাদ হোসেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহাম্মদ আমিন শরীফ সুমন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সখিপুর পৌরসভার মেয়র আবু হানিফ আজাদ। ক্যাম্পসের নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ান সালেহীন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হারিসুল হকসহ বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, দেড়যুগ ধরে হাতিবান্ধা গ্রামে ক্যাম্পস ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদের স্মরণে দুস্থ ও দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার আয়োজন করে আসছে। দিনব্যাপী এ আয়োজনে স্থানীয়রা বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে মেলার আয়োজন করে থাকে।  
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩১

ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার্থে শাবিতে স্বপ্নোত্থানের বসন্ত উৎসব
ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত একজন মায়ের চিকিৎসার্থে ১লা ফাল্গুন উপলক্ষে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বপ্নোত্থান’। বসন্ত উৎসব থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ অসুস্থ মায়ের চিকিৎসায় ব্যয় করা হবে বলে জানান সংগঠনের সদস্যরা। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের লাইব্রেরী ভবন ও অর্জুনতলার মধ্যখানে বিভিন্ন ধরনের স্টল সাজিয়েছে স্বপ্নোত্থানের সদস্যরা। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স ও কাপড়ের স্টল। নানান জাতের পিঠা নিয়ে পিঠার স্টলও দেওয়া হয়েছে। স্টলের পাশে রয়েছে ফটোবুথ যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফটো তুলছেন। এ ছাড়া ছোট বাচ্চাদের জন্য রয়েছে গেমিং জোন। স্বপ্নোত্থানের এ বসন্ত উৎসব উপভোগ করতে স্টলগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। স্বপ্নোত্থানের এ চ্যারিটি উৎসবকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্বপ্নোত্থানের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী কবীর বলেন, বসন্ত উৎসবে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ করার পাশাপাশি চ্যারিটি আয়োজনের উদ্যোগ সত্যিই দারুণ। এ ধরনের উদ্যোগে সকলের অংশগ্রহণে প্রসারিত হতে পারে একজন মায়ের চিকিৎসা। বসন্ত উৎসবে এ ধরনের চ্যারিটি আয়োজনের মাধ্যমে স্বপ্নোত্থান আত্মনিবেদন এবং সমাজের উন্নতির পথ প্রবৃদ্ধি করতে অবদান রাখছে। এভাবেই সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। বসন্ত উৎসব উপভোগ করতে এসে উৎফুল্ল প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থী সোহানা আবেদিন লামিসা বলেন, বসন্তের প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের আয়োজন সত্যিই বিস্ময়কর। বসন্ত উৎসবে নানা ধরনের আয়োজন করেছে স্বপ্নোত্থান। এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ বলেন, অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে স্বপ্নোত্থান আজ বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে। তাদের এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে স্বপ্নোত্থানের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম রাহাত বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি মানুষের জন্য কিছু করতে। যখন কেউ বিপদে পড়ে আমাদের কাছে সাহায্যের জন্য আসে আমরা বিভিন্ন ধরনের চ্যারিটি উৎসব করে থাকি। চ্যারিটি উৎসবের সব লভ্যাংশ মানুষের সাহায্যার্থে ব্যয় করি। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের একজন শিক্ষার্থীর মায়ের চিকিৎসায় সহযোগিতা করার লক্ষ্যে আমরা আজ বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৮

তীব্র শীত / হাসপাতালে রোগীর চাপ, বাড়ছে শিশুমৃত্যুও
প্রকৃতিতে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঠাণ্ডায় ঠকঠক কাঁপছে সারাদেশ। ঘন কুয়াশার চাদরে ছেয়ে আছে উত্তরাঞ্চল; সূর্যের দেখা মেলেনি সপ্তাহখানেক। গত কয়েকদিনে শীতের প্রকোপ বেশ ভালোই টের পেয়েছে এমনকি রাজধানীবাসীও। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ, যাতে আক্রান্তদের বেশিরভাগই ৫ বছরের কম বয়স্ক শিশু। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে শিশুমৃত্যুর হারও।    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ঠাণ্ডা-কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও ভাইরাল ডায়রিয়ার প্রকোপই এখন বেশি। আর এতে নবজাতক ও শিশুদের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধরাও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের সর্বশেষ দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সারা দেশে তিন হাজার ১০১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের  সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয় ৮৯০ জন। ভাইরাল ডায়রিয়াজনিত কারণে ভর্তি হয় দুই হাজার ২১১ জন। এই সময়ে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। আরও পড়ুন : তানজানিয়ায় স্বর্ণের খনিতে ভূমিধস, ২২ জনের প্রাণহানি   অধিদপ্তরের তথ্য মতে, শনিবার শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ নিয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ  জেলায়।  আর ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি রোগী বেশি ছিল কক্সবাজার, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী ও কুষ্টিয়া জেলায়। ভর্তি রোগীদের ৮০ শতাংশই শিশু ও বৃদ্ধ। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর চাপ লক্ষ্য করা গেছে রাজধানীতেও। ঢাকা শিশু হাসপাতাল সূত্র বলছে, অক্টোবর থেকে ঠাণ্ডাজনিত কারণে রোগী আসছে। গত কয়েক দিন শীত বাড়ায় শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশ বেড়েছে। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হাঁপানি, সর্দি-জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা হাসপাতালে আসছেন। শিশু মেডিসিন বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুল আহসান বলেন, আমাদের এখানে অন্যান্য সময় যত শিশু রোগী আসত, শীতের প্রকোপে জানুয়ারির শুরু থেকে তার দ্বিগুণের বেশি আসছে। প্রতিদিন যেখানে ২০০ থেকে ২৫০ শিশু রোগী আসতো, সেখানে গত কয়েকদিনে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী আসছে। আরও পড়ুন : গাজা যেন মৃত্যুপুরী   রংপুরে ৮ দিনের শৈত্যপ্রবাহে ১৮ শিশুর মৃত্যু চলমান শৈত্য প্রবাহে সবচেয়ে বেশি কাঁপছে উত্তরের বিভাগ রংপুর। রংপুর মহানগরীসহ বিভাগের আট জেলায় জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশায় গত ৮ দিন দেখা মেলেনি  সূর্যের। ফলে দিন ও রাতে একই রকম শীত অনুভূত হচ্ছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডাজনিত নানা রোগে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বেড়েছে এ বিভাগে।   রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিওলাইটিস, অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক চেয়ে দুই-তিনগুণ বেড়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু। গত ৮ দিনে এই হাসপাতালে ১৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের দুইটি ওয়ার্ডের সূত্রের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৮০ শয্যার বিপরীতে রোববার সকাল পর্যন্ত ভর্তি ছিল তিন শতাধিক শিশু। কোনো কোনো বেডে তিন-চারজন শিশু রোগীকে রাখা হয়েছে। শয্যা সংকটের কারণে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে অনেক শিশুকে। এছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও ধারণক্ষমতার চারগুণ রোগী ভর্তি আছে বর্তমানে।   হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী বলেন, ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৬০ শিশু ও বয়স্ক রোগী ভর্তি হচ্ছে। এতে রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। বারান্দায়ও আর জায়গা নেই। আরও পড়ুন : চাঁদপুরে কারাবন্দি কচুয়ার ব্রজলাল পাটিকরের মৃত্যু   ময়মনসিংহ মেডিকেলে গড়ে ৪০০ শিশু রোগী, ৭ দিনে ১৫ শিশুর মৃত্যু  গত কয়েক দিনের তীব্র শীতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী বেশি। হাসপাতালের শিশু বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক ডা. বিশ্বজিত চৌধুরী বলেন, রোগীর সংখ্যা বাড়লেও তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। শিশু বিভাগের তিনটি ইউনিটে গড়ে প্রায় চার শ রোগী ভর্তি আছে।   এছাড়া গত এক সপ্তাহে এ হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোগী বাড়ায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। ডা. বিশ্বজিৎ চৌধুরী আরও জানান, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে এক সপ্তাহ ধরে নবজাতকসহ শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। তীব্র শীতে শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় প্রতিদিনই শিশু মারা যাচ্ছে। ঠাণ্ডায় বেশি অসুস্থ হওয়ার পর অভিভাবকরা সন্তানদের হাসপাতালে নিয়ে আসছেন। সে কারণে চেষ্টা করেও তাদের বাঁচানো যাচ্ছে না। শিশু ওয়ার্ডের পাশাপাশি মেডিসিন ওয়ার্ডেও ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এমনকি হৃদরোগ ওয়ার্ডেও রোগী ভর্তির জায়গা নেই। হবিগঞ্জে ৭ দিনে মারা গেছে ১৫ নবজাতক শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিশুমৃত্যু বেড়েছে হবিগঞ্জেও। গত এক সপ্তাহে ১৫ নবজাতক ও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাস। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত শুক্রবার একদিনে হাসপাতালের স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিটে (স্ক্যানু) পাঁচ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এক সপ্তাহে এখানে মারা গেছে ১৫ নবজাতক। এছাড়াও হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বুধবার মারা গেছে এক শিশু। বর্তমানে শিশুরোগীর চাপে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। লক্ষ্মীপুরে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ গত কয়েকদিনের শীতে লক্ষ্মীপুরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এদের মধ্যে কেউ জ্বর-ঠান্ডা, আবার কেউ সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। এদিকে, আগের তুলনায় হাসপাতালে হঠাৎ রোগী বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শারমিন আক্তার জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বয়স্ক ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া দেখা দিয়েছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় শিশু ওয়ার্ডে প্রতিটি বেডে দুজন করে রোগী। অটটি বেডের বিপরীতে মেঝেতেসহ মোট ২৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সব হাসপাতালের চিত্র প্রায় একই। সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, এই তীব্র শীতে বয়স্ক ও শিশুরা নানা রকম ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এরমধ্যে শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। ঠান্ডাজনিত এসব রোগ এড়াতে শিশুদের গরম কাপড় পরানো, ঘনঘন মায়ের দুধ সেবন করাসহ বাড়তি নজর রাখা এবং সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বরিশালে শয্যার ৭ গুণ রোগী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৩৬ শয্যার বিপরীতে গতকাল ভর্তি ছিল প্রায় ২৫০ শিশু। তাদের বেশির ভাগই শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত। পরিস্থিতি সামাল দিতে  নতুন করে আরো ৭১ শয্যা যুক্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। ছয়জন চিকিৎসক ও ১৫ জন নার্স দিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকে শয্যা না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদিকে সর্দি-জ্বর, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমা জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাবে ওষুধ প্রয়োগে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন দেশের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বলছেন, রোগের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের চিকিৎসাপত্র ছাড়া কোনো অবস্থায় প্রয়োগ করা যাবে না অ্যান্টিবায়োটিক। অ্যান্টিবায়োটিকের অপপ্রয়োগের ফলে বেড়ে যেতে পারে মৃত্যুঝুঁকি। তবে ঠাণ্ডার প্রাদুর্ভাব বেশি থাকায় নবজাতক থেকে শুরু করে অনূর্ধ্ব তিন বছর পর্যন্ত বছর শিশুদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি। তাই কনকনে শীতে সর্দি-জ্বর ও নিউমোনিয়া থেকে শিশু ও বয়স্কদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনে দৈনিক গোসল করা থেকে বিরত রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ শফি আহমেদ মুয়াজ বলেন, যদি কোনো শিশুর ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে সর্দি বা কাশি হয়, তাহলে তার নাক পরিষ্কার করে দেওয়া এবং কুসুম গরম পানি খাওয়ানো জরুরি। এ সময় অযথা অ্যান্টি-হিসটামিন বা অ্যান্টি-বায়োটিক জাতীয় ওষুধ সেবন করানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকতে হবে অভিভাবকদের। রাজধানী ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. রুহিনা তাসমিন বলেন, দুই থেকে তিন বছরের শিশুদের প্রতিদিন গোসল করানোর প্রয়োজন নেই। এ বছর অস্বাভাবিক শীত; তাই আরেকটু বড় বাচ্চাদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচার জন্য গোসল করা থেকে বিরত রাখাই শ্রেয়। আবার যদি গোসল করানো হয়, অবশ্যই শিশুকে ভালোভাবে মুছিয়ে শুকাতে হবে। বলেন, শূন্য থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিশু সুরক্ষায় মায়েদের উচিত বুকের দুধ খাওয়ানো, এটা বড় ধরনের প্রতিষেধক এবং অ্যান্টিবডি তৈরি করে। আর যেসব শিশু বুকের দুধ পান করানো হয়, তাদের নিউমোনিয়ার ঝুঁকি অনেক কম।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:০১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়